Ajker Patrika

চাঁদপুরে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অটোরিকশাচালক নিহত, পুলিশসহ আহত অনেকে 

চাঁদপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ১২ জুন ২০২৪, ১১: ০৩
চাঁদপুরে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অটোরিকশাচালক নিহত, পুলিশসহ আহত অনেকে 

চাঁদপুর শহরের পুরান বাজারে পূর্ববিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে আল-আমিন খান (৩০) নামে এক অটোরিকশাচালক নিহত হয়েছেন। এ সময় পুলিশসহ দুই পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত পুরান বাজারের পলাশের মোড়, মেরকাটিজ রোড ও নিতাইগঞ্জ রোডে এ সংঘর্ষ হয়। 

এ ঘটনার পর পুরান বাজার এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনির সদস্যরা সেখানে টহল দিচ্ছেন। 

নিহত আল আমিন খান (৩০) পুরান বাজার এলাকার আব্দুল মজিদ খান ডেঙ্গুর ছেলে। তিনি দুই সন্তানের জনক। তাঁর মরদেহ চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে রয়েছে। 

আহতদের মধ্যে আছেন পুলিশের এএসআই মনিরুল, কনস্টেবল আল-আমিন ও স্বপন। এ ছাড়া স্থানীয় রাশেদ, কামাল, শাকিল, রহমান, জসিম, আল-আমিনসহ প্রায় ২০ জন আহত হন। আহতদের কয়েক জন চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। 

নিহতের বাবা মজিদ খান ডেঙ্গু জানান, ‘আমার ছেলেকে গুলি করে মেরেছে। কার গুলিতে মারা গেছে তা শনাক্ত করে দ্রুত বিচারের দাবি করছি।’ 

স্থানীয়রা জানান, কিছুদিন আগে পুরান বাজার মেরকাটিজ রোডের এক কিশোরের সঙ্গে নিতাইগঞ্জ রোডের অপর এক কিশোরের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। মূলত ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সন্ধ্যায় নিতাইগঞ্জ রোডে যুবকদের সঙ্গে মেরকাটিজ রোড এলাকার যুবকদের সংঘর্ষ হয়। এতে দুই পক্ষ একে অপরের প্রতি ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে এবং ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। এ সময় গোলাগুলির শব্দও শোনা যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কয়েকটি রাবার বুলেট ও টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে। 

চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিহত অটোরিকশাচালকের স্বজনদের আহাজারি। ছবি: আজকের পত্রিকাচাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ওমর ফারুক জানান, আল-আমিন নামে এক ব্যক্তিকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তাঁর মাথার ডান পাশে গুলির আঘাত রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি গুলির আঘাতে মৃত্যুবরণ করেছেন। 

চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) সুদীপ্ত রায় ঘটনার বিষয়ে বলেন, ‘আগে থেকে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ ছিল। তা থেকেই সংঘর্ষের সূত্রপাত। কারা ঘটনাটি ঘটিয়েছে, তা তদন্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। এই সংঘর্ষে আমাদের কিছু পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। রাবার বুলেট ও টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। আমরা অভিযানে আছি। শিগগিরই ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত