জমির উদ্দিন, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে কোটা আন্দোলনে সংঘর্ষের ঘটনায় ২৭ মামলায় ৩০ হাজারের বেশি আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত অন্তত ১ হাজার জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে আন্দোলনে পুলিশের সামনে অস্ত্র ব্যবহার করা আটজনের কারও বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এমনকি এক শ্রমিক ও পাঁচ ছাত্র হত্যার ঘটনায় কোনো মামলাও করেনি পুলিশ।
গত ১৬ জুলাই চট্টগ্রাম নগরের মুরাদপুর ও ১৮ জুলাই নগরের বহদ্দারহাটে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা–কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। চট্টগ্রাম নগরে পৃথক সহিংসতায় তাৎক্ষণিক পাঁচজন, পরে একজনসহ ছয়জন নিহত হন। এসব ঘটনায় আহত হয় দুই শতাধিক মানুষ। যাদের মধ্যে ৮০ ভাগই গুলিবিদ্ধ।
গত বুধবার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তছলিম উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, চট্টগ্রামে আহত ১৬ জনের মধ্যে একজন আইসিইউতে চিকিৎসাধীন। তাঁর অবস্থা শঙ্কামুক্ত নয়। কয়েক দিনের সংঘর্ষের ঘটনায় আহত মোট ২০৮ জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানান তিনি।
১৬ জুলাই নগরের মুরাদপুরে মারা যাওয়া তিনজন হলেন— চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ওয়াসিম আকরাম। তিনি কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার মেহেরনামা এলাকার সবুর আলমের ছেলে। অপরজন ফারুক, তিনি পথচারী ছিলেন। তাঁর বাড়ি কুমিল্লায়। তিনি ফার্নিচারের দোকানে কাজ করতেন। আরেকজন চট্টগ্রাম নগরের ওমরগণি এমইএস কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মো. ফয়সাল আহমেদ শান্ত।
১৮ জুলাই (বৃহস্পতিবার) বহদ্দারহাটে সংঘর্ষে তিনজন নিহত হন। তাঁরা হলেন— চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র হৃদয় চন্দ্র তরুয়া। তিনি পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার রতন চন্দ্র তরুয়ার একমাত্র ছেলে। আরেকজন তানভীর আহমেদ (১৯)। তিনি মহেশখালীর নোয়াপাড়া এলাকার বাদশা মিয়ার ছেলে। তিনি আশেকানিয়া ডিগ্রি কলেজের মানবিক বিভাগের ছাত্র ছিলেন। অপরজন সন্দ্বীপের হারামিয়া ইউনিয়নের বিধবা রহিমা বেগমের ছোট ছেলে সাইমন হোসেন (১৯)। তিনি নগরের বহদ্দারহাটে একটি মুদিদোকানে কাজ করতেন।
আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে ৮ অস্ত্রধারীর গুলি
সারা দেশে শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে ১৬ জুলাই বেলা ৩টার দিকে চট্টগ্রামের মুরাদপুরে জড়ো হন কোটা আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। বেলা সাড়ে ৩টার দিকে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা–কর্মীরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াও হন। এ সময় সংঘর্ষের মধ্যে শিক্ষার্থীদের মিছিল লক্ষ্য করে চার ব্যক্তিকে গুলি ছুড়তে দেখা যায়। তাতে তিনজন নিহত হন। আহত হন অন্তত ৩০ জন। গুলি করা সেই চার ব্যক্তির মধ্যে একজন মো. ফিরোজ। তিনি মহানগর যুবলীগের কর্মী। অন্যজন মো. দেলোয়ার স্বেচ্ছাসেবক লীগের সংগঠক। ফিরোজ রিভলবার নিয়ে এবং দেলোয়ার শটগান নিয়ে গুলি করেন। বাকি দুজন এইচ এম মিঠু ও মো. জাফর। তাঁরা দুজনও যুবলীগের কর্মী বলে জানা গেছে। তাঁদের রিভলবার নিয়ে গুলি করতে দেখা গেছে। আজকের পত্রিকার হাতে আসা বেশ কয়েকটি ছবি যাচাই করে এসব তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যুবলীগের ফিরোজ একসময় ছাত্র শিবিরের ক্যাডার ছিলেন। মুরাদপুরের ত্রাস ছিলেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে থানায় একাধিক হত্যা মামলা রয়েছে। সর্বশেষ চট্টগ্রামের আলোচিত স্কুলছাত্রী তাসফিয়া আমিন হত্যা মামলার অন্যতম আসামি তিনি। এ বিষয়ে মো. ফিরোজের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি মিছিলে গুলি করার কথা অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘রিভলবার হাতে ওই ব্যক্তি আমি না।’ তবে যুবলীগের বেশ কয়েকজন জানিয়েছেন, রিভলবার হাতে ওই ব্যক্তি ফিরোজই।
১৮ জুলাই সরেজমিন দেখা যায়, দুপুর থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বহদ্দারহাট মোড়ে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় ছাত্রদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন চার অস্ত্রধারী। হামলাকারীরা সরকারদলীয় স্লোগান দিয়েছেন। বেশ কয়েকটি গ্রুপ ছাত্রদের ওপর হামলা করেছেন। কালো টি শার্ট ও নীল গেঞ্জি পরা দুজনকে একটি শটগান দিয়ে গুলি করতে দেখা গেছে। বহদ্দারহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের সামনে একটি গ্রুপ থেকে ওই দুজন গুলি ছোড়েন। আরও দুজন রিভলবার দিয়ে গুলি করেছেন। এর মধ্যে হেলমেট ও সাদা গেঞ্জি পরা একজন রিভলবার দিয়ে গুলি ছুড়েছেন। তিনি চান্দগাঁও থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি মহিউদ্দিন ফরহাদ। তাঁর সঙ্গে আরও একজন রিয়াল মাদ্রিদের গেঞ্জি-ক্যাপ ও মুখোশ পরে রিভলবার দিয়ে গুলি ছুড়েছেন। তিনি মো. জালাল। আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। অন্যজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম আজকের পত্রিকাকে অস্ত্রধারীদের নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। এখন পর্যন্ত এই আট অস্ত্রধারীর বিরুদ্ধে কোনো মামলা হয়নি। গ্রেপ্তার বা অস্ত্রও উদ্ধার হয়নি।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) কাজী মো. তারেক আজিজ বলেন, এখন পর্যন্ত চট্টগ্রাম নগরীতে সহিংসতার অভিযোগে করা মামলায় ৩৭৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে সর্বশেষ গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৪৬ জনকে। চট্টগ্রাম নগরীতে হওয়া ১৬টি মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আবু তৈয়ব মো. আরিফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, কোটা আন্দোলন নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় চট্টগ্রাম জেলার ১০টি থানায় ১১টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় এখন পর্যন্ত ৩৩৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা বিভিন্ন দলের নেতা–কর্মী বলে জানান তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মামলায় বেশির ভাগই অজ্ঞাতপরিচয় আসামি হিসেবে দেখানো হয়েছে। তবে যাঁরা গ্রেপ্তার হচ্ছেন, তাঁদের বেশির ভাগই বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল, জামায়াত, শিবির ও বাম সংগঠনের নেতা–কর্মী। অবশ্য পুলিশ দাবি করছে, ঘটনার সময় সিসিটিভি ফুটেজে পাওয়াসহ বিভিন্ন তথ্য–উপাত্তের ভিত্তিতে আসামিদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বে থাকা মো. ইদ্রিস আলী বলেন, ১৬ জুলাই থেকে বিএনপি, যুবদল, কৃষক দলসহ তাঁদের ৩১০ জন নেতা-কর্মীকে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি বলেন, ‘আন্দোলনটি ছাত্রদের ছিল। ওই আন্দোলনের সঙ্গে বিএনপি কোনোভাবেই যুক্ত ছিল না। এরপরও হয়রানির উদ্দেশ্যে আমাদের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। থানায় থানায় নিরীহ মানুষকে গ্রেপ্তারের প্রতিযোগিতা চলছে।’

চট্টগ্রামে কোটা আন্দোলনে সংঘর্ষের ঘটনায় ২৭ মামলায় ৩০ হাজারের বেশি আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত অন্তত ১ হাজার জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে আন্দোলনে পুলিশের সামনে অস্ত্র ব্যবহার করা আটজনের কারও বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এমনকি এক শ্রমিক ও পাঁচ ছাত্র হত্যার ঘটনায় কোনো মামলাও করেনি পুলিশ।
গত ১৬ জুলাই চট্টগ্রাম নগরের মুরাদপুর ও ১৮ জুলাই নগরের বহদ্দারহাটে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা–কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। চট্টগ্রাম নগরে পৃথক সহিংসতায় তাৎক্ষণিক পাঁচজন, পরে একজনসহ ছয়জন নিহত হন। এসব ঘটনায় আহত হয় দুই শতাধিক মানুষ। যাদের মধ্যে ৮০ ভাগই গুলিবিদ্ধ।
গত বুধবার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তছলিম উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, চট্টগ্রামে আহত ১৬ জনের মধ্যে একজন আইসিইউতে চিকিৎসাধীন। তাঁর অবস্থা শঙ্কামুক্ত নয়। কয়েক দিনের সংঘর্ষের ঘটনায় আহত মোট ২০৮ জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানান তিনি।
১৬ জুলাই নগরের মুরাদপুরে মারা যাওয়া তিনজন হলেন— চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ওয়াসিম আকরাম। তিনি কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার মেহেরনামা এলাকার সবুর আলমের ছেলে। অপরজন ফারুক, তিনি পথচারী ছিলেন। তাঁর বাড়ি কুমিল্লায়। তিনি ফার্নিচারের দোকানে কাজ করতেন। আরেকজন চট্টগ্রাম নগরের ওমরগণি এমইএস কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মো. ফয়সাল আহমেদ শান্ত।
১৮ জুলাই (বৃহস্পতিবার) বহদ্দারহাটে সংঘর্ষে তিনজন নিহত হন। তাঁরা হলেন— চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র হৃদয় চন্দ্র তরুয়া। তিনি পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার রতন চন্দ্র তরুয়ার একমাত্র ছেলে। আরেকজন তানভীর আহমেদ (১৯)। তিনি মহেশখালীর নোয়াপাড়া এলাকার বাদশা মিয়ার ছেলে। তিনি আশেকানিয়া ডিগ্রি কলেজের মানবিক বিভাগের ছাত্র ছিলেন। অপরজন সন্দ্বীপের হারামিয়া ইউনিয়নের বিধবা রহিমা বেগমের ছোট ছেলে সাইমন হোসেন (১৯)। তিনি নগরের বহদ্দারহাটে একটি মুদিদোকানে কাজ করতেন।
আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে ৮ অস্ত্রধারীর গুলি
সারা দেশে শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে ১৬ জুলাই বেলা ৩টার দিকে চট্টগ্রামের মুরাদপুরে জড়ো হন কোটা আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। বেলা সাড়ে ৩টার দিকে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা–কর্মীরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াও হন। এ সময় সংঘর্ষের মধ্যে শিক্ষার্থীদের মিছিল লক্ষ্য করে চার ব্যক্তিকে গুলি ছুড়তে দেখা যায়। তাতে তিনজন নিহত হন। আহত হন অন্তত ৩০ জন। গুলি করা সেই চার ব্যক্তির মধ্যে একজন মো. ফিরোজ। তিনি মহানগর যুবলীগের কর্মী। অন্যজন মো. দেলোয়ার স্বেচ্ছাসেবক লীগের সংগঠক। ফিরোজ রিভলবার নিয়ে এবং দেলোয়ার শটগান নিয়ে গুলি করেন। বাকি দুজন এইচ এম মিঠু ও মো. জাফর। তাঁরা দুজনও যুবলীগের কর্মী বলে জানা গেছে। তাঁদের রিভলবার নিয়ে গুলি করতে দেখা গেছে। আজকের পত্রিকার হাতে আসা বেশ কয়েকটি ছবি যাচাই করে এসব তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যুবলীগের ফিরোজ একসময় ছাত্র শিবিরের ক্যাডার ছিলেন। মুরাদপুরের ত্রাস ছিলেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে থানায় একাধিক হত্যা মামলা রয়েছে। সর্বশেষ চট্টগ্রামের আলোচিত স্কুলছাত্রী তাসফিয়া আমিন হত্যা মামলার অন্যতম আসামি তিনি। এ বিষয়ে মো. ফিরোজের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি মিছিলে গুলি করার কথা অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘রিভলবার হাতে ওই ব্যক্তি আমি না।’ তবে যুবলীগের বেশ কয়েকজন জানিয়েছেন, রিভলবার হাতে ওই ব্যক্তি ফিরোজই।
১৮ জুলাই সরেজমিন দেখা যায়, দুপুর থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বহদ্দারহাট মোড়ে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় ছাত্রদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন চার অস্ত্রধারী। হামলাকারীরা সরকারদলীয় স্লোগান দিয়েছেন। বেশ কয়েকটি গ্রুপ ছাত্রদের ওপর হামলা করেছেন। কালো টি শার্ট ও নীল গেঞ্জি পরা দুজনকে একটি শটগান দিয়ে গুলি করতে দেখা গেছে। বহদ্দারহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের সামনে একটি গ্রুপ থেকে ওই দুজন গুলি ছোড়েন। আরও দুজন রিভলবার দিয়ে গুলি করেছেন। এর মধ্যে হেলমেট ও সাদা গেঞ্জি পরা একজন রিভলবার দিয়ে গুলি ছুড়েছেন। তিনি চান্দগাঁও থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি মহিউদ্দিন ফরহাদ। তাঁর সঙ্গে আরও একজন রিয়াল মাদ্রিদের গেঞ্জি-ক্যাপ ও মুখোশ পরে রিভলবার দিয়ে গুলি ছুড়েছেন। তিনি মো. জালাল। আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। অন্যজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম আজকের পত্রিকাকে অস্ত্রধারীদের নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। এখন পর্যন্ত এই আট অস্ত্রধারীর বিরুদ্ধে কোনো মামলা হয়নি। গ্রেপ্তার বা অস্ত্রও উদ্ধার হয়নি।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) কাজী মো. তারেক আজিজ বলেন, এখন পর্যন্ত চট্টগ্রাম নগরীতে সহিংসতার অভিযোগে করা মামলায় ৩৭৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে সর্বশেষ গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৪৬ জনকে। চট্টগ্রাম নগরীতে হওয়া ১৬টি মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আবু তৈয়ব মো. আরিফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, কোটা আন্দোলন নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় চট্টগ্রাম জেলার ১০টি থানায় ১১টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় এখন পর্যন্ত ৩৩৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা বিভিন্ন দলের নেতা–কর্মী বলে জানান তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মামলায় বেশির ভাগই অজ্ঞাতপরিচয় আসামি হিসেবে দেখানো হয়েছে। তবে যাঁরা গ্রেপ্তার হচ্ছেন, তাঁদের বেশির ভাগই বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল, জামায়াত, শিবির ও বাম সংগঠনের নেতা–কর্মী। অবশ্য পুলিশ দাবি করছে, ঘটনার সময় সিসিটিভি ফুটেজে পাওয়াসহ বিভিন্ন তথ্য–উপাত্তের ভিত্তিতে আসামিদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বে থাকা মো. ইদ্রিস আলী বলেন, ১৬ জুলাই থেকে বিএনপি, যুবদল, কৃষক দলসহ তাঁদের ৩১০ জন নেতা-কর্মীকে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি বলেন, ‘আন্দোলনটি ছাত্রদের ছিল। ওই আন্দোলনের সঙ্গে বিএনপি কোনোভাবেই যুক্ত ছিল না। এরপরও হয়রানির উদ্দেশ্যে আমাদের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। থানায় থানায় নিরীহ মানুষকে গ্রেপ্তারের প্রতিযোগিতা চলছে।’

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের সার্ভিস রোড দখল এবং পুলিশের চাঁদাবাজি ও মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ করেছেন অটোরিকশাচালকেরা।
২ মিনিট আগে
নেত্রকোনার খালিয়াজুরীতে ধনু নদে মাছ ধরতে যাওয়া জেলের নৌকা আটকিয়ে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় শ্রমিক দল নেতা কামরুল মিয়ার বিরুদ্ধে।
১২ মিনিট আগে
মিয়ানমার থেকে আবারও একটি গুলি এসে সীমান্তবর্তী কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নে বসতঘরে পড়েছে। আজ রোববার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে আমতলী এলাকার বাসিন্দা আইয়ুব ইসলামের বসতঘরের টিনের চালা ভেদ করে গুলিটি। তবে এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। এর আগে গতকাল শনিবার বিকেলে মিয়ানমার থেকে আসা...
২৩ মিনিট আগে
কানাইঘাট সীমান্তে ভারতীয় খাসিয়াদের গুলিতে শাকিল আহমদ (২১) নামের এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। আজ রোববার উপজেলার লক্ষ্মীপ্রসাদ পূর্ব ইউনিয়নের ডোনা সীমান্তবর্তী ১৩৩৪ নম্বর মেইন পিলারসংলগ্ন ভারতের অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটে।
৩৪ মিনিট আগেকালিয়াকৈর (গাজীপুর) সংবাদদাতা

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের সার্ভিস রোড দখল এবং পুলিশের চাঁদাবাজি ও মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ করেছেন অটোরিকশাচালকেরা। আজ রোববার দুপুরে উপজেলার পল্লী বিদ্যুৎ জোড়াপাম্প ও চন্দ্রা এলাকায় বিক্ষুব্ধ চালকেরা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।
এতে মহাসড়কে প্রায় এক ঘণ্টা যানবাহন আটকে পড়ে। ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।
এলাকাবাসী, অটোরিকশাচালক ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিদিন ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক দিয়ে উত্তরবঙ্গমুখী হাজারো যানবাহন চলাচল করে। কিন্তু ওই মহাসড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অটোরিকশা। এসব অটোরিকশার কারণে বাড়ছে মহাসড়কে প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা। এদিকে মহাসড়কের সার্ভিস রোড ও ফুটপাত দখল করে অবৈধভাবে হাটবাজার বসছে। উপজেলার মৌচাক, সফিপুর, পল্লী বিদ্যুৎ, জোড়াপাম্প, চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় সবচেয়ে বেশি হাটবাজার বসছে। অটোরিকশাচালকদের অভিযোগ, অবৈধ হাটবাজারে কারণে সার্ভিস রোড বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাধ্য হয়ে অটোরিকশা নিয়ে মহাসড়কে উঠছেন তাঁরা। আর মহাসড়কে অটোরিকশা চালাতে গিয়ে হয়রানির মুখে পড়ছেন তাঁরা। বিভিন্ন স্থানে পুলিশ অটোরিকশা আটকে মামলা দিচ্ছে। অটোরিকশা থামিয়ে চাঁদাবাজিও করছেন পুলিশের অসাধু কিছু সদস্য।
অটোরিকশাচালক আলমগীর হোসেন, বিল্লাল হোসেন, আরমান মিয়া, নুরু মিয়া, বাবুল হোসেনসহ অনেকে বলেন, ‘মহাসড়কে অটোরিকশা চলাচল নিষিদ্ধ, এটা আমরা জানি। কিন্তু আমরা চলব কীভাবে? পেটের দায়ে অটোরিকশা চালাই। আমরা সার্ভিস রোড দিয়ে অটোরিকশা চলাচলের সুযোগ চাই। আর মহাসড়কে পুলিশ অটোরিকশা ধরলেই ২ হাজার ৬০০ টাকার মামলা দিচ্ছে। ওই মামলার টাকা পরিশোধে অক্ষম হয়ে অনেকেই পুলিশকে চাঁদা দিতে বাধ্য হন। চাঁদা না দিয়ে চলতে গেলেও নানাভাবে হয়রানির শিকার হতে হয়। অটোরিকশা চলার জন্য সার্ভিস রোড আছে। কিন্তু সেটা দখল করে হাটবাজার বসায় বাধ্য হয়ে অটোরিকশা মহাসড়কে ওঠাতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে নাওজোড় হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাওগাত উল আলম বলেন, ‘কয়েকজন অটোরিকশাচালক মহাসড়ক অবরোধের চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়। এ ছাড়া সার্ভিস রোড ও ফুটপাত দখল করে যাঁরা আছেন, তাঁরাও অবৈধভাবে আছেন। খুব তাড়াতাড়ি দখলকারীদের উচ্ছেদ করে সার্ভিস রোড ও ফুটপাত দখলমুক্ত করা হবে। কিন্তু ওই সার্ভিস রোডেও অটোরিকশা ওঠার নিয়ম নেই।’ অটোরিকশা আটকে পুলিশের টাকা আদায়ের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের কেউ এভাবে টাকা নিলে তার তথ্যপ্রমাণ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের সার্ভিস রোড দখল এবং পুলিশের চাঁদাবাজি ও মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ করেছেন অটোরিকশাচালকেরা। আজ রোববার দুপুরে উপজেলার পল্লী বিদ্যুৎ জোড়াপাম্প ও চন্দ্রা এলাকায় বিক্ষুব্ধ চালকেরা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।
এতে মহাসড়কে প্রায় এক ঘণ্টা যানবাহন আটকে পড়ে। ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।
এলাকাবাসী, অটোরিকশাচালক ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিদিন ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক দিয়ে উত্তরবঙ্গমুখী হাজারো যানবাহন চলাচল করে। কিন্তু ওই মহাসড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অটোরিকশা। এসব অটোরিকশার কারণে বাড়ছে মহাসড়কে প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা। এদিকে মহাসড়কের সার্ভিস রোড ও ফুটপাত দখল করে অবৈধভাবে হাটবাজার বসছে। উপজেলার মৌচাক, সফিপুর, পল্লী বিদ্যুৎ, জোড়াপাম্প, চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় সবচেয়ে বেশি হাটবাজার বসছে। অটোরিকশাচালকদের অভিযোগ, অবৈধ হাটবাজারে কারণে সার্ভিস রোড বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাধ্য হয়ে অটোরিকশা নিয়ে মহাসড়কে উঠছেন তাঁরা। আর মহাসড়কে অটোরিকশা চালাতে গিয়ে হয়রানির মুখে পড়ছেন তাঁরা। বিভিন্ন স্থানে পুলিশ অটোরিকশা আটকে মামলা দিচ্ছে। অটোরিকশা থামিয়ে চাঁদাবাজিও করছেন পুলিশের অসাধু কিছু সদস্য।
অটোরিকশাচালক আলমগীর হোসেন, বিল্লাল হোসেন, আরমান মিয়া, নুরু মিয়া, বাবুল হোসেনসহ অনেকে বলেন, ‘মহাসড়কে অটোরিকশা চলাচল নিষিদ্ধ, এটা আমরা জানি। কিন্তু আমরা চলব কীভাবে? পেটের দায়ে অটোরিকশা চালাই। আমরা সার্ভিস রোড দিয়ে অটোরিকশা চলাচলের সুযোগ চাই। আর মহাসড়কে পুলিশ অটোরিকশা ধরলেই ২ হাজার ৬০০ টাকার মামলা দিচ্ছে। ওই মামলার টাকা পরিশোধে অক্ষম হয়ে অনেকেই পুলিশকে চাঁদা দিতে বাধ্য হন। চাঁদা না দিয়ে চলতে গেলেও নানাভাবে হয়রানির শিকার হতে হয়। অটোরিকশা চলার জন্য সার্ভিস রোড আছে। কিন্তু সেটা দখল করে হাটবাজার বসায় বাধ্য হয়ে অটোরিকশা মহাসড়কে ওঠাতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে নাওজোড় হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাওগাত উল আলম বলেন, ‘কয়েকজন অটোরিকশাচালক মহাসড়ক অবরোধের চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়। এ ছাড়া সার্ভিস রোড ও ফুটপাত দখল করে যাঁরা আছেন, তাঁরাও অবৈধভাবে আছেন। খুব তাড়াতাড়ি দখলকারীদের উচ্ছেদ করে সার্ভিস রোড ও ফুটপাত দখলমুক্ত করা হবে। কিন্তু ওই সার্ভিস রোডেও অটোরিকশা ওঠার নিয়ম নেই।’ অটোরিকশা আটকে পুলিশের টাকা আদায়ের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের কেউ এভাবে টাকা নিলে তার তথ্যপ্রমাণ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

চট্টগ্রামে কোটা আন্দোলনে সংঘর্ষের ঘটনায় ২৭ মামলায় ৩০ হাজারের বেশি মানুষকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত অন্তত ১ হাজার আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে আন্দোলনে পুলিশের সামনে অস্ত্র ব্যবহার করা আট অস্ত্রধারীর কারও বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এমনকি এক শ্রমিক ও পাঁচ ছাত্র
২৬ জুলাই ২০২৪
নেত্রকোনার খালিয়াজুরীতে ধনু নদে মাছ ধরতে যাওয়া জেলের নৌকা আটকিয়ে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় শ্রমিক দল নেতা কামরুল মিয়ার বিরুদ্ধে।
১২ মিনিট আগে
মিয়ানমার থেকে আবারও একটি গুলি এসে সীমান্তবর্তী কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নে বসতঘরে পড়েছে। আজ রোববার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে আমতলী এলাকার বাসিন্দা আইয়ুব ইসলামের বসতঘরের টিনের চালা ভেদ করে গুলিটি। তবে এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। এর আগে গতকাল শনিবার বিকেলে মিয়ানমার থেকে আসা...
২৩ মিনিট আগে
কানাইঘাট সীমান্তে ভারতীয় খাসিয়াদের গুলিতে শাকিল আহমদ (২১) নামের এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। আজ রোববার উপজেলার লক্ষ্মীপ্রসাদ পূর্ব ইউনিয়নের ডোনা সীমান্তবর্তী ১৩৩৪ নম্বর মেইন পিলারসংলগ্ন ভারতের অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটে।
৩৪ মিনিট আগেনেত্রকোনা প্রতিনিধি

নেত্রকোনার খালিয়াজুরীতে ধনু নদে মাছ ধরতে যাওয়া জেলের নৌকা আটকিয়ে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় শ্রমিক দল নেতা কামরুল মিয়ার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী জেলে মো. মামুন মিয়া গতকাল শনিবার খালিয়াজুরী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এতে শ্রমিক দল নেতা কামরুলসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন তিনি।
অভিযুক্ত কামরুল মিয়া উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সভাপতি। তিনি উপজেলার পাঁচহাট গ্রামের বাসিন্দা। অন্য অভিযুক্তরাও একই গ্রামের বাসিন্দা। অভিযোগকারী জেলে মামুন মিয়াও একই গ্রামের আব্দুল আওয়ালের ছেলে।
থানায় অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মামুন মিয়া ধনু নদে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন। পাঁচহাট গ্রামে ধনু নদে কামরুল মিয়াসহ কয়েক ব্যক্তি অবৈধভাবে বাঁশের ঘের দিয়ে মিম (মাছের আবাসস্থল) তৈরি করে রেখেছেন। স্থানীয় জেলেরা সেখানে মাছ ধরতে গেলে তাঁরা বাধা দেন। গতকাল দুপুরে মামুন নৌকা, জাল ও বড়শি নিয়ে নদীতে মাছ ধরতে গেলে অভিযুক্তরা তাঁকে বাধা দিয়ে ঘের থেকে ৩০০ মিটার দূরে গিয়ে মাছ ধরতে বলেন। তিনি এতে আপত্তি জানালে অভিযুক্তরা ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁর ইঞ্জিনচালিত নৌকা, জাল ও বড়শি জোর করে নিয়ে যান এবং নিজেদের ঘাটে আটক রাখেন। এ সময় তাঁরা পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। টাকা না দিলে নৌকা ফেরত দেওয়া হবে না বলে হুমকি দেন। এ ছাড়া, ঘটনার আগের দিন একই এলাকায় মামুন মিয়ার সহযোগী এক বড়শিওয়ালাকেও মারধর করে তাঁর কাছ থেকে নগদ ১০ হাজার টাকা ও বড়শি ছিনিয়ে নেন কামরুল ও সহযোগীরা।
এ ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত কামরুল মিয়ার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
এদিকে উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি আলী উসমান বলেন, ‘অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা। মামুন আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেন। অনেক বছর তিনি ধনু নদে চাঁদাবাজিসহ আমাদের দলের নেতা-কর্মীদের হয়রানি করেছেন। মামুনের কাছে এক ব্যক্তি টাকা পান, সেই কারণে ওই ব্যক্তি তাঁর নৌকা আটক করেছিলেন। এখন তিনি প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে আমাদের শ্রমিক দলের নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। এই মিথ্যা অভিযোগের বিষয়ে স্থানীয় সবাই অবগত রয়েছেন।’
অভিযোগ তদন্তের দায়িত্বে রয়েছেন খালিয়াজুরী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফেরদৌস রহমান। আজ রোববার তিনি বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

নেত্রকোনার খালিয়াজুরীতে ধনু নদে মাছ ধরতে যাওয়া জেলের নৌকা আটকিয়ে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় শ্রমিক দল নেতা কামরুল মিয়ার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী জেলে মো. মামুন মিয়া গতকাল শনিবার খালিয়াজুরী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এতে শ্রমিক দল নেতা কামরুলসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন তিনি।
অভিযুক্ত কামরুল মিয়া উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সভাপতি। তিনি উপজেলার পাঁচহাট গ্রামের বাসিন্দা। অন্য অভিযুক্তরাও একই গ্রামের বাসিন্দা। অভিযোগকারী জেলে মামুন মিয়াও একই গ্রামের আব্দুল আওয়ালের ছেলে।
থানায় অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মামুন মিয়া ধনু নদে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন। পাঁচহাট গ্রামে ধনু নদে কামরুল মিয়াসহ কয়েক ব্যক্তি অবৈধভাবে বাঁশের ঘের দিয়ে মিম (মাছের আবাসস্থল) তৈরি করে রেখেছেন। স্থানীয় জেলেরা সেখানে মাছ ধরতে গেলে তাঁরা বাধা দেন। গতকাল দুপুরে মামুন নৌকা, জাল ও বড়শি নিয়ে নদীতে মাছ ধরতে গেলে অভিযুক্তরা তাঁকে বাধা দিয়ে ঘের থেকে ৩০০ মিটার দূরে গিয়ে মাছ ধরতে বলেন। তিনি এতে আপত্তি জানালে অভিযুক্তরা ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁর ইঞ্জিনচালিত নৌকা, জাল ও বড়শি জোর করে নিয়ে যান এবং নিজেদের ঘাটে আটক রাখেন। এ সময় তাঁরা পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। টাকা না দিলে নৌকা ফেরত দেওয়া হবে না বলে হুমকি দেন। এ ছাড়া, ঘটনার আগের দিন একই এলাকায় মামুন মিয়ার সহযোগী এক বড়শিওয়ালাকেও মারধর করে তাঁর কাছ থেকে নগদ ১০ হাজার টাকা ও বড়শি ছিনিয়ে নেন কামরুল ও সহযোগীরা।
এ ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত কামরুল মিয়ার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
এদিকে উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি আলী উসমান বলেন, ‘অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা। মামুন আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেন। অনেক বছর তিনি ধনু নদে চাঁদাবাজিসহ আমাদের দলের নেতা-কর্মীদের হয়রানি করেছেন। মামুনের কাছে এক ব্যক্তি টাকা পান, সেই কারণে ওই ব্যক্তি তাঁর নৌকা আটক করেছিলেন। এখন তিনি প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে আমাদের শ্রমিক দলের নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। এই মিথ্যা অভিযোগের বিষয়ে স্থানীয় সবাই অবগত রয়েছেন।’
অভিযোগ তদন্তের দায়িত্বে রয়েছেন খালিয়াজুরী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফেরদৌস রহমান। আজ রোববার তিনি বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

চট্টগ্রামে কোটা আন্দোলনে সংঘর্ষের ঘটনায় ২৭ মামলায় ৩০ হাজারের বেশি মানুষকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত অন্তত ১ হাজার আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে আন্দোলনে পুলিশের সামনে অস্ত্র ব্যবহার করা আট অস্ত্রধারীর কারও বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এমনকি এক শ্রমিক ও পাঁচ ছাত্র
২৬ জুলাই ২০২৪
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের সার্ভিস রোড দখল এবং পুলিশের চাঁদাবাজি ও মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ করেছেন অটোরিকশাচালকেরা।
২ মিনিট আগে
মিয়ানমার থেকে আবারও একটি গুলি এসে সীমান্তবর্তী কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নে বসতঘরে পড়েছে। আজ রোববার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে আমতলী এলাকার বাসিন্দা আইয়ুব ইসলামের বসতঘরের টিনের চালা ভেদ করে গুলিটি। তবে এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। এর আগে গতকাল শনিবার বিকেলে মিয়ানমার থেকে আসা...
২৩ মিনিট আগে
কানাইঘাট সীমান্তে ভারতীয় খাসিয়াদের গুলিতে শাকিল আহমদ (২১) নামের এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। আজ রোববার উপজেলার লক্ষ্মীপ্রসাদ পূর্ব ইউনিয়নের ডোনা সীমান্তবর্তী ১৩৩৪ নম্বর মেইন পিলারসংলগ্ন ভারতের অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটে।
৩৪ মিনিট আগেটেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

মিয়ানমার থেকে আবারও একটি গুলি এসে সীমান্তবর্তী কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নে বসতঘরে পড়েছে। আজ রোববার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে আমতলী এলাকার বাসিন্দা আইয়ুব ইসলামের বসতঘরের টিনের চালা ভেদ করে গুলিটি। তবে এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এর আগে গতকাল শনিবার বিকেলে মিয়ানমার থেকে আসা দুটি গুলি একই ইউনিয়নের তেচ্ছি ব্রিজ সীমান্তসংলগ্ন এলাকায় পড়ে। এতে ছেনুয়ারা (২৭) নামের এক নারী গুলিবিদ্ধ হন। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ চলছে। সীমান্তবর্তী এলাকায় চলমান ওই সংঘর্ষে গুলি ছোড়া হয়, যা বাংলাদেশে এসে পড়ছে।
সর্বশেষ গুলির বিষয়ে হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ নুর আহমেদ আনোয়ারী বলেন, ‘মিয়ানমার সীমান্তের ওপার থেকে ছোড়া একটি গুলি স্থানীয় একটি বাড়িতে এসে পড়েছে। ভাগ্যক্রমে কেউ হতাহত হননি। তবে সীমান্তের মানুষজন আতঙ্কে রয়েছেন।’
ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য মো. রাব্বি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সকালে সীমান্তের দিক থেকে গোলাগুলির শব্দ শুনতে পাই। কিছুক্ষণ পর ঘরের টিনের চালে কিছু একটা পড়ার শব্দ পাই। বাইরে গিয়ে দেখি, টিন ছিদ্র হয়ে গেছে। পরে ঘরের দেয়াল থেকে গুলিটি উদ্ধার করি। আমাদের বাড়ি সীমান্ত থেকে প্রায় আড়াই কিলোমিটার দূরে। এত দূর থেকেও গুলি এসে লাগায় আমরা ভয়ে আছি।’
হোয়াইক্যং ইউপির ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সিরাজুল মোস্তফা লালু বলেন, ‘আমতলী গ্রামের আইয়ুব ইসলামের বাড়িতে গুলি এসে পড়েছে বলে জেনেছি। ভাগ্যক্রমে কেউ আহত হননি। সীমান্তে প্রায়ই এমন গোলাগুলির ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। এ ধরনের ঘটনায় আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। সীমান্তবাসীকে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকতে হবে। পাশাপাশি প্রশাসনের পক্ষ থেকে নজরদারি ও নিরাপত্তা জোরদার করা প্রয়োজন।’
গতকালের ঘটনার বিষয়ে জানা গেছে, ওই দিন বিকেলে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ব্যাপক গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। কিছু সময় পর ওপার থেকে ছোড়া দুটি গুলি হোয়াইক্যং ইউনিয়নের তেচ্ছি ব্রিজ এলাকার বসতবাড়ি ও কম্পিউটারের দোকানে এসে পড়ে। এতে ঘরের টিন ও দেয়াল ছিদ্র হয়ে যায়। এর মধ্যে একটি গুলিতে ছেনুয়ারা নামের এক নারী আহত হন। ঘটনার পর সীমান্ত এলাকায় চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় অনেক পরিবার শিশু ও বৃদ্ধদের নিয়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে শুরু করেন।

মিয়ানমার থেকে আবারও একটি গুলি এসে সীমান্তবর্তী কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নে বসতঘরে পড়েছে। আজ রোববার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে আমতলী এলাকার বাসিন্দা আইয়ুব ইসলামের বসতঘরের টিনের চালা ভেদ করে গুলিটি। তবে এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এর আগে গতকাল শনিবার বিকেলে মিয়ানমার থেকে আসা দুটি গুলি একই ইউনিয়নের তেচ্ছি ব্রিজ সীমান্তসংলগ্ন এলাকায় পড়ে। এতে ছেনুয়ারা (২৭) নামের এক নারী গুলিবিদ্ধ হন। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ চলছে। সীমান্তবর্তী এলাকায় চলমান ওই সংঘর্ষে গুলি ছোড়া হয়, যা বাংলাদেশে এসে পড়ছে।
সর্বশেষ গুলির বিষয়ে হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ নুর আহমেদ আনোয়ারী বলেন, ‘মিয়ানমার সীমান্তের ওপার থেকে ছোড়া একটি গুলি স্থানীয় একটি বাড়িতে এসে পড়েছে। ভাগ্যক্রমে কেউ হতাহত হননি। তবে সীমান্তের মানুষজন আতঙ্কে রয়েছেন।’
ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য মো. রাব্বি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সকালে সীমান্তের দিক থেকে গোলাগুলির শব্দ শুনতে পাই। কিছুক্ষণ পর ঘরের টিনের চালে কিছু একটা পড়ার শব্দ পাই। বাইরে গিয়ে দেখি, টিন ছিদ্র হয়ে গেছে। পরে ঘরের দেয়াল থেকে গুলিটি উদ্ধার করি। আমাদের বাড়ি সীমান্ত থেকে প্রায় আড়াই কিলোমিটার দূরে। এত দূর থেকেও গুলি এসে লাগায় আমরা ভয়ে আছি।’
হোয়াইক্যং ইউপির ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সিরাজুল মোস্তফা লালু বলেন, ‘আমতলী গ্রামের আইয়ুব ইসলামের বাড়িতে গুলি এসে পড়েছে বলে জেনেছি। ভাগ্যক্রমে কেউ আহত হননি। সীমান্তে প্রায়ই এমন গোলাগুলির ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। এ ধরনের ঘটনায় আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। সীমান্তবাসীকে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকতে হবে। পাশাপাশি প্রশাসনের পক্ষ থেকে নজরদারি ও নিরাপত্তা জোরদার করা প্রয়োজন।’
গতকালের ঘটনার বিষয়ে জানা গেছে, ওই দিন বিকেলে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ব্যাপক গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। কিছু সময় পর ওপার থেকে ছোড়া দুটি গুলি হোয়াইক্যং ইউনিয়নের তেচ্ছি ব্রিজ এলাকার বসতবাড়ি ও কম্পিউটারের দোকানে এসে পড়ে। এতে ঘরের টিন ও দেয়াল ছিদ্র হয়ে যায়। এর মধ্যে একটি গুলিতে ছেনুয়ারা নামের এক নারী আহত হন। ঘটনার পর সীমান্ত এলাকায় চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় অনেক পরিবার শিশু ও বৃদ্ধদের নিয়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে শুরু করেন।

চট্টগ্রামে কোটা আন্দোলনে সংঘর্ষের ঘটনায় ২৭ মামলায় ৩০ হাজারের বেশি মানুষকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত অন্তত ১ হাজার আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে আন্দোলনে পুলিশের সামনে অস্ত্র ব্যবহার করা আট অস্ত্রধারীর কারও বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এমনকি এক শ্রমিক ও পাঁচ ছাত্র
২৬ জুলাই ২০২৪
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের সার্ভিস রোড দখল এবং পুলিশের চাঁদাবাজি ও মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ করেছেন অটোরিকশাচালকেরা।
২ মিনিট আগে
নেত্রকোনার খালিয়াজুরীতে ধনু নদে মাছ ধরতে যাওয়া জেলের নৌকা আটকিয়ে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় শ্রমিক দল নেতা কামরুল মিয়ার বিরুদ্ধে।
১২ মিনিট আগে
কানাইঘাট সীমান্তে ভারতীয় খাসিয়াদের গুলিতে শাকিল আহমদ (২১) নামের এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। আজ রোববার উপজেলার লক্ষ্মীপ্রসাদ পূর্ব ইউনিয়নের ডোনা সীমান্তবর্তী ১৩৩৪ নম্বর মেইন পিলারসংলগ্ন ভারতের অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটে।
৩৪ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

সিলেটের কানাইঘাট সীমান্তে ভারতীয় খাসিয়াদের গুলিতে শাকিল আহমদ (২১) নামের এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। আজ রোববার উপজেলার লক্ষ্মীপ্রসাদ পূর্ব ইউনিয়নের ডোনা সীমান্তবর্তী ১৩৩৪ নম্বর মেইন পিলারসংলগ্ন ভারতের অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শাকিল ডোনা পাত্তিছড়া গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে। তিনি গত সপ্তাহে বিয়ে করেছেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, শাকিলসহ দুজন আজ রোববার দুপুরে ডোনা সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের ডোনা খাসিয়াপুঞ্জিতে প্রবেশ করে সুপারি পাড়তে যান। এ সময় অস্ত্রধারী খাসিয়ারা তাঁদের ওপর গুলি করলে শাকিল গুলিবিদ্ধ হন। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাঁকে সহযোগীরা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নিয়ে আসেন। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ১৯ বিজিবির অধিনায়ক মো. জুবায়ের আনোয়ার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভারতের অভ্যন্তরে ৫০০ গজ ভেতরে খাসিয়াদের গুলিতে আহত হয়ে শাকিল নামের এক যুবক মারা গেছে। ওখানে পাহারাদার ছিল, তাদের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি করতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় বর্ডারে ঢোকে। পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় মারা যায়।’
এ বিষয়ে কানাইঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানিয়া আক্তার বলেন, ‘আজ দুপুরে শাকিলসহ আরও দুজন ডোনা সীমান্তে ১৩৩৪ পিলারের কাছাকাছি জায়গায় ভারতীয় সুপারি আনতে গেলে খাসিয়ারা তাদের লক্ষ করে গুলি চালায়। এতে শাকিল গুলিবিদ্ধ হয়ে বাংলাদেশ সীমানায় এসে মাটিতে পড়ে। পরে তার সহযোগীরা সিলেটে ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু বরণ করে। বর্তমানে তার মরদেহ ওসমানী হাসপাতালের মর্গে আছে।’

সিলেটের কানাইঘাট সীমান্তে ভারতীয় খাসিয়াদের গুলিতে শাকিল আহমদ (২১) নামের এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। আজ রোববার উপজেলার লক্ষ্মীপ্রসাদ পূর্ব ইউনিয়নের ডোনা সীমান্তবর্তী ১৩৩৪ নম্বর মেইন পিলারসংলগ্ন ভারতের অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শাকিল ডোনা পাত্তিছড়া গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে। তিনি গত সপ্তাহে বিয়ে করেছেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, শাকিলসহ দুজন আজ রোববার দুপুরে ডোনা সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের ডোনা খাসিয়াপুঞ্জিতে প্রবেশ করে সুপারি পাড়তে যান। এ সময় অস্ত্রধারী খাসিয়ারা তাঁদের ওপর গুলি করলে শাকিল গুলিবিদ্ধ হন। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাঁকে সহযোগীরা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নিয়ে আসেন। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ১৯ বিজিবির অধিনায়ক মো. জুবায়ের আনোয়ার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভারতের অভ্যন্তরে ৫০০ গজ ভেতরে খাসিয়াদের গুলিতে আহত হয়ে শাকিল নামের এক যুবক মারা গেছে। ওখানে পাহারাদার ছিল, তাদের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি করতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় বর্ডারে ঢোকে। পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় মারা যায়।’
এ বিষয়ে কানাইঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানিয়া আক্তার বলেন, ‘আজ দুপুরে শাকিলসহ আরও দুজন ডোনা সীমান্তে ১৩৩৪ পিলারের কাছাকাছি জায়গায় ভারতীয় সুপারি আনতে গেলে খাসিয়ারা তাদের লক্ষ করে গুলি চালায়। এতে শাকিল গুলিবিদ্ধ হয়ে বাংলাদেশ সীমানায় এসে মাটিতে পড়ে। পরে তার সহযোগীরা সিলেটে ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু বরণ করে। বর্তমানে তার মরদেহ ওসমানী হাসপাতালের মর্গে আছে।’

চট্টগ্রামে কোটা আন্দোলনে সংঘর্ষের ঘটনায় ২৭ মামলায় ৩০ হাজারের বেশি মানুষকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত অন্তত ১ হাজার আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে আন্দোলনে পুলিশের সামনে অস্ত্র ব্যবহার করা আট অস্ত্রধারীর কারও বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এমনকি এক শ্রমিক ও পাঁচ ছাত্র
২৬ জুলাই ২০২৪
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের সার্ভিস রোড দখল এবং পুলিশের চাঁদাবাজি ও মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ করেছেন অটোরিকশাচালকেরা।
২ মিনিট আগে
নেত্রকোনার খালিয়াজুরীতে ধনু নদে মাছ ধরতে যাওয়া জেলের নৌকা আটকিয়ে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় শ্রমিক দল নেতা কামরুল মিয়ার বিরুদ্ধে।
১২ মিনিট আগে
মিয়ানমার থেকে আবারও একটি গুলি এসে সীমান্তবর্তী কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নে বসতঘরে পড়েছে। আজ রোববার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে আমতলী এলাকার বাসিন্দা আইয়ুব ইসলামের বসতঘরের টিনের চালা ভেদ করে গুলিটি। তবে এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। এর আগে গতকাল শনিবার বিকেলে মিয়ানমার থেকে আসা...
২৩ মিনিট আগে