চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
কক্সবাজারের চকরিয়ায় মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর গায়েবানা জানাজাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় গোলাগুলিতে ফোরকানুল ইসলাম (৬০) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে চকরিয়া পৌর সদরে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ফোরকানুল ইসলাম চকরিয়া পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুলবারী পাড়ার মৃত ফজলুর রহমানের ছেলে।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদ মাহমুদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সংঘর্ষের ঘটনায় ওসি ও পাঁচ পুলিশ সদস্যসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এ সময় পুলিশ, স্বাস্থ্য কর্মকর্তাসহ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতরা চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।
জামায়াতের দাবি, ৬ জন গুলিবিদ্ধ ছাড়াও আরও ৫০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছে। তাঁরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহাফুজুল ইসলাম বলেন, চকরিয়ায় জানাজা নিয়ে সংগঠিত ঘটনা নিয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো গুলিবর্ষণ করা হয়নি। মূলত ঘটনা নিয়ন্ত্রণ আনতে পুলিশ কাজ করেছে।
চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ইফতেখারুল ইসলাম বলেন, গুলিবিদ্ধ এক ব্যক্তির মরদেহ হাসপাতালে রয়েছে। কে হাসপাতালে আনার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর মাথার পেছনে গুলির আঘাত লেগেছে। রক্তক্ষরণের মৃত্যু হয়। এছাড়া একজন গুলিবিদ্ধসহ ৭ জন চিকিৎসা নিয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চকরিয়া পৌর বাস টার্মিনাল ও চকরিয়া সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর গায়েবানা জানাজার স্থান ঘোষণা করা হয়। প্রশাসনের অনুমতি না পাওয়ায় পৌর শহরের লামার চিরিংগা এলাকার মামা-ভাগিনার মাজারে কয়েক হাজার মানুষ গায়েবানা জানাজার জন্য জড়ো হন। চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সেখানে গেলে তাঁদের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। জানাজা পণ্ড হলে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা মিছিল করে। একই সময় চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর আলমের নেতৃত্বে মিছিল হয়। পৌর শহরের বাইতুশ শরফ রোডে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
কক্সবাজার শহর জামায়াতের আমির আব্দুল্লাহ আল ফারুক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ফোরকানুল রহমান আমাদের কর্মী ছিলেন। ৬ জন গুলিবিদ্ধ ছাড়াও আমাদের আরও ৫০ জন মতো নেতা-কর্মী আহত হয়েছে।’ তবে ফোরকানুল কার গুলিতে মারা গেছেন তা তিনি নিশ্চিতভাবে বলতে পারেননি তিনি।
চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর আলম ও সাধারণ সম্পাদক আবু মুছাকে ফোন করা হলেও তাঁরা ফোন রিসিভ না করায় তাঁদের বক্তব্য নেওয়া যায়নি।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদ মাহমুদ বলেন, সরকারি দায়িত্ব পালন করতে গেলে হঠাৎ পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে তিনিসহ ৬ জন পুলিশ আহত হয়েছেন। মূলত দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। দুই পক্ষে কারা ছিল, তা নিশ্চিত নন তিনি।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেপি দেওয়ান বলেন, গায়েবানা জানাজা পড়তে কাউকে অনুমতি দেওয়া হয়নি। মিছিল নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা করেছে। ওসি ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তার গাড়ি ভাঙচুর করেছেন। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কক্সবাজারের চকরিয়ায় মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর গায়েবানা জানাজাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় গোলাগুলিতে ফোরকানুল ইসলাম (৬০) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে চকরিয়া পৌর সদরে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ফোরকানুল ইসলাম চকরিয়া পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুলবারী পাড়ার মৃত ফজলুর রহমানের ছেলে।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদ মাহমুদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সংঘর্ষের ঘটনায় ওসি ও পাঁচ পুলিশ সদস্যসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এ সময় পুলিশ, স্বাস্থ্য কর্মকর্তাসহ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতরা চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।
জামায়াতের দাবি, ৬ জন গুলিবিদ্ধ ছাড়াও আরও ৫০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছে। তাঁরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহাফুজুল ইসলাম বলেন, চকরিয়ায় জানাজা নিয়ে সংগঠিত ঘটনা নিয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো গুলিবর্ষণ করা হয়নি। মূলত ঘটনা নিয়ন্ত্রণ আনতে পুলিশ কাজ করেছে।
চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ইফতেখারুল ইসলাম বলেন, গুলিবিদ্ধ এক ব্যক্তির মরদেহ হাসপাতালে রয়েছে। কে হাসপাতালে আনার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর মাথার পেছনে গুলির আঘাত লেগেছে। রক্তক্ষরণের মৃত্যু হয়। এছাড়া একজন গুলিবিদ্ধসহ ৭ জন চিকিৎসা নিয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চকরিয়া পৌর বাস টার্মিনাল ও চকরিয়া সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর গায়েবানা জানাজার স্থান ঘোষণা করা হয়। প্রশাসনের অনুমতি না পাওয়ায় পৌর শহরের লামার চিরিংগা এলাকার মামা-ভাগিনার মাজারে কয়েক হাজার মানুষ গায়েবানা জানাজার জন্য জড়ো হন। চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সেখানে গেলে তাঁদের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। জানাজা পণ্ড হলে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা মিছিল করে। একই সময় চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর আলমের নেতৃত্বে মিছিল হয়। পৌর শহরের বাইতুশ শরফ রোডে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
কক্সবাজার শহর জামায়াতের আমির আব্দুল্লাহ আল ফারুক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ফোরকানুল রহমান আমাদের কর্মী ছিলেন। ৬ জন গুলিবিদ্ধ ছাড়াও আমাদের আরও ৫০ জন মতো নেতা-কর্মী আহত হয়েছে।’ তবে ফোরকানুল কার গুলিতে মারা গেছেন তা তিনি নিশ্চিতভাবে বলতে পারেননি তিনি।
চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর আলম ও সাধারণ সম্পাদক আবু মুছাকে ফোন করা হলেও তাঁরা ফোন রিসিভ না করায় তাঁদের বক্তব্য নেওয়া যায়নি।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদ মাহমুদ বলেন, সরকারি দায়িত্ব পালন করতে গেলে হঠাৎ পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে তিনিসহ ৬ জন পুলিশ আহত হয়েছেন। মূলত দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। দুই পক্ষে কারা ছিল, তা নিশ্চিত নন তিনি।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেপি দেওয়ান বলেন, গায়েবানা জানাজা পড়তে কাউকে অনুমতি দেওয়া হয়নি। মিছিল নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা করেছে। ওসি ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তার গাড়ি ভাঙচুর করেছেন। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঘন কুয়াশার কারণে প্রায় ১১ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া এবং আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। দীর্ঘ সময় ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় দুই পথের উভয় প্রান্তে আটকা পড়ে অ্যাম্বুলেন্স, ব্যক্তিগত গাড়ি, যাত্রীবাহী বাসসহ দুই শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক।
২৪ মিনিট আগেরংপুরে ঘন কুয়াশার কারণে সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একই স্থানে একে একে ছয়টি পরিবহন দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। এতে প্রাণহানির কোনো ঘটনা না ঘটলেও অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। দুর্ঘটনাকবলিত পরিবহনগুলোর মধ্যে তিনটি যাত্রীবাহী বাসসহ ট্রাক, পিকআপ ও কাভার্ডভ্যান রয়েছে। গাড়িগুলো ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে...
২৬ মিনিট আগেচট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থান থেকে বাসে-ট্রাকে করে মানুষ মাহফিলে আসতে থাকে। বিকেল ৪টা নাগাদ প্যারেড ময়দানের আশপাশের রাস্তাঘাট লোকারণ্য হয়ে যায়, বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। প্যারেড ময়দানসংলগ্ন চকবাজার তেলিপট্টি মোড় থেকে এক্সেস রোড, অলিখাঁ মোড় থেকে গণি বেকারির মোড় পর্যন্ত যানচলাচল সীমিত হয়ে পড়ে।
৪২ মিনিট আগেমাঝনদীতে আটকা পড়া এসব ফেরিতে ১৫টির মতো যাত্রীবাহী বাস আছে। এসব বাসের যাত্রীরা কনকনে শীতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। এদিকে পাটুরিয়া ঘাটে ৩০টির মতো যাত্রীবাহী বাস এবং শতাধিক পণ্যবাহী যানবাহন আটকা পড়েছে।
২ ঘণ্টা আগে