Ajker Patrika

চট্টগ্রামে প্রধান শিক্ষককে পদত্যাগের আলটিমেটাম দিয়ে ছাত্রদল নেতার হুংকার

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ১৪ জুন ২০২৫, ০০: ১২
শিক্ষককে হুমকি দেওয়া চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রদল নেতা তারেকুর রহমান তারেক। ছবি: সংগৃহীত
শিক্ষককে হুমকি দেওয়া চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রদল নেতা তারেকুর রহমান তারেক। ছবি: সংগৃহীত

‘প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি দে আমাদের অনেকের শিক্ষক। আমাদের তিনি লেখাপড়া করিয়েছেন, কিন্তু এখন যখন হাইদগাঁওয়ের (পটিয়া উপজেলা) মানুষ আপনাকে চায় না, আপনি সসম্মানে পদত্যাগ করুন’। চট্টগ্রামের পটিয়ার হাইদগাঁও উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি দেকে ‘ফ্যাসিস্ট’ আখ্যা দিয়ে এমন বক্তব্য দিলেন এক ছাত্রদল নেতা। একই সঙ্গে ওই শিক্ষককে সাত দিনের মধ্যে পদত্যাগের আলটিমেটাম দেওয়া হয়।

গত বুধবার (১১ জুন) বিকেলে হাইদগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে আয়োজিত প্রতিবাদ সভা থেকে এই হুংকার দেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রদল নেতা তারেকুর রহমান তারেক। ওই প্রধান শিক্ষক যদি পদত্যাগ না করেন, তাহলে জোর করে পদত্যাগে বাধ্য করার হুমকিও দিয়ে রাখেন তিনি।

হাইদগাঁও ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনতার ব্যানারে আয়োজিত ওই প্রতিবাদ সভায় ছাত্রদল নেতা তারেকুর রহমান বলেন, হাইদগাঁও উচ্চবিদ্যালয়ে অযোগ্য ব্যক্তিকে সভাপতি নির্বাচিত করে শিক্ষকদের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টির মাধ্যমে শিক্ষার পরিবেশ বিনষ্ট করা হয়েছে।

ছাত্রদল নেতা বলেন, ‘৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাধারণ নাগরিকেরা প্রতিবাদের মিছিলে শামিল হয়েছেন। প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে অতীতেও মুক্তিযোদ্ধারা সংবাদ সম্মেলন করেছেন, স্থানীয় সাবেক চেয়ারম্যানেরাও প্রতিবাদ সভা করেছেন; কিন্তু এর কোনো রেজাল্ট পাইনি। প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বারবার তদন্ত হওয়ার পরও প্রতিবেদনে নাকি উনার বিরুদ্ধে কিছু পাওয়া যায় না।’

তারেকুর আরও বলেন, ‘শুধু শ্যামল মাস্টার নন, যাঁরা শিক্ষকের আসনে বসে বিদ্যালয়কে ধ্বংস করেছেন, তাঁদের সবার পদত্যাগ দাবি করছি। না হলে জোরপূর্বক পদত্যাগে বাধ্য করব।’

ছাত্রদল নেতা তারেকুর রহমান প্রধান শিক্ষককে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, বিষয়টি শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান না হলে সামনে এর কঠিন পরিণতি ভোগ করতে হবে।

এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি দে বলেন, ‘যে বা যারা প্রতিবাদ সভা করেছে, তাদের বক্তব্য সম্পূর্ণ মিথ্যা ও অনভিপ্রেত। মূলত সারা দেশে মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে অ্যাডহক কমিটি গঠন করার নির্দেশনা অনুযায়ী প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার স্বাক্ষরে তিনজন গণ্যমান্য ব্যক্তির নাম পাঠানো হয়। এর মধ্যে বিএনপি-সমর্থক মোজাম্মেল হক লিটনের নাম না থাকায় তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে এসব করছেন। তাঁরা অন্যায়ভাবে জোরপূর্বক মব তৈরি করে আমার ওপর হামলা করতে ও পদত্যাগে বাধ্য করতে চান। আমি বিষয়টি বিদ্যালয়ের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করেছি। তিনি যেভাবে নির্দেশনা দেবেন, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।’

এ বিষয়ে পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইওএনও) ফারহানুর রহমান বলেন, শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে তা শিক্ষা বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেবে। এখানে অন্য কোনো কিছুর সুযোগ নেই।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রদল নেতা তারেকুর রহমান বলেন, ‘এলাকার মানুষ স্যারকে চাচ্ছে না। তাই এলাকার মানুষের পক্ষ হয়ে সভা করেছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সাইবার সুরক্ষার মামলায় গ্রেপ্তার বুয়েট ছাত্র শ্রীশান্ত কারাগারে

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
মঙ্গলবার মধ্যরাত পর্যন্ত বিক্ষোভ করেন বুয়েটের শিক্ষার্থীরা। ছবি: স্ক্রিনশট
মঙ্গলবার মধ্যরাত পর্যন্ত বিক্ষোভ করেন বুয়েটের শিক্ষার্থীরা। ছবি: স্ক্রিনশট

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সহপাঠীকে যৌন হয়রানি, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও সাইবার বুলিংয়ের অভিযোগে গ্রেপ্তার বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী শ্রীশান্ত রায়কে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ বুধবার (২২ অক্টোবর) ঢাকার মহানগর হাকিম মোহাম্মদ এহসানুল ইসলাম তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আদালতের চকবাজার থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এস আই আশরাফুল আলম এসব তথ্য জানিয়েছেন।

সামাজিক যোগাযোগের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম রেডিটে করা পোস্টের জের ধরে গতকাল মঙ্গলবার রাতে বুয়েটে বিক্ষোভ করে একদল শিক্ষার্থী। তাঁদের দাবির মুখে বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২১তম ব্যাচের ছাত্র শ্রীশান্তকে সাময়িক বহিষ্কার করে কর্তৃপক্ষ।

পরে তাঁর বিরুদ্ধে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫ এর ২৫ ও ২৬ ধারায় রাজধানীর চকবাজার থানায় মামলা করেন বুয়েটের নিরাপত্তা কর্মকর্তা আফগান হোসেন। ওই মামলায় শ্রীশান্তকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ আদালতে হাজির করে পুলিশ।

শ্রীশান্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি রেডিট ব্যবহার করে সহপাঠীকে যৌন হয়রানির হুমকি দিয়েছেন এবং নারীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করতেন। পাশাপাশি মুসলিম নারীদের পোশাক হিজাব নিয়েও নানা প্ল্যাটফর্মে বাজে মন্তব্য করতেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫ এর ২৫ ও ২৬ ধারার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ তোলা হয়েছে।

তদন্ত কর্মকর্তা বুয়েটের ওই ছাত্রকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। অন্যদিকে তাঁর পক্ষে জামিনের আবেদন করেন আইনজীবী। আদালত জামিনের আবেদন নিয়ে শুনানির জন্য আগামীকাল বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেন। শুনানির সময় তদন্ত কর্মকর্তাকে হাজির থাকার নির্দেশ দেন তিনি।

গতকাল মঙ্গলবার মধ্যরাতে বিক্ষোভে নামে বুয়েটের একদল শিক্ষার্থী। বিক্ষোভের মুখে রাতেই তাঁকে হেফাজতে নেয় চকবাজার থানা পুলিশ। চকবাজার থানায় আজ বুয়েটের মামলার পর তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা চকবাজার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাজাহান সিরাজ।

সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের ২৫ (১) ধারায় বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি ওয়েবসাইট বা অন্য কোনো ডিজিটাল বা ইলেকট্রনিক মাধ্যমে ইচ্ছাকৃতভাবে বা জ্ঞাতসারে অন্য কোনো ব্যক্তিকে ব্ল‍্যাকমেইলিং বা যৌন হয়রানি বা রিভেঞ্জ পর্ন বা ডিজিটাল শিশু যৌন নিপীড়ন সংক্রান্ত উপাদান (চাইল্ড সেক্সুয়াল অ্যাবিউজ ম্যাটেরিয়াল) বা সেক্সটর্শন করবার অভিপ্রায়ে সৃষ্ট বা প্রাপ্ত বা সংরক্ষিত কোনো তথ্য, ভিডিও চিত্র, অডিও ভিজ্যুয়াল চিত্র, স্থির চিত্র, গ্রাফিকস বা অন্য কোনো উপায়ে ধারণকৃত, এডিটকৃত, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দ্বারা নির্মিত অথবা এডিটকৃত ও প্রদর্শনযোগ্য এইরূপ কোনো তথ্য-উপাত্ত প্রেরণ, প্রকাশ বা প্রচার করেন বা প্রেরণ, প্রকাশ বা প্রচার করার হুমকি প্রদান করেন; যা ক্ষতিকর বা ভীতি প্রদর্শক, তাহলে উক্ত ব্যক্তির অনুরূপ কার্য হবে একটি অপরাধ।

অন্যদিকে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫ এর ২৬ ধারায় বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে বা জ্ঞাতসারে বা ছদ্ম পরিচয়ে নিজের বা অন্যের আইডিতে অবৈধ প্রবেশ করিয়া এমন কোনো কিছু সাইবার স্পেসে প্রকাশ বা প্রচার করেন বা করান, যাহা ধর্মীয় বা সাম্প্রদায়িক ঘৃণামূলক বা জাতিগত বিদ্বেষমূলক বক্তব্য এবং যাহা সহিংসতা তৈরি বা উদ্বেগ সৃষ্টি করে বা বিশৃঙ্খলা বা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের নির্দেশনা করে, তাহা হইলে অনুরূপ কার্য হইবে একটি অপরাধ।

এই দুই ধারায় সর্বোচ্চ ২ থেকে ৫ বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ থেকে ২০ লাখ টাকার অর্থদণ্ড হতে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

৪ বছরের শিশুকে ধর্ষণচেষ্টা, আসামির দায়ের কোপে শিশুর দাদি নিহত

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
আবুল রবিদাস। ছবি: সংগৃহীত
আবুল রবিদাস। ছবি: সংগৃহীত

ময়মনসিংহের ফুলপুর পৌরসভা এলাকায় চার বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার সময় তাকে রক্ষা করতে গিয়ে ঘাতকের দায়ের কোপে মারা গেছেন শিশুটির দাদি ফুলবাঁশির (৬৫)। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) আব্দুল্লাহ আল মামুন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ফুলপুর পৌরসভার আমুয়াকান্দা গ্রামের চার বছর বয়সী ওই শিশু গত সোমবার (২০ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। শিশুটির পরিবার দ্রুত খোঁজাখুঁজি শুরু করে। রাতেই জানা যায়, শিশুটিকে প্রতিবেশী আবুল রবিদাস (৪০) প্রলুব্ধ করে অপহরণ করেছেন এবং তার ওপর পাশবিক নির্যাতন চালানোর চেষ্টা করেছেন।

স্থানীয় বাসিন্দাদের ভাষ্যমতে, এ খবর শুনে শিশুটির দাদি ফুলবাঁশির তাঁর নাতিকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন। বৃদ্ধার এই সাহসিকতা দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন অভিযুক্ত আবুল রবিদাস।

তখন রবিদাস ধারালো দা দিয়ে বৃদ্ধ ফুলবাঁশির মাথায় সজোরে কোপ দেন। এতে তিনি গুরুতর জখম হন।

তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয় বাসিন্দাদের সহায়তায় ফুলবাঁশিরকে ফুলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

ঘটনার পরপরই বাড়ি থেকে পালিয়ে যান রবিদাস। খবর পেয়ে স্থানীয় জনতা ও পুলিশ যৌথভাবে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে খুঁজতে শুরু করে। পুলিশের তৎপরতায় গতকাল মঙ্গলবার রাত ৩টার দিকে ভালুকার কাশর এলাকা থেকে আবুল রবিদাসকে (৪০) গ্রেপ্তার করা হয়।

ফুলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হাদি বলেন, এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে রবিদাসকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।

ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘ঘটনা জানার পরপরই পুলিশ অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেয়। পুলিশের তৎপরতায় গতকাল রাতে অভিযুক্ত আবুল রবিদাসকে (৪০) আমরা গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নিরাপদ সড়ক দিবসে রাজশাহীতে বাসচাপায় ২ জনের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজশাহীতে যাত্রীবাহী বাসচাপায় মোটরসাইকেলের চালকসহ দুজন নিহত হয়েছেন। ইউ-টার্ন নেওয়ার সময় পেছন থেকে গ্রামীণ ট্রাভেলসের একটি বাস মোটরসাইকেলটিকে পেছন থেকে চাপা দেয়। আজ বুধবার নগরীর শাহমখদুম থানার সিটিহাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

এ দিন সারা দেশে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস পালিত হয়। এ বছর দিবসের প্রতিপাদ্য-‘মানসম্মত হেলমেট ও নিরাপদ গতি, কমবে জীবন ও সম্পদের ক্ষতি।’ আর এ দিনই রাজশাহীতে বেপরোয়া বাসের চাপায় প্রাণ হারান দুজন।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার ফকিরপাড়া গ্রামের আজিজুর রহমান খান (৪০) এবং একই উপজেলার কিচনিদহা গ্রামের সৈবুর রহমান (৪৫)। আজিজুর রহমান খান ঘটনাস্থলেই মারা যান। সৈবুর রহমানকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে শাহমখদুম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাছুমা মুস্তারী জানান, আজিজুর রহমান ও সৈবুর রহমান একই মোটরসাইকেলে চেপে রাজশাহী শহর থেকে বের হয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের দিকে যাচ্ছিলেন। সিটিহাট এলাকায় ইউ-টার্ন নেওয়ার সময় গ্রামীণ ট্রাভেলসের দ্রুতগতির একটি বাস মোটরসাইকেলটিকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে বাসের নিচে পড়ে দুজনের মৃত্যু হয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে বাস ও মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।

ওসি আরও জানান, বাসমালিকের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ। নিহত দুজনের একজনের আত্মীয় এই বাসের কাউন্টারে চাকরি করেন। ফলে পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তাঁরা ময়নাতদন্ত ছাড়াই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে লাশ নিয়ে গেছেন।

পরিবারের অভিযোগ না থাকায় এ ব্যাপারে সড়ক পরিবহন আইনে মামলা হয়নি। তবে পুলিশ একটি অপমৃত্যুর মামলা করেছে বলেও জানান ওসি মাছুমা মুস্তারী।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নরসিংদীর সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাঠ খেলার উপযোগী করার নির্দেশ

নরসিংদী প্রতিনিধি
জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে সভা। ছবি: আজকের পত্রিকা
জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে সভা। ছবি: আজকের পত্রিকা

নরসিংদীতে খেলাধুলার চর্চা বাড়াতে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাঠ খেলার উপযোগী করতে নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. আনোয়ার হোসেন। এ বিষয়ে জেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চিঠি দেওয়া হবে।

আজ বুধবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে জেলা ক্রীড়া সংস্থার সঙ্গে প্রথম সভায় এ নির্দেশ দেন তিনি।

সভায় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কর্মসূচি অনুসারে জেলায় খেলাধুলার মানোন্নয়নে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ, এনএসসি থেকে পাওয়া ক্রীড়াসামগ্রী যথাযথভাবে বিতরণের জন্য জেলা ক্রীড়া অফিসারকে তালিকা প্রস্তুত করতে বলা হয়।

জাতীয় পর্যায়ে নরসিংদীর অংশগ্রহণ আছে—এমন খেলোয়াড়দের একটি তালিকা করতেও বলা হয়। এ ছাড়া জেলা ক্রীড়া সংস্থায় খেলাধুলার আয়োজন, যথাযথভাবে বাজেট প্রণয়ন ও খরচের বিষয়ে স্বচ্ছতা আনতে অভ্যন্তরীণ অডিট কমিটি গঠন করা হয়।

স্টেডিয়ামের দোকানগুলো বরাদ্দের ক্ষেত্রে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে নির্দেশনা দেন জেলা প্রশাসক।

নরসিংদীতে নতুন যোগ দেওয়া জেলা প্রশাসক মো. আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে জেলা ক্রীড়া সংস্থার প্রথম সভা ছিল এটি। সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আবু তাহের মো. সামসুজ্জামান, জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা ফারজানা আক্তার সাথী, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য আওলাদ হোসেন মোল্লা, জাহিদুল কবীর ভূঁইয়া প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত