নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে গা ঢাকা দিয়েছেন চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের অনুসারীরা। এখন মাঠে আছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা ও হত্যার শিকার আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের সহকর্মীরা। চট্টগ্রাম আদালত চত্বর, নিউ মার্কেট চত্বর, টাইগার পাস মোড় ও দামপাড়া ওয়াসার জমিয়তুল ফালাহ মাঠে বিক্ষোভ করেছেন তাঁরা।
আজ বুধবার (২৭ নভেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জমিয়তুল ফালাহ ময়দান, আদালত চত্বর ও নিউ মার্কেট চত্বরে তিন দফা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জানাজায় হাজার হাজার মানুষের ঢল নামে। আবেগাপ্লুত ছাত্র-জনতা নানা প্রতিবাদী স্লোগান দেন। প্রতিবাদী সমাবেশ করে টাইগার পাস মোড়ে।
জানাজায় বক্তারা বলেছেন, এই হত্যাকাণ্ডে জড়িতরা একটি বাইরের দেশের প্রেসক্রিপশনে দেশে অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। সেই চেষ্টা সফল হতে দেওয়া হবে না। খুনিরা পার পাবে না।
বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে সাইফুলের মরদেহ আনা হয়। সেখানে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর সকাল সাড়ে ১১টার দিকে জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদে তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। আর বেলা দেড়টায় নিউ মার্কেট মোড়ে অনুষ্ঠিত হয় তৃতীয় নামাজে জানাজা।
জানাজায় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র বিএনপি নেতা ডা. শাহাদাত হোসেন, বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল আহমেদ, নগর জামায়াতের আমির শাহজাহান চৌধুরী, জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক সারজিস আলম এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহসহ হাজার হাজার মানুষ অংশ নেন। জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদে জানাজায় ইমামতি করেন নগর জামায়াতের আমির শাহজাহান চৌধুরী।
চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত জানাজা শেষে উপদেষ্টা হাসান আরিফ বলেন, ‘যারা খুনের সঙ্গে জড়িত, সে যেই হোক, আইনের ঊর্ধ্বে কেউ না। আইনের আওতায় তাকে আসতেই হবে। আমরা সংযত থাকব। আমাদের মধ্যে প্রতিহিংসা কাজ করবে না। কাজ করবে শুধু মহত্ত্ব। আমরা শোকে ভেঙে পড়ব না। শোকে আমরা স্টিলের মতো শক্ত হব। বিপ্লব ও গণ-অভ্যুত্থানকে ব্যর্থ প্রমাণ করতে যারা উঠেপড়ে লেগেছে, সে যেই হয়ে থাকুক আমরা প্রতিহত করব।’
নগর জামায়াতের আমির শাহজাহান চৌধুরী বলেন, ‘গত ১৫ দিন ধরেই আমি বলে আসছিলাম এ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস উসকানিমূলক সমাবেশ প্রেসক্লাবের সামনে করেছে, চেরাগির পাহাড়ে করেছে, লালদীঘির ময়দানে করেছে। আমি বলেছি এরা বেড়ে যাচ্ছে তাদের কোনো কর্মসূচি করতে দেবেন না। কিন্তু কেউ পাত্তা দেননি।’

এদিন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সাইফুল ইসলাম আলিফের জানাজা শেষে জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদ থেকে একটি মিছিল বের করা হয়। মিছিলের নেতৃত্ব দেন জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। মিছিলটি নগরীর টাইগারপাসে গিয়ে শেষ হয়।
এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক রাসেল আহমেদ ও খান তালাত মাহমুদ রাফি উপস্থিত ছিলেন।
টাইগারপাস মোড়ে বিক্ষোভ সমাবেশে সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘দ্রুত সময়ের মধ্যে ইসকনকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করে এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে হবে।’ তিনি ভারতে বসে বাংলাদেশকে নিয়ে সকল ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়ার ঘোষণাও দেন।
কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হাসনাত আরও বলেন, ‘আমরা ভুলে যাই নাই, আওয়ামী লীগের সহায়তায় এই ইসকন কীভাবে গত ১৬ বছর পৃষ্ঠপোষকতায় বেড়ে উঠেছে, আজকে জঙ্গি সংগঠন হিসেবে স্বৈরাচারের সঙ্গী হয়েছে। ভারতের প্রেসক্রিপশনে বাংলাদেশে অশান্তি সৃষ্টি করছে। আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই ভারতের বুবু, ভারতের হাসিনা এই বাংলাদেশে তোমার আর ঠাঁই হবে না। ভারতে বসে যতই ষড়যন্ত্র করার চেষ্টা করা হোক, আমরা বাংলাদেশের প্রত্যেকটি মানুষ সেই ষড়যন্ত্র রুখে দেব।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে সকল ধর্মের সহাবস্থান থাকবে। যে হিন্দু সে হিন্দু ধর্ম পালন করবে। যে বৌদ্ধ সে বৌদ্ধ ধর্ম পালন করবে। যে খ্রিষ্টান সে খ্রিষ্টান ধর্ম পালন করবে। আমরা সবার অধিকার রক্ষা করতে ঐক্যবদ্ধ। কিন্তু ধর্মের দোহাই দিয়ে উগ্রবাদী সংগঠন পরিচালনা করবে, সেসব উগ্রবাদী সংগঠনকে বাংলাদেশে কোনো জায়গা দেওয়া হবে না।’
জঙ্গি ইসকনকে বিতাড়িত করা হাতের ময়লা—উল্লেখ করে শোক সমাবেশের বক্তব্যে নাগরিক কমিটির সদস্য ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেন, ‘যে রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে শেখ হাসিনা এই দেশ ছেড়ে পালিয়েছে, যে রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে নতুন বাংলাদেশ এসেছে, সেই রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে এই চিন্ময়রা উসকানি দেয়। সেই রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে খুনি হাসিনারা উসকানি দেয়। সেই রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে জঙ্গি ইসকনরা উসকানি দেয়। সেই রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে ভারতের কিছু প্রেতাত্মারা উসকানি দেয়। আমরা স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আমরা ১৬ বছরের খুনি হাসিনাকে দেশ ছাড়া করেছি এবং ছোটখাটো কিছু জঙ্গি ইসকনকে দেশছাড়া করা আমাদের জন্য হাতের ময়লা।’
সারজিস আলম আরও বলেন, ‘আমরা সকল ধর্মের প্রতি সহানুভূতিশীল। কিন্তু কেউ যদি আমাদের সহানুভূতিকে দুর্বলতা মনে করে আমরা কি তাদের ছেড়ে দেব? ...। আমরা কি এই জঙ্গি ইস্কনকে ছেড়ে দেব?। বীর চট্টলাবাসী আপনাদেরকে বলে দিতে চাই আমাদের চারপাশে অনেক চক্রান্ত ছিল, আরও চক্রান্ত হবে কিন্তু আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে সকল চক্রান্ত প্রতিহত করতে হবে।’
বাংলাদেশের প্রশাসন নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে অভিযোগ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রামের সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি বলেন, ‘আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই প্রশাসনের যেসব জায়গায় স্বৈরাচারের দোসরেরা বিরাজমান তাঁদের সমূলে নির্মূল করতে হবে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, ভারতীয় প্রেসক্রিপশনে বাংলাদেশ চলবে না। যদি কেউ ধর্মের দোহাই দিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে, তাহলে আমরা বাংলাদেশের ছাত্রজনতা তাদের প্রতিহত করতে একবারও ভাবব না।’
ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে চট্টগ্রামের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মোহাম্মদ রাসেল আহমেদকে বলেন, ‘এই দেশে কোনো উগ্রবাদী সন্ত্রাসী সংগঠনের ঠাঁই হবে না, কেউ মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারবে না। এই বাংলাদেশে ইসকনকে নিষিদ্ধ করতে হবে। আমরা ১৫ দিনের মধ্যে ইসকনকে নিষিদ্ধকরণ চাই। ইসকনের সন্ত্রাসীরা গতকাল আমাদের ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। আমরা এর বিচার চাই। পুলিশ প্রশাসনকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে ফাঁসিতে ঝুলাতে হবে।’
তথ্যমতে, সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাতে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকাল ১১টার দিকে তাঁকে চট্টগ্রাম আদালতে হাজির করা হয়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের বিরুদ্ধে হওয়া রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় জামিন নামঞ্জুর করা হয়। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর জন্য প্রিজন ভ্যানে তোলা হলে বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁর অনুসারীরা।
একপর্যায়ে পুলিশ, বিজিবি লাঠিপেটা ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে সেটা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এর মধ্যে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে (৩৫) খুন করে চিন্ময়ের অনুসারীরা। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতেই অভিযান চালিয়ে ৩০ জনকে আটক করে যৌথবাহিনী।
সাইফুল ইসলাম আলিফ লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি এলাকার বাসিন্দা। তার বাবার নাম জালাল উদ্দিন। ২০১৮ সালে জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য হন সাইফুল। পরে তিনি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবেও নিবন্ধন পান।
আরও খবর পড়ুন:

চট্টগ্রামে গা ঢাকা দিয়েছেন চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের অনুসারীরা। এখন মাঠে আছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা ও হত্যার শিকার আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের সহকর্মীরা। চট্টগ্রাম আদালত চত্বর, নিউ মার্কেট চত্বর, টাইগার পাস মোড় ও দামপাড়া ওয়াসার জমিয়তুল ফালাহ মাঠে বিক্ষোভ করেছেন তাঁরা।
আজ বুধবার (২৭ নভেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জমিয়তুল ফালাহ ময়দান, আদালত চত্বর ও নিউ মার্কেট চত্বরে তিন দফা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জানাজায় হাজার হাজার মানুষের ঢল নামে। আবেগাপ্লুত ছাত্র-জনতা নানা প্রতিবাদী স্লোগান দেন। প্রতিবাদী সমাবেশ করে টাইগার পাস মোড়ে।
জানাজায় বক্তারা বলেছেন, এই হত্যাকাণ্ডে জড়িতরা একটি বাইরের দেশের প্রেসক্রিপশনে দেশে অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। সেই চেষ্টা সফল হতে দেওয়া হবে না। খুনিরা পার পাবে না।
বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে সাইফুলের মরদেহ আনা হয়। সেখানে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর সকাল সাড়ে ১১টার দিকে জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদে তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। আর বেলা দেড়টায় নিউ মার্কেট মোড়ে অনুষ্ঠিত হয় তৃতীয় নামাজে জানাজা।
জানাজায় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র বিএনপি নেতা ডা. শাহাদাত হোসেন, বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল আহমেদ, নগর জামায়াতের আমির শাহজাহান চৌধুরী, জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক সারজিস আলম এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহসহ হাজার হাজার মানুষ অংশ নেন। জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদে জানাজায় ইমামতি করেন নগর জামায়াতের আমির শাহজাহান চৌধুরী।
চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত জানাজা শেষে উপদেষ্টা হাসান আরিফ বলেন, ‘যারা খুনের সঙ্গে জড়িত, সে যেই হোক, আইনের ঊর্ধ্বে কেউ না। আইনের আওতায় তাকে আসতেই হবে। আমরা সংযত থাকব। আমাদের মধ্যে প্রতিহিংসা কাজ করবে না। কাজ করবে শুধু মহত্ত্ব। আমরা শোকে ভেঙে পড়ব না। শোকে আমরা স্টিলের মতো শক্ত হব। বিপ্লব ও গণ-অভ্যুত্থানকে ব্যর্থ প্রমাণ করতে যারা উঠেপড়ে লেগেছে, সে যেই হয়ে থাকুক আমরা প্রতিহত করব।’
নগর জামায়াতের আমির শাহজাহান চৌধুরী বলেন, ‘গত ১৫ দিন ধরেই আমি বলে আসছিলাম এ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস উসকানিমূলক সমাবেশ প্রেসক্লাবের সামনে করেছে, চেরাগির পাহাড়ে করেছে, লালদীঘির ময়দানে করেছে। আমি বলেছি এরা বেড়ে যাচ্ছে তাদের কোনো কর্মসূচি করতে দেবেন না। কিন্তু কেউ পাত্তা দেননি।’

এদিন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সাইফুল ইসলাম আলিফের জানাজা শেষে জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদ থেকে একটি মিছিল বের করা হয়। মিছিলের নেতৃত্ব দেন জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। মিছিলটি নগরীর টাইগারপাসে গিয়ে শেষ হয়।
এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক রাসেল আহমেদ ও খান তালাত মাহমুদ রাফি উপস্থিত ছিলেন।
টাইগারপাস মোড়ে বিক্ষোভ সমাবেশে সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘দ্রুত সময়ের মধ্যে ইসকনকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করে এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে হবে।’ তিনি ভারতে বসে বাংলাদেশকে নিয়ে সকল ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়ার ঘোষণাও দেন।
কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হাসনাত আরও বলেন, ‘আমরা ভুলে যাই নাই, আওয়ামী লীগের সহায়তায় এই ইসকন কীভাবে গত ১৬ বছর পৃষ্ঠপোষকতায় বেড়ে উঠেছে, আজকে জঙ্গি সংগঠন হিসেবে স্বৈরাচারের সঙ্গী হয়েছে। ভারতের প্রেসক্রিপশনে বাংলাদেশে অশান্তি সৃষ্টি করছে। আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই ভারতের বুবু, ভারতের হাসিনা এই বাংলাদেশে তোমার আর ঠাঁই হবে না। ভারতে বসে যতই ষড়যন্ত্র করার চেষ্টা করা হোক, আমরা বাংলাদেশের প্রত্যেকটি মানুষ সেই ষড়যন্ত্র রুখে দেব।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে সকল ধর্মের সহাবস্থান থাকবে। যে হিন্দু সে হিন্দু ধর্ম পালন করবে। যে বৌদ্ধ সে বৌদ্ধ ধর্ম পালন করবে। যে খ্রিষ্টান সে খ্রিষ্টান ধর্ম পালন করবে। আমরা সবার অধিকার রক্ষা করতে ঐক্যবদ্ধ। কিন্তু ধর্মের দোহাই দিয়ে উগ্রবাদী সংগঠন পরিচালনা করবে, সেসব উগ্রবাদী সংগঠনকে বাংলাদেশে কোনো জায়গা দেওয়া হবে না।’
জঙ্গি ইসকনকে বিতাড়িত করা হাতের ময়লা—উল্লেখ করে শোক সমাবেশের বক্তব্যে নাগরিক কমিটির সদস্য ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেন, ‘যে রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে শেখ হাসিনা এই দেশ ছেড়ে পালিয়েছে, যে রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে নতুন বাংলাদেশ এসেছে, সেই রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে এই চিন্ময়রা উসকানি দেয়। সেই রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে খুনি হাসিনারা উসকানি দেয়। সেই রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে জঙ্গি ইসকনরা উসকানি দেয়। সেই রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে ভারতের কিছু প্রেতাত্মারা উসকানি দেয়। আমরা স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আমরা ১৬ বছরের খুনি হাসিনাকে দেশ ছাড়া করেছি এবং ছোটখাটো কিছু জঙ্গি ইসকনকে দেশছাড়া করা আমাদের জন্য হাতের ময়লা।’
সারজিস আলম আরও বলেন, ‘আমরা সকল ধর্মের প্রতি সহানুভূতিশীল। কিন্তু কেউ যদি আমাদের সহানুভূতিকে দুর্বলতা মনে করে আমরা কি তাদের ছেড়ে দেব? ...। আমরা কি এই জঙ্গি ইস্কনকে ছেড়ে দেব?। বীর চট্টলাবাসী আপনাদেরকে বলে দিতে চাই আমাদের চারপাশে অনেক চক্রান্ত ছিল, আরও চক্রান্ত হবে কিন্তু আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে সকল চক্রান্ত প্রতিহত করতে হবে।’
বাংলাদেশের প্রশাসন নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে অভিযোগ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রামের সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি বলেন, ‘আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই প্রশাসনের যেসব জায়গায় স্বৈরাচারের দোসরেরা বিরাজমান তাঁদের সমূলে নির্মূল করতে হবে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, ভারতীয় প্রেসক্রিপশনে বাংলাদেশ চলবে না। যদি কেউ ধর্মের দোহাই দিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে, তাহলে আমরা বাংলাদেশের ছাত্রজনতা তাদের প্রতিহত করতে একবারও ভাবব না।’
ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে চট্টগ্রামের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মোহাম্মদ রাসেল আহমেদকে বলেন, ‘এই দেশে কোনো উগ্রবাদী সন্ত্রাসী সংগঠনের ঠাঁই হবে না, কেউ মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারবে না। এই বাংলাদেশে ইসকনকে নিষিদ্ধ করতে হবে। আমরা ১৫ দিনের মধ্যে ইসকনকে নিষিদ্ধকরণ চাই। ইসকনের সন্ত্রাসীরা গতকাল আমাদের ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। আমরা এর বিচার চাই। পুলিশ প্রশাসনকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে ফাঁসিতে ঝুলাতে হবে।’
তথ্যমতে, সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাতে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকাল ১১টার দিকে তাঁকে চট্টগ্রাম আদালতে হাজির করা হয়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের বিরুদ্ধে হওয়া রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় জামিন নামঞ্জুর করা হয়। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর জন্য প্রিজন ভ্যানে তোলা হলে বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁর অনুসারীরা।
একপর্যায়ে পুলিশ, বিজিবি লাঠিপেটা ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে সেটা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এর মধ্যে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে (৩৫) খুন করে চিন্ময়ের অনুসারীরা। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতেই অভিযান চালিয়ে ৩০ জনকে আটক করে যৌথবাহিনী।
সাইফুল ইসলাম আলিফ লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি এলাকার বাসিন্দা। তার বাবার নাম জালাল উদ্দিন। ২০১৮ সালে জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য হন সাইফুল। পরে তিনি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবেও নিবন্ধন পান।
আরও খবর পড়ুন:
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে গা ঢাকা দিয়েছেন চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের অনুসারীরা। এখন মাঠে আছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা ও হত্যার শিকার আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের সহকর্মীরা। চট্টগ্রাম আদালত চত্বর, নিউ মার্কেট চত্বর, টাইগার পাস মোড় ও দামপাড়া ওয়াসার জমিয়তুল ফালাহ মাঠে বিক্ষোভ করেছেন তাঁরা।
আজ বুধবার (২৭ নভেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জমিয়তুল ফালাহ ময়দান, আদালত চত্বর ও নিউ মার্কেট চত্বরে তিন দফা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জানাজায় হাজার হাজার মানুষের ঢল নামে। আবেগাপ্লুত ছাত্র-জনতা নানা প্রতিবাদী স্লোগান দেন। প্রতিবাদী সমাবেশ করে টাইগার পাস মোড়ে।
জানাজায় বক্তারা বলেছেন, এই হত্যাকাণ্ডে জড়িতরা একটি বাইরের দেশের প্রেসক্রিপশনে দেশে অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। সেই চেষ্টা সফল হতে দেওয়া হবে না। খুনিরা পার পাবে না।
বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে সাইফুলের মরদেহ আনা হয়। সেখানে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর সকাল সাড়ে ১১টার দিকে জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদে তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। আর বেলা দেড়টায় নিউ মার্কেট মোড়ে অনুষ্ঠিত হয় তৃতীয় নামাজে জানাজা।
জানাজায় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র বিএনপি নেতা ডা. শাহাদাত হোসেন, বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল আহমেদ, নগর জামায়াতের আমির শাহজাহান চৌধুরী, জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক সারজিস আলম এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহসহ হাজার হাজার মানুষ অংশ নেন। জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদে জানাজায় ইমামতি করেন নগর জামায়াতের আমির শাহজাহান চৌধুরী।
চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত জানাজা শেষে উপদেষ্টা হাসান আরিফ বলেন, ‘যারা খুনের সঙ্গে জড়িত, সে যেই হোক, আইনের ঊর্ধ্বে কেউ না। আইনের আওতায় তাকে আসতেই হবে। আমরা সংযত থাকব। আমাদের মধ্যে প্রতিহিংসা কাজ করবে না। কাজ করবে শুধু মহত্ত্ব। আমরা শোকে ভেঙে পড়ব না। শোকে আমরা স্টিলের মতো শক্ত হব। বিপ্লব ও গণ-অভ্যুত্থানকে ব্যর্থ প্রমাণ করতে যারা উঠেপড়ে লেগেছে, সে যেই হয়ে থাকুক আমরা প্রতিহত করব।’
নগর জামায়াতের আমির শাহজাহান চৌধুরী বলেন, ‘গত ১৫ দিন ধরেই আমি বলে আসছিলাম এ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস উসকানিমূলক সমাবেশ প্রেসক্লাবের সামনে করেছে, চেরাগির পাহাড়ে করেছে, লালদীঘির ময়দানে করেছে। আমি বলেছি এরা বেড়ে যাচ্ছে তাদের কোনো কর্মসূচি করতে দেবেন না। কিন্তু কেউ পাত্তা দেননি।’

এদিন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সাইফুল ইসলাম আলিফের জানাজা শেষে জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদ থেকে একটি মিছিল বের করা হয়। মিছিলের নেতৃত্ব দেন জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। মিছিলটি নগরীর টাইগারপাসে গিয়ে শেষ হয়।
এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক রাসেল আহমেদ ও খান তালাত মাহমুদ রাফি উপস্থিত ছিলেন।
টাইগারপাস মোড়ে বিক্ষোভ সমাবেশে সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘দ্রুত সময়ের মধ্যে ইসকনকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করে এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে হবে।’ তিনি ভারতে বসে বাংলাদেশকে নিয়ে সকল ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়ার ঘোষণাও দেন।
কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হাসনাত আরও বলেন, ‘আমরা ভুলে যাই নাই, আওয়ামী লীগের সহায়তায় এই ইসকন কীভাবে গত ১৬ বছর পৃষ্ঠপোষকতায় বেড়ে উঠেছে, আজকে জঙ্গি সংগঠন হিসেবে স্বৈরাচারের সঙ্গী হয়েছে। ভারতের প্রেসক্রিপশনে বাংলাদেশে অশান্তি সৃষ্টি করছে। আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই ভারতের বুবু, ভারতের হাসিনা এই বাংলাদেশে তোমার আর ঠাঁই হবে না। ভারতে বসে যতই ষড়যন্ত্র করার চেষ্টা করা হোক, আমরা বাংলাদেশের প্রত্যেকটি মানুষ সেই ষড়যন্ত্র রুখে দেব।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে সকল ধর্মের সহাবস্থান থাকবে। যে হিন্দু সে হিন্দু ধর্ম পালন করবে। যে বৌদ্ধ সে বৌদ্ধ ধর্ম পালন করবে। যে খ্রিষ্টান সে খ্রিষ্টান ধর্ম পালন করবে। আমরা সবার অধিকার রক্ষা করতে ঐক্যবদ্ধ। কিন্তু ধর্মের দোহাই দিয়ে উগ্রবাদী সংগঠন পরিচালনা করবে, সেসব উগ্রবাদী সংগঠনকে বাংলাদেশে কোনো জায়গা দেওয়া হবে না।’
জঙ্গি ইসকনকে বিতাড়িত করা হাতের ময়লা—উল্লেখ করে শোক সমাবেশের বক্তব্যে নাগরিক কমিটির সদস্য ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেন, ‘যে রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে শেখ হাসিনা এই দেশ ছেড়ে পালিয়েছে, যে রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে নতুন বাংলাদেশ এসেছে, সেই রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে এই চিন্ময়রা উসকানি দেয়। সেই রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে খুনি হাসিনারা উসকানি দেয়। সেই রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে জঙ্গি ইসকনরা উসকানি দেয়। সেই রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে ভারতের কিছু প্রেতাত্মারা উসকানি দেয়। আমরা স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আমরা ১৬ বছরের খুনি হাসিনাকে দেশ ছাড়া করেছি এবং ছোটখাটো কিছু জঙ্গি ইসকনকে দেশছাড়া করা আমাদের জন্য হাতের ময়লা।’
সারজিস আলম আরও বলেন, ‘আমরা সকল ধর্মের প্রতি সহানুভূতিশীল। কিন্তু কেউ যদি আমাদের সহানুভূতিকে দুর্বলতা মনে করে আমরা কি তাদের ছেড়ে দেব? ...। আমরা কি এই জঙ্গি ইস্কনকে ছেড়ে দেব?। বীর চট্টলাবাসী আপনাদেরকে বলে দিতে চাই আমাদের চারপাশে অনেক চক্রান্ত ছিল, আরও চক্রান্ত হবে কিন্তু আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে সকল চক্রান্ত প্রতিহত করতে হবে।’
বাংলাদেশের প্রশাসন নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে অভিযোগ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রামের সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি বলেন, ‘আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই প্রশাসনের যেসব জায়গায় স্বৈরাচারের দোসরেরা বিরাজমান তাঁদের সমূলে নির্মূল করতে হবে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, ভারতীয় প্রেসক্রিপশনে বাংলাদেশ চলবে না। যদি কেউ ধর্মের দোহাই দিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে, তাহলে আমরা বাংলাদেশের ছাত্রজনতা তাদের প্রতিহত করতে একবারও ভাবব না।’
ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে চট্টগ্রামের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মোহাম্মদ রাসেল আহমেদকে বলেন, ‘এই দেশে কোনো উগ্রবাদী সন্ত্রাসী সংগঠনের ঠাঁই হবে না, কেউ মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারবে না। এই বাংলাদেশে ইসকনকে নিষিদ্ধ করতে হবে। আমরা ১৫ দিনের মধ্যে ইসকনকে নিষিদ্ধকরণ চাই। ইসকনের সন্ত্রাসীরা গতকাল আমাদের ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। আমরা এর বিচার চাই। পুলিশ প্রশাসনকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে ফাঁসিতে ঝুলাতে হবে।’
তথ্যমতে, সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাতে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকাল ১১টার দিকে তাঁকে চট্টগ্রাম আদালতে হাজির করা হয়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের বিরুদ্ধে হওয়া রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় জামিন নামঞ্জুর করা হয়। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর জন্য প্রিজন ভ্যানে তোলা হলে বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁর অনুসারীরা।
একপর্যায়ে পুলিশ, বিজিবি লাঠিপেটা ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে সেটা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এর মধ্যে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে (৩৫) খুন করে চিন্ময়ের অনুসারীরা। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতেই অভিযান চালিয়ে ৩০ জনকে আটক করে যৌথবাহিনী।
সাইফুল ইসলাম আলিফ লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি এলাকার বাসিন্দা। তার বাবার নাম জালাল উদ্দিন। ২০১৮ সালে জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য হন সাইফুল। পরে তিনি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবেও নিবন্ধন পান।
আরও খবর পড়ুন:

চট্টগ্রামে গা ঢাকা দিয়েছেন চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের অনুসারীরা। এখন মাঠে আছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা ও হত্যার শিকার আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের সহকর্মীরা। চট্টগ্রাম আদালত চত্বর, নিউ মার্কেট চত্বর, টাইগার পাস মোড় ও দামপাড়া ওয়াসার জমিয়তুল ফালাহ মাঠে বিক্ষোভ করেছেন তাঁরা।
আজ বুধবার (২৭ নভেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জমিয়তুল ফালাহ ময়দান, আদালত চত্বর ও নিউ মার্কেট চত্বরে তিন দফা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জানাজায় হাজার হাজার মানুষের ঢল নামে। আবেগাপ্লুত ছাত্র-জনতা নানা প্রতিবাদী স্লোগান দেন। প্রতিবাদী সমাবেশ করে টাইগার পাস মোড়ে।
জানাজায় বক্তারা বলেছেন, এই হত্যাকাণ্ডে জড়িতরা একটি বাইরের দেশের প্রেসক্রিপশনে দেশে অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। সেই চেষ্টা সফল হতে দেওয়া হবে না। খুনিরা পার পাবে না।
বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে সাইফুলের মরদেহ আনা হয়। সেখানে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর সকাল সাড়ে ১১টার দিকে জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদে তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। আর বেলা দেড়টায় নিউ মার্কেট মোড়ে অনুষ্ঠিত হয় তৃতীয় নামাজে জানাজা।
জানাজায় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র বিএনপি নেতা ডা. শাহাদাত হোসেন, বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল আহমেদ, নগর জামায়াতের আমির শাহজাহান চৌধুরী, জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক সারজিস আলম এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহসহ হাজার হাজার মানুষ অংশ নেন। জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদে জানাজায় ইমামতি করেন নগর জামায়াতের আমির শাহজাহান চৌধুরী।
চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত জানাজা শেষে উপদেষ্টা হাসান আরিফ বলেন, ‘যারা খুনের সঙ্গে জড়িত, সে যেই হোক, আইনের ঊর্ধ্বে কেউ না। আইনের আওতায় তাকে আসতেই হবে। আমরা সংযত থাকব। আমাদের মধ্যে প্রতিহিংসা কাজ করবে না। কাজ করবে শুধু মহত্ত্ব। আমরা শোকে ভেঙে পড়ব না। শোকে আমরা স্টিলের মতো শক্ত হব। বিপ্লব ও গণ-অভ্যুত্থানকে ব্যর্থ প্রমাণ করতে যারা উঠেপড়ে লেগেছে, সে যেই হয়ে থাকুক আমরা প্রতিহত করব।’
নগর জামায়াতের আমির শাহজাহান চৌধুরী বলেন, ‘গত ১৫ দিন ধরেই আমি বলে আসছিলাম এ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস উসকানিমূলক সমাবেশ প্রেসক্লাবের সামনে করেছে, চেরাগির পাহাড়ে করেছে, লালদীঘির ময়দানে করেছে। আমি বলেছি এরা বেড়ে যাচ্ছে তাদের কোনো কর্মসূচি করতে দেবেন না। কিন্তু কেউ পাত্তা দেননি।’

এদিন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সাইফুল ইসলাম আলিফের জানাজা শেষে জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদ থেকে একটি মিছিল বের করা হয়। মিছিলের নেতৃত্ব দেন জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। মিছিলটি নগরীর টাইগারপাসে গিয়ে শেষ হয়।
এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক রাসেল আহমেদ ও খান তালাত মাহমুদ রাফি উপস্থিত ছিলেন।
টাইগারপাস মোড়ে বিক্ষোভ সমাবেশে সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘দ্রুত সময়ের মধ্যে ইসকনকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করে এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে হবে।’ তিনি ভারতে বসে বাংলাদেশকে নিয়ে সকল ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়ার ঘোষণাও দেন।
কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হাসনাত আরও বলেন, ‘আমরা ভুলে যাই নাই, আওয়ামী লীগের সহায়তায় এই ইসকন কীভাবে গত ১৬ বছর পৃষ্ঠপোষকতায় বেড়ে উঠেছে, আজকে জঙ্গি সংগঠন হিসেবে স্বৈরাচারের সঙ্গী হয়েছে। ভারতের প্রেসক্রিপশনে বাংলাদেশে অশান্তি সৃষ্টি করছে। আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই ভারতের বুবু, ভারতের হাসিনা এই বাংলাদেশে তোমার আর ঠাঁই হবে না। ভারতে বসে যতই ষড়যন্ত্র করার চেষ্টা করা হোক, আমরা বাংলাদেশের প্রত্যেকটি মানুষ সেই ষড়যন্ত্র রুখে দেব।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে সকল ধর্মের সহাবস্থান থাকবে। যে হিন্দু সে হিন্দু ধর্ম পালন করবে। যে বৌদ্ধ সে বৌদ্ধ ধর্ম পালন করবে। যে খ্রিষ্টান সে খ্রিষ্টান ধর্ম পালন করবে। আমরা সবার অধিকার রক্ষা করতে ঐক্যবদ্ধ। কিন্তু ধর্মের দোহাই দিয়ে উগ্রবাদী সংগঠন পরিচালনা করবে, সেসব উগ্রবাদী সংগঠনকে বাংলাদেশে কোনো জায়গা দেওয়া হবে না।’
জঙ্গি ইসকনকে বিতাড়িত করা হাতের ময়লা—উল্লেখ করে শোক সমাবেশের বক্তব্যে নাগরিক কমিটির সদস্য ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেন, ‘যে রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে শেখ হাসিনা এই দেশ ছেড়ে পালিয়েছে, যে রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে নতুন বাংলাদেশ এসেছে, সেই রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে এই চিন্ময়রা উসকানি দেয়। সেই রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে খুনি হাসিনারা উসকানি দেয়। সেই রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে জঙ্গি ইসকনরা উসকানি দেয়। সেই রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে ভারতের কিছু প্রেতাত্মারা উসকানি দেয়। আমরা স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আমরা ১৬ বছরের খুনি হাসিনাকে দেশ ছাড়া করেছি এবং ছোটখাটো কিছু জঙ্গি ইসকনকে দেশছাড়া করা আমাদের জন্য হাতের ময়লা।’
সারজিস আলম আরও বলেন, ‘আমরা সকল ধর্মের প্রতি সহানুভূতিশীল। কিন্তু কেউ যদি আমাদের সহানুভূতিকে দুর্বলতা মনে করে আমরা কি তাদের ছেড়ে দেব? ...। আমরা কি এই জঙ্গি ইস্কনকে ছেড়ে দেব?। বীর চট্টলাবাসী আপনাদেরকে বলে দিতে চাই আমাদের চারপাশে অনেক চক্রান্ত ছিল, আরও চক্রান্ত হবে কিন্তু আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে সকল চক্রান্ত প্রতিহত করতে হবে।’
বাংলাদেশের প্রশাসন নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে অভিযোগ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রামের সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি বলেন, ‘আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই প্রশাসনের যেসব জায়গায় স্বৈরাচারের দোসরেরা বিরাজমান তাঁদের সমূলে নির্মূল করতে হবে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, ভারতীয় প্রেসক্রিপশনে বাংলাদেশ চলবে না। যদি কেউ ধর্মের দোহাই দিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে, তাহলে আমরা বাংলাদেশের ছাত্রজনতা তাদের প্রতিহত করতে একবারও ভাবব না।’
ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে চট্টগ্রামের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মোহাম্মদ রাসেল আহমেদকে বলেন, ‘এই দেশে কোনো উগ্রবাদী সন্ত্রাসী সংগঠনের ঠাঁই হবে না, কেউ মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারবে না। এই বাংলাদেশে ইসকনকে নিষিদ্ধ করতে হবে। আমরা ১৫ দিনের মধ্যে ইসকনকে নিষিদ্ধকরণ চাই। ইসকনের সন্ত্রাসীরা গতকাল আমাদের ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। আমরা এর বিচার চাই। পুলিশ প্রশাসনকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে ফাঁসিতে ঝুলাতে হবে।’
তথ্যমতে, সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাতে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকাল ১১টার দিকে তাঁকে চট্টগ্রাম আদালতে হাজির করা হয়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের বিরুদ্ধে হওয়া রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় জামিন নামঞ্জুর করা হয়। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর জন্য প্রিজন ভ্যানে তোলা হলে বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁর অনুসারীরা।
একপর্যায়ে পুলিশ, বিজিবি লাঠিপেটা ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে সেটা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এর মধ্যে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে (৩৫) খুন করে চিন্ময়ের অনুসারীরা। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতেই অভিযান চালিয়ে ৩০ জনকে আটক করে যৌথবাহিনী।
সাইফুল ইসলাম আলিফ লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি এলাকার বাসিন্দা। তার বাবার নাম জালাল উদ্দিন। ২০১৮ সালে জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য হন সাইফুল। পরে তিনি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবেও নিবন্ধন পান।
আরও খবর পড়ুন:

রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। তাঁরা হলেন ইউসুফ আলী রেদওয়ান ও মো. ইয়াসিন। উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টরের পাবলিক কলেজ-সংলগ্ন জুলাই রেভেলস অফিসের ভেতরে শনিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর এ ঘটনা ঘটে। পরে তাঁদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
১ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর শান্তিনগর, মৌচাক ও মিরপুরে পৃথক স্থানে চারটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে মিরপুরে ফুটপাতের এক দোকানি আহত হয়েছেন। শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন সময় দুর্বৃত্তরা এসব ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
২ ঘণ্টা আগে
খুলনা নগরীতে অস্ত্র তৈরির একটি কারখানার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর জোড়া গেট এলাকায় অবস্থিত একটি লেদ মেশিনের কারখানায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) অভিযান চালিয়ে এর সন্ধান পায়। এ সময় তিনজনকে আটক করা হয়। এর চার ঘণ্টা পর উদ্ধার হওয়া সরঞ্জাম ডামি বলে ঘোষণা করে পুলিশ।
২ ঘণ্টা আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় বাড়ির পাশে পড়ে থাকা ককটেল বিস্ফোরণে মিজানুর রহমান (৮) নামে এক শিশু আহত হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। আহত শিশুটি চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের সুপার পাড়া এলাকার নয়ন আলীর ছেলে।
২ ঘণ্টা আগেউত্তরা-বিমানবন্দর (ঢাকা) প্রতিনিধি

রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। তাঁরা হলেন ইউসুফ আলী রেদওয়ান ও মো. ইয়াসিন।
উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টরের পাবলিক কলেজ-সংলগ্ন জুলাই রেভেলস অফিসের ভেতরে শনিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর এ ঘটনা ঘটে। পরে তাঁদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এর আগে শনিবার বিকেলে উত্তরার বিএনএস সেন্টারের সামনে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধনে অংশ নিয়েছিলেন তাঁরা। সেখান থেকে তাঁরা জুলাই রেভেলসের অফিসে এসে বসেছিলেন।
এ বিষয়ে জুলাই রেভেলসের সহসংগঠক মো. পারভেজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজ (শনিবার) বিকেলে উত্তরার বিএনএস সেন্টারে হাদি ভাইয়ের ওপর হামলার প্রতিবাদে আমরা মানববন্ধন করি। মানববন্ধন শেষ করে সন্ধ্যার সময় তারা চা খেয়ে অফিসে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য গিয়েছিল। অফিসটি এক রুমের। আশপাশে জনবসতি নেই।’
পারভেজ বলেন, ‘বিশ্রাম নেওয়ার সময় কিছু সন্ত্রাসী রেদওয়ান ও ইয়াসিনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। আহত রেদওয়ান সংগঠনের প্রস্তাবিত সহসংগঠক এবং ইয়াসিন সদস্য।’
তিনি বলেন, ‘রেদওয়ান ও ইয়াসিনের মাথায় কুপিয়ে জখম করা হয়। প্রথমে তাদেরকে উদ্ধার করে কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে এবং পরে নিকটবর্তী একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়।’
এদিকে জুলাই যোদ্ধাদের কুপিয়ে জখম করার খবর পেয়ে ওই বেসরকারি হাসপাতালে উত্তরা পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোর্শেদ আলমসহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তা উপস্থিত হয়েছেন। সেখানে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তাঁদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হতে পারে। এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। বিষয়টি তদন্ত করে দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’
তবে উত্তরা পূর্ব থানার ওসি মোর্শেদ আলম ও বিমানবন্দর জোনের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) পহন চাকমার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
অপরদিকে উত্তরা পূর্ব থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আশরাফুল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কুপিয়ে আহতের ঘটনার কোনো তথ্য আমার জানা নেই।’

রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। তাঁরা হলেন ইউসুফ আলী রেদওয়ান ও মো. ইয়াসিন।
উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টরের পাবলিক কলেজ-সংলগ্ন জুলাই রেভেলস অফিসের ভেতরে শনিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর এ ঘটনা ঘটে। পরে তাঁদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এর আগে শনিবার বিকেলে উত্তরার বিএনএস সেন্টারের সামনে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধনে অংশ নিয়েছিলেন তাঁরা। সেখান থেকে তাঁরা জুলাই রেভেলসের অফিসে এসে বসেছিলেন।
এ বিষয়ে জুলাই রেভেলসের সহসংগঠক মো. পারভেজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজ (শনিবার) বিকেলে উত্তরার বিএনএস সেন্টারে হাদি ভাইয়ের ওপর হামলার প্রতিবাদে আমরা মানববন্ধন করি। মানববন্ধন শেষ করে সন্ধ্যার সময় তারা চা খেয়ে অফিসে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য গিয়েছিল। অফিসটি এক রুমের। আশপাশে জনবসতি নেই।’
পারভেজ বলেন, ‘বিশ্রাম নেওয়ার সময় কিছু সন্ত্রাসী রেদওয়ান ও ইয়াসিনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। আহত রেদওয়ান সংগঠনের প্রস্তাবিত সহসংগঠক এবং ইয়াসিন সদস্য।’
তিনি বলেন, ‘রেদওয়ান ও ইয়াসিনের মাথায় কুপিয়ে জখম করা হয়। প্রথমে তাদেরকে উদ্ধার করে কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে এবং পরে নিকটবর্তী একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়।’
এদিকে জুলাই যোদ্ধাদের কুপিয়ে জখম করার খবর পেয়ে ওই বেসরকারি হাসপাতালে উত্তরা পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোর্শেদ আলমসহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তা উপস্থিত হয়েছেন। সেখানে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তাঁদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হতে পারে। এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। বিষয়টি তদন্ত করে দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’
তবে উত্তরা পূর্ব থানার ওসি মোর্শেদ আলম ও বিমানবন্দর জোনের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) পহন চাকমার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
অপরদিকে উত্তরা পূর্ব থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আশরাফুল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কুপিয়ে আহতের ঘটনার কোনো তথ্য আমার জানা নেই।’

চট্টগ্রামে গা ঢাকা দিয়েছেন চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের অনুসারীরা। এখন মাঠে আছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা ও হত্যার শিকার আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের সহকর্মীরা। চট্টগ্রাম আদালত চত্বর, নিউ মার্কেট চত্বর, টাইগার পাস মোড় ও দামপাড়া ওয়াসার জমিয়তুল ফালাহ মাঠে বিক্ষোভ করেছেন তাঁরা।
২৭ নভেম্বর ২০২৪
রাজধানীর শান্তিনগর, মৌচাক ও মিরপুরে পৃথক স্থানে চারটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে মিরপুরে ফুটপাতের এক দোকানি আহত হয়েছেন। শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন সময় দুর্বৃত্তরা এসব ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
২ ঘণ্টা আগে
খুলনা নগরীতে অস্ত্র তৈরির একটি কারখানার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর জোড়া গেট এলাকায় অবস্থিত একটি লেদ মেশিনের কারখানায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) অভিযান চালিয়ে এর সন্ধান পায়। এ সময় তিনজনকে আটক করা হয়। এর চার ঘণ্টা পর উদ্ধার হওয়া সরঞ্জাম ডামি বলে ঘোষণা করে পুলিশ।
২ ঘণ্টা আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় বাড়ির পাশে পড়ে থাকা ককটেল বিস্ফোরণে মিজানুর রহমান (৮) নামে এক শিশু আহত হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। আহত শিশুটি চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের সুপার পাড়া এলাকার নয়ন আলীর ছেলে।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর শান্তিনগর, মৌচাক ও মিরপুরে পৃথক স্থানে চারটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে মিরপুরে ফুটপাতের এক দোকানি আহত হয়েছেন।
শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন সময় দুর্বৃত্তরা এসব ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মিরপুর-১ এলাকার মুক্তিযোদ্ধা শপিং কমপ্লেক্সের ছাদ থেকে একটি ককটেল নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। বিস্ফোরণে মার্কেটের সামনের ফুটপাতে থাকা এক দোকানি সামান্য আহত হন।
এ ছাড়া রাত সাড়ে ৮টার দিকে মিরপুর-১০ এলাকার পুলিশ বক্সের কাছে আরেকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
শাহ আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মিরপুরের মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটের সামনে একটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ফুটপাতের এক দোকানি সামান্য আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। মার্কেটের ওপর থেকে কেউ একজন ককটেল নিক্ষেপ করে পালিয়ে গেছে।
অন্যদিকে রাত ৮টা ১৫ মিনিটের দিকে শান্তিনগর এলাকার পশ্চিম সিগন্যালের কাছে একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। ককটেলটি সিগন্যালের পাশে থাকা একটি বটগাছে স্থাপিত বিজ্ঞাপনের বিলবোর্ডে লেগে বিস্ফোরিত হয়। এতে কেউ হতাহত হয়নি।
এ ছাড়া রাত ৮টা ৪০ মিনিটের দিকে মৌচাক ক্রসিংয়েও আরেকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনাতেও কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত চলছে।

রাজধানীর শান্তিনগর, মৌচাক ও মিরপুরে পৃথক স্থানে চারটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে মিরপুরে ফুটপাতের এক দোকানি আহত হয়েছেন।
শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন সময় দুর্বৃত্তরা এসব ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মিরপুর-১ এলাকার মুক্তিযোদ্ধা শপিং কমপ্লেক্সের ছাদ থেকে একটি ককটেল নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। বিস্ফোরণে মার্কেটের সামনের ফুটপাতে থাকা এক দোকানি সামান্য আহত হন।
এ ছাড়া রাত সাড়ে ৮টার দিকে মিরপুর-১০ এলাকার পুলিশ বক্সের কাছে আরেকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
শাহ আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মিরপুরের মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটের সামনে একটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ফুটপাতের এক দোকানি সামান্য আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। মার্কেটের ওপর থেকে কেউ একজন ককটেল নিক্ষেপ করে পালিয়ে গেছে।
অন্যদিকে রাত ৮টা ১৫ মিনিটের দিকে শান্তিনগর এলাকার পশ্চিম সিগন্যালের কাছে একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। ককটেলটি সিগন্যালের পাশে থাকা একটি বটগাছে স্থাপিত বিজ্ঞাপনের বিলবোর্ডে লেগে বিস্ফোরিত হয়। এতে কেউ হতাহত হয়নি।
এ ছাড়া রাত ৮টা ৪০ মিনিটের দিকে মৌচাক ক্রসিংয়েও আরেকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনাতেও কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত চলছে।

চট্টগ্রামে গা ঢাকা দিয়েছেন চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের অনুসারীরা। এখন মাঠে আছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা ও হত্যার শিকার আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের সহকর্মীরা। চট্টগ্রাম আদালত চত্বর, নিউ মার্কেট চত্বর, টাইগার পাস মোড় ও দামপাড়া ওয়াসার জমিয়তুল ফালাহ মাঠে বিক্ষোভ করেছেন তাঁরা।
২৭ নভেম্বর ২০২৪
রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। তাঁরা হলেন ইউসুফ আলী রেদওয়ান ও মো. ইয়াসিন। উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টরের পাবলিক কলেজ-সংলগ্ন জুলাই রেভেলস অফিসের ভেতরে শনিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর এ ঘটনা ঘটে। পরে তাঁদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
১ ঘণ্টা আগে
খুলনা নগরীতে অস্ত্র তৈরির একটি কারখানার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর জোড়া গেট এলাকায় অবস্থিত একটি লেদ মেশিনের কারখানায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) অভিযান চালিয়ে এর সন্ধান পায়। এ সময় তিনজনকে আটক করা হয়। এর চার ঘণ্টা পর উদ্ধার হওয়া সরঞ্জাম ডামি বলে ঘোষণা করে পুলিশ।
২ ঘণ্টা আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় বাড়ির পাশে পড়ে থাকা ককটেল বিস্ফোরণে মিজানুর রহমান (৮) নামে এক শিশু আহত হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। আহত শিশুটি চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের সুপার পাড়া এলাকার নয়ন আলীর ছেলে।
২ ঘণ্টা আগেখুলনা প্রতিনিধি

খুলনা নগরীতে অস্ত্র তৈরির একটি কারখানার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর জোড়া গেট এলাকায় অবস্থিত একটি লেদ মেশিনের কারখানায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) অভিযান চালিয়ে এর সন্ধান পায়। এ সময় তিনজনকে আটক করা হয়। এর চার ঘণ্টা পর উদ্ধার হওয়া সরঞ্জাম ডামি বলে ঘোষণা করে পুলিশ।
খুলনা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৈমুর ইসলাম চার ঘণ্টা পূর্বের বক্তব্য প্রত্যাহার করেন। তিনি বলেন, এগুলো ডামি অস্ত্র। এগুলো বিএনসিসির জন্য বানানো হচ্ছিল। আর যাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছিল রাতে তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে।
এর আগে পুলিশ ঢাকঢোল পিটিয়ে বলেছিল নগরীর জোড়া গেট এলাকার একটি লেদ কারখানায় অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান এবং সেখান থেকে বিপুল অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়।
এ ছাড়া অস্ত্রগুলো সন্ত্রাসী ও বনদস্যুদের কাছে সরবরাহ করা হতো বলে জানানো হয়।
এদিকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনসিসি নৌ শাখার এস এম তাফসিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত একটি চুক্তিপত্রে দেখা গেছে, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনসিসি প্লাটুনের সেনা, নৌ এবং বিমান শাখার ক্যাডেটদের যুগোপযোগী ট্রেনিংয়ের জন্য কিছুসংখ্যক অত্যাধুনিক কাঠের অস্ত্র (৫০ পিস) তৈরি করা প্রয়োজন। ওই অস্ত্রগুলো বিএনসিসির তত্ত্বাবধানে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় বিএনসিসি প্লাটুন প্রাঙ্গণে তৈরি করা হবে। ওই অস্ত্রসমূহ তৈরিতে নিম্নের প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি মো. সালাউদ্দিন গাজী পিকুকে দায়িত্ব দেওয়া হলো।
এর সত্যতা পাওয়ার পর পুলিশ তাদের অস্ত্র উদ্ধারের তথ্য প্রত্যাহার করে।

খুলনা নগরীতে অস্ত্র তৈরির একটি কারখানার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর জোড়া গেট এলাকায় অবস্থিত একটি লেদ মেশিনের কারখানায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) অভিযান চালিয়ে এর সন্ধান পায়। এ সময় তিনজনকে আটক করা হয়। এর চার ঘণ্টা পর উদ্ধার হওয়া সরঞ্জাম ডামি বলে ঘোষণা করে পুলিশ।
খুলনা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৈমুর ইসলাম চার ঘণ্টা পূর্বের বক্তব্য প্রত্যাহার করেন। তিনি বলেন, এগুলো ডামি অস্ত্র। এগুলো বিএনসিসির জন্য বানানো হচ্ছিল। আর যাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছিল রাতে তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে।
এর আগে পুলিশ ঢাকঢোল পিটিয়ে বলেছিল নগরীর জোড়া গেট এলাকার একটি লেদ কারখানায় অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান এবং সেখান থেকে বিপুল অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়।
এ ছাড়া অস্ত্রগুলো সন্ত্রাসী ও বনদস্যুদের কাছে সরবরাহ করা হতো বলে জানানো হয়।
এদিকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনসিসি নৌ শাখার এস এম তাফসিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত একটি চুক্তিপত্রে দেখা গেছে, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনসিসি প্লাটুনের সেনা, নৌ এবং বিমান শাখার ক্যাডেটদের যুগোপযোগী ট্রেনিংয়ের জন্য কিছুসংখ্যক অত্যাধুনিক কাঠের অস্ত্র (৫০ পিস) তৈরি করা প্রয়োজন। ওই অস্ত্রগুলো বিএনসিসির তত্ত্বাবধানে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় বিএনসিসি প্লাটুন প্রাঙ্গণে তৈরি করা হবে। ওই অস্ত্রসমূহ তৈরিতে নিম্নের প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি মো. সালাউদ্দিন গাজী পিকুকে দায়িত্ব দেওয়া হলো।
এর সত্যতা পাওয়ার পর পুলিশ তাদের অস্ত্র উদ্ধারের তথ্য প্রত্যাহার করে।

চট্টগ্রামে গা ঢাকা দিয়েছেন চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের অনুসারীরা। এখন মাঠে আছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা ও হত্যার শিকার আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের সহকর্মীরা। চট্টগ্রাম আদালত চত্বর, নিউ মার্কেট চত্বর, টাইগার পাস মোড় ও দামপাড়া ওয়াসার জমিয়তুল ফালাহ মাঠে বিক্ষোভ করেছেন তাঁরা।
২৭ নভেম্বর ২০২৪
রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। তাঁরা হলেন ইউসুফ আলী রেদওয়ান ও মো. ইয়াসিন। উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টরের পাবলিক কলেজ-সংলগ্ন জুলাই রেভেলস অফিসের ভেতরে শনিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর এ ঘটনা ঘটে। পরে তাঁদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
১ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর শান্তিনগর, মৌচাক ও মিরপুরে পৃথক স্থানে চারটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে মিরপুরে ফুটপাতের এক দোকানি আহত হয়েছেন। শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন সময় দুর্বৃত্তরা এসব ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
২ ঘণ্টা আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় বাড়ির পাশে পড়ে থাকা ককটেল বিস্ফোরণে মিজানুর রহমান (৮) নামে এক শিশু আহত হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। আহত শিশুটি চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের সুপার পাড়া এলাকার নয়ন আলীর ছেলে।
২ ঘণ্টা আগেচাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় বাড়ির পাশে পড়ে থাকা ককটেল বিস্ফোরণে মিজানুর রহমান (৮) নামের এক শিশু আহত হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। আহত শিশুটি চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের সুপার পাড়া এলাকার নয়ন আলীর ছেলে।
আহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ এন এম ওয়াসিম ফিরোজ। তিনি বলেন, বাড়ির পাশে আমবাগানে পরিত্যক্ত অবস্থায় ককটেলটি পড়ে ছিল। ছোট বাচ্চা বুঝতে না পেরে ককটেলে হাত দিলে বিস্ফোরণ ঘটে। তার পরিবারকে থানায় এসে মামলা দিতে বলা হয়েছে। পরিবার মামলা দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, আহত শিশু মিজানুর রহমানকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।
শিশুটির চাচা তায়েব আলী বলেন, ‘জেলা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আমার ভাতিজাকে রাজশাহী মেডিকেলে ভর্তি করিয়েছি। তার বাঁ হাতের আঙুলগুলো ঝুলে গেছে এবং ডান হাতের মাংসপেশির ভেতর কাচ ঢুকে আছে। মুখ পুড়ে গেছে এবং গলাও কেটে গেছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।’

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় বাড়ির পাশে পড়ে থাকা ককটেল বিস্ফোরণে মিজানুর রহমান (৮) নামের এক শিশু আহত হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। আহত শিশুটি চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের সুপার পাড়া এলাকার নয়ন আলীর ছেলে।
আহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ এন এম ওয়াসিম ফিরোজ। তিনি বলেন, বাড়ির পাশে আমবাগানে পরিত্যক্ত অবস্থায় ককটেলটি পড়ে ছিল। ছোট বাচ্চা বুঝতে না পেরে ককটেলে হাত দিলে বিস্ফোরণ ঘটে। তার পরিবারকে থানায় এসে মামলা দিতে বলা হয়েছে। পরিবার মামলা দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, আহত শিশু মিজানুর রহমানকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।
শিশুটির চাচা তায়েব আলী বলেন, ‘জেলা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আমার ভাতিজাকে রাজশাহী মেডিকেলে ভর্তি করিয়েছি। তার বাঁ হাতের আঙুলগুলো ঝুলে গেছে এবং ডান হাতের মাংসপেশির ভেতর কাচ ঢুকে আছে। মুখ পুড়ে গেছে এবং গলাও কেটে গেছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।’

চট্টগ্রামে গা ঢাকা দিয়েছেন চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের অনুসারীরা। এখন মাঠে আছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা ও হত্যার শিকার আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের সহকর্মীরা। চট্টগ্রাম আদালত চত্বর, নিউ মার্কেট চত্বর, টাইগার পাস মোড় ও দামপাড়া ওয়াসার জমিয়তুল ফালাহ মাঠে বিক্ষোভ করেছেন তাঁরা।
২৭ নভেম্বর ২০২৪
রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। তাঁরা হলেন ইউসুফ আলী রেদওয়ান ও মো. ইয়াসিন। উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টরের পাবলিক কলেজ-সংলগ্ন জুলাই রেভেলস অফিসের ভেতরে শনিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর এ ঘটনা ঘটে। পরে তাঁদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
১ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর শান্তিনগর, মৌচাক ও মিরপুরে পৃথক স্থানে চারটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে মিরপুরে ফুটপাতের এক দোকানি আহত হয়েছেন। শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন সময় দুর্বৃত্তরা এসব ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
২ ঘণ্টা আগে
খুলনা নগরীতে অস্ত্র তৈরির একটি কারখানার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর জোড়া গেট এলাকায় অবস্থিত একটি লেদ মেশিনের কারখানায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) অভিযান চালিয়ে এর সন্ধান পায়। এ সময় তিনজনকে আটক করা হয়। এর চার ঘণ্টা পর উদ্ধার হওয়া সরঞ্জাম ডামি বলে ঘোষণা করে পুলিশ।
২ ঘণ্টা আগে