নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
হত্যাচেষ্টা মামলার এক নম্বর আসামি। ওই মামলায় জামিনও নেই তিনি। থানার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, খাওয়া-দাওয়া করছেন। আবার মোবাইল ফোনে সেলফি তুলছেন। সেটি আবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দিয়ে ক্যাপশনে লিখেন ‘ভাইয়ের সাথে’। তিনি হলেন ফরহাদুল আলম চৌধুরী। পরিচয় দেন বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম লীগের চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক।
আসামি ফরহাদুল আলম তার নিজের ফেসবুকে গত ১১ জানুয়ারি তিনটি ছবি আপলোড করেন। ছবিতে তার সঙ্গে বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। এর আগে ১৬ নভেম্বর তদন্ত কর্মকর্তা পেয়ার আহমেদের সঙ্গে একসঙ্গে খাওয়া–দাওয়া করার ছবি আপলোড দেন তিনি।
ছবিগুলো আগের তোলা দাবি করে বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি যোগদান করার পর অনেকের সঙ্গে ফরহাদুল আলমও শুভেচ্ছা জানাতে আসেন। আমার সঙ্গে দাঁড়ানো ছবিটি মামলা হওয়ার আগে।’ আসামি ছবিগুলো মামলা হওয়ার পর কেন আপলোড দিচ্ছে এ প্রশ্নের জবাবে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
আদালত থেকে আসামি ফরহাদুল আলম জামিন না নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পেয়ার আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ফরহাদের সঙ্গে আমার কোনো ছবি নেই।’ পরে নির্দিষ্ট করে খাওয়া–দাওয়া করার ছবির কথা বলার পর তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় যেতে হয়। অনেক মানুষের সঙ্গে মিশতে হয়। হয়তো ওইসময় কেউ একজন ছবিটি তুলেছেন।’ তবে ফরহাদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কেউ সাক্ষী দেয়নি বলে জানান এ তদন্ত কর্মকর্তা।
এই বিষয়ে ফরহাদুল আলম চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সবকিছু আপনাকে কেন বলতে হবে? জামিনে আছে কি-না জানতে চাইলে প্রথমে রেগে যান পরে বলেন, জামিনে আছেন। জামিনে থাকার কাগজপত্র সরবরাহ করার অনুরোধ করলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন তিনি। পরে বারবার যোগাযোগ করেও সাড়া পাওয়া যায়নি।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন বাঁশখালীর পুঁইছড়ি ছড়া থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করছিল একটি সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেটের নেতৃত্ব দেন পূর্ব পুঁইছড়ির বাসিন্দা ফরহাদুল আলম চৌধুরী। বালু উত্তোলনের ফলে রাস্তা ভেঙে পথচারীদের চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করায় বিভিন্ন সময় বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জরিমানা করেন এবং অবৈধ বালুসহ ট্রাক জব্দ করেন।
সিন্ডিকেটটি ছড়া থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন অব্যাহত রাখায় পূর্ব পুঁইছড়ি ৪ নম্বর ওয়ার্ডের নেজাম উদ্দিন ও মো. পারভেজ, রমিজ উদ্দিন বিভিন্ন সময় প্রতিবাদ করেন। এরই জের ধরে গেল বছরের ২৫ অক্টোবর বিকেলে পূর্ব পুঁইছড়ি শাহাদাত মার্কেটের কাছে ব্রিজের ওপর ফরহাদ, ফজল ও রুবেল দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মো. নেজামকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করেন। বুকেপিঠে মারাত্মক জখম করার পর পকেটে থাকা মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। এ সময় আশপাশের লোকজন নেজামকে উদ্ধার করে বাঁশখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আদালত ভুক্তভোগী নেজামের শরীরের আঘাত বিবেচনা করে মামলাটি এফআইআর হিসেবে রুজু করার জন্য ওসিকে নির্দেশ দেন। আদালত ৩১ অক্টোবর মামলাটি এফআইআর করার নির্দেশ দিলেও তা করতে গড়িমসি করার অভিযোগ উঠে। নেজাম উদ্দিন পুনরায় ১৬ নভেম্বর মামলাটি এফআইআর হিসেবে রুজু করার তাগিদ দিলে আদালত তা মঞ্জুর করেন। ২৭ নভেম্বর ওসিকে বিলম্বের ব্যাখ্যাসহ এফআইআর রুজু করে আদালতে প্রেরণ করার নির্দেশ দেন।
ভুক্তভোগী নেজাম উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাঁশখালী থানায় মামলাটি এফআইআর হিসেবে রুজু কিংবা আদালতে বিলম্বের ব্যাখ্যা না করায় আইনজীবীর মাধ্যমে গত ২৯ নভেম্বর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আদালতে আবেদন করি। ওই আবেদনে অবগত হয়ে ওসি মামলাটি এফআইআর হিসেবে গ্রহণ করেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘মামলাটি এফআইআর হিসেবে রুজু হওয়ার পর বিভিন্ন সময়ে যোগাযোগ করে আসামিদের গ্রেপ্তার করার অনুরোধ করলেও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পেয়ার আহমেদ কর্ণপাত না করে উল্টো আমাকে মামলায় জড়ানোর হুমকি দেন। মামলা দায়েরের পর এক নম্বর আসামি ফরহাদ থানায় নিয়মিত আসা যাওয়া করছেন। এমনকি ওসি ও তদন্ত কর্মকর্তার সঙ্গে ছবি তুলে মামলার প্রত্যাহার করার জন্য হুমকি ধামকি দিচ্ছেন।’
হত্যাচেষ্টা মামলার এক নম্বর আসামি। ওই মামলায় জামিনও নেই তিনি। থানার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, খাওয়া-দাওয়া করছেন। আবার মোবাইল ফোনে সেলফি তুলছেন। সেটি আবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দিয়ে ক্যাপশনে লিখেন ‘ভাইয়ের সাথে’। তিনি হলেন ফরহাদুল আলম চৌধুরী। পরিচয় দেন বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম লীগের চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক।
আসামি ফরহাদুল আলম তার নিজের ফেসবুকে গত ১১ জানুয়ারি তিনটি ছবি আপলোড করেন। ছবিতে তার সঙ্গে বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। এর আগে ১৬ নভেম্বর তদন্ত কর্মকর্তা পেয়ার আহমেদের সঙ্গে একসঙ্গে খাওয়া–দাওয়া করার ছবি আপলোড দেন তিনি।
ছবিগুলো আগের তোলা দাবি করে বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি যোগদান করার পর অনেকের সঙ্গে ফরহাদুল আলমও শুভেচ্ছা জানাতে আসেন। আমার সঙ্গে দাঁড়ানো ছবিটি মামলা হওয়ার আগে।’ আসামি ছবিগুলো মামলা হওয়ার পর কেন আপলোড দিচ্ছে এ প্রশ্নের জবাবে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
আদালত থেকে আসামি ফরহাদুল আলম জামিন না নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পেয়ার আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ফরহাদের সঙ্গে আমার কোনো ছবি নেই।’ পরে নির্দিষ্ট করে খাওয়া–দাওয়া করার ছবির কথা বলার পর তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় যেতে হয়। অনেক মানুষের সঙ্গে মিশতে হয়। হয়তো ওইসময় কেউ একজন ছবিটি তুলেছেন।’ তবে ফরহাদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কেউ সাক্ষী দেয়নি বলে জানান এ তদন্ত কর্মকর্তা।
এই বিষয়ে ফরহাদুল আলম চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সবকিছু আপনাকে কেন বলতে হবে? জামিনে আছে কি-না জানতে চাইলে প্রথমে রেগে যান পরে বলেন, জামিনে আছেন। জামিনে থাকার কাগজপত্র সরবরাহ করার অনুরোধ করলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন তিনি। পরে বারবার যোগাযোগ করেও সাড়া পাওয়া যায়নি।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন বাঁশখালীর পুঁইছড়ি ছড়া থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করছিল একটি সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেটের নেতৃত্ব দেন পূর্ব পুঁইছড়ির বাসিন্দা ফরহাদুল আলম চৌধুরী। বালু উত্তোলনের ফলে রাস্তা ভেঙে পথচারীদের চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করায় বিভিন্ন সময় বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জরিমানা করেন এবং অবৈধ বালুসহ ট্রাক জব্দ করেন।
সিন্ডিকেটটি ছড়া থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন অব্যাহত রাখায় পূর্ব পুঁইছড়ি ৪ নম্বর ওয়ার্ডের নেজাম উদ্দিন ও মো. পারভেজ, রমিজ উদ্দিন বিভিন্ন সময় প্রতিবাদ করেন। এরই জের ধরে গেল বছরের ২৫ অক্টোবর বিকেলে পূর্ব পুঁইছড়ি শাহাদাত মার্কেটের কাছে ব্রিজের ওপর ফরহাদ, ফজল ও রুবেল দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মো. নেজামকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করেন। বুকেপিঠে মারাত্মক জখম করার পর পকেটে থাকা মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। এ সময় আশপাশের লোকজন নেজামকে উদ্ধার করে বাঁশখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আদালত ভুক্তভোগী নেজামের শরীরের আঘাত বিবেচনা করে মামলাটি এফআইআর হিসেবে রুজু করার জন্য ওসিকে নির্দেশ দেন। আদালত ৩১ অক্টোবর মামলাটি এফআইআর করার নির্দেশ দিলেও তা করতে গড়িমসি করার অভিযোগ উঠে। নেজাম উদ্দিন পুনরায় ১৬ নভেম্বর মামলাটি এফআইআর হিসেবে রুজু করার তাগিদ দিলে আদালত তা মঞ্জুর করেন। ২৭ নভেম্বর ওসিকে বিলম্বের ব্যাখ্যাসহ এফআইআর রুজু করে আদালতে প্রেরণ করার নির্দেশ দেন।
ভুক্তভোগী নেজাম উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাঁশখালী থানায় মামলাটি এফআইআর হিসেবে রুজু কিংবা আদালতে বিলম্বের ব্যাখ্যা না করায় আইনজীবীর মাধ্যমে গত ২৯ নভেম্বর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আদালতে আবেদন করি। ওই আবেদনে অবগত হয়ে ওসি মামলাটি এফআইআর হিসেবে গ্রহণ করেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘মামলাটি এফআইআর হিসেবে রুজু হওয়ার পর বিভিন্ন সময়ে যোগাযোগ করে আসামিদের গ্রেপ্তার করার অনুরোধ করলেও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পেয়ার আহমেদ কর্ণপাত না করে উল্টো আমাকে মামলায় জড়ানোর হুমকি দেন। মামলা দায়েরের পর এক নম্বর আসামি ফরহাদ থানায় নিয়মিত আসা যাওয়া করছেন। এমনকি ওসি ও তদন্ত কর্মকর্তার সঙ্গে ছবি তুলে মামলার প্রত্যাহার করার জন্য হুমকি ধামকি দিচ্ছেন।’
শাকিব খানের আলোচিত তাণ্ডব সিনেমার শো চলার সময় ময়মনসিংহ সদরের ছায়াবাণী হলে ভাঙচুর ও টাকা লুটের ঘটনা ঘটেছে। আজ শনিবার বিকেলের এ ঘটনা ঘটে। কারিগরি ত্রুটিতে শো বিঘ্নিত হলে উত্তেজিত দর্শকরা এ কাণ্ড ঘটায়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের পর আবার শো চালু হয়।
৯ ঘণ্টা আগেঈদুল আজহায় জমে উঠেছে ঢাকা ও আশেপাশের পর্যটন কেন্দ্রগুলো। আজ মঙ্গলবার বিকেল ৪টার পর থেকে ধীরে ধীরে পর্যটন কেন্দ্রে দর্শনার্থীরা আশা শুরু করে দিয়েছে। কোরবানি ঈদের দিনেই দর্শনার্থীদের সংখ্যাটা কম থাকলেও সন্ধ্যার পরে লোকসমাগম বেশি হবে বলে প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের। বন্ধুবান্ধব, পরিবার-পরিজন
৯ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম নগরীকে কোরবানির বর্জ্যমুক্ত এবং একই সঙ্গে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমের সমাপ্তির ঘোষণা করা হয়েছে। আজ শনিবার সন্ধ্যা নগরীর দামপাড়া চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) কন্ট্রোল রুমে মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন এই ঘোষণার কথা জানান।
৯ ঘণ্টা আগেশেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলায় ডোবায় পড়ে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার বিকেলে উপজেলার কাকিলাকুড়া ইউনিয়নের মলামারি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
৯ ঘণ্টা আগে