জমির উদ্দিন, চট্টগ্রাম
বিদেশ থেকে ৩০টি নতুন ইঞ্জিন (লোকোমোটিভ) আমদানি করার পর পুরোনো ১৫টি ইঞ্জিন ফেলে রেখেছে রেলওয়ে। এতগুলো ইঞ্জিন বিদেশ থেকে আমদানি করলে, রেলের খরচ হতো ৪০০ কোটি টাকার বেশি। সামান্য সংস্কার করলেই এসব ইঞ্জিন দিয়ে ১৫টি নতুন ট্রেন চালানো যেত। অথচ ইঞ্জিনসংকটের কথা বলে কক্সবাজার স্পেশালসহ পূর্বাঞ্চলে ৫৬টি ট্রেন বন্ধ রেখেছে রেলওয়ে। এতে প্রতি মাসে অন্তত ২০ কোটি টাকা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে রেলওয়ে।
রেলের যান্ত্রিক বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০১৯ সাল থেকে দেশে আসতে শুরু করে নতুন ইঞ্জিন। ২০২৩ সালের মধ্যে ৩০টি নতুন ইঞ্জিন আসে। এর মধ্যে পূর্বাঞ্চলে ২২টি ও পশ্চিমাঞ্চলে ৮টি নতুন ইঞ্জিন যুক্ত হয়। নতুন ইঞ্জিন আসার পর এসব ট্রেনের আগের ৩০টি ইঞ্জিনের মধ্যে এখন চলছে মাত্র ৬টি। বাকি ২৪টির মধ্যে ৯টি বিভিন্ন কারণে চলাচলের অনুপযোগী।
বাকি ১৫টি ইঞ্জিন সামান্য সংস্কার করলেই এগুলো দিয়ে ট্রেন চালানো যাবে। হতো চলাচলের উপযোগী। অথচ এগুলো চট্টগ্রামের পাহাড়তলী ও দিনাজপুরের পার্বতীপুর লোকোশেডে পড়ে আছে।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের যান্ত্রিক বিভাগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, নতুন ইঞ্জিন যুক্ত হওয়ার আগে এসব ইঞ্জিন দিয়ে পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলে আন্তনগর ট্রেন চলেছে। পুরোনো এসব ইঞ্জিন এখনো চলাচলের উপযোগী। এই জন্য সামন্য সংস্কার করা প্রয়োজন। সংস্কারের অভাবে পাঁচ বছর ধরে ইঞ্জিনগুলো পড়ে আছে। অথচ সংস্কার করে এসব ইঞ্জিন দিয়ে ১৫টি নতুন ট্রেন বা বন্ধ থাকা ট্রেনগুলো চালানো যেত।
তিনি বলেন,‘ এই ১৫টি ইঞ্জিন যদি আপনি নতুন আমদানি করতে যান, তাহলে ৪৫০ কোটি টাকা খরচ হবে। আমরা সর্বশেষ ৩০টি ইঞ্জিন দেশে এনেছি ৯০০ কোটি টাকা খরচ করে।’
রেলের পরিবহন বিভাগ জানায়, ২০১৯ সালে করোনার কারণে ১০০টি ট্রেন বন্ধ রাখে রেলওয়ে। এর মধ্যে পূর্বাঞ্চলে ৫৬টি ট্রেন এখনো চালু হয়নি। গত ৩০ মে ইঞ্জিনসংকট দেখিয়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটের কক্সবাজার স্পেশাল ট্রেন বন্ধ করে দেওয়া হয়। অথচ ট্রেনটি দেশের সবচেয়ে লাভজন ট্রেন ছিল। যার মাসিক আয় ছিল প্রায় ৬৫ লাখ টাকা। এই ট্রেনের চাহিদাও ছিল প্রচুর।
ট্রেনটি বন্ধ রাখার পেছনে রেলের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী অবশ্য বলেন, ‘বেশ কিছুদিন ধরেই লোকো ড্রাইভার ও গার্ড স্বল্পতা এবং মিটারগেজ ইঞ্জিনের সংকট বিদ্যমান রয়েছে। কিছু ইঞ্জিনে ট্র্যাকশন মোটরের সমস্যা দেখা দেওয়া ও দুর্ঘটনার কারণে নিয়মিত ট্রেন চালানো কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। সামনে ঈদ। ইঞ্জিনগুলো একটু ভালোভাবে চেক করাও দরকার। সে জন্য আপাতত বন্ধ করে রাখা হয়।’ ১২ জুন থেকে আবার ট্রেনটি চালুর পরিকল্পনার কথা জানান তিনি।
ইঞ্জিন সংস্কার না করে ফেলে রাখার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে রেলওয়ের প্রধান পরিকল্পনা কর্মকর্তা এস এম সলিমুল্লাহ বাহার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অনেক বছর ধরে ইঞ্জিনগুলো পড়ে আছে। সংস্কারের উদ্যোগ নিইনি, তা সত্য নয়। আমরা একবার উদ্যোগ নিয়েছিলাম, সে জন্য দরপত্রের আহ্বানও করেছিলাম, কিন্তু কেউ অংশ না নেওয়ায় প্রকল্পের কাজ আর এগোয়নি। এটির জন্য আলাদা বাজেট দরকার। আমরা সামনে ইঞ্জিনগুলো সংস্কার করে ফেলব।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সংস্কার করার পর অবশ্যই ইঞ্জিনগুলো দিয়ে ট্রেন চালানো যাবে।
বিদেশ থেকে ৩০টি নতুন ইঞ্জিন (লোকোমোটিভ) আমদানি করার পর পুরোনো ১৫টি ইঞ্জিন ফেলে রেখেছে রেলওয়ে। এতগুলো ইঞ্জিন বিদেশ থেকে আমদানি করলে, রেলের খরচ হতো ৪০০ কোটি টাকার বেশি। সামান্য সংস্কার করলেই এসব ইঞ্জিন দিয়ে ১৫টি নতুন ট্রেন চালানো যেত। অথচ ইঞ্জিনসংকটের কথা বলে কক্সবাজার স্পেশালসহ পূর্বাঞ্চলে ৫৬টি ট্রেন বন্ধ রেখেছে রেলওয়ে। এতে প্রতি মাসে অন্তত ২০ কোটি টাকা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে রেলওয়ে।
রেলের যান্ত্রিক বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০১৯ সাল থেকে দেশে আসতে শুরু করে নতুন ইঞ্জিন। ২০২৩ সালের মধ্যে ৩০টি নতুন ইঞ্জিন আসে। এর মধ্যে পূর্বাঞ্চলে ২২টি ও পশ্চিমাঞ্চলে ৮টি নতুন ইঞ্জিন যুক্ত হয়। নতুন ইঞ্জিন আসার পর এসব ট্রেনের আগের ৩০টি ইঞ্জিনের মধ্যে এখন চলছে মাত্র ৬টি। বাকি ২৪টির মধ্যে ৯টি বিভিন্ন কারণে চলাচলের অনুপযোগী।
বাকি ১৫টি ইঞ্জিন সামান্য সংস্কার করলেই এগুলো দিয়ে ট্রেন চালানো যাবে। হতো চলাচলের উপযোগী। অথচ এগুলো চট্টগ্রামের পাহাড়তলী ও দিনাজপুরের পার্বতীপুর লোকোশেডে পড়ে আছে।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের যান্ত্রিক বিভাগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, নতুন ইঞ্জিন যুক্ত হওয়ার আগে এসব ইঞ্জিন দিয়ে পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলে আন্তনগর ট্রেন চলেছে। পুরোনো এসব ইঞ্জিন এখনো চলাচলের উপযোগী। এই জন্য সামন্য সংস্কার করা প্রয়োজন। সংস্কারের অভাবে পাঁচ বছর ধরে ইঞ্জিনগুলো পড়ে আছে। অথচ সংস্কার করে এসব ইঞ্জিন দিয়ে ১৫টি নতুন ট্রেন বা বন্ধ থাকা ট্রেনগুলো চালানো যেত।
তিনি বলেন,‘ এই ১৫টি ইঞ্জিন যদি আপনি নতুন আমদানি করতে যান, তাহলে ৪৫০ কোটি টাকা খরচ হবে। আমরা সর্বশেষ ৩০টি ইঞ্জিন দেশে এনেছি ৯০০ কোটি টাকা খরচ করে।’
রেলের পরিবহন বিভাগ জানায়, ২০১৯ সালে করোনার কারণে ১০০টি ট্রেন বন্ধ রাখে রেলওয়ে। এর মধ্যে পূর্বাঞ্চলে ৫৬টি ট্রেন এখনো চালু হয়নি। গত ৩০ মে ইঞ্জিনসংকট দেখিয়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটের কক্সবাজার স্পেশাল ট্রেন বন্ধ করে দেওয়া হয়। অথচ ট্রেনটি দেশের সবচেয়ে লাভজন ট্রেন ছিল। যার মাসিক আয় ছিল প্রায় ৬৫ লাখ টাকা। এই ট্রেনের চাহিদাও ছিল প্রচুর।
ট্রেনটি বন্ধ রাখার পেছনে রেলের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী অবশ্য বলেন, ‘বেশ কিছুদিন ধরেই লোকো ড্রাইভার ও গার্ড স্বল্পতা এবং মিটারগেজ ইঞ্জিনের সংকট বিদ্যমান রয়েছে। কিছু ইঞ্জিনে ট্র্যাকশন মোটরের সমস্যা দেখা দেওয়া ও দুর্ঘটনার কারণে নিয়মিত ট্রেন চালানো কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। সামনে ঈদ। ইঞ্জিনগুলো একটু ভালোভাবে চেক করাও দরকার। সে জন্য আপাতত বন্ধ করে রাখা হয়।’ ১২ জুন থেকে আবার ট্রেনটি চালুর পরিকল্পনার কথা জানান তিনি।
ইঞ্জিন সংস্কার না করে ফেলে রাখার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে রেলওয়ের প্রধান পরিকল্পনা কর্মকর্তা এস এম সলিমুল্লাহ বাহার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অনেক বছর ধরে ইঞ্জিনগুলো পড়ে আছে। সংস্কারের উদ্যোগ নিইনি, তা সত্য নয়। আমরা একবার উদ্যোগ নিয়েছিলাম, সে জন্য দরপত্রের আহ্বানও করেছিলাম, কিন্তু কেউ অংশ না নেওয়ায় প্রকল্পের কাজ আর এগোয়নি। এটির জন্য আলাদা বাজেট দরকার। আমরা সামনে ইঞ্জিনগুলো সংস্কার করে ফেলব।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সংস্কার করার পর অবশ্যই ইঞ্জিনগুলো দিয়ে ট্রেন চালানো যাবে।
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে সমন্বিত মৎস্য খামার। মাছ চাষের পাশাপাশি একই স্থানে হাঁস-মুরগি ও গবাদিপশু পালন করে বেশ ভালো লাভ করছেন খামারিরা। তবে অর্থনৈতিক সুবিধার আড়ালে স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য এক অদৃশ্য হুমকি হয়ে উঠেছে সমন্বিত এ খামারপদ্ধতি।
৪ ঘণ্টা আগেবিশাল সেতু। তারই দুই পাশে পাড় দখল করে স্থাপনা নির্মাণের হিড়িক পড়েছে। কেউ নির্মাণ করছে বাড়ি। কেউ কেউ নির্মাণ করছে দোকানপাট। এ ছাড়া মাটি কেটে নিজেদের ইচ্ছামাফিক সীমানা তৈরি করে সেতুর জমি ভোগদখল করছে। স্থাপনা নির্মাণের জন্য কেউ কেউ সেতুর সিসি ব্লকও কেটে ফেলেছে।
৪ ঘণ্টা আগেচাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ছিলেন জান মোহাম্মদ। এই প্রতিষ্ঠানের খাদ্য পরিদর্শক ও সদর খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাকিলা নাসরিন। এই দুজনের নেতৃত্বে গড়ে উঠেছে দুর্নীতির সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেট ভাঙতে জান মোহাম্মদকে বদলি করা হয়েছে। তবে তিনি নতুন কর্মস্থলে যোগ না দিয়ে...
৪ ঘণ্টা আগেফুটে আছে জারুল, কৃষ্ণচূড়া, হিজল, সোনালু, বন বেলি। দিনে ক্যাম্পাসজুড়ে এমন ফুল চোখে পড়ছে। আর রাতে আলোর রোশনাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক হয়ে ভেতরে ঢুকলেই চোখে পড়বে আলোর ঝলকানি। প্রতিটি ভবনে করা হয়েছে লাল-নীল রঙের আলোকসজ্জা। এই চিত্র চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি)।
৪ ঘণ্টা আগে