Ajker Patrika

স্বীকারোক্তির জন্য নির্যাতন: পিবিআই প্রধানসহ ৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বাবুল আক্তারের মামলার আবেদন

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৯: ১৬
স্বীকারোক্তির জন্য নির্যাতন: পিবিআই প্রধানসহ ৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বাবুল আক্তারের মামলার আবেদন

হেফাজতে নিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ এনে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধানসহ ছয় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা নেওয়ার আবেদন করেছেন সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুন্নেছার আদালতে তাঁর পক্ষে আইনজীবী কামরুল ইসলাম চৌধুরী সাজ্জাদ এ আবেদন করেন।

মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি ফখরুদ্দিন চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হেফাজতে নিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ এনে বাবুল আক্তার ছয় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা নেওয়ার আদালতে আবেদন করেন। আদালত আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর আবেদনটির বিষয়ে আদেশের জন্য তারিখ নির্ধারণ করেছেন।’

যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে তাঁরা হলেন— পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদার, সংস্থাটির চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার মো. নাজমুল হাসান, চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ সুপার নাঈমা সুলতানা, পুলিশ পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা, একেএম মহিউদ্দিন সেলিম ও কাজী এনায়েত করিম।

আদালত সূত্রে জানা যায়, বাবুল আক্তার নির্যাতনে এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন ২০১৩-এর ১৫ (১) এবং ৫ (২) ধারায় পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গ্রহণের আবেদন করেছেন। মামলার আবেদনে অভিযোগ আনা হয়, ২০২১ সালের ১০ মে সকাল পৌনে ১০টা থেকে ১৭ মে বেলা ১টা পর্যন্ত পিবিআই চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগর অফিসে তাঁকে (বাবুল আক্তার) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নিয়ে মানসিক নির্যাতন করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় গালিগালাজ ও অশ্লীল শব্দ ব্যবহার করতো। সারাক্ষণ হ্যান্ডক্যাপ পরিয়ে এবং চোখ বেঁধে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। হ্যান্ডক্যাপ পরা অবস্থায় বাথরুমে নেওয়া হতো। প্যানের ওপর দাঁড় করিয়ে তারপর হ্যান্ডক্যাপ খুলতো, কিন্তু চোখ বাঁধা থাকতো। স্বীকারোক্তি দিতে রাজি করানোর জন্য তাঁর সঙ্গে নিষ্ঠুর, অমানবিক এবং লাঞ্ছনাকর আচরণ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের নামে তাঁকে ২৪ ঘণ্টা জাগিয়ে রাখা হয়। গোসল করতেও দেওয়া হতো না। 

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার মো. নাজমুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি আমরা গণমাধ্যম থেকে জেনেছি। আনুষ্ঠানিকভাবে আমরা এখনও কিছু জানি না। তাই এ বিষয়ে এখনই কোনো মন্তব্য করতে চাইছি না।’

২০১৬ সালের ৫ জুন চট্টগ্রাম নগরের জিইসি মোড় এলাকায় ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে গিয়ে গুলি ও ছুরিকাঘাতে নিহত হন বাবুলের স্ত্রী মাহমুদা। এ ঘটনায় প্রথমে বাবুল আক্তার বাদী হয়ে মামলা করেন। পরে গত বছরের মে মাসে মাহমুদার বাবা বাদী হয়ে বাবুলসহ আটজনকে আসামি করে মামলা করেন। ওই মামলায় গ্রেপ্তার করার পর বাবুল আক্তার বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত