Ajker Patrika

ভবনের চাল-দরজা উধাও, জায়গা বেহাত

সুমন্ত চাকমা, জুরাছড়ি (রাঙামাটি)
আপডেট : ২৮ জুলাই ২০২১, ১১: ০৮
Thumbnail image

তিন দশক ধরে পরিত্যক্ত আছে রাঙামাটির জুরাছড়ি উপজেলার কৃষি বিভাগের সেমিপাকা ভবনগুলো। সংস্কার না করায় ফাটল ধরেছে দেয়ালগুলোয়। চুরি হয়ে গেছে টিন ও লোহার কাঠামো। এদিকে বেদখল হয়ে যাচ্ছে ভবনগুলোর চারপাশের জায়গা। কৃষি বিভাগ বলছে, ওই স্থানে নতুন ভবন নির্মাণের আবেদন করা হয়েছে।

উপজেলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, ১৯৮০ সালে কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয়গুলো স্থাপন করা হয়। সেমিপাকা ভবনের ছাউনি ছিল টিনের। এগুলো ব্যবহার করতেন উপজেলার বিভিন্ন ব্লকে কর্মরত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা। রাখা হতো কৃষি সরঞ্জাম ও সার। একই সময়ে বনযোগীছড়া ইউনিয়নের লেবারপাড়ায় (তৎকালীন এরাইছড়ি মৌজা) একই নকশায় তিনটি ঘর নির্মাণ করা হয়।

 ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ে এসব ঘরের টিন ও বিভিন্ন অংশ বিধ্বস্ত হলে এগুলো আর সংস্কার করা হয়নি। এরপর থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় আছে। ইতিমধ্যে ফাটল ধরেছে দেয়ালগুলোয়। ভবনের টিন, গ্রিলসহ মূল্যবান জিনিস চুরি হয়ে গেছে। ভবনগুলোর চারপাশে গড়ে উঠেছে দোকানপাট। লেবারপাড়ার ভবনগুলোরও একই অবস্থা।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সুস্মিতা চাকমা বলেন, পরিত্যক্ত ভবনগুলোর স্থলে নতুন ভবন নির্মাণে কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। নতুন ভবন নির্মিত হলে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের আবাসন নিশ্চিত হবে। পাশাপাশি সরকারি জায়গা সুরক্ষিত থাকবে। তা এখনই করা দরকার।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জিতেন্দ্র কুমার নাথ বলেন, কৃষি বিভাগের জায়গায় ও ভবনে ব্যক্তিগত স্থাপনা তৈরি সম্পূর্ণ বেআইনি। কৃষি বিভাগ নতুন ভবন শুরু করলে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত