Ajker Patrika

আইনের বাইরে কোনো কিছু করছি না: ড. ইউনূসের প্রতিষ্ঠান দখল প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০: ০৮
আইনের বাইরে কোনো কিছু করছি না: ড. ইউনূসের প্রতিষ্ঠান দখল প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, ‘আইনের বাইরে গিয়ে আমরা কোনো কিছু করছি না। ড. ইউনূসের বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে আদালত দেখছেন। আদালত যা যা নির্দেশনা দিয়েছেন, সে অনুযায়ী কাজ হচ্ছে। এর পেছনে সরকার, পুলিশ কিংবা অন্য কারোর হাত নেই।’

আজ শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের ষোলশহরে অবস্থিত জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। সম্প্রতি গ্রামীণ ব্যাংক তাঁদের আটটি প্রতিষ্ঠান জবরদখল করে নেওয়ার অভিযোগ করেন ড. ইউনূস।

বাংলাদেশের সীমান্ত পরিস্থিতির বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আরাকান আর্মি বেশ কিছুদিন ধরেই মিয়ানমার সীমান্তবর্তী এই অঞ্চলে যুদ্ধ চালাচ্ছে। এই যুদ্ধের ফলে কিছু গোলাগুলির শব্দ আমাদের এখানে আসছে। এটা যেমন সত্য। তেমনি মিয়ানমার সরকারি বাহিনী বিজিপি এবং অন্য সরকারি কর্মকর্তারা ভয়ে ও আত্মরক্ষার্থে আমাদের এখানে পালিয়ে আসছে। তাঁদের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী “ফ্রেন্ডশিপ অ্যালায়েন্স অব অল” এই নীতি অবলম্বন করছেন।

‘এতে তাঁরা যতই গোলাগুলি করুক, আমরা প্রতিবাদ করছি। আমরা কাউকে ভেতরে ঢুকতে দিচ্ছি না। সীমান্তে বিজিবি ফোর্স বাড়ানো হয়েছে। আমাদের কোস্টগার্ড, নেভি ও পুলিশ সর্বদা সজাগ রয়েছে।’ 

বাংলাদেশের সীমান্তের ভেতর পরিত্যক্ত অবস্থায় অস্ত্র পাওয়ার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, ‘আরাকান আর্মি—ওরাই দু-চারটি অস্ত্র হয়তো এখানে এনেছিল। এর পেছনে তাদের অন্য কোনো মোটিভ থাকতে পারে। তবে এসব অস্ত্র সবই ধরা পড়েছে। সীমান্তে আমাদের বিজিবি সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। কাজেই কেউ অস্ত্র দিয়ে ঢুকে পড়বে, সে অবস্থা ওখানে নেই।’

বিএনপি পুনরায় আন্দোলনে যাওয়ার প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘তারা অনেক কথাই বলে। কিন্তু এ দেশের মানুষ এগুলো প্রত্যাখ্যান করছে। ধারাবাহিক বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, ২০০১ ও ২০০৮ সালে নির্বাচনে তারা কয়টি সিট পেয়েছে, ৩০টি সিট পেয়েছিল। ২০১৪ সালের নির্বাচন তারা বয়কট করেছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনে অংশ নিলেও তারা ৬টি সিট পেয়েছে।

‘তারা সুনিশ্চিত যে যদি তারা যড়যন্ত্র করতে না পারে, কিংবা বিদেশি দিয়ে মাথা ঘামাতে না পারে—তাহলে তারা নির্বাচনে জয়লাভ করতে পারবে না। এই কারণে তারা এবারের নির্বাচনে আসেনি। এটাই হচ্ছে মূল কথা।’ 

এ দেশের জনগণ তাদের কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। তারা যেসব প্রোগাম দিচ্ছে, সেখানেও মানুষ আসছে না বলে মন্তব্য করেন তিনি। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নুরে আলম মিনা, পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ প্রমুখ। এর আগে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে এক বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন মন্ত্রী।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত