Ajker Patrika

রামসুতে পোড়া ক্ষত, থমথমে খাগড়াছড়ি

  • নিহত ৩ জনের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর।
  • ১৪৪ ধারা বহাল আছে।
  • রাঙামাটি ও বান্দরবানে অবরোধের প্রভাব কম।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯: ৩৯
খাগড়াছড়ির গুইমারায় সহিংসতার ঘটনায় পরিস্থিতি এখনো থমথমে। বহাল রয়েছে প্রশাসনের জারি করা ১৪৪ ধারা। যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি ঠেকাতে সতর্ক রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। গতকাল গুইমারার রামসু বাজারের প্রবেশমুখে। ছবি: এএফপি
খাগড়াছড়ির গুইমারায় সহিংসতার ঘটনায় পরিস্থিতি এখনো থমথমে। বহাল রয়েছে প্রশাসনের জারি করা ১৪৪ ধারা। যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি ঠেকাতে সতর্ক রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। গতকাল গুইমারার রামসু বাজারের প্রবেশমুখে। ছবি: এএফপি

খাগড়াছড়িতে সংঘাতের পর আতঙ্ক এখনো কাটেনি। গুইমারা ও আশপাশের এলাকায় আজ সোমবারও (২৯ সেপ্টেম্বর) পরিস্থিতি ছিল থমথমে। বহাল আছে ১৪৪ ধারা। সতর্ক অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবি ও আর্মড পুলিশ মাঠে কাজ করছে।

আগের দিনের সহিংসতায় গুইমারায় নিহত তিনজনের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে আজ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল বাতেন মৃধা জানান, ওই ঘটনায় গতকাল পর্যন্ত কেউ কোনো মামলা করেনি। পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি। পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। সব গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত খাগড়াছড়ি সদর ও গুইমারা থেকে ১৪৪ ধারা তোলা হবে না বলে জানিয়েছেন খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক এ বি এম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার।

এদিকে, আজ বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে খাগড়াছড়ি শহরের স্বনির্ভর বাজারে সংবাদ সম্মেলন করে সদর বিজিবি সেক্টর। সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মো. আব্দুল মোত্তাকিম সাংবাদিকদের বলেন, ৯ প্লাটুন বিজিবি খাগড়াছড়ি শহরের স্বনির্ভর বাজারে দিনে ও রাতে সার্বক্ষণিক টহল দিচ্ছে। এ ছাড়া পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য আরও দুই প্লাটুন প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

তিনজনের লাশ হস্তান্তর

রামগড় (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি জানান, গুইমারার ঘটনায় নিহত তিনজনের লাশ শনাক্ত করেছে পুলিশ। তাঁরা হলেন রামসু বাজার এলাকার আলাকাই মারমার ছেলে তৈইচিং মারমা (২০), আমতলীপাড়ার থুহলাঅং মারমার ছেলে আথুইপ্রু মারমা (২১) এবং চেংগুলিপাড়ার হাসু মারমার ছেলে আখ্রাউ মারমা (২২)।

খাগড়াছড়ির সিভিল সার্জন মো. ছাবের আহম্মেদ জানান, আজ বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নিহত তিনজনের ময়নাতদন্ত শেষ হয়। এরপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও স্বজনদের উপস্থিতিতে লাশ হস্তান্তর করা হয়।

চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপমহাপুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) আহসান হাবীব পলাশ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সহিংসতায় আহত আরও ১০ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধানী। তাঁদের মধ্যে একজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং বাকিরা খাগড়াছড়ির হাসপাতালে।

বাজারজুড়ে পোড়া ক্ষত

গুইমারার রামসু বাজার এলাকার প্রবেশমুখে এবং গুইমারা বাজারের বিভিন্ন পয়েন্টে গতকাল সেনাবাহিনী, আর্মড পুলিশ, বিজিবি, পুলিশ ও র‍্যাব মোতায়েন ছিল। রামসু বাজারজুড়ে ছিল পোড়া ক্ষত। আগের দিনের সহিংসতায় বাজারের বহু দোকান ও আশপাশের কিছু বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়।

রামসু বাজারে দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে তিনটি দোকান ও মোটরসাইকেল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে ব্যবসায়ী কংলাপ্রু মারমার। তিনি বলছিলেন, ‘সহিংসতা আর নিতে পারছি না। সর্বস্বান্ত হয়ে গেছি। আমার প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।’

রামসু বাজারে হলুদের ব্যবসা করেন ঝন্টু পাল ও পরেশ পালের। আগুনে তাঁদের গুদাম ও মজুত পুড়ে গেছে। ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৫ কোটি টাকা বলে দাবি তাঁদের। ‘সারা জীবনের সঞ্চয় মুহূর্তেই শেষ হয়ে গেল’—কাঁপা গলায় বললেন পরেশ পাল।

রাজুসহ স্থানীয় আরও কয়েকজন বলেন, পুরো উপজেলায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। ভয়ে কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না।

রোববার যা ঘটেছিল

খাগড়াছড়ি জেলা সদরের সিঙ্গিনালা এলাকায় গত মঙ্গলবার দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয় অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁকে ছয় দিনের রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

তবে ওই ঘটনার পর থেকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়। শনিবার খাগড়াছড়িতে সড়ক অবরোধের ডাক দেওয়া হয় জুম্ম ছাত্র-জনতার ব্যানারে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে খাগড়াছড়ি সদর ও গুইমারা উপজেলায় জারি করা হয় ১৪৪ ধারা। তবে এর মধ্যেই গুইমারার রামসু বাজারে গতকাল রোববার সহিংসতার ঘটনা ঘটে। এতে নিহত হন তিনজন। সেনাবাহিনীর এক মেজরসহ ১৩ সদস্য এবং পুলিশ ও সাংবাদিকসহ অর্ধশত মানুষ আহত হন। আগুন দেওয়া হয় রামসু বাজারের অনেক দোকানপাট ও বাড়িঘরে।

এ ঘটনার জন্য পাহাড়ের সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) ও তাদের সহযোগী সংগঠন জড়িত বলে জানায় আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। গতকাল তাদের এক বিবৃতিতে বলা হয়, শনিবার খাগড়াছড়ি পৌরসভায় দাঙ্গা সৃষ্টির অপচেষ্টা করা হলে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সারারাত ধৈর্য ও সংযমের সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দাঙ্গা বাধাতে ব্যর্থ হলে ইউপিডিএফ ও তাদের অঙ্গসংগঠন রোববার সকাল থেকে গুইমারা উপজেলার রামসু বাজার এলাকায় ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে সাধারণ মানুষকে উসকে দিয়ে রাস্তা অবরোধ করে। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ইউপিডিএফ কর্মীরা স্থানীয় বাঙালি জনগোষ্ঠীর সঙ্গে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় লিপ্ত হয়। এ সময় সেনাবাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গেলে তাঁদের ওপর দেশীয় অস্ত্র, ইটপাটকেল, গুলতি ও লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালানো হয়। এতে তিনজন অফিসারসহ ১০ সেনাসদস্য আহত হন।

বান্দরবান ও রাঙামাটিতে অবরোধে সাড়া নেই

রোববারের সহিংসতার পর আট দফা দাবিতে খাগড়াছড়ির পাশাপাশি বান্দরবান, রাঙামাটিতে অনির্দিষ্টকালের সড়ক অবরোধের ডাক দিয়েছিল ‘জুম্ম ছাত্র-জনতা’। তবে খাগড়াছড়ির বাইরে অন্য দুই জেলায় অবরোধের প্রভাব তেমন পড়েনি। তবে জুম্ম ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকেও কয়েকটি সড়কে অবরোধ শিথিল করার ঘোষণা দেওয়া হয়।

বান্দরবান প্রতিনিধি জানান, আজ সকাল থেকে জেলার সাতটি উপজেলার সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ অন্য দিনের মতো স্বাভাবিক ছিল। সরেজমিনে দেখা গেছে, বান্দরবান শহরের সঙ্গে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও রাঙামাটির সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক থাকায় যাত্রীরা তাঁদের গন্তব্যে যাত্রা করেছেন। বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ডে যাত্রীদের স্বাভাবিক আনাগোনা দেখা গেছে। দোকানপাটও খোলা রয়েছে।

ঢাকাগামী ইম্পেরিয়াল এক্সপ্রেসের মালিক ইয়াছিন হাকিম বলেন, ‘সকাল থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রামের উদ্দেশে গাড়ি ছেড়ে গেছে। জেলায় কোনো অবরোধ নেই।’

এ ছাড়া শারদীয় দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে জেলার হোটেল-মোটেলগুলোতে যথারীতি পর্যটকদের ভিড় লক্ষ করা গেছে। পূজা ও পর্যটক আগমনকে কেন্দ্র করে জেলায় পুলিশি নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে।

বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুদ পারভেজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বান্দরবানে সবকিছু স্বাভাবিক রয়েছে। জেলায় অবরোধ কর্মসূচি পালনের কোনো খবর নেই।’

ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা জানান, আজ দুপুর ১২টা থেকে খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম এবং খাগড়াছড়ি-ঢাকা সড়কে অবরোধ কর্মসূচি শিথিল ঘোষণা দেয় আন্দোলনকারীরা। তাদের ফেসবুক পোস্টে বলা হয়, পরবর্তী সিদ্ধান্ত না নেওয়া পর্যন্ত এই দুই সড়কে অবরোধ শিথিল থাকবে। তবে এই দুই সড়ক ছাড়া জেলার বাকি সড়ক খাগড়াছড়ি-রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি-সাজেক সড়ক অবরোধ চলবে।

অবরোধ শিথিলের ঘোষণা দেওয়ার পর ওই দুই সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। মানিকছড়ির সিএনজিচালক রাশেদ বলেন, ‘সকাল থেকে পরিস্থিতি থমথমে ছিল। বেলা ৩টা থেকে যান চলাচল স্বাভাবিক হওয়ার পর আমরা ফটিকছড়ি থেকে যাত্রী নিয়ে রওনা হয়েছি।’

অভিযোগ অস্বীকার ইউপিডিএফের

রাঙামাটি প্রতিনিধি জানান, খাগড়াছড়ি ও গুইমারায় গত শনি ও রোববারের ঘটনার বিষয়ে সেনাবাহিনীর দেওয়া বক্তব্য ঠিক নয় বলে দাবি করেছে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)। সংগঠনটির প্রচার সম্পাদক নিরণ চাকমা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেন ইউপিডিএফ মুখপাত্র অংগ্য মারমা। বিবৃতিতে বলা হয়, যারা অগ্নিসংযোগ করেছিল তারা ইউপিডিএফের কেউ নয়। দাঙ্গা বাধানোর উদ্দেশ্যেই তারা ওই কাজ করে।

বিবৃতিতে খাগড়াছড়ি ও গুইমারায় পাহাড়িদের ওপর সংঘটিত হামলা তদন্তের জন্য জাতিসংঘের অংশগ্রহণে একটি উচ্চপর্যায়ের বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানায় ইউপিডিএফ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা—জনসংখ্যার তীব্র সংকটে ইউক্রেন

বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি শিক্ষার্থী ভর্তি স্থগিত করেছে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়

ভোটের মাঠে: টাঙ্গাইলে নির্বাচনী উত্তাপ

গোপালগঞ্জে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, ছাত্রীর আত্মহত্যা

খালেদা জিয়াকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স রওনা হবে শুক্রবার দুপুরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস

পঞ্চগড় প্রতিনিধি
হালকা কুয়াশায় ঢাকা চারদিক। ছবি: আজকের পত্রিকা
হালকা কুয়াশায় ঢাকা চারদিক। ছবি: আজকের পত্রিকা

উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।

গত কয়েক দিন পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৩ ডিগ্রির ঘরে থাকছে। ফলে বাড়ছে শীতের প্রকোপ। আজ শুক্রবার সকালে পঞ্চগড় সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হালকা কুয়াশায় ঢাকা চারদিক। সুনসান নীরবতায় গরম কাপড় পরে প্রয়োজনীয় কাজে বের হয়েছে লোকজন। কেউ কেউ মাঠে করছেন হালচাষ। এরই মধ্যে পূর্ব আকাশে সূর্য দেখা দিলেও নেই প্রখর রোদ।

পঞ্চগড় সদর উপজেলার তালমা এলাকার গৃহবধূ নাজমা বেগম বলেন, ‘সকাল-বিকেল খুব ঠান্ডা পড়ে। ঘর থেকে বের হলেই যেন বাতাসে শরীর কেঁপে ওঠে। বাচ্চাদের নিয়ে সবচেয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। ঠান্ডা লাগলে হাসপাতালে যেতে হয় বারবার।’

একই এলাকার দিনমজুর মিজানুর রহমান বলেন, ‘শীতে কাজ পাওয়া কষ্ট হয়ে গেছে। সকালে কুয়াশায় কিছু দেখা যায় না, হাত-পা জমে থাকে। ঠান্ডায় শরীর ঠিকমতো সাড়া না দেওয়ায় কাজের গতি কমে গেছে।’

স্কুলছাত্রী তানজিলা আক্তার বলে, ‘সকালে কলেজ ও প্রাইভেটে যেতে খুব সমস্যা হয়। ঠান্ডা এমন যে হাতে গ্লাভস ছাড়া সাইকেল চালানো যায় না। শীত যেমন বাড়ছে, তেমনি অসুস্থ হওয়ার ভয়ও বাড়ছে।’

জেলার আশপাশ এলাকায় বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগী। এতে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। সর্দি-কাশি, জ্বর, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও হঠাৎ তাপমাত্রা পরিবর্তনজনিত অ্যালার্জিতে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।

চিকিৎসকেরা বলছেন, দিন-রাতের তাপমাত্রার এই বড় পার্থক্য শরীরের ওপর চাপ ফেলে। বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক ও দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন মানুষ বেশি ঝুঁকিতে থাকে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ চিকিৎসকের।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, শীত ধীরে ধীরে নামছে। আজ ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। সামনে শীত আরও তীব্র হতে পারে। শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা—জনসংখ্যার তীব্র সংকটে ইউক্রেন

বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি শিক্ষার্থী ভর্তি স্থগিত করেছে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়

ভোটের মাঠে: টাঙ্গাইলে নির্বাচনী উত্তাপ

গোপালগঞ্জে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, ছাত্রীর আত্মহত্যা

খালেদা জিয়াকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স রওনা হবে শুক্রবার দুপুরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

গলায় রশি পেঁচানো নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
ডোবায় নছিমনচালকের লাশ পাওয়া যায়। ছবি: আজকের পত্রিকা
ডোবায় নছিমনচালকের লাশ পাওয়া যায়। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণ, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।

নিহত ওমর আলী কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার হাটবেলাটপুর গ্রামের ছাত্তার শেখের ছেলে।

বারোবাজারের ইসমাইল নামের এক শ্রমিক বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে বারোবাজারে শ্রমিকের কাজ করতাম। কিছুদিন আগে ওমর আলী নছিমন কিনেছে। সে বারোবাজারের মাছের ভাড়া টানে। সকালে তার মোবাইলে ফোন দিলে রিসিভ হচ্ছিল না। পরে জানতে পারি, তাকে হত্যা করা হয়েছে।’

কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির গলায় ধারালো অস্ত্রের কাটা দাগ রয়েছে। এ ছাড়া রশি দিয়ে তাঁর গলা পেঁচানো। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করে ফেলে রেখে গেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা—জনসংখ্যার তীব্র সংকটে ইউক্রেন

বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি শিক্ষার্থী ভর্তি স্থগিত করেছে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়

ভোটের মাঠে: টাঙ্গাইলে নির্বাচনী উত্তাপ

গোপালগঞ্জে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, ছাত্রীর আত্মহত্যা

খালেদা জিয়াকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স রওনা হবে শুক্রবার দুপুরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পাহাড়ে ভুট্টা চাষে ভালো ফলন পেলেন কৃষক জয়নাল

ঝুলন দত্ত, কাপ্তাই ( রাঙামাটি)
৩৩ শতক জমিতে ভুট্টা চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছেন কৃষক জয়নাল আবেদীন। ছবি: আজকের পত্রিকা
৩৩ শতক জমিতে ভুট্টা চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছেন কৃষক জয়নাল আবেদীন। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় কৃষক জয়নাল আবেদীন এ বছর ৩৩ শতক জমিতে হাইব্রিড জাতের ভুট্টা চাষ করেছেন। ভালো ফলন পাওয়ায় তিনি লাভের আশা করছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আওতাধীন ‘কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে পুষ্টি ও খাদ্যনিরাপত্তা জোরদারকরণ’ প্রকল্পের আওতায় রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলা কৃষি বিভাগের তত্ত্বাবধানে ভুট্টা চাষ করেছেন তিনি।

উপজেলার ১ নম্বর চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের রেশম বাগান ব্লকের বারঘোনিয়া তঞ্চঙ্গাপাড়ায় জমিতে ভুট্টা লাগিয়েছেন কৃষক জয়নাল। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে কথা হয় তাঁর সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, ৩৩ শতক কৃষি জমিতে ভুট্টার চাষ করেছেন। চলতি বছরের বোরো মৌসুমে কাপ্তাই উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে ভুট্টার বীজ, সার ও সাইনবোর্ড পেয়েছেন। এ ছাড়াও একই জমিতে সাথি ফসল হিসেবে লালশাক, ফরাস শিম ও টমেটো চাষ করেছেন। বর্তমানে জমিতে ভুট্টার ভালো ফলন হয়েছে। আগামী সপ্তাহে ভুট্টা বিক্রির আশা করছেন তিনি।

এদিন কাপ্তাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আহসান হাবীব রেশমবাগান তঞ্চঙ্গাপাড়ায় কৃষক জয়নাল আবেদীনের ভুট্টা চাষ প্রকল্প পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘পাহাড়ে ভুট্টা চাষ কম হলেও রেশম বাগান তঞ্চঙ্গাপাড়ায় এলাকায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রকল্পের আওতায় কাপ্তাই উপজেলায় চারটি ভুট্টা প্রদর্শনীর মধ্যে একটি কৃষক জয়নাল আবেদীনকে দিয়েছিলাম। ভুট্টা চাষে উনার ভালো অভিজ্ঞতা রয়েছে। আশা করছি, উনি ভালো লাভ করতে পারবেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা—জনসংখ্যার তীব্র সংকটে ইউক্রেন

বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি শিক্ষার্থী ভর্তি স্থগিত করেছে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়

ভোটের মাঠে: টাঙ্গাইলে নির্বাচনী উত্তাপ

গোপালগঞ্জে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, ছাত্রীর আত্মহত্যা

খালেদা জিয়াকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স রওনা হবে শুক্রবার দুপুরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ট্রাকচাপায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

জামালপুর প্রতিনিধি 
আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮: ৫২
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

জামালপুর পৌর এলাকার বেলটিয়ায় টাঙ্গাইল-জামালপুর মহাসড়কে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও একজন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন জামালপুর সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের চর জালালের পাড়া গ্রামের শফিকুলের ছেলে বাবু ওরফে দিপু এবং জালাল উদ্দিনের ছেলে রাসেল হোসেন। আহত হয়েছেন একই এলাকার শ্যামল মিয়া। হতাহত তিনজনই চাচা-ভাতিজা।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রাতে কেন্দুয়ার বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে জেলা শহরের যাচ্ছিলেন তিনজন। বেলটিয়া এলাকায় পৌঁছালে টাঙ্গাইলগামী একটি মরিচবোঝাই ট্রাক তাঁদের মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়। এতে সড়কে পড়ে গুরুতর আহত হন তিনজন। তাঁদেরকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক দিপু ও রাসেলকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত শ্যামলকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জামাল উদ্দিন বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত তিনজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এর মধ্যে দুজনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। একজন আহত ছিলেন। তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জামালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘লাশের ময়নাতদন্ত চলছে। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলমান। আমরা ট্রাকটি আটক করেছি, কিন্তু চালক পালিয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা—জনসংখ্যার তীব্র সংকটে ইউক্রেন

বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি শিক্ষার্থী ভর্তি স্থগিত করেছে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়

ভোটের মাঠে: টাঙ্গাইলে নির্বাচনী উত্তাপ

গোপালগঞ্জে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, ছাত্রীর আত্মহত্যা

খালেদা জিয়াকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স রওনা হবে শুক্রবার দুপুরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত