Ajker Patrika

মিরসরাইয়ে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন

মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৮ মার্চ ২০২৩, ০৯: ৪৫
মিরসরাইয়ে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন

স্বাধীনতার ৫২ বছর পর চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যার শিকার ৩২ শহীদের গণকবর সংরক্ষণ ও স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। আজ শুক্রবার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। 

আরও উপস্থিত ছিলেন মিরসরাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজা জেরিন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিজানুর রহমান, মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন, উপজেলা প্রকৌশলী রনি নাহা, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা কবির আহমদ, উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী কে এম সাঈদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক একে এম জাহাঙ্গীর ভুঁইয়া, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক চেয়ারম্যান এনায়েত হোসেন নয়ন, চেয়ারম্যান মাহফুজুল হক জুনু, ফিরোজ কবির, কামরুল ইসলাম চৌধুরী, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মাঈনুর ইসলাম রানা, সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল ভূঁইয়া প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন চেয়ারম্যান কবির আহমদ নিজামী। 

জানা গেছে, ২০২২ সালের ৬ ডিসেম্বর মিরসরাই উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা পরিষদের উদ্যোগে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের গণকবর চিহ্নিত করে এক স্থানে সমাহিত করা হয়। এর আগে কবরস্থানে যাওয়ার রাস্তা তৈরি করতে উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে দুই শতক জমি কেনা হয়। এ ছাড়া সীমানাপ্রাচীর ও ফলক নির্মাণের জন্য ১৫ লাখ টাকা সরকারি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। 

মুক্তিযুদ্ধের শহীদেরা হলেন সৈদালী গ্রামের মোখলেছুর রহমান, আবুল কালাম (হোরা মিয়া), আমির হোসেন, খোরশেদ আলম, মকছুদ আহম্মদ, নজীর আহমদ, সুলতান আহমদ, কবির উদ্দিন, শেখ আহমদ, আবদুল মালেক, তমিজ উদ্দিন, হাকিম বক্স, বেদন আলী, সামছুল আলম ভূঁইয়া, নুরুল আলম ভূঁইয়া, ফকির আহমদ, রহিম বক্স, আব্দুর রশিদ, মফিজুর রহমান, হোসনের জামান, জোবেদা খাতুন, জায়েদ আলী, ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ বজলুর রহমান। 

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের পরামর্শে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আজ তিনি নিজে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে শহীদদের প্রতি সম্মান দেখিয়েছেন।’ 

এর আগে ২০১৭ সাল থেকে সৈদালী নাগরিক ফোরাম নামে একটি সংগঠন প্রতি বছরের ২০ এপ্রিল ‘সৈদালী গণহত্যা দিবস’ হিসেবে পালন করে। মূলত সংগঠনটির নেতাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতেই সবগুলো কবর একসঙ্গে সমাহিত করার উদ্যোগ নেয় সরকার। 

সংগঠনটির সভাপতি নাট্য নির্দেশক মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ১৯৭১ সালের ২০ এপ্রিল সৈদালী গ্রামে পাকিস্তানি সেনারা অসংখ্য ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয় এবং লুটপাট চালায়। এ ছাড়া গ্রামের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ ২২ জনকে হত্যা এবং কয়েকজন নারীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘ভারতে ঢুকে’ পাকিস্তানি সেনাদের গুলি, সীমান্তে সংঘাত গড়াল ষষ্ঠ দিনে

বিবাহিতদের পুলিশ ক্যাডারে সুপারিশ না করার প্রস্তাব

বন্ধুকে ছাত্রলীগ সাজিয়ে পুলিশে দিয়ে তাঁর প্রেমিকাকে ধর্ষণ করলেন ছাত্রদল নেতা

পেহেলগাম হামলা: ধরা খেয়ে গেল মোদির কাশ্মীর ন্যারেটিভ

পরিপাকতন্ত্রের ওষুধের পেছনেই মানুষের ব্যয় সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত