Ajker Patrika

চট্টগ্রামে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ ১৬ জন হাসপাতালে

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ০৪ আগস্ট ২০২৪, ১৪: ০০
Thumbnail image

চট্টগ্রামের নিউমার্কেট মোড়ে অবস্থান নেওয়া আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। তাতে আহত হয়েছেন ১৬ জন। তাঁদের বেশির ভাগই গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাঁদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আজ রোববার সকাল থেকে নিউমার্কেটে মোড়ে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। তাঁদের সঙ্গে স্থানীয়দের যোগ দিতে দেখা গেছে। ঘটনাস্থলে থাকা আওয়ামী লীগের মাইক ভাঙচুর করেন আন্দোলনকারীরা। একপর্যায়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। অন্যদিকে ছাত্রলীগের এক নেতাকে গুলি ছুড়তে দেখা যায়। তিনি সরকারি সিটি কলেজ ছাত্রলীগের নেতা মো. ফয়সাল। তিনি রিভলবার থেকে গুলি ছোড়েন।

তাতে অনেকে গুলিবিদ্ধ হন। তাঁরা চমেকের ক্যাজুয়ালটি ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন। তাঁরা হলেন আলাউদ্দিন (২৬), সোহরাব হোসেন (২২), ফয়সাল (২৫), আশরাফুল (৩০), জাহাঙ্গীর (২৬), সৌরভ (২২), মনির (২২), চিশতী (২৮), তাহমিন (১৯), শান্ত ইসলাম (২২), মাঈনউদ্দিন (২৪), কাওছার হোসেন (২৪), মো. শাহিন (২৬), মো. আদিল (২২), রিদোয়ান (২৪) ও মো. শাহীন (২৫)। তাঁদের বেশির ভাগই গুলিবিদ্ধ। তবে ঠিক কতজন গুলিবিদ্ধ, তা জানাতে পারেনি চমেক কর্তৃপক্ষ। তবে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গুলিবিদ্ধ বলে চমেক সূত্রে জানা গেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, আজ সকাল ৯টা থেকে জড়ো হতে থাকেন আন্দোলনকারীরা। এর আগে একই জায়গায় সমাবেশের ডাক দেয় আওয়ামী লীগ। এ উপলক্ষে নিউমার্কেটের আশপাশে মাইক লাগান আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। সেগুলো ভাঙচুর করে জড়ো হতে থাকেন আন্দোলনকারীরা। আজ বেলা ১১টা পর্যন্ত নিউমার্কেট মোড়ে অবস্থান নিয়ে সরকারপতনের আন্দোলন করতে দেখা গেছে বিক্ষোভকারীদের। 

রিভলবার থেকে গুলি ছোড়া হয়। ছবি: ভিডিও থেকে সংগৃহীতসাড়ে ১১টার দিকে কোতোয়ালি থানা ও সিটি কলেজের সড়ক থেকে আন্দোলনকারীদের ওপর আক্রমণ করেন ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতা-কর্মীরা। সিটি কলেজের গলি থেকে আন্দোলনকারীদের দিকে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়েন ফয়সাল নামের এক ছাত্রলীগ নেতা। একই সঙ্গে পুলিশও সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার শেল ছোড়ে। বর্তমানে নিউমার্কেট মোড়ে অবস্থান নিয়েছে আওয়ামী লীগ। 

এর আগে গতকাল শনিবার দুপুর থেকে কোতোয়ালি থানার নিউমার্কেট মোড় দখলে নিয়ে আন্দোলনকারীরা বিভিন্ন স্লোগান দেন। সেখানে হাজার হাজার আন্দোলনকারী অংশ নিয়েছিলেন। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগ দেন সাধারণ মানুষ ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত