Ajker Patrika

চাঁদপুরে শিশু ধর্ষণের মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন 

চাঁদপুর প্রতিনিধি
Thumbnail image

চাঁদপুরের কচুয়ায় আট বছর বয়সী শিশু ধর্ষণের মামলায় মো. হেঞ্জু মিয়া নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে আদালত। অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার চাঁদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জান্নাতুল ফেরদৌস চৌধুরী এই রায় দেন। 

রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট সাইয়েদুল ইসলাম বাবু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মামলাটি গত পাঁচ বছর ধরে চলাকালীন আদালত ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করে এবং মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা করে আসামির উপস্থিতিতে বিচারক এই রায় দেন।’ 

যাবজ্জীবন প্রাপ্ত আসামি হেঞ্জু মিয়া (৩২) উপজেলার করাইয়া পূর্ব পাড়া আবুল হোসেন চেয়ারম্যান প্রধানিয়া বাড়ির মৃত মনু মিয়ার ছেলে। 

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৭ সালের ১৮ এপ্রিল একই উপজেলার লতিফপুর গ্রামের জনৈক ব্যক্তির আট বছর বয়সী শিশু কন্যা এবং তাঁর ছোট ভাইয়ের ছয় বছর বয়সী ছেলে নয়ন (ছদ্মনাম বোনের বাড়িতে যাওয়ার সময় শিশু নয়নের পায়ের সেন্ডেল ছিঁড়ে যায়। এ সময় আসামি হেঞ্জু মিয়া সেন্ডেল ঠিক করে দেওয়ার কথা বলে তাদের পাশে ভুট্টা খেতে নিয়ে যায়। সেখানে নয়নকে বসিয়ে রেখে কন্যা শিশুকে ধর্ষণ করে। 

ওই সময় শিশুর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে হেঞ্জু মিয়াকে আটক করে এবং মারধর করে পুলিশকে খবর দেয়। পরে কচুয়া থানার পুলিশ এসে শিশুদের উদ্ধার করে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে হেঞ্জু মিয়াকে থানায় নিয়ে যায়। পরে ভুক্তভোগী শিশুকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে পাঠায় চিকিৎসক। 

এই ঘটনায় ওই শিশুর বাবা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে কচুয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তৎকালীন কচুয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ওয়াজেদ আলী ঘটনাটি তদন্ত করে ওই বছর ২৮ মে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। 

আদালতে স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট সাইয়েদুল ইসলাম বাবুকে সহায়তা করেন সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম শাওন এবং আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন আবদুল কাদির। 

 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত