Ajker Patrika

সেন্ট মার্টিনে জাহাজ চলাচলের দ্বিতীয় দিনেও কোটার ৮০০ কম পর্যটক

মাইনউদ্দিন শাহেদ, কক্সবাজার
সেন্ট মার্টিন। ফাইল ছবি
সেন্ট মার্টিন। ফাইল ছবি

দুদিন ধরে দেশের একমাত্র প্রবালসমৃদ্ধ দ্বীপ সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। কক্সবাজার শহর থেকে আজ মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের মতো তিনটি জাহাজে ১ হাজার ১৯৪ জন পর্যটক দ্বীপ ভ্রমণে গেছেন। প্রথম দিনের চেয়ে ২০ জন পর্যটক বেড়েছে।

সরকারের জারি করা প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, দৈনিক ২ হাজার করে পর্যটক সেন্ট মার্টিনে রাতযাপনের সুযোগ পাচ্ছেন। পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন, ১ ডিসেম্বর থেকে জাহাজ চলাচল শুরুর বিষয়টি ঘোষণা দেওয়া ছিল। তারপরও প্রতিদিন ৮০০ জনের বেশি পর্যটক কম গেছেন। এভাবে পর্যটক কম হলে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বঙ্গোপসাগরের বুকে অবস্থিত ৮ বর্গকিলোমিটার আয়তনের দেশের একমাত্র প্রবালসমৃদ্ধ দ্বীপ সেন্ট মার্টিন। পর্যটন মৌসুমে দেশি-বিদেশি পর্যটকে দ্বীপটি মুখর থাকে। কিন্তু দেড় দশকে অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন ও প্লাস্টিক পণ্যের দূষণের কারণে দ্বীপের পরিবেশ-প্রতিবেশ হুমকির মুখে পডেছে। ফলে সরকার গত বছর থেকে দ্বীপে পর্যটক সীমিত করার সিদ্ধান্ত নেয়। সরকার নভেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত পর্যটক ভ্রমণের সুযোগ দিলেও নভেম্বরে দিনে গিয়ে দিনে ফেরার শর্তারোপ করায় পর্যটকেরা দ্বীপ ভ্রমণে যেতে আগ্রহ দেখাননি।

মঙ্গলবার সকাল ৭টায় শহরের নুনিয়ারছড়া বিআইডব্লিউটিএ-জেটিঘাট থেকে ১ হাজার ১৯৪ জন পর্যটক নিয়ে সেন্ট মার্টিনের উদ্দেশে ছেড়ে যায় তিনটি জাহাজ—এমভি কর্ণফুলী এক্সপ্রেস, এমভি বার আউলিয়া ও কেয়ারি সিন্দাবাদ। ১২০ কিলোমিটার সমুদ্রপথ পাড়ি দিয়ে জাহাজগুলো সেন্ট মার্টিন জেটিঘাটে পৌঁছায় বেলা দেড়টায়। ফিরতি জাহাজে বেলা ৩টার দিকে আগের দিন (সোমবার) যাওয়া পর্যটকেরা কক্সবাজার ফিরে আসছেন।

এদিকে ১০ মাস পর পর্যটকের আনাগোনায় মুখর হয়ে উঠেছে সেন্ট মার্টিন। হোটেল-রিসোর্ট, কটেজ ও রেস্তোরাঁগুলো নানাভাবে সেজেছে পর্যটকদের জন্য। স্থানীয় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরাও নেমেছেন ব্যবসা-বাণিজ্যে। সৈকত এলাকা বেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে রাখা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে মানুষের আনাগোনা কম থাকায় দ্বীপের চারপাশের কেয়াবন ও সাগরলতা মাথাছাড়া দিয়ে উঠেছে।

অবশ্যই পর্যটকের সংখ্যা কম হওয়ায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে। পর্যটনসংশ্লিষ্ট একাধিক ব্যবসায়ী বলছেন, কঠোর বিধিনিষেধের কারণে পর্যটকদের দ্বীপ ভ্রমণে আগ্রহ কমে আসছে। দ্বীপের দক্ষিণ সৈকতসংলগ্ন একটি রিসোর্টের ব্যবস্থাপক নুরুল আবছার আজকের পত্রিকাকে জানান, তাঁদের রিসোর্টে ২৬টি কক্ষ থাকলেও দুই দিনে ভাড়া হয়েছে ৯টি। অনেকেই রিসোর্ট-কটেজে একটি কক্ষও ভাড়া হয়নি।

জাহাজমালিকদের সংগঠন ‘সি ক্রুজ অপারেটর ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের’ সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বলেন, দ্বিতীয় দিন সেন্ট মার্টিন দ্বীপ ভ্রমণে পর্যটক বেড়েছে মাত্র ২০ জন। দুই দিনে ৮০০ জনের বেশি পর্যটক কম গেছেন। পর্যটকের সংখ্যা কম হলে জাহাজমালিকেরা লোকসানে পড়বেন বলে জানান তিনি।

গত মৌসুমে ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে সেন্ট মার্টিন ১ লাখ ১০ হাজারের মতো পর্যটক ভ্রমণ করেছিলেন জানিয়ে তিনি বলেন, ডিসেম্বর থেকে জাহাজ চলাচলের ঘোষণা দেওয়া আছে। তারপরও পর্যটক কম। এ ছাড়া দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ভালো না থাকলে এ বছর পর্যটক আরও কমবে বলে মনে করেন তিনি।

সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ফয়েজুল ইসলাম জানান, দ্বীপের জীববৈচিত্র‍্য রক্ষায় সরকারের জারি করা বিধিনিষেধ মানতে পর্যটক ও স্থানীয়দের মধ্যে সচেতনতা বেড়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আরও দুই মিত্র হারালেন মাদুরো, লাতিনে ভেনেজুয়েলার পাশে এখন কারা

সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক উদ্বোধন বৃহস্পতিবার, তোলা যাবে ২ লাখ টাকা

তালাকের ১ মাসের মাথায় ফের বিয়ে করলেন ত্বহা-সাবিকুন

খালেদা জিয়াকে দেখতে হাসপাতালে গেলেন ৩ বাহিনীর প্রধানেরা

হঠাৎ বিদেশে শাহবাজ শরিফ, সেনাপ্রধান আসিম মুনিরকে সিডিএফ নিয়োগ নিয়ে বিড়ম্বনায় পাকিস্তান

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ