চন্দনাইশ (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

চট্টগ্রামের চন্দনাইশে গাছবাড়িয়া সরকারি কলেজের অধ্যাপক ড. একেএম আতিকুর রহমানের মুখে ঘুষি মারার অভিযোগে কলেজ শাখা ছাত্রলীগ নেতা মো. সাফাতুন নুর চৌধুরীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
কলেজ শাখা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম বাবু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আজ শুক্রবার ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের দপ্তর সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম পান্থ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। সংগঠনের শৃঙ্খলা ও মর্যাদা পরিপন্থী কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক জানানো যাচ্ছে যে, সংগঠনের শৃঙ্খলা ও মর্যাদা পরিপন্থী কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগে মো. সাফাতুন নুর চৌধুরীকে (যুগ্ম-আহ্বায়ক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, গাছবাড়িয়া সরকারি কলেজ শাখা, চন্দনাইশ) বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হলো।
গাছবাড়িয়া কলেজ ছাত্রলীগের আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম বাবু বলেন, অধ্যাপকের সঙ্গে বেয়াদবি করার বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় সংগঠনের শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের জরুরি বৈঠকে কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সাফাতুন নুর চৌধুরীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. আবদুল খালেক বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে কলেজের সেমিনার কক্ষে অনার্স ১ম বর্ষের রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও ৪র্থ বর্ষের এডমিট কার্ড বিতরণ কার্যক্রম চলছিল। কলেজের অফিস সহায়ক প্রযুক্তা পাল এই কার্ড বিতরণ করছিল। এ সময় কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সাফাতুন নুর চৌধুরী এসে বলেন নষ্ট ফ্যান ঠিক করার জন্য মিস্ত্রি নিয়ে এসেছি। কলেজ কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়ে পরবর্তীতে ঠিক করবে জানালে সেখান থেকে চলে যান সাফাতুন। কিছুক্ষণ পর সেমিনার কক্ষ থেকে ধুমধাম শব্দ এলে সেখানে গিয়ে দেখি সাফাতুন নুর চৌধুরী হাতে রড নিয়ে ফ্যান ভেঙে ফেলার উদ্দেশ্যে ফ্যানে আঘাত করছে। সে সময় রড গিয়ে পড়ে অফিস সহায়ক প্রযুক্তা পালের মাথায়। আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে চন্দনাইশ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করেন। ঘটনার ২০ মিনিট পর সাফাতুন নুর অধ্যক্ষের অফিস কক্ষে ঢোকেন। এ সময় ঘটনার বিষয়টি থানায় জানানোর কথা বললে সাফাতুন নুর ক্ষিপ্ত হয়ে অধ্যাপক ড. একেএম আতিকুর রহমানের মুখে ঘুষি মারে। এ ঘটনায় অধ্যাপক ড. একেএম আতিকুর রহমান চন্দনাইশ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
মো. আবদুল খালেক আরও বলেন, কলেজ অধ্যক্ষের কক্ষে এবং অধ্যক্ষের সামনে এ রকম ঘটনা খুবই ন্যক্কারজনক। এটা আমাদের জন্য অশনিসংকেত।
তবে এ বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা সাফাতুন নুর চৌধুরী বলেন, ‘অনার্স ১ম বর্ষের ভর্তি ফি অন্যান্য কলেজ থেকে বেশি নেওয়া হচ্ছে, সাধারণ শিক্ষার্থীর এমন অভিযোগের ভিত্তিতে ছাত্র নেতা হিসেবে আমি ঘটনাটি জানার জন্য অধ্যক্ষের রুমে গিয়েছিলাম এবং সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ভর্তি ফি নেওয়ার অনুরোধ করি। আমি কাউকে মারধর করিনি। কলেজ কর্তৃপক্ষ বাড়তি ফি নেওয়ার বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য ঘটনাটি সাজিয়েছেন।’

চট্টগ্রামের চন্দনাইশে গাছবাড়িয়া সরকারি কলেজের অধ্যাপক ড. একেএম আতিকুর রহমানের মুখে ঘুষি মারার অভিযোগে কলেজ শাখা ছাত্রলীগ নেতা মো. সাফাতুন নুর চৌধুরীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
কলেজ শাখা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম বাবু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আজ শুক্রবার ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের দপ্তর সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম পান্থ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। সংগঠনের শৃঙ্খলা ও মর্যাদা পরিপন্থী কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক জানানো যাচ্ছে যে, সংগঠনের শৃঙ্খলা ও মর্যাদা পরিপন্থী কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগে মো. সাফাতুন নুর চৌধুরীকে (যুগ্ম-আহ্বায়ক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, গাছবাড়িয়া সরকারি কলেজ শাখা, চন্দনাইশ) বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হলো।
গাছবাড়িয়া কলেজ ছাত্রলীগের আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম বাবু বলেন, অধ্যাপকের সঙ্গে বেয়াদবি করার বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় সংগঠনের শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের জরুরি বৈঠকে কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সাফাতুন নুর চৌধুরীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. আবদুল খালেক বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে কলেজের সেমিনার কক্ষে অনার্স ১ম বর্ষের রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও ৪র্থ বর্ষের এডমিট কার্ড বিতরণ কার্যক্রম চলছিল। কলেজের অফিস সহায়ক প্রযুক্তা পাল এই কার্ড বিতরণ করছিল। এ সময় কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সাফাতুন নুর চৌধুরী এসে বলেন নষ্ট ফ্যান ঠিক করার জন্য মিস্ত্রি নিয়ে এসেছি। কলেজ কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়ে পরবর্তীতে ঠিক করবে জানালে সেখান থেকে চলে যান সাফাতুন। কিছুক্ষণ পর সেমিনার কক্ষ থেকে ধুমধাম শব্দ এলে সেখানে গিয়ে দেখি সাফাতুন নুর চৌধুরী হাতে রড নিয়ে ফ্যান ভেঙে ফেলার উদ্দেশ্যে ফ্যানে আঘাত করছে। সে সময় রড গিয়ে পড়ে অফিস সহায়ক প্রযুক্তা পালের মাথায়। আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে চন্দনাইশ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করেন। ঘটনার ২০ মিনিট পর সাফাতুন নুর অধ্যক্ষের অফিস কক্ষে ঢোকেন। এ সময় ঘটনার বিষয়টি থানায় জানানোর কথা বললে সাফাতুন নুর ক্ষিপ্ত হয়ে অধ্যাপক ড. একেএম আতিকুর রহমানের মুখে ঘুষি মারে। এ ঘটনায় অধ্যাপক ড. একেএম আতিকুর রহমান চন্দনাইশ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
মো. আবদুল খালেক আরও বলেন, কলেজ অধ্যক্ষের কক্ষে এবং অধ্যক্ষের সামনে এ রকম ঘটনা খুবই ন্যক্কারজনক। এটা আমাদের জন্য অশনিসংকেত।
তবে এ বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা সাফাতুন নুর চৌধুরী বলেন, ‘অনার্স ১ম বর্ষের ভর্তি ফি অন্যান্য কলেজ থেকে বেশি নেওয়া হচ্ছে, সাধারণ শিক্ষার্থীর এমন অভিযোগের ভিত্তিতে ছাত্র নেতা হিসেবে আমি ঘটনাটি জানার জন্য অধ্যক্ষের রুমে গিয়েছিলাম এবং সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ভর্তি ফি নেওয়ার অনুরোধ করি। আমি কাউকে মারধর করিনি। কলেজ কর্তৃপক্ষ বাড়তি ফি নেওয়ার বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য ঘটনাটি সাজিয়েছেন।’

ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে যেন প্রাণ ফিরে পেল ময়মনসিংহের নান্দাইল। পলো, জাল আর মাছ ধরার সরঞ্জাম হাতে নিয়ে বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) ভোরে হাজারো মানুষ জড়ো হলেন সদর ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী বলদা বিলের ধারে।
৬ মিনিট আগে
মাদ্রাসার চারতলার ছাদ থেকে একটি কাপড় বাইরে থাকা বিদ্যুতের তারের ওপর পড়ে গিয়েছিল। কাপড়টি আনার জন্য মাদ্রাসার আয়ার দায়িত্বে থাকা আলেয়া (৩০) জানালা দিয়ে একটি স্টিলের লম্বা পাইপ ব্যবহার করেন। পাইপটি বিদ্যুতের তারে লাগার সঙ্গে সঙ্গেই শক লেগে আলেয়ার শরীরে বিদ্যুতায়িত হয়।
৩৯ মিনিট আগে
গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানাধীন নাওজোর এলাকায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র ও মাদকদ্রব্যসহ বাবা-ছেলেকে আটক করা হয়েছে। আটক মো. তসলিম সিরাজ (৫৪) নাওজোর এলাকার মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে। অপরজন তাঁর ছেলে মো. মুশফিক তসলিম (২৭)।
১ ঘণ্টা আগে
সুধী সমাবেশে উপস্থিত জনতাকে উদ্দেশ করে ওসি আবুল কালাম ভূঞা বলেন, ‘আমরা কি মাদকের বিরুদ্ধে সবাই আছি?’ এ সময় সমবেত জনতা হাত তুলে সম্মতি দেয়। ওসি বলেন, ‘যেহেতু আপনারা ওয়াদা দিয়েছেন, তাই আজকের পর থেকে মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি।
১ ঘণ্টা আগেনান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে যেন প্রাণ ফিরে পেল ময়মনসিংহের নান্দাইল। পলো, জাল আর মাছ ধরার সরঞ্জাম হাতে নিয়ে বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) ভোরে হাজারো মানুষ জড়ো হলেন সদর ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী বলদা বিলের ধারে।

গ্রামীণ জীবনের শত বছরের আনন্দ-ঐতিহ্যকে ধারণ করে প্রতিবছরের মতো এবারও বলদা বিলে শুরু হলো ‘হাইত উৎসব’—শৌখিন মৎস্যশিকারিদের এই মিলনমেলা পরিণত হলো এক গণ-উৎসবে।
প্রতিবছর আশ্বিনের শেষে বা কার্তিক মাসের মধ্যে যখন বলদা বিলের খালবিল ও জলাশয়গুলোর পানি কমে হাঁটু বা কোমরসমান হয়, তখনই এলাকার মানুষ দিনক্ষণ ঠিক করে এই হাইত উৎসবের আয়োজন করে থাকে। উৎসবের দিনক্ষণ এক সপ্তাহ আগে থেকে এলাকায় এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকেও ব্যাপকভাবে প্রচার করা হয়।
আয়োজনের খবর পেয়ে মাছশিকারিরা বুধবার রাতেই বলদা বিলের আশপাশের আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে অবস্থান নেন। বৃহস্পতিবার ফজরের নামাজের পর থেকে হাজার হাজার শৌখিন মাছশিকারি তাঁদের পলো, ঠেলা জাল, খড়াজাল, ডুবা ফাঁদ, চাঁইসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম নিয়ে মাছ ধরার এই আনন্দ আয়োজনে অংশ নেন।
বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, মাছশিকারিরা হইহুল্লোড় করতে করতে বিলে নেমে পড়েছেন। বিলের দুই পাশে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা নারী-পুরুষের ভিড়। আশপাশের উপজেলা, যেমন ঈশ্বরগঞ্জ, তাড়াইল, হোসেনপুর, কেন্দুয়া থেকেও মাছশিকারিরা এতে অংশ নেন। তবে এ বছর আগেই নিষিদ্ধ কারেন্ট ও নেট জাল দিয়ে মাছ নিধন করায় মাছশিকারিরা বেশি মাছ শিকার করতে পারেননি।
তাই মাছশিকারিদের মধ্যে কিছুটা আক্ষেপ লক্ষ করা গেছে। পার্শ্ববর্তী ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা রাকিবুল হাসান শুভ বলেন, ‘হাইত উৎসবে মাছ শিকার করতে এসে তেমন মাছ পাইনি। তবে সবার সঙ্গে বিলে এসে মাছ ধরার আনন্দ উপভোগ করেছি।’
মোয়াজ্জেমপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. বিল্লাল মিয়া বলেন, আগের মতো হাইত উৎসবের সেই জৌলুশ নেই। বর্তমানে কিছু কিছু অঞ্চলে গ্রামীণ ঐতিহ্য ধরে রাখতে গ্রামের মুরব্বিরা এই আয়োজন করেন, কিন্তু মাছশিকারিরা তেমন মাছ শিকার করতে পারেননি।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. রিয়াজ উদ্দিন বলেন, ‘প্রায় ১০০ বছর ধরে আমাদের বাপ-দাদারা বলদা বিলে অত্যন্ত সুন্দর পরিবেশে হাইত উৎসবের আয়োজন করে আসছে। তবে এ বছর নিষিদ্ধ কারেন্ট ও নেট জাল দিয়ে মাছ নিধন করায় মাছশিকারিরা প্রত্যাশা অনুযায়ী মাছ শিকার করতে পারেননি।’
বেলা ১১টা পর্যন্ত চলে এই মাছ শিকারের আয়োজন। মাছ কম মিললেও শত বছরের ঐতিহ্যবাহী এই মিলনমেলা গ্রামীণ মানুষের জীবনে অন্যরকম আনন্দ এনে দিয়েছে।

ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে যেন প্রাণ ফিরে পেল ময়মনসিংহের নান্দাইল। পলো, জাল আর মাছ ধরার সরঞ্জাম হাতে নিয়ে বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) ভোরে হাজারো মানুষ জড়ো হলেন সদর ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী বলদা বিলের ধারে।

গ্রামীণ জীবনের শত বছরের আনন্দ-ঐতিহ্যকে ধারণ করে প্রতিবছরের মতো এবারও বলদা বিলে শুরু হলো ‘হাইত উৎসব’—শৌখিন মৎস্যশিকারিদের এই মিলনমেলা পরিণত হলো এক গণ-উৎসবে।
প্রতিবছর আশ্বিনের শেষে বা কার্তিক মাসের মধ্যে যখন বলদা বিলের খালবিল ও জলাশয়গুলোর পানি কমে হাঁটু বা কোমরসমান হয়, তখনই এলাকার মানুষ দিনক্ষণ ঠিক করে এই হাইত উৎসবের আয়োজন করে থাকে। উৎসবের দিনক্ষণ এক সপ্তাহ আগে থেকে এলাকায় এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকেও ব্যাপকভাবে প্রচার করা হয়।
আয়োজনের খবর পেয়ে মাছশিকারিরা বুধবার রাতেই বলদা বিলের আশপাশের আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে অবস্থান নেন। বৃহস্পতিবার ফজরের নামাজের পর থেকে হাজার হাজার শৌখিন মাছশিকারি তাঁদের পলো, ঠেলা জাল, খড়াজাল, ডুবা ফাঁদ, চাঁইসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম নিয়ে মাছ ধরার এই আনন্দ আয়োজনে অংশ নেন।
বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, মাছশিকারিরা হইহুল্লোড় করতে করতে বিলে নেমে পড়েছেন। বিলের দুই পাশে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা নারী-পুরুষের ভিড়। আশপাশের উপজেলা, যেমন ঈশ্বরগঞ্জ, তাড়াইল, হোসেনপুর, কেন্দুয়া থেকেও মাছশিকারিরা এতে অংশ নেন। তবে এ বছর আগেই নিষিদ্ধ কারেন্ট ও নেট জাল দিয়ে মাছ নিধন করায় মাছশিকারিরা বেশি মাছ শিকার করতে পারেননি।
তাই মাছশিকারিদের মধ্যে কিছুটা আক্ষেপ লক্ষ করা গেছে। পার্শ্ববর্তী ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা রাকিবুল হাসান শুভ বলেন, ‘হাইত উৎসবে মাছ শিকার করতে এসে তেমন মাছ পাইনি। তবে সবার সঙ্গে বিলে এসে মাছ ধরার আনন্দ উপভোগ করেছি।’
মোয়াজ্জেমপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. বিল্লাল মিয়া বলেন, আগের মতো হাইত উৎসবের সেই জৌলুশ নেই। বর্তমানে কিছু কিছু অঞ্চলে গ্রামীণ ঐতিহ্য ধরে রাখতে গ্রামের মুরব্বিরা এই আয়োজন করেন, কিন্তু মাছশিকারিরা তেমন মাছ শিকার করতে পারেননি।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. রিয়াজ উদ্দিন বলেন, ‘প্রায় ১০০ বছর ধরে আমাদের বাপ-দাদারা বলদা বিলে অত্যন্ত সুন্দর পরিবেশে হাইত উৎসবের আয়োজন করে আসছে। তবে এ বছর নিষিদ্ধ কারেন্ট ও নেট জাল দিয়ে মাছ নিধন করায় মাছশিকারিরা প্রত্যাশা অনুযায়ী মাছ শিকার করতে পারেননি।’
বেলা ১১টা পর্যন্ত চলে এই মাছ শিকারের আয়োজন। মাছ কম মিললেও শত বছরের ঐতিহ্যবাহী এই মিলনমেলা গ্রামীণ মানুষের জীবনে অন্যরকম আনন্দ এনে দিয়েছে।

চট্টগ্রামের চন্দনাইশে গাছবাড়িয়া সরকারি কলেজের অধ্যাপক ড. একেএম আতিকুর রহমানের মুখে ঘুষি মারার অভিযোগে কলেজ শাখা ছাত্রলীগ নেতা মো. সাফাতুন নুর চৌধুরীকে বহিষ্কার করা হয়েছে
১৭ মে ২০২৪
মাদ্রাসার চারতলার ছাদ থেকে একটি কাপড় বাইরে থাকা বিদ্যুতের তারের ওপর পড়ে গিয়েছিল। কাপড়টি আনার জন্য মাদ্রাসার আয়ার দায়িত্বে থাকা আলেয়া (৩০) জানালা দিয়ে একটি স্টিলের লম্বা পাইপ ব্যবহার করেন। পাইপটি বিদ্যুতের তারে লাগার সঙ্গে সঙ্গেই শক লেগে আলেয়ার শরীরে বিদ্যুতায়িত হয়।
৩৯ মিনিট আগে
গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানাধীন নাওজোর এলাকায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র ও মাদকদ্রব্যসহ বাবা-ছেলেকে আটক করা হয়েছে। আটক মো. তসলিম সিরাজ (৫৪) নাওজোর এলাকার মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে। অপরজন তাঁর ছেলে মো. মুশফিক তসলিম (২৭)।
১ ঘণ্টা আগে
সুধী সমাবেশে উপস্থিত জনতাকে উদ্দেশ করে ওসি আবুল কালাম ভূঞা বলেন, ‘আমরা কি মাদকের বিরুদ্ধে সবাই আছি?’ এ সময় সমবেত জনতা হাত তুলে সম্মতি দেয়। ওসি বলেন, ‘যেহেতু আপনারা ওয়াদা দিয়েছেন, তাই আজকের পর থেকে মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি।
১ ঘণ্টা আগেব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাদ থেকে নিচে পড়ে যাওয়া কাপড় আনতে গিয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে একটি মহিলা মাদ্রাসার সাত শিক্ষার্থী ও একজন আয়া। জানালা দিয়ে বিদ্যুতের লাইনে স্পর্শ লেগে তারা আহত হয়। আহত আটজনের মধ্যে ছয়জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বুধবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ভাদুঘর এলাকায় দারুন নাজাত মহিলা মাদ্রাসায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের সূত্রে জানা যায়, মাদ্রাসার চারতলার ছাদ থেকে একটি কাপড় বাইরে থাকা বিদ্যুতের তারের ওপর পড়ে গিয়েছিল। কাপড়টি আনার জন্য মাদ্রাসার আয়ার দায়িত্বে থাকা আলেয়া (৩০) জানালা দিয়ে একটি স্টিলের লম্বা পাইপ ব্যবহার করেন। পাইপটি বিদ্যুতের তারে লাগার সঙ্গে সঙ্গেই শক লেগে আলেয়ার শরীরে বিদ্যুতায়িত হয়। বিদ্যুতের তার থেকে সৃষ্ট আগুন বাষ্পীয় হয়ে দ্রুত রুমের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে এবং কাছাকাছি থাকা ছাত্রীদের শরীরে লাগে।
আহত শিক্ষার্থীরা হলো নবীনগর উপজেলার তালগাটি গ্রামের নুরুল হকের মেয়ে নুসরাত (১০), সিরাজগঞ্জ জেলার আবু সাইদের মেয়ে সাদিয়া খাতুন (৬), ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সাদেকপুর গ্রামের মজনু মিয়ার মেয়ে রওজা আক্তার (১২), ভাদুঘর গ্রামের কবির হোসেনের মেয়ে নুসরাত (১০), একই এলাকার কাবির মিয়ার মেয়ে জান্নাতুল মাওয়া (৮), কসবা উপজেলার শিমরাইল গ্রামের আনোয়ার হোসেনের মেয়ে উম্মে তাইসান (০৫) এবং মাদ্রাসার আয়ার দায়িত্বে থাকা ভাদুঘর এলাকার তুফাজ্জল হোসেনের স্ত্রী আলেয়া (৩০)।
দারুন নাজাত মহিলা মাদ্রাসার কারি মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেন, ‘আমরা আহত শিক্ষার্থীদের সদর হাসপাতালের নিয়ে এসেছি। ছয়জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পাঠাচ্ছি। বাকি দুজনকেও ঢাকা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর জেনারেল হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডের সিনিয়র স্টাফ নার্স হাসিম খান বলেন, ‘মাদ্রাসার আট ছাত্রী ভর্তি হয়েছে। তারা সবাই বার্নের পেশেন্ট। এর মধ্যে ছয়জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদেরকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আর দুজন সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছে।
এই ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, ‘খবর নিচ্ছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।’

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাদ থেকে নিচে পড়ে যাওয়া কাপড় আনতে গিয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে একটি মহিলা মাদ্রাসার সাত শিক্ষার্থী ও একজন আয়া। জানালা দিয়ে বিদ্যুতের লাইনে স্পর্শ লেগে তারা আহত হয়। আহত আটজনের মধ্যে ছয়জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বুধবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ভাদুঘর এলাকায় দারুন নাজাত মহিলা মাদ্রাসায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের সূত্রে জানা যায়, মাদ্রাসার চারতলার ছাদ থেকে একটি কাপড় বাইরে থাকা বিদ্যুতের তারের ওপর পড়ে গিয়েছিল। কাপড়টি আনার জন্য মাদ্রাসার আয়ার দায়িত্বে থাকা আলেয়া (৩০) জানালা দিয়ে একটি স্টিলের লম্বা পাইপ ব্যবহার করেন। পাইপটি বিদ্যুতের তারে লাগার সঙ্গে সঙ্গেই শক লেগে আলেয়ার শরীরে বিদ্যুতায়িত হয়। বিদ্যুতের তার থেকে সৃষ্ট আগুন বাষ্পীয় হয়ে দ্রুত রুমের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে এবং কাছাকাছি থাকা ছাত্রীদের শরীরে লাগে।
আহত শিক্ষার্থীরা হলো নবীনগর উপজেলার তালগাটি গ্রামের নুরুল হকের মেয়ে নুসরাত (১০), সিরাজগঞ্জ জেলার আবু সাইদের মেয়ে সাদিয়া খাতুন (৬), ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সাদেকপুর গ্রামের মজনু মিয়ার মেয়ে রওজা আক্তার (১২), ভাদুঘর গ্রামের কবির হোসেনের মেয়ে নুসরাত (১০), একই এলাকার কাবির মিয়ার মেয়ে জান্নাতুল মাওয়া (৮), কসবা উপজেলার শিমরাইল গ্রামের আনোয়ার হোসেনের মেয়ে উম্মে তাইসান (০৫) এবং মাদ্রাসার আয়ার দায়িত্বে থাকা ভাদুঘর এলাকার তুফাজ্জল হোসেনের স্ত্রী আলেয়া (৩০)।
দারুন নাজাত মহিলা মাদ্রাসার কারি মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেন, ‘আমরা আহত শিক্ষার্থীদের সদর হাসপাতালের নিয়ে এসেছি। ছয়জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পাঠাচ্ছি। বাকি দুজনকেও ঢাকা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর জেনারেল হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডের সিনিয়র স্টাফ নার্স হাসিম খান বলেন, ‘মাদ্রাসার আট ছাত্রী ভর্তি হয়েছে। তারা সবাই বার্নের পেশেন্ট। এর মধ্যে ছয়জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদেরকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আর দুজন সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছে।
এই ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, ‘খবর নিচ্ছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।’

চট্টগ্রামের চন্দনাইশে গাছবাড়িয়া সরকারি কলেজের অধ্যাপক ড. একেএম আতিকুর রহমানের মুখে ঘুষি মারার অভিযোগে কলেজ শাখা ছাত্রলীগ নেতা মো. সাফাতুন নুর চৌধুরীকে বহিষ্কার করা হয়েছে
১৭ মে ২০২৪
ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে যেন প্রাণ ফিরে পেল ময়মনসিংহের নান্দাইল। পলো, জাল আর মাছ ধরার সরঞ্জাম হাতে নিয়ে বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) ভোরে হাজারো মানুষ জড়ো হলেন সদর ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী বলদা বিলের ধারে।
৬ মিনিট আগে
গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানাধীন নাওজোর এলাকায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র ও মাদকদ্রব্যসহ বাবা-ছেলেকে আটক করা হয়েছে। আটক মো. তসলিম সিরাজ (৫৪) নাওজোর এলাকার মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে। অপরজন তাঁর ছেলে মো. মুশফিক তসলিম (২৭)।
১ ঘণ্টা আগে
সুধী সমাবেশে উপস্থিত জনতাকে উদ্দেশ করে ওসি আবুল কালাম ভূঞা বলেন, ‘আমরা কি মাদকের বিরুদ্ধে সবাই আছি?’ এ সময় সমবেত জনতা হাত তুলে সম্মতি দেয়। ওসি বলেন, ‘যেহেতু আপনারা ওয়াদা দিয়েছেন, তাই আজকের পর থেকে মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি।
১ ঘণ্টা আগেগাজীপুর প্রতিনিধি

গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানাধীন নাওজোর এলাকায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র ও মাদকদ্রব্যসহ বাবা-ছেলেকে আটক করা হয়েছে। আটক মো. তসলিম সিরাজ (৫৪) নাওজোর এলাকার মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে। অপরজন তাঁর ছেলে মো. মুশফিক তসলিম (২৭)। তাঁরা দুজনই গাজীপুর মহানগর বিএনপির বাসন থানার সভাপতি তানভীর সিরাজের ভাই ও ভাতিজা।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে গাজীপুর সেনাক্যাম্প (১৪ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি) থেকে পাঠানো এক সংক্ষিপ্ত বার্তায় এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
সূত্র জানায়, বুধবার দিবাগত রাত পৌনে ৩টা থেকে বৃহস্পতিবার ভোর পৌনে ৫টা পর্যন্ত গাজীপুর সেনাক্যাম্পের নেতৃত্বে যৌথ বাহিনী বাসন থানার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের নাওজোর এলাকায় মো. তসলিম সিরাজের বাড়িতে অভিযান চালায়। অভিযানে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র ও মাদকদ্রব্যসহ মো. তসলিম সিরাজ (৫৪) ও তাঁর ছেলে মো. মুশফিক তসলিমকে (২৭) আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে উদ্ধার করা দেশীয় অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ৮টি বড় ছোরা, ১৯টি ছোট ছোরা, ৫টি বড় চাপাতি, ৫টি ছোট চাপাতি, ২টি হাঁসুয়া, ৫টি রামদা, ১টি সোজা রামদা এবং ২৭টি নকল ডায়মন্ড (অস্ত্র ধার করার উপকরণ)। এ ছাড়াও প্রায় ৫০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার ও জব্দ করা হয়।
অভিযান শেষে যৌথ বাহিনী আটক দুজনকে গাজীপুর মহানগর পুলিশের (জিএমপি) বাসন থানায় হস্তান্তর করে।
জিএমপির বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, যৌথ বাহিনীর অভিযানে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র, গাঁজাসহ বাবা-ছেলেকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানাধীন নাওজোর এলাকায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র ও মাদকদ্রব্যসহ বাবা-ছেলেকে আটক করা হয়েছে। আটক মো. তসলিম সিরাজ (৫৪) নাওজোর এলাকার মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে। অপরজন তাঁর ছেলে মো. মুশফিক তসলিম (২৭)। তাঁরা দুজনই গাজীপুর মহানগর বিএনপির বাসন থানার সভাপতি তানভীর সিরাজের ভাই ও ভাতিজা।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে গাজীপুর সেনাক্যাম্প (১৪ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি) থেকে পাঠানো এক সংক্ষিপ্ত বার্তায় এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
সূত্র জানায়, বুধবার দিবাগত রাত পৌনে ৩টা থেকে বৃহস্পতিবার ভোর পৌনে ৫টা পর্যন্ত গাজীপুর সেনাক্যাম্পের নেতৃত্বে যৌথ বাহিনী বাসন থানার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের নাওজোর এলাকায় মো. তসলিম সিরাজের বাড়িতে অভিযান চালায়। অভিযানে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র ও মাদকদ্রব্যসহ মো. তসলিম সিরাজ (৫৪) ও তাঁর ছেলে মো. মুশফিক তসলিমকে (২৭) আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে উদ্ধার করা দেশীয় অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ৮টি বড় ছোরা, ১৯টি ছোট ছোরা, ৫টি বড় চাপাতি, ৫টি ছোট চাপাতি, ২টি হাঁসুয়া, ৫টি রামদা, ১টি সোজা রামদা এবং ২৭টি নকল ডায়মন্ড (অস্ত্র ধার করার উপকরণ)। এ ছাড়াও প্রায় ৫০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার ও জব্দ করা হয়।
অভিযান শেষে যৌথ বাহিনী আটক দুজনকে গাজীপুর মহানগর পুলিশের (জিএমপি) বাসন থানায় হস্তান্তর করে।
জিএমপির বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, যৌথ বাহিনীর অভিযানে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র, গাঁজাসহ বাবা-ছেলেকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

চট্টগ্রামের চন্দনাইশে গাছবাড়িয়া সরকারি কলেজের অধ্যাপক ড. একেএম আতিকুর রহমানের মুখে ঘুষি মারার অভিযোগে কলেজ শাখা ছাত্রলীগ নেতা মো. সাফাতুন নুর চৌধুরীকে বহিষ্কার করা হয়েছে
১৭ মে ২০২৪
ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে যেন প্রাণ ফিরে পেল ময়মনসিংহের নান্দাইল। পলো, জাল আর মাছ ধরার সরঞ্জাম হাতে নিয়ে বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) ভোরে হাজারো মানুষ জড়ো হলেন সদর ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী বলদা বিলের ধারে।
৬ মিনিট আগে
মাদ্রাসার চারতলার ছাদ থেকে একটি কাপড় বাইরে থাকা বিদ্যুতের তারের ওপর পড়ে গিয়েছিল। কাপড়টি আনার জন্য মাদ্রাসার আয়ার দায়িত্বে থাকা আলেয়া (৩০) জানালা দিয়ে একটি স্টিলের লম্বা পাইপ ব্যবহার করেন। পাইপটি বিদ্যুতের তারে লাগার সঙ্গে সঙ্গেই শক লেগে আলেয়ার শরীরে বিদ্যুতায়িত হয়।
৩৯ মিনিট আগে
সুধী সমাবেশে উপস্থিত জনতাকে উদ্দেশ করে ওসি আবুল কালাম ভূঞা বলেন, ‘আমরা কি মাদকের বিরুদ্ধে সবাই আছি?’ এ সময় সমবেত জনতা হাত তুলে সম্মতি দেয়। ওসি বলেন, ‘যেহেতু আপনারা ওয়াদা দিয়েছেন, তাই আজকের পর থেকে মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি।
১ ঘণ্টা আগেসখীপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

টাঙ্গাইলের সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম ভূঞা মাদক কারবারিদের প্রতি কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, মাদক কারবারিরা মাদক ছাড়বে, তা না হলে এলাকা ছাড়বে। গতকাল বুধবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার প্রতিমা বংকী ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসা মাঠে এলাকাবাসী আয়োজিত এক সুধী সমাবেশে তিনি এই হুঁশিয়ারি দেন। মাদক, ইভ টিজিং, বাল্যবিবাহ, ধর্ষণ, চুরি ও সন্ত্রাসবিরোধী এই সমাবেশে তিন শতাধিক স্থানীয় বাসিন্দা উপস্থিত ছিলেন।
সুধী সমাবেশে উপস্থিত জনতাকে উদ্দেশ করে ওসি আবুল কালাম ভূঞা বলেন, ‘আমরা কি মাদকের বিরুদ্ধে সবাই আছি?’ এ সময় সমবেত জনতা হাত তুলে সম্মতি দেয়। ওসি বলেন, ‘যেহেতু আপনারা ওয়াদা দিয়েছেন, তাই আজকের পর থেকে মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি। ওরা মাদক ছাড়বে, না হয় এলাকা ছাড়বে। মাদক না ছাড়লে এলাকাছাড়া করব আমরা সবাই মিলে।

কোনো অবস্থায়ই সে এলাকায় থাকবে না, কোনো মাদকসেবী এই এলাকায় থাকবে না। মাদক বিক্রির সময় পিছমোড়া দিয়ে বেঁধে রাখবেন, খবর দেবেন, আমি এসে ধরে নিয়ে যাব।’
ওসি আরও বলেন, ‘মাদক ও চুরি ঠেকাতে সামাজিক আন্দোলন খুবই প্রয়োজন। সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি পেলে দেখবেন এক সপ্তাহের মধ্যে সমাজের আমূল পরিবর্তন হয়ে গেছে।’ তিনি বলেন, ‘অনেকেই পুলিশের সীমাবদ্ধতা জানে না। যার যেটা প্রয়োজন সবকিছু পুলিশের কাছে আশা করে। কিন্তু পুলিশের যে আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা আছে, এটা জানে না। এরপরও বলে যাচ্ছি, যেকোনো সমস্যায় যাবেন, আমার যতটুকু সক্ষমতা আছে, সর্বোচ্চটা দিয়ে সমাধানের চেষ্টা করব।’
সুধী সমাবেশে সখীপুর সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক এম এ গফুরের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন উদয়ন উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহজাহান মিয়া, স্থানীয় মসজিদ কমিটির সভাপতি সোহরাব আলী, ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম, লাল মিয়া, সাবেক ইউপি সদস্য জিন্নাত আলী, আলতাব হোসেন, বিএনপি নেতা সামছুল আলম, সালমান কবির, সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম সানি, যুব আন্দোলন নেতা আবু রায়হান প্রমুখ।

টাঙ্গাইলের সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম ভূঞা মাদক কারবারিদের প্রতি কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, মাদক কারবারিরা মাদক ছাড়বে, তা না হলে এলাকা ছাড়বে। গতকাল বুধবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার প্রতিমা বংকী ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসা মাঠে এলাকাবাসী আয়োজিত এক সুধী সমাবেশে তিনি এই হুঁশিয়ারি দেন। মাদক, ইভ টিজিং, বাল্যবিবাহ, ধর্ষণ, চুরি ও সন্ত্রাসবিরোধী এই সমাবেশে তিন শতাধিক স্থানীয় বাসিন্দা উপস্থিত ছিলেন।
সুধী সমাবেশে উপস্থিত জনতাকে উদ্দেশ করে ওসি আবুল কালাম ভূঞা বলেন, ‘আমরা কি মাদকের বিরুদ্ধে সবাই আছি?’ এ সময় সমবেত জনতা হাত তুলে সম্মতি দেয়। ওসি বলেন, ‘যেহেতু আপনারা ওয়াদা দিয়েছেন, তাই আজকের পর থেকে মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি। ওরা মাদক ছাড়বে, না হয় এলাকা ছাড়বে। মাদক না ছাড়লে এলাকাছাড়া করব আমরা সবাই মিলে।

কোনো অবস্থায়ই সে এলাকায় থাকবে না, কোনো মাদকসেবী এই এলাকায় থাকবে না। মাদক বিক্রির সময় পিছমোড়া দিয়ে বেঁধে রাখবেন, খবর দেবেন, আমি এসে ধরে নিয়ে যাব।’
ওসি আরও বলেন, ‘মাদক ও চুরি ঠেকাতে সামাজিক আন্দোলন খুবই প্রয়োজন। সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি পেলে দেখবেন এক সপ্তাহের মধ্যে সমাজের আমূল পরিবর্তন হয়ে গেছে।’ তিনি বলেন, ‘অনেকেই পুলিশের সীমাবদ্ধতা জানে না। যার যেটা প্রয়োজন সবকিছু পুলিশের কাছে আশা করে। কিন্তু পুলিশের যে আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা আছে, এটা জানে না। এরপরও বলে যাচ্ছি, যেকোনো সমস্যায় যাবেন, আমার যতটুকু সক্ষমতা আছে, সর্বোচ্চটা দিয়ে সমাধানের চেষ্টা করব।’
সুধী সমাবেশে সখীপুর সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক এম এ গফুরের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন উদয়ন উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহজাহান মিয়া, স্থানীয় মসজিদ কমিটির সভাপতি সোহরাব আলী, ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম, লাল মিয়া, সাবেক ইউপি সদস্য জিন্নাত আলী, আলতাব হোসেন, বিএনপি নেতা সামছুল আলম, সালমান কবির, সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম সানি, যুব আন্দোলন নেতা আবু রায়হান প্রমুখ।

চট্টগ্রামের চন্দনাইশে গাছবাড়িয়া সরকারি কলেজের অধ্যাপক ড. একেএম আতিকুর রহমানের মুখে ঘুষি মারার অভিযোগে কলেজ শাখা ছাত্রলীগ নেতা মো. সাফাতুন নুর চৌধুরীকে বহিষ্কার করা হয়েছে
১৭ মে ২০২৪
ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে যেন প্রাণ ফিরে পেল ময়মনসিংহের নান্দাইল। পলো, জাল আর মাছ ধরার সরঞ্জাম হাতে নিয়ে বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) ভোরে হাজারো মানুষ জড়ো হলেন সদর ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী বলদা বিলের ধারে।
৬ মিনিট আগে
মাদ্রাসার চারতলার ছাদ থেকে একটি কাপড় বাইরে থাকা বিদ্যুতের তারের ওপর পড়ে গিয়েছিল। কাপড়টি আনার জন্য মাদ্রাসার আয়ার দায়িত্বে থাকা আলেয়া (৩০) জানালা দিয়ে একটি স্টিলের লম্বা পাইপ ব্যবহার করেন। পাইপটি বিদ্যুতের তারে লাগার সঙ্গে সঙ্গেই শক লেগে আলেয়ার শরীরে বিদ্যুতায়িত হয়।
৩৯ মিনিট আগে
গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানাধীন নাওজোর এলাকায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র ও মাদকদ্রব্যসহ বাবা-ছেলেকে আটক করা হয়েছে। আটক মো. তসলিম সিরাজ (৫৪) নাওজোর এলাকার মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে। অপরজন তাঁর ছেলে মো. মুশফিক তসলিম (২৭)।
১ ঘণ্টা আগে