Ajker Patrika

৬০ ঘণ্টা পরও নেভেনি আগুন

সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৭ জুন ২০২২, ১৩: ০২
৬০ ঘণ্টা পরও নেভেনি আগুন

সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের বিএম কনটেইনার ডিপোর ভয়াবহ আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও এখনো সম্পূর্ণ নেভেনি। অগ্নিকাণ্ডের ৬০ ঘণ্টা পরও থেমে থেমে জ্বলছে আগুন। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর থেকে আগুন নেভাতে টানা কাজ করে যাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। পাশাপাশি আগুন নেভাতে সেনাবাহিনীর সদস্যরাও তাঁদের সঙ্গে কাজ করছেন।

ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা জানান, এখনো থেমে থেমে আগুন জ্বলতে থাকা ২৮টি কনটেইনারে পানি ছিটিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন তাঁরা। কিছুক্ষণ পানি দেওয়ার পর আগুন থেমে গেলেও পুনরায় ধোঁয়ার কুণ্ডলী সৃষ্টি হয়ে জ্বলে উঠছে আগুন।

আজ মঙ্গলবার সকালে আগুন জ্বলতে থাকা যে কনটেইনারগুলোর ওপর তারা পানি ছিটিয়ে যাচ্ছেন, তার আশপাশে রাসায়নিকভর্তি আরও কনটেইনার আছে বলে ধারণা করছেন তাঁরা। তবে রাসায়নিক ভর্তি কনটেইনার এখনো চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি। তারা মৃদুভাবে জ্বলতে থাকা কনটেইনারগুলোর ওপর পানি ছিটানোর পাশাপাশি যেসব কনটেইনারে রপ্তানি পোশাক আছে বলে মনে করছেন, তাঁরা সেগুলো দরজা খুলে পণ্যের আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন।

ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আরও জানান, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর থেকে আগুন নেভাতে তাঁরা প্রাণপণে চেষ্টা করছেন। তবে ডিপোর ভেতরে থাকা কনটেইনারগুলোতে আগুন জ্বললেও সেখানে থাকা রাসায়নিকভর্তি ঝুঁকিপূর্ণ ১২টি কনটেইনার শনাক্ত করতে পারেননি। যার ফলে ঘটনার ৬০ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনো আগুন নেভানো সম্ভব হয়নি।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, ডিপোর মূল ফটক থেকে দেড় শ মিটার দক্ষিণে স্তূপ করে রাখা কনটেইনারে থেমে থেমে আগুন জ্বলছে। আর জ্বলতে থাকা কনটেইনারগুলোর ওপর ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা অনবরত পানি ছিটিয়ে যাচ্ছেন। এ ছাড়া ডিপোর উত্তর পাশের বেশ কয়েকটি কনটেইনারে আগুন জ্বলতে দেখা না গেলেও সেগুলো থেকে অনবরত ধোঁয়ার কুণ্ডলী বেরোচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফায়ার সার্ভিসের এক সদস্য বলেন, গতকাল সোমবার মধ্যরাতে তাঁরা যখন আগুন নেভানোর কাজ করছিলেন, ঠিক তখনই জ্বলতে থাকা কনটেইনারের ভেতর থেকে নীল রঙের ছোট কেমিক্যালভর্তি একটি কনটেইনার বিস্ফোরিত হয়। এ সময় কনটেইনারটি ছিটকে তাদের সামনে এসে পড়ে। এ ঘটনায় তাদের কেউ আহত না হলেও পুনরায় বিস্ফোরণের আশঙ্কায় তাঁরা ভীত হয়ে পড়েন।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক পূর্ণ চন্দ্র মুৎসুদ্দি। তিনি জানান, ডিপোর আগুন নেভাতে রোটেশন অনুযায়ী কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। গতকাল সোমবার রাত থেকে ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিটের ৫০ জন সদস্য আগুন নেভানোর কাজ করছেন। আগুন নেভাতে ফোম জেনারেটর, কেমিক্যাল জেনারেটর ব্যবহার করা হচ্ছে। ডিপোতে কনটেইনার মোভার সংকটের কারণে কাজ করতে বেগ পাচ্ছেন তাঁরা। মোভার বাড়ানো গেলে কনটেইনার সরিয়ে অগ্নি নির্বাপণের কাজ আরও দ্রুত করা যেত।

আগুন পুরোপুরি নেভাতে আরও অনেক সময় লাগবে জানিয়ে পূর্ণ চন্দ্র বলেন, ‘মোভার সংকটের কারণে একটি কনটেইনার নামাতে ও সেটিং করতে অনেক সময় লেগে যায়। নামানোর পরে আগুনের তাপের কারণে দরজা খোলা যায় না। দেখা যায় বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দরজার লোহা বড় হয়ে গেছে। তখন দরজা কাটতে হয়। স্টিলের দরজা কাটতেও অনেক সময় লেগে যায়। এরপর এগুলোতে পানি দিয়ে আগুন নেভাতে হয়।’

সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিসের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা মো. নুরুল আলম দুলাল জানান, আগুন নেভাতে রাতভর কাজ করেছেন তাঁরা। মঙ্গলবার ভোররাতের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছিল। কিন্তু উত্তপ্ত কনটেইনারের ভেতরের পণ্যগুলো থেকে আবার আগুন ধরে যায়। কনটেইনারের আশপাশে থাকা রাসায়নিক কেমিক্যালের কনটেইনারগুলো চিহ্নিত করতে না পারায় আগুন পুরোপুরি নেভাতে বেগ পাচ্ছেন তাঁরা। তবে দ্রুততম সময়ের মধ্যে আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন।

সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ সম্পর্কিত সবশেষ খবর পেতে - এখানে ক্লিক করুন

বিস্ফোরণের এ ঘটনায় ৪১ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ২০০ জনেরও বেশি। আগুন নেভাতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের ৯ সদস্য।

এই সম্পর্কিত সর্বশেষ:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শ্রীপুরে ‘এএ ইয়ার্ন মিলস’ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা, শ্রমিকদের বিক্ষোভ

শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি  
এএ ইয়ার্ন মিলস লিমিটেড কারখানার মূল ফটকের সামনে শ্রমিকদের বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা
এএ ইয়ার্ন মিলস লিমিটেড কারখানার মূল ফটকের সামনে শ্রমিকদের বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা

গাজীপুরের শ্রীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকদের আন্দোলনের জেরে এএ ইয়ার্ন মিলস লিমিটেড কারখানাটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এই আকস্মিক বন্ধের কারণে প্রায় তিন হাজার শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। কারখানা বন্ধ ঘোষণার প্রতিবাদে শ্রমিকেরা আজ সোমবার সকাল থেকে কারখানার মূল ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন।

আজ সোমবার সকাল ১০টা থেকে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের নগরহাওলা গ্রামের এএ ইয়ার্ন মিলস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকেরা বিক্ষোভ শুরু করেন।

কারখানার শ্রমিক মিনারা আক্তার জানান, গত সেপ্টেম্বর মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে ২৩ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) কারখানার প্রায় সব শ্রমিক আন্দোলন করে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করেছিলেন। তখন পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসে বেতন পরিশোধের আশ্বাসে আন্দোলন বন্ধ করান। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, আজ সোমবার থেকে পুরোদমে কারখানা চালু হবে। কিন্তু শ্রমিকেরা কর্মস্থলে এসে দেখেন মূল ফটকের সামনে কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের নোটিশ ঝোলানো রয়েছে।

শ্রমিক শামীম বলেন, ‘দীর্ঘ বছর ধরে এই কারখানায় কাজ করছি। কয়েক মাস ধরে বেতন পরিশোধ নিয়ে টালবাহানা চলছে। হঠাৎ আন্দোলনের জেরে কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হলো। আমাদের বকেয়া বেতনসহ অন্যান্য দাবিদাওয়া না মিটিয়ে কারখানা বন্ধ করা শ্রমিকদের সঙ্গে অন্যায়।’

শ্রমিক বিলকিস বেগম হতাশা প্রকাশ করে বলেন, ‘কমপক্ষে ৯ বছর এই কারখানায় কর্মরত। শেষ বয়সে এসে চাকরি হারানোর মতো অবস্থা। এই বয়সে অন্য কোনো কারখানায় চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। আমাদের বেতন-ভাতা কোনো কিছু পরিশোধ না করেই হঠাৎ বন্ধের নোটিশ দিয়েছে। গত ২৩ তারিখ আমরা ন্যায্য দাবির জন্য আন্দোলন করতে গিয়ে অনেকে পুলিশের লাঠিপেটা, টিয়ারগ্যাস ও রাবার বুলেট খেয়েছি। আমাদের কী অপরাধ?’

এএ ইয়ার্ন মিলস লিমিটেড কারখানার মূল ফটকের সামনে শ্রমিকদের বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা
এএ ইয়ার্ন মিলস লিমিটেড কারখানার মূল ফটকের সামনে শ্রমিকদের বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা

এএ ইয়ার্ন মিলস লিমিটেড কারখানার মানবসম্পদ কর্মকর্তা মো. মনির হোসেন ভাঙচুরের অভিযোগ তুলেছেন। তিনি বলেন, ‘২৩ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকেরা কারখানার গুরুত্বপূর্ণ মেশিন ভাঙচুর করেছে। এ অবস্থায় কারখানা চালানো সম্ভব নয়। মালিকপক্ষ কারখানা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং সে মোতাবেক বাংলাদেশ শ্রম আইনের ধারা ১৩(১) অনুসারে কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করা হয়েছে।’

শিল্প পুলিশের ইন্সপেক্টর আব্দুল লতিফ বলেন, ‘খবর পেয়ে সকাল থেকেই কারখানার নিরাপত্তায় আমরা রয়েছি। শ্রমিকেরা কারখানার মূল ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন। ইতিমধ্যে কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সমস্যা সমাধানের জন্য দুই ঘণ্টার সময় নিয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

উচ্ছেদচেষ্টার প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অধিকাংশ ফার্মেসি বন্ধ, ভোগান্তি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের অধিকাংশ ফার্মেসি বন্ধ। ছবি: আজকের পত্রিকা
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের অধিকাংশ ফার্মেসি বন্ধ। ছবি: আজকের পত্রিকা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের সামনে থেকে দোকান উচ্ছেদ অভিযানের প্রতিবাদ জানিয়ে জেলা শহরে অনির্দিষ্টকালের জন্য ওষুধের ফার্মেসি বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। আজ সোমবার সকাল থেকে এই ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করছেন তাঁরা। তবে টি রোড, কালীবাড়ি, স্টেশন রোড ও কাউতলী এলাকার কিছু ফার্মেসি খোলা রয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতি পৌর শাখার সভাপতি নূরে আলম সিদ্দিকী জানান, ১৯৮৩ সাল থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহিলা কলেজের আশপাশের এই দোকানগুলো তাঁরা ভাড়া নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন এবং নিয়মিত ভাড়া পরিশোধ করছেন।

তিনি অভিযোগ করেন, ‘অথচ বর্তমানে আমাদের অবৈধ আখ্যা দিয়ে জোরপূর্বক উচ্ছেদের চেষ্টা করা হচ্ছে, যা অমানবিক ও অবৈধ। আমরা অবিলম্বে উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ এবং ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ন্যায়সংগত সমাধান চাই।’

তিনি আরও জানান, এ নিয়ে কয়েক দিন ধরে তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে আসছেন। কিন্তু প্রতিকার না পেয়ে সোমবার থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের সব ফার্মেসি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একই সঙ্গে ব্যবসায়ীরা অবস্থান কর্মসূচিও পালন করছেন।

এদিকে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের সামনের অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করে নতুন ও দৃষ্টিনন্দন ফটক নির্মাণের দাবিতে কয়েক দিন ধরে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছে কলেজের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, কলেজের সামনের বাণিজ্যিক স্থাপনাগুলোর কারণে তাঁদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে এবং চলাচলের সময় তাঁরা নানাভাবে হেনস্তার শিকার হচ্ছেন।

এই ধর্মঘটের ফলে জেলা শহরের প্রায় এক হাজার ফার্মেসির বেশির ভাগ বন্ধ রয়েছে, যার কারণে জরুরি ওষুধ কিনতে এসে রোগী ও সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হঠাৎ পদত্যাগ করলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ব‌রিশাল
অধ্যাপক ড. মো. মুহ‌সিন। ছবি: সংগৃহীত
অধ্যাপক ড. মো. মুহ‌সিন। ছবি: সংগৃহীত

ব‌রিশাল বিশ্ব‌বিদ‌্যাল‌য়ের রে‌জিস্ট্রার (অতিরিক্ত দা‌য়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. মুহ‌সিন উদ্দীন পদত‌্যাগ ক‌রে‌ছেন। আজ সোমবার সকা‌লে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তৌ‌ফিক আলমের দপ্ত‌রে তিনি পদত‌্যাগপত্র জমা দি‌য়ে‌ছেন।

অধ্যাপক ড. মো. মুহসিন উদ্দীন এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, রোববারই তিনি উপাচার্যকে পদত্যাগের কথা জানিয়েছিলেন এবং আজ আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।

পদত্যাগের কারণ প্রসঙ্গে অধ্যাপক মুহসিন জানান, সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) বাজেট টিম বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনের সময় ১৭টি ‘অবজার্ভেশন’ (পর্যবেক্ষণ) দিয়েছে। এর মধ্যে চারটি পর্যবেক্ষণ সরাসরি রেজিস্ট্রার-সংক্রান্ত। এই পর্যবেক্ষণগুলো ছিল—কেন রেজিস্ট্রার অধ্যাপক হয়েও সিন্ডিকেট সদস্য ও একাডেমিক সদস্য? কেন তিনি আবাসিক কর্মকর্তা হিসেবে ক্যাম্পাসের ভেতরে থাকেন না? কেন রেজিস্ট্রার গাড়ি ব্যবহার করেন?

রেজিস্ট্রার জানান, এসব কারণে তিনি মনে করেন এই পদে থাকা উচিত হবে না। যে কারণে তিনি পদত্যাগ করেছেন। চলতি বছরের ২১ মে ড. মুহসিন রেজিস্ট্রার হিসেবে যোগদান করেন। ছয় মাস পর্যন্ত এ পদে থাকার কথা থাকলেও তার আগেই পদত্যাগ করলেন তিনি।

এ ব্যাপারে জানতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তৌফিক আলমকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

তবে উপাচার্যের পিএস টু ভিসি মুহাম্মদ মিজানুর রহমান আজ‌কের প‌ত্রিকা‌কে ব‌লেন, ‘আমি শু‌নে‌ছি রে‌জিস্ট্রার পদত‌্যাগপত্র জমা দি‌য়ে‌ছেন, কিন্তু দে‌খিনি।’ উপাচার্য প্রস‌ঙ্গে ব‌লেন, ‘স‌্যার এক‌টি সভায় আছেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হবিগঞ্জে বাস উল্টে খাদে পড়ে ১ জন নিহত, আহত ২০

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি   
মাধবপুর উপজেলার বেজুড়া এলাকায় ট্রাকের ধাক্কায় গভীর খাদে পড়ে যায় বাস। ছবি: আজকের পত্রিকা
মাধবপুর উপজেলার বেজুড়া এলাকায় ট্রাকের ধাক্কায় গভীর খাদে পড়ে যায় বাস। ছবি: আজকের পত্রিকা

হবিগঞ্জের মাধবপুরে মাজার জিয়ারত শেষে বাড়ি ফেরার পথে বাস উল্টে খাদে পড়ে বাদল মিয়া (৪০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন যাত্রী। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বেজুড়া নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত বাদল মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার বীরপাশা গ্রামের পল্টু মিয়ার ছেলে। আহতদের সবাই একই এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।

পুলিশ জানায়, রোববার হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার এক মাজারে জিয়ারত শেষে ভোরে দিগন্ত পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসে করে বাড়ি ফিরছিলেন বাদল। বাসটি মাধবপুর উপজেলার বেজুড়া এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক বাসটিকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এর ফলে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কের পাশের গভীর খাদে পড়ে যায়। এতে বাসের নিচে অনেক যাত্রী আটকা পড়েন এবং বাদল মিয়া ঘটনাস্থলেই মারা যান।

দুর্ঘটনার খবর পেয়ে মাধবপুর ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে। আহতদের উদ্ধার করে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়।

শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু তাহের দেওয়ান দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত