নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) পাশেই জোবরা গ্রাম। এই গ্রামেই একের পর এক রক্ত ঝরছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের। আহত হয়েছেন চবির উপ-উপাচার্য মো. কামাল উদ্দিন। গতকাল শনিবার রাত থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষে আজ রোববার দুপুর পর্যন্ত অন্তত দেড় শ শিক্ষার্থী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গ্রামবাসী দেশি অস্ত্র ও ইটপাথর নিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা অব্যাহত রেখেছে। উভয় পক্ষ এখনো মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে। সর্বশেষ পাওয়া তথ্যে এমনটিই জানা গেছে।
এ ঘটনায় আহত উপ-উপাচার্য মো. কামাল উদ্দিন সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি হাতজোড় করে শিক্ষার্থীদের এবং গ্রামবাসীর প্রতি এ সংঘর্ষ থামানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিকে সংঘর্ষ থামানোর জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে রোববার (বেলা আড়াইটা) এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোনো ধরনের তৎপরতা দেখা যায়নি।
এ বিষয়ে জানতে চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার (এসপি) সাইফুল ইসলাস সানতুকে ফোন করা হলে তিনি জরুরি মিটিং আছেন বলে কেটে দেন।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেট এলাকার একটি বাসায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী ভাড়া থাকেন। শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাসায় ফিরলে দারোয়ান গেট খুলতে অমত করেন। দীর্ঘক্ষণ চিৎকার-চেঁচামেচির পর একপর্যায়ে গেট খোলা হয় এবং চেঁচামেচি করার কারণে ছাত্রীকে থাপ্পড় দেন দারোয়ান। পরে ওই ছাত্রী তাঁর কয়েকজন সহপাঠীকে ফোন দিলে তাঁরা গিয়ে দারোয়ানের ওপর চড়াও হন। তাঁরা দারোয়ানকে আটকানোর চেষ্টা করলে তিনি দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। এর মধ্যে খবরটি ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে আরও শিক্ষার্থী সেখানে জড়ো হন। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীরা দারোয়ানকে ধাওয়া করলে স্থানীয়রা একত্র হয়ে ইট-পাটকেল মারা শুরু করেন। তখন সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমাদের বাসার গেট রাত সাড়ে ১১টার মধ্যে বন্ধ হয়। আজকে (শনিবার রাতে) কাজে বাইরে গিয়েছিলাম, রাত ১১টার দিকে ফিরে এসে দেখি গেট বন্ধ। আমি অনেকবার ধাক্কা দিয়েছি, রুমমেটরা অনুরোধ করেছে, কিন্তু দারোয়ান গেট খোলেনি। পরে গেট খুলে আমাকে লাথি-থাপ্পড় মারে।’
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, স্থানীয়রা মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র হাতে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। হামলার সময় এলাকায় বিদ্যুৎ ছিল না। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, পরিকল্পিতভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশের দুটি, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা বাহিনীর একটি এবং প্রক্টরিয়াল বডির একটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।
এদিকে সর্বশেষ পরিস্থিতি জানতে ঘটনা সামাল দেওয়ার দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. রাসেলকে বারবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
চবির প্রো-ভিসি (প্রশাসন) মো. কামাল উদ্দিন বলেন, ‘সকাল থেকে ঘটনাস্থলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের আমরা দেখিনি।’
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) পাশেই জোবরা গ্রাম। এই গ্রামেই একের পর এক রক্ত ঝরছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের। আহত হয়েছেন চবির উপ-উপাচার্য মো. কামাল উদ্দিন। গতকাল শনিবার রাত থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষে আজ রোববার দুপুর পর্যন্ত অন্তত দেড় শ শিক্ষার্থী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গ্রামবাসী দেশি অস্ত্র ও ইটপাথর নিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা অব্যাহত রেখেছে। উভয় পক্ষ এখনো মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে। সর্বশেষ পাওয়া তথ্যে এমনটিই জানা গেছে।
এ ঘটনায় আহত উপ-উপাচার্য মো. কামাল উদ্দিন সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি হাতজোড় করে শিক্ষার্থীদের এবং গ্রামবাসীর প্রতি এ সংঘর্ষ থামানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিকে সংঘর্ষ থামানোর জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে রোববার (বেলা আড়াইটা) এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোনো ধরনের তৎপরতা দেখা যায়নি।
এ বিষয়ে জানতে চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার (এসপি) সাইফুল ইসলাস সানতুকে ফোন করা হলে তিনি জরুরি মিটিং আছেন বলে কেটে দেন।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেট এলাকার একটি বাসায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী ভাড়া থাকেন। শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাসায় ফিরলে দারোয়ান গেট খুলতে অমত করেন। দীর্ঘক্ষণ চিৎকার-চেঁচামেচির পর একপর্যায়ে গেট খোলা হয় এবং চেঁচামেচি করার কারণে ছাত্রীকে থাপ্পড় দেন দারোয়ান। পরে ওই ছাত্রী তাঁর কয়েকজন সহপাঠীকে ফোন দিলে তাঁরা গিয়ে দারোয়ানের ওপর চড়াও হন। তাঁরা দারোয়ানকে আটকানোর চেষ্টা করলে তিনি দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। এর মধ্যে খবরটি ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে আরও শিক্ষার্থী সেখানে জড়ো হন। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীরা দারোয়ানকে ধাওয়া করলে স্থানীয়রা একত্র হয়ে ইট-পাটকেল মারা শুরু করেন। তখন সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমাদের বাসার গেট রাত সাড়ে ১১টার মধ্যে বন্ধ হয়। আজকে (শনিবার রাতে) কাজে বাইরে গিয়েছিলাম, রাত ১১টার দিকে ফিরে এসে দেখি গেট বন্ধ। আমি অনেকবার ধাক্কা দিয়েছি, রুমমেটরা অনুরোধ করেছে, কিন্তু দারোয়ান গেট খোলেনি। পরে গেট খুলে আমাকে লাথি-থাপ্পড় মারে।’
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, স্থানীয়রা মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র হাতে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। হামলার সময় এলাকায় বিদ্যুৎ ছিল না। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, পরিকল্পিতভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশের দুটি, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা বাহিনীর একটি এবং প্রক্টরিয়াল বডির একটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।
এদিকে সর্বশেষ পরিস্থিতি জানতে ঘটনা সামাল দেওয়ার দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. রাসেলকে বারবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
চবির প্রো-ভিসি (প্রশাসন) মো. কামাল উদ্দিন বলেন, ‘সকাল থেকে ঘটনাস্থলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের আমরা দেখিনি।’
ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার বইলর ইউনিয়নের বাঁশকুড়ি গ্রামে মা-বাবা হত্যার মর্মান্তিক ঘটনায় গ্রামজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। এই ঘটনার পর থেকে ঘাতক ছেলে রিয়াদ হোসেন রাজুর ৯ মাসের শিশুকন্যা সিদরাতুল মুনতাহা রাইসা ও তার মা এখন চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে দেশের জনগণ ‘দাঁড়িপাল্লায় নীরবে ভোট দিয়ে’ এক নীরব বিপ্লব ঘটাবে। সম্প্রতি চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ছাত্রশিবিরের নিরঙ্কুশ বিজয় সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
১ ঘণ্টা আগেজাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে চাঁপাইনবাবগঞ্জের তিনটি আসনে জমে উঠেছে রাজনৈতিক তৎপরতা। জেলার সর্বত্র এখন বিএনপি ও জামায়াতের প্রার্থীদের প্রচার, গণসংযোগ ও উঠান বৈঠক চলছে। তবে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল, বিভক্ত নেতৃত্ব ও একাধিক প্রার্থীর কারণে মাঠে তাদের অবস্থান দুর্বল।
৬ ঘণ্টা আগেহঠাৎ অস্থির হয়ে উঠেছে দেশের শিক্ষাঙ্গন। প্রাথমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় স্তর পর্যন্ত আলাদা ইস্যু ঘিরে অস্থিরতা বিরাজ করছে। এতে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম। তৈরি হচ্ছে প্রশাসনিক জটিলতাও। শঙ্কা দেখা দিচ্ছে সেশনজটসহ নানা সংকটের।
৬ ঘণ্টা আগে