নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম নগরীতে দুষ্টুমিতে বিরক্ত হয়ে সৎবাবা তাঁর দুই বছরের এক শিশুকে মারধরের পাশাপাশি সিগারেটের আগুন দিয়ে শরীরে ছ্যাঁকা দিতেন। এতেও ক্ষান্ত হননি ওই বাবা। কয়েক দিন আগে রাগান্বিত হয়ে শিশুটিকে দেয়ালে ধাক্কা মারেন। এতে মাথায় মারাত্মক আঘাত পায় ওই শিশু। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা গেছে।
গত শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে আইসিইউতে থাকাবস্থায় ওমর ফারুক (২) নামে ওই শিশুটির মৃত্যু হয়। এই মর্মান্তিক ঘটনায় শনিবার (৯ ডিসেম্বর) ইপিজেডের বাসা থেকে অভিযুক্ত সৎবাবা মো. ইয়ামিনকে (২৪) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ইয়ামিন গাইবান্ধার নলডাঙ্গা ইউনিয়নের আবছার আলীর ছেলে। নগরীতে ইয়ামিন স্ত্রী রওশনারা বেগম ও নিহত শিশু ওমর ফারুকের সঙ্গে ইপিজেড থানার আকমল আলী রোডে পকেটগেট এলাকায় বাসা ভাড়ায় থাকতেন।
ইপিজেড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হোসাইন আজ রোববার আজকের পত্রিকাকে বলেন, শিশুটির মা একজন পোশাকশ্রমিক। তিনি তাঁর তৃতীয় স্বামী ইয়ামিনের সঙ্গে ওই বাসায় থাকতেন। ইয়ামিন কিছু করতেন না। আর বাচ্চাটি ছিল ওই নারীর আগের সংসারের অর্থাৎ দ্বিতীয় স্বামীর।
ওসি বলেন, ওই নারী যখন কর্মস্থলে যেতেন তখন বাচ্চাটিকে দেখাশোনার জন্য তাঁর স্বামীর কাছে রেখে যেতেন। কোনো কোনো সময় তাঁদের এক প্রতিবেশী নারীর কাছে বাচ্চাটিকে রেখে যেতেন।
ওই প্রতিবেশী বলেন, ‘বাচ্চাটি একটু দুষ্টুপ্রকৃতির ছিল। ইয়ামিন বাচ্চাটিকে দেখতে পারত না। তার মা যখন কর্মস্থলে চলে যেত, তখন দুষ্টুমি করার কারণে ইয়ামিন বিভিন্ন সময় তাকে মারধর করত। মাঝেমধ্যে মায়ের সামনেই তাকে মারত।’
৬ ডিসেম্বর দুষ্টুমি করায় তার শরীরে সিগারেটের আগুন দিয়ে ছ্যাঁকা দিয়েছিলেন সৎবাবা। রাতে যখন মা বাসায় ফিরে তখন শিশুটির শরীরে থাকা কালো দাগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কিছু জানেন না বলে দাবি করেন। এ সময় ইয়ামিন বলে হয়তো মবিলের কালো দাগ শরীরে লেগেছে— এভাবেই ঘটনাটি উড়িয়ে দেন।
পরদিন (৭ ডিসেম্বর) রওশনারা তাঁর শিশুসন্তানকে বাসায় রেখে প্রতিদিনের মতো কারখানায় যান। এ সময় দুষ্টুমির কারণে রাগে তাঁর সৎবাবা শিশুটির চোয়াল ধরে সজোরে ধাক্কা দিলে সে মাথার পেছনে আঘাত পায়। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। চমেকে আইসিইউ খালি না থাকায় পরে শিশুটিকে বেসরকারি হলি হেলথ হাসপাতালে আনা হয়। এই হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার রাত ১১টা ৩৫ মিনিটে সে মারা যায়।
ওসি মোহাম্মদ হোসাইন বলেন, পরদিন (৯ ডিসেম্বর) তাঁর মরদেহ ইপিজেডের বাসায় আনা হয়। পুলিশ ৯৯৯ নম্বরে ঘটনার বিষয়ে জানতে পেরে ঘটনাস্থলে আসে। পুলিশকে অভিযুক্ত ইয়ামিন পালানোর চেষ্টা করেছিলেন। পরে তাঁকে আটক করা হয়। এই ঘটনায় নিহতের মা বাদী হয়ে ওই দিন ইপিজেড থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
পুলিশ জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত ইয়ামিন শিশুটিকে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন। গ্রেপ্তারের পর তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
চট্টগ্রাম নগরীতে দুষ্টুমিতে বিরক্ত হয়ে সৎবাবা তাঁর দুই বছরের এক শিশুকে মারধরের পাশাপাশি সিগারেটের আগুন দিয়ে শরীরে ছ্যাঁকা দিতেন। এতেও ক্ষান্ত হননি ওই বাবা। কয়েক দিন আগে রাগান্বিত হয়ে শিশুটিকে দেয়ালে ধাক্কা মারেন। এতে মাথায় মারাত্মক আঘাত পায় ওই শিশু। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা গেছে।
গত শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে আইসিইউতে থাকাবস্থায় ওমর ফারুক (২) নামে ওই শিশুটির মৃত্যু হয়। এই মর্মান্তিক ঘটনায় শনিবার (৯ ডিসেম্বর) ইপিজেডের বাসা থেকে অভিযুক্ত সৎবাবা মো. ইয়ামিনকে (২৪) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ইয়ামিন গাইবান্ধার নলডাঙ্গা ইউনিয়নের আবছার আলীর ছেলে। নগরীতে ইয়ামিন স্ত্রী রওশনারা বেগম ও নিহত শিশু ওমর ফারুকের সঙ্গে ইপিজেড থানার আকমল আলী রোডে পকেটগেট এলাকায় বাসা ভাড়ায় থাকতেন।
ইপিজেড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হোসাইন আজ রোববার আজকের পত্রিকাকে বলেন, শিশুটির মা একজন পোশাকশ্রমিক। তিনি তাঁর তৃতীয় স্বামী ইয়ামিনের সঙ্গে ওই বাসায় থাকতেন। ইয়ামিন কিছু করতেন না। আর বাচ্চাটি ছিল ওই নারীর আগের সংসারের অর্থাৎ দ্বিতীয় স্বামীর।
ওসি বলেন, ওই নারী যখন কর্মস্থলে যেতেন তখন বাচ্চাটিকে দেখাশোনার জন্য তাঁর স্বামীর কাছে রেখে যেতেন। কোনো কোনো সময় তাঁদের এক প্রতিবেশী নারীর কাছে বাচ্চাটিকে রেখে যেতেন।
ওই প্রতিবেশী বলেন, ‘বাচ্চাটি একটু দুষ্টুপ্রকৃতির ছিল। ইয়ামিন বাচ্চাটিকে দেখতে পারত না। তার মা যখন কর্মস্থলে চলে যেত, তখন দুষ্টুমি করার কারণে ইয়ামিন বিভিন্ন সময় তাকে মারধর করত। মাঝেমধ্যে মায়ের সামনেই তাকে মারত।’
৬ ডিসেম্বর দুষ্টুমি করায় তার শরীরে সিগারেটের আগুন দিয়ে ছ্যাঁকা দিয়েছিলেন সৎবাবা। রাতে যখন মা বাসায় ফিরে তখন শিশুটির শরীরে থাকা কালো দাগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কিছু জানেন না বলে দাবি করেন। এ সময় ইয়ামিন বলে হয়তো মবিলের কালো দাগ শরীরে লেগেছে— এভাবেই ঘটনাটি উড়িয়ে দেন।
পরদিন (৭ ডিসেম্বর) রওশনারা তাঁর শিশুসন্তানকে বাসায় রেখে প্রতিদিনের মতো কারখানায় যান। এ সময় দুষ্টুমির কারণে রাগে তাঁর সৎবাবা শিশুটির চোয়াল ধরে সজোরে ধাক্কা দিলে সে মাথার পেছনে আঘাত পায়। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। চমেকে আইসিইউ খালি না থাকায় পরে শিশুটিকে বেসরকারি হলি হেলথ হাসপাতালে আনা হয়। এই হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার রাত ১১টা ৩৫ মিনিটে সে মারা যায়।
ওসি মোহাম্মদ হোসাইন বলেন, পরদিন (৯ ডিসেম্বর) তাঁর মরদেহ ইপিজেডের বাসায় আনা হয়। পুলিশ ৯৯৯ নম্বরে ঘটনার বিষয়ে জানতে পেরে ঘটনাস্থলে আসে। পুলিশকে অভিযুক্ত ইয়ামিন পালানোর চেষ্টা করেছিলেন। পরে তাঁকে আটক করা হয়। এই ঘটনায় নিহতের মা বাদী হয়ে ওই দিন ইপিজেড থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
পুলিশ জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত ইয়ামিন শিশুটিকে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন। গ্রেপ্তারের পর তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ঘন কুয়াশার কারণে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত ১২টা থেকে এই পথে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। আজ শনিবার সকাল ৯টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল।
১ ঘণ্টা আগেমাদারীপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে পাঁচজন আহত হয়েছেন। এ সময় বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মাদারীপুর সদর উপজেলার রাস্তি ইউনিয়নের পূর্ব রাস্তি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে প্রধান শিক্ষক ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে চলছে ১১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা। প্রধান শিক্ষকবিহীন এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে। অভিযোগ রয়েছে, যেসব ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হচ্ছে, তাঁদের অনেকেরই প্রধান শিক্ষক হওয়ার যোগ
৮ ঘণ্টা আগেদুই দশক কিছুটা শান্ত থাকার পর কুড়িগ্রামের চিলমারী-রৌমারী-রাজিবপুর নৌপথে আবার ডাকাতের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। এক মাসের ব্যবধানে দুবার ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ দুই ঘটনায় আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রতিরোধেও কার্যকর উদ্যোগ নেই স্থানীয় প্রশাসনের। আবার ডাকাতি শুরু হওয়ায় ১৪ কিলোমিটার এই নৌপথের নৌযান, যাত্রী
৯ ঘণ্টা আগে