হিমেল চাকমা, রাঙামাটি
যত দূর চোখ যাবে উঁচু উঁচু পাহাড়। এসব পাহাড়ে রয়েছে সেগুন বাগান। এর মধ্যে ১৬ একর জায়গায় রোপণ করা হয়েছে আম, লিচু, বারোমাসি কাঁঠাল, ড্রাগন, মাল্টা, কমলা, কাজু বাদাম, কফিসহ নানান গাছ। পাহাড়ে এমন মিশ্র ফল গাছ রোপণ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন নীলকান্ত চাকমা।
রাঙামাটি সদর উপজেলার বালুখালী ইউনিয়নে বসন্ত মোন পাড়ার পাহাড়ে এসব ফল গাছ রোপণ করেছেন নীলকান্ত চাকমা। বিভিন্ন মৌসুমে ফল বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন তিনি। চলতি মৌসুমে শুধু বরই বিক্রি করে পেয়েছেন ৫ লাখ টাকা।
রাঙামাটি শহর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে বসন্ত মোন পাড়ায় গিয়ে দেখা যায়, বড় পাহাড়ের মাঝে খামার ঘর নির্মাণ করে সেখান থেকে মিশ্র ফল বাগানের পরিচর্যার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন নীলকান্ত। তাঁর এ কাজে সহায়তা করছেন উচ্চ শিক্ষিত দুই ছেলে। বড় ছেলে শুভাশীষ চাকমা কৃষি ডিপ্লোমা শেষ করে বাবাকে সহায়তা করছেন। পাহাড়ের প্রায় ১ হাজার ফুট নিচ থেকে জেনারেটরের মাধ্যমে বাগানে পানি সেচের ব্যবস্থা করেছেন। বাদুড় তাড়ানোর জন্য সোলারের মাধ্যমে রাতে করেছেন আলোর ব্যবস্থা।
মিশ্র ফল বাগানে প্রায় ৬ একর পাহাড়ে করেছেন বল সুন্দরী, বাউকুল, কাশ্মীরি কুল, ভারত সুন্দরী, আপেল কুলসহ কয়েক প্রজাতির বরই চাষ। প্রত্যকটি গাছে বরই ধরেছে। বরইয়ে ভারে নুয়ে পড়েছে গাছের ডালপালা। এগুলো আকারে যেমন বড় হয়েছে তেমনি স্বাদেও বেশ অতুলনীয়।
নীলকান্ত চাকমা বলেন, ‘এ বছর শুধু বরই বিক্রি করে ৫ লাখ টাকা পেয়েছি। অবশিষ্টগুলো বিক্রি করলে আরও লাখ দেড় লাখ টাকা পাব।’
নীলকান্ত চাকমা বলেন, ‘প্রায় ১০-১২ বছর আগে আমি জুমচাষ করে জীবিকা নির্বাহ করতাম। নিজ পাহাড়ে সেগুন বাগানও করেছি। কিন্তু জুমচাষ ও সেগুন বাগান থেকে লাভবান না হওয়ায় জীবিকা পরিবর্তন করে তার ১৬ একর পাহাড়ের জমিতে লিচু, আম, কাঁঠাল, কপি, বরই, মাল্টা, ড্রাগনসহ মিশ্র ফল বাগান চাষ শুরু করি। তিন চার বছরের মাথায় ফলন পেতে শুরু করি। গত বছর আম ও লিচু বিক্রি করে প্রায় ১০ লাখ টাকা আয় করেছি।’
‘আমার এ কাজে দুই ছেলে সহায়তা করছে। দুজনই লেখাপড়া শেষ করেছেন কিন্তু চাকরি পায়নি। চাকরি না পাওয়ায় তারা বাগানে মনোযোগী হয়েছে।’ যুক্ত করেন নীলকান্ত চাকমা।
নীলকন্ত চাকমার ছেলে শুভাশীষ চাকমা বলেন, ‘রাঙামাটি কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট থেকে ৪ বছরের ডিপ্লোমা পাস করেছি। পরে কিছুদিন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা চাকরি করেছি। বেতন কম হওয়াতে সে চাকরি ছেড়ে দিই। সরকারি চাকরিতে চেষ্টা করেছি, কিন্তু পাইনি। চাকরির আশায় না থেকে বাবাকে কৃষি কাজে সাহায্য করছি।’
বালুখালী ইউনিয়নে দায়িত্বরত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা দেবাশীষ দেওয়ান বলেন, ‘নীলকান্ত চাকমা কৃষি অফিস থেকে প্রশিক্ষণ পেয়েছে। তার ছেলেও একজন কৃষিবিদ। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে সার, বীজ, প্রশিক্ষণ দিয়ে যতটুকু পেরেছি সহায়তা করেছি। তার এমন সফলতায় এলাকায় পরিচিতি পেয়েছেন আদর্শ বাগানী হিসেবে।’
রাঙামাটি সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘কৃষি উদ্যোক্তা পেলে আমরা সহায়তা করে যাচ্ছি। নীলকান্ত একজন আদর্শ কৃষক। তার মতো কৃষি উদ্যোক্তাদের উপজেলা কৃষি অফিস সব সময় সহায়তা করে যাচ্ছে।’
যত দূর চোখ যাবে উঁচু উঁচু পাহাড়। এসব পাহাড়ে রয়েছে সেগুন বাগান। এর মধ্যে ১৬ একর জায়গায় রোপণ করা হয়েছে আম, লিচু, বারোমাসি কাঁঠাল, ড্রাগন, মাল্টা, কমলা, কাজু বাদাম, কফিসহ নানান গাছ। পাহাড়ে এমন মিশ্র ফল গাছ রোপণ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন নীলকান্ত চাকমা।
রাঙামাটি সদর উপজেলার বালুখালী ইউনিয়নে বসন্ত মোন পাড়ার পাহাড়ে এসব ফল গাছ রোপণ করেছেন নীলকান্ত চাকমা। বিভিন্ন মৌসুমে ফল বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন তিনি। চলতি মৌসুমে শুধু বরই বিক্রি করে পেয়েছেন ৫ লাখ টাকা।
রাঙামাটি শহর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে বসন্ত মোন পাড়ায় গিয়ে দেখা যায়, বড় পাহাড়ের মাঝে খামার ঘর নির্মাণ করে সেখান থেকে মিশ্র ফল বাগানের পরিচর্যার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন নীলকান্ত। তাঁর এ কাজে সহায়তা করছেন উচ্চ শিক্ষিত দুই ছেলে। বড় ছেলে শুভাশীষ চাকমা কৃষি ডিপ্লোমা শেষ করে বাবাকে সহায়তা করছেন। পাহাড়ের প্রায় ১ হাজার ফুট নিচ থেকে জেনারেটরের মাধ্যমে বাগানে পানি সেচের ব্যবস্থা করেছেন। বাদুড় তাড়ানোর জন্য সোলারের মাধ্যমে রাতে করেছেন আলোর ব্যবস্থা।
মিশ্র ফল বাগানে প্রায় ৬ একর পাহাড়ে করেছেন বল সুন্দরী, বাউকুল, কাশ্মীরি কুল, ভারত সুন্দরী, আপেল কুলসহ কয়েক প্রজাতির বরই চাষ। প্রত্যকটি গাছে বরই ধরেছে। বরইয়ে ভারে নুয়ে পড়েছে গাছের ডালপালা। এগুলো আকারে যেমন বড় হয়েছে তেমনি স্বাদেও বেশ অতুলনীয়।
নীলকান্ত চাকমা বলেন, ‘এ বছর শুধু বরই বিক্রি করে ৫ লাখ টাকা পেয়েছি। অবশিষ্টগুলো বিক্রি করলে আরও লাখ দেড় লাখ টাকা পাব।’
নীলকান্ত চাকমা বলেন, ‘প্রায় ১০-১২ বছর আগে আমি জুমচাষ করে জীবিকা নির্বাহ করতাম। নিজ পাহাড়ে সেগুন বাগানও করেছি। কিন্তু জুমচাষ ও সেগুন বাগান থেকে লাভবান না হওয়ায় জীবিকা পরিবর্তন করে তার ১৬ একর পাহাড়ের জমিতে লিচু, আম, কাঁঠাল, কপি, বরই, মাল্টা, ড্রাগনসহ মিশ্র ফল বাগান চাষ শুরু করি। তিন চার বছরের মাথায় ফলন পেতে শুরু করি। গত বছর আম ও লিচু বিক্রি করে প্রায় ১০ লাখ টাকা আয় করেছি।’
‘আমার এ কাজে দুই ছেলে সহায়তা করছে। দুজনই লেখাপড়া শেষ করেছেন কিন্তু চাকরি পায়নি। চাকরি না পাওয়ায় তারা বাগানে মনোযোগী হয়েছে।’ যুক্ত করেন নীলকান্ত চাকমা।
নীলকন্ত চাকমার ছেলে শুভাশীষ চাকমা বলেন, ‘রাঙামাটি কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট থেকে ৪ বছরের ডিপ্লোমা পাস করেছি। পরে কিছুদিন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা চাকরি করেছি। বেতন কম হওয়াতে সে চাকরি ছেড়ে দিই। সরকারি চাকরিতে চেষ্টা করেছি, কিন্তু পাইনি। চাকরির আশায় না থেকে বাবাকে কৃষি কাজে সাহায্য করছি।’
বালুখালী ইউনিয়নে দায়িত্বরত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা দেবাশীষ দেওয়ান বলেন, ‘নীলকান্ত চাকমা কৃষি অফিস থেকে প্রশিক্ষণ পেয়েছে। তার ছেলেও একজন কৃষিবিদ। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে সার, বীজ, প্রশিক্ষণ দিয়ে যতটুকু পেরেছি সহায়তা করেছি। তার এমন সফলতায় এলাকায় পরিচিতি পেয়েছেন আদর্শ বাগানী হিসেবে।’
রাঙামাটি সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘কৃষি উদ্যোক্তা পেলে আমরা সহায়তা করে যাচ্ছি। নীলকান্ত একজন আদর্শ কৃষক। তার মতো কৃষি উদ্যোক্তাদের উপজেলা কৃষি অফিস সব সময় সহায়তা করে যাচ্ছে।’
পার্বত্য খাগড়াছড়ির সীমান্তবর্তী পানছড়ির বিভিন্ন এলাকায় নির্বিচারে কাটা হচ্ছে পাহাড়। এতে ধ্বংস হচ্ছে জীববৈচিত্র্য। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একটি চক্র এই পাহাড় কাটায় জড়িত বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
৭ ঘণ্টা আগেমৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৫০ শয্যার। তবে তীব্র জনবল-সংকটে এখানে চিকিৎসাসেবা পাওয়া দুরূহ। সাতজন চিকিৎসা কর্মকর্তা (মেডিকেল অফিসার) থাকার কথা থাকলেও আছেন মাত্র একজন। ২৩ চিকিৎসকের জায়গায় রয়েছেন ১০ জন। চিকিৎসকের ঘাটতি মেটাতে সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিউনিটি মেডিকেল অফিসাররা
৭ ঘণ্টা আগেনানা সমস্যায় জর্জরিত দিনাজপুরের ফুলবাড়ী পৌরসভা। দীর্ঘদিন ধরে পৌর এলাকার রাস্তা ও ড্রেনের নাজুক অবস্থা, নেই পর্যাপ্ত ডাস্টবিন। ফলে যত্রতত্র গড়ে উঠেছে ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়। ফলে দুর্ভোগ বেড়েছে পৌরবাসীর। নাগরিকদের অভিযোগ, নামে প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হলেও বাড়েনি সেবার মান। তাই রাস্তা ও ড্রেনগুলো দ্রুত সংস্ক
৭ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে ৫ কোটির বেশি টাকায় নেওয়া শতাধিক প্রকল্পে লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সারমিনা সাত্তার ও উপজেলা প্রকৌশলী আয়েশা আখতার নিয়ম-বহির্ভূতভাবে প্রকল্প গ্রহণ ও ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে এই অনিয়ম করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি আড়াল করতে প্রকল্পের কাগজপত্র
৭ ঘণ্টা আগে