নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ঘুরে এবার ছাত্রলীগ নেতা দিয়াজ ইরফান চৌধুরী হত্যা মামলার তদন্তের দায়িত্ব পেল পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। আজ বৃহস্পতিবার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আওলাদ হোসাইন মুহাম্মদ জুনাইদ আলোচিত এই মামলা অধিকতর তদন্ত করতে পিবিআইকে নির্দেশ দেন।
এর আগে ২৩ ফেব্রুয়ারি মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছিল সিআইডি। এরপর সিআইডির ওই প্রতিবেদনের ওপর নারাজি আবেদন করেন মামলার বাদীপক্ষ।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সাবেক ছাত্রলীগ নেতা দিয়াজ হত্যা মামলায় সিআইডির চূড়ান্ত প্রতিবেদনের ওপর নারাজি দিয়েছিল বাদীপক্ষ। সেই নারাজি আবেদন গ্রহণ করে পিবিআইকে অধিকতর তদন্তের আদেশ দিয়েছে আদালত।’
মামলার এজাহারের তথ্যমতে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেট এলাকার বাসা থেকে পুলিশ ছাত্রলীগ নেতা দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে ২০১৬ সালের ২০ নভেম্বর। এর ২২ দিন আগে দিয়াজসহ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের চার নেতার বাসায় তাণ্ডব চালায় ছাত্রলীগেরই আরেকটি গ্রুপ।
পরে এই ঘটনায় হাটহাজারি থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়। অপমৃত্যুর মামলা প্রত্যাখ্যান করে পরের দিন (২৪ নভেম্বর) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী প্রক্টর আনোয়ার হোসেন চৌধুরীসহ ১০ জনকে আসামি করে আদালতে মামলা করেন দিয়াজের মা জাহেদা আমিন চৌধুরী।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের তৎকালীন কমিটির সভাপতি আলমগীর টিপু, সহসভাপতি আবদুল মালেক, মনসুর আলম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু তোরাব, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আরমান, প্রচার সম্পাদক রাশেদুল আলম, আপ্যায়ন সম্পাদক মিজানুর রহমান, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জামশেদুল আলম চৌধুরী ও সদস্য আরিফুল হক।
মামলাটি থানা-পুলিশের তদন্তের একপর্যায়ে ২০১৯ সালে দিয়াজের মায়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত সিআইডিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেন। এর আগে ২০১৬ সালের ১০ ডিসেম্বর দিয়াজের মরদেহ তুলে ঢাকা মেডিকেল কলেজে দ্বিতীয় দফা ময়নাতদন্ত করা হয়। প্রথম দফা ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে এটাকে আত্মহত্যার ঘটনা বলা হলেও ২০১৭ সালের ৩০ জুলাই দ্বিতীয় দফা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে বলা হয়, দিয়াজের শরীরে আঘাতজনিত জখমের মাধ্যমে হত্যার আলামত আছে। পরে দিয়াজের মায়ের করা এজাহার হত্যা মামলা হিসেবে নিতে হাটহাজারী থানার ওসিকে নির্দেশ দেন আদালত।
সর্বশেষ সিআইডি গত ২৩ ফেব্রুয়ারি মামলাটিতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন (তথ্যগত ভুল) জমা দেয়।
এই বিষয়ে দিয়াজের বোন অ্যাডভোকেট জুবাঈদা ছরওয়ার চৌধুরী নিপা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘একজনের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দির ওপর ভর করে সিআইডি আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছিল। জবানবন্দিটা দেওয়া হয়েছে ঘটনার পাঁচ বছর পর।’
তিনি আরও বলেন, ‘আদালতের আদেশে দ্বিতীয়বার করা হয়েছে দিয়াজের ময়নাতদন্ত। এতে উল্লেখ করা হয়েছিল, তাকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু এ বিষয়ে সিআইডি কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি। যেখানে ময়নাতদন্তে হত্যা আসে, সেখানে মামলার প্রতিবেদনে কীভাবে আত্মহত্যা আসে। আমরা বিষয়গুলো আদালতের সামনে তুলে ধরেছি। আদালত মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য পিবিআইর কাছে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে।’
এর আগে সিআইডির চূড়ান্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল, বিবাহিত জীবন গোপন করা নিয়ে প্রেমিকা সায়মা জেরিন প্রিয়াংকার সঙ্গে দিয়াজের টানাপোড়েন, নিজ গ্রুপের কর্মীদের সঙ্গে টেন্ডারের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্ব এবং পরিবারের সদস্যদের মানসিক নির্যাতনে ছাত্রলীগ নেতা দিয়াজ আত্মহত্যা করেছেন।
আসামিদের মধ্যে শিক্ষক আনোয়ার হোসেন, ছাত্রলীগ নেতা আলমগীর টিপু ও তাঁর ভাই মো. আরমান জামিনে আছেন, বাকিরা পলাতক রয়েছেন। আসামি ও ভিকটিম সবাই নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ঘুরে এবার ছাত্রলীগ নেতা দিয়াজ ইরফান চৌধুরী হত্যা মামলার তদন্তের দায়িত্ব পেল পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। আজ বৃহস্পতিবার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আওলাদ হোসাইন মুহাম্মদ জুনাইদ আলোচিত এই মামলা অধিকতর তদন্ত করতে পিবিআইকে নির্দেশ দেন।
এর আগে ২৩ ফেব্রুয়ারি মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছিল সিআইডি। এরপর সিআইডির ওই প্রতিবেদনের ওপর নারাজি আবেদন করেন মামলার বাদীপক্ষ।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সাবেক ছাত্রলীগ নেতা দিয়াজ হত্যা মামলায় সিআইডির চূড়ান্ত প্রতিবেদনের ওপর নারাজি দিয়েছিল বাদীপক্ষ। সেই নারাজি আবেদন গ্রহণ করে পিবিআইকে অধিকতর তদন্তের আদেশ দিয়েছে আদালত।’
মামলার এজাহারের তথ্যমতে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেট এলাকার বাসা থেকে পুলিশ ছাত্রলীগ নেতা দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে ২০১৬ সালের ২০ নভেম্বর। এর ২২ দিন আগে দিয়াজসহ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের চার নেতার বাসায় তাণ্ডব চালায় ছাত্রলীগেরই আরেকটি গ্রুপ।
পরে এই ঘটনায় হাটহাজারি থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়। অপমৃত্যুর মামলা প্রত্যাখ্যান করে পরের দিন (২৪ নভেম্বর) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী প্রক্টর আনোয়ার হোসেন চৌধুরীসহ ১০ জনকে আসামি করে আদালতে মামলা করেন দিয়াজের মা জাহেদা আমিন চৌধুরী।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের তৎকালীন কমিটির সভাপতি আলমগীর টিপু, সহসভাপতি আবদুল মালেক, মনসুর আলম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু তোরাব, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আরমান, প্রচার সম্পাদক রাশেদুল আলম, আপ্যায়ন সম্পাদক মিজানুর রহমান, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জামশেদুল আলম চৌধুরী ও সদস্য আরিফুল হক।
মামলাটি থানা-পুলিশের তদন্তের একপর্যায়ে ২০১৯ সালে দিয়াজের মায়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত সিআইডিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেন। এর আগে ২০১৬ সালের ১০ ডিসেম্বর দিয়াজের মরদেহ তুলে ঢাকা মেডিকেল কলেজে দ্বিতীয় দফা ময়নাতদন্ত করা হয়। প্রথম দফা ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে এটাকে আত্মহত্যার ঘটনা বলা হলেও ২০১৭ সালের ৩০ জুলাই দ্বিতীয় দফা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে বলা হয়, দিয়াজের শরীরে আঘাতজনিত জখমের মাধ্যমে হত্যার আলামত আছে। পরে দিয়াজের মায়ের করা এজাহার হত্যা মামলা হিসেবে নিতে হাটহাজারী থানার ওসিকে নির্দেশ দেন আদালত।
সর্বশেষ সিআইডি গত ২৩ ফেব্রুয়ারি মামলাটিতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন (তথ্যগত ভুল) জমা দেয়।
এই বিষয়ে দিয়াজের বোন অ্যাডভোকেট জুবাঈদা ছরওয়ার চৌধুরী নিপা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘একজনের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দির ওপর ভর করে সিআইডি আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছিল। জবানবন্দিটা দেওয়া হয়েছে ঘটনার পাঁচ বছর পর।’
তিনি আরও বলেন, ‘আদালতের আদেশে দ্বিতীয়বার করা হয়েছে দিয়াজের ময়নাতদন্ত। এতে উল্লেখ করা হয়েছিল, তাকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু এ বিষয়ে সিআইডি কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি। যেখানে ময়নাতদন্তে হত্যা আসে, সেখানে মামলার প্রতিবেদনে কীভাবে আত্মহত্যা আসে। আমরা বিষয়গুলো আদালতের সামনে তুলে ধরেছি। আদালত মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য পিবিআইর কাছে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে।’
এর আগে সিআইডির চূড়ান্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল, বিবাহিত জীবন গোপন করা নিয়ে প্রেমিকা সায়মা জেরিন প্রিয়াংকার সঙ্গে দিয়াজের টানাপোড়েন, নিজ গ্রুপের কর্মীদের সঙ্গে টেন্ডারের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্ব এবং পরিবারের সদস্যদের মানসিক নির্যাতনে ছাত্রলীগ নেতা দিয়াজ আত্মহত্যা করেছেন।
আসামিদের মধ্যে শিক্ষক আনোয়ার হোসেন, ছাত্রলীগ নেতা আলমগীর টিপু ও তাঁর ভাই মো. আরমান জামিনে আছেন, বাকিরা পলাতক রয়েছেন। আসামি ও ভিকটিম সবাই নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
রাজধানীর উত্তরখানে হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ সাইফুর রহমান ভূঁইয়াকে (৫০) এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
৩৩ মিনিট আগেমিথ্যা সংবাদ প্রকাশের অভিযোগে গণমাধ্যমের সাংবাদিক, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ নয়জনের বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক গোলাম কিবরিয়া মো. মেশকাত চৌধুরী। আজ ও গত বৃহস্পতিবার আইনজীবী মো. নাজবুল ইসলামের মাধ্যমে এসব নোটিশ পাঠান তিনি।
৩৪ মিনিট আগেজানা গেছে, গতকাল রোববার উপজেলার একটি গ্রামে অন্তঃসত্ত্বা ওই নারী একটি কন্যাসন্তান প্রসব করেন। পরে অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। তিনি গত বছরের জুলাইয়ে ধর্ষণের শিকার হন। বিষয়টি পারিবারিকভাবে মীমাংসার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু অভিযুক্ত যুবক রাজি না হওয়ায় ৩ মার্চ তাঁর বিরুদ্ধে ওই নারীর
৩৮ মিনিট আগেখুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) কোনো শিক্ষার্থী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত তদন্ত সাপেক্ষে প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ শাস্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবন বহিষ্কার ও ছাত্রত্ব বাতিল। আজ সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ পরিচালকের কার্যালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
৩৯ মিনিট আগে