Ajker Patrika

মিতু হত্যা মামলা: শাহজাহানকে আরেক মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পিবিআই

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট : ২৯ মে ২০২১, ১৭: ০০
মিতু হত্যা মামলা: শাহজাহানকে আরেক মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পিবিআই

চট্টগ্রাম: সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় আরও এক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার জাহান শুনানি শেষে মো. শাহজাহান নামের ওই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার দেখানোর অনুমতি দেন। এর আগে শাহাজাহানকে নতুন এ মামলাটিতে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী শাহাব উদ্দিন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, আসামি শাহজাহানকে মিতু হত্যার নতুন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

এর আগে গত ১৬ মে কারাগারে থাকা আগের মামলার আরও দুই আসামি মো. ওয়াসিম ও মো. আনোয়ারকে নতুন মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আদেশ দিয়েছিলেন আদালত।

২০১৬ সালের ৫ জুন মিতু হত্যার ঘটনায় বাবুল আক্তার তিন অজ্ঞাতনামার বিরুদ্ধে পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন। তিনি সেসময় এসপি হিসেবে ঢাকায় পুলিশ সদর দপ্তরে যোগ দেন। বাবুল আক্তার মিতু হত্যার সাথে জড়িত থাকার খবর ছড়িয়ে পড়লে ২০১৬ সালের ২৪ জুন ডিবি কার্যালয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপর ৬ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে বাবুলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে চাকুরী থেকে অব্যাহতি দেওয়া বলে উল্লেখ করা হয়। শাহজাহান এর আগে বাবুলের দায়ের করা মিতু হত্যা মামলায় কারাগারে আছেন।

বাবুলের দায়ের করা মামলায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) গত ১২মে আদালতে ফাইনাল রিপোর্ট দেন। একইদিন বাবুলের শ্বশুর পাঁচলাইশ থানায় বাবুলসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মিতু হত্যার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় বাবুল আক্তার ছাড়া বাকি সাত আসামি হলেন-মো. কামরুল ইসলাম সিকদার ওরফে মুসা (৪০), এহতেশামুল হক ওরফে হানিফুল হক ওরফে ভোলাইয়া (৪১), মো. মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিম (২৭), মো. আনোয়ার হোসেন (২৮), মো. খায়রুল ইসলম ওরফে কালু (২৮), সাইদুল ইসলাম সিকদার (৪৫) ও শাহজাহান মিয়া (২৮)।

একই দিনে বাবুলকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই। তাঁকে ৫ দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে হাজির করা হয়। পিবিআই ১৭মে তাঁকে ১৬৪ ধারার জবানবন্দি দিতে আদালতে হাজির করে। কিন্তু জবানবন্দির উদ্দেশ্যে আদালতের খাস কামরায় ঢোকানোর পর তিনি জবানবন্দি দিতে অস্বীকার করেন। এরপর তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকাল সোয়া ৭টায় চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ে মিতু খুন হন। তিনি ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে জিইসির মোড় যাচ্ছিলেন। সে সময় মোটরসাইকেলে করে তিন দুর্বৃত্ত মিতুকে ঘিরে ধরে গুলি করে। এরপর কুপিয়ে মিতুর মৃত্যু নিশ্চিত করে। পরে দুর্বৃত্তরা মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে যায়। ওই সময় বাবুল আক্তার পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি পেয়ে পুলিশ সদর দপ্তরে ঢাকায় অবস্থান করছিলেন।

তার আগে বাবুল চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনারের দায়িত্বে ছিলেন। হত্যাকাণ্ডের পর নগরীর পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন বাবুল আক্তার। মামলাটি প্রথমে চট্টগ্রামের নগর গোয়েন্দা পুলিশ তদন্ত করে। পরে পিবিআই তদন্ত শেষে আদালতে ফাইনাল রিপোর্ট দেয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিয়ের আসরে কনে বদল, মেয়ের জায়গায় মা

মির্জা ফখরুলের কাছে অভিযোগ, ১৬ দিনের মাথায় ঠাকুরগাঁও থানার ওসি বদলি

বদলির পর ঠাকুরগাঁওয়ের ওসির পোস্ট: ‘বুঝলে বুঝ, না বুঝলে খেয়ে নে তরমুজ’

এক ফ্যাসিস্ট নেত্রীর পাল্লায় পড়ে পুলিশ খারাপ হয়েছিল: এসপি

কাশ্মীর নিয়ে ভারতের সঙ্গে দ্বন্দ্বের প্রসঙ্গ বাংলাদেশের কাছে তুলল পাকিস্তান

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত