Ajker Patrika

চৌদ্দগ্রামে দ্বিগুণ মজুরি দিয়েও মিলছে না ধান কাটার শ্রমিক

মো. আকতারুজ্জামান, চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
চৌদ্দগ্রামে দ্বিগুণ মজুরি দিয়েও মিলছে না ধান কাটার শ্রমিক

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের মাঠে মাঠে গাছে দুলছে পাকা ধান। খাঁ খাঁ রোদের মধ্যে আকাশ যে কোনো সময় মেঘে রূপ নিতে পারে। এ কারণে বর্ষা থেকে রক্ষার জন্য কখন ধান ঘরে তুলবেন এই পরিকল্পনায় ব্যস্ত কৃষকেরা। কিন্তু তাঁদের মনে দুশ্চিন্তা তৈরি হয়েছে। শ্রমিক সংকটে সময় মতো ধান কাটাতে পারছেন না কৃষকেরা। অগ্রিম ও দ্বিগুণ মজুরি দিয়েও শ্রমিক পাচ্ছেন না তাঁরা।

চৌদ্দগ্রাম উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, উপজেলায় ১২ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন ভালো হওয়ার আশা করা হচ্ছে। উপজেলায় সাড়ে ৬ হাজার কৃষকের মধ্যে প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে।

 ৪০ শতক জমিতে বোরো আবাদ করেছেন চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বাতিসার সোনাপুর গ্রামের কৃষক আবদুল খালেক। তিনি বলেন, ‘ধান পেকে গেছে। শ্রমিক সংকটের কারণে ধান কেটে বাড়ি তুলতে পারছি না। মাঝেমধ্যে কালবৈশাখীর ঝড়ের ভয় হয়। সময় মতো ফসল ঘরে তুলতে পারব তো?’

বাতিসার সোনাপুর গ্রামের আরেক কৃষক রুহুল আমিন বলেন, ‘উত্তর বঙ্গের শ্রমিক দিয়ে ধান-সেচের কাজ করা হয়। ঈদের কারণে এখনো পর্যাপ্ত শ্রমিক এই অঞ্চলে আসেনি। আমি ৭৫ শতক জমিতে বোরো ধান চাষ করেছি। অল্পসংখ্যক শ্রমিক এলেও শ্রমিক প্রতি দৈনিক ১ হাজার টাকা মজুরি দিতে হচ্ছে। যা গতবারের চেয়ে ৩০ শতাংশ বেড়েছে। এর ফলে আমাদের উৎপাদন খরচ বেশি হচ্ছে।’

কাশিনগর ইউনিয়নের সাতঘড়িয়া গ্রামের কৃষক খাইরুল আলম বলেন, ‘এবার নদীতে পানি না থাকায় পুরো মৌসুমে গভীর নলকূপ থেকে সেচ দেওয়া হয়েছে। এইবার আগের তুলনায় অনেক খরচ বেড়েছে। ধানের ফলন ভালো হয়েছে কিন্তু শ্রমিক সংকটের কারণে এই ধান সঠিক সময়ে ঘরে তুলতে পারব কিনা সন্দেহ আছে।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জোবায়ের আহম্মেদ বলেন, ‘চলতি মৌসুমে উপজেলায় প্রায় সাড়ে ১২ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন ভালো হতে পারে। আমরা বিভিন্ন সময় মাঠ দিবসে কৃষকদের উত্তরবঙ্গের শ্রমিকের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে হারভেস্টার দিয়ে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের জন্য উদ্বুদ্ধ করে যাচ্ছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত