Ajker Patrika

হরতালে ট্রেনে আগুন: নিরাপত্তা নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে রেল প্রশাসন

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ১৯ নভেম্বর ২০২৩, ১৯: ৫৯
হরতালে ট্রেনে আগুন: নিরাপত্তা নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে রেল প্রশাসন

হরতালের আগের রাতে জামালপুরে আন্তনগর ট্রেনে আগুন দেওয়ার ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে রেলওয়ে প্রশাসন। ট্রেনে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হচ্ছে। যাত্রীবেশে সাদা পোশাকে থাকবে আইন–শৃঙ্খলা বাহিনী। স্টেশনগুলোতে পুলিশের পাশাপাশি আনসার সদস্যদের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে সরিষাবাড়ী রেলওয়ে স্টেশন থেকে তারাকান্দি যাওয়ার সময় আন্তনগর যমুনা এক্সপ্রেসে আগুন ধরিয়ে দেয় একদল দুর্বৃত্ত। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে আজ রোববার একটি মামলা দায়ের করেছেন সরিষাবাড়ী রেলওয়ে স্টেশনের সহকারী মাস্টার আব্দুস সালাম। 

সূত্রে জানা গেছে, ট্রেনের নিরাপত্তার জন্য ইতিমধ্যে রেলওয়ে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে তথ্য চাওয়া হয়েছে। ঢাকা–চট্টগ্রামের মধ্যে ৮০ টির মতো স্টেশন রয়েছে। বড় স্টেশন রয়েছে দশটি। প্রতিটি স্টেশনে পুলিশের পাশাপাশি আনসার সদস্যদের দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নাশকতা প্রতিরোধে বড় স্টেশনগুলোতে সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা, আবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত অতিরিক্ত পুলিশ দায়িত্ব পালন করবে। পুলিশের পাশাপাশি তিন শিফটে দায়িত্ব পালন করবে আনসার সদস্যরাও। 

রেলওয়ের পরিবহন বিভাগ জানায়, বর্তমানে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা ও সিলেটে নয় জোড়া আন্তনগর ট্রেন চলাচল করে। ছয় জোড়া লোকাল ও মেইল ট্রেনও চলাচল করে। লোকবল স্বল্পতার কারণে আন্তনগর ট্রেনে তিনজন করে পুলিশ মোতায়েন থাকলেও লোকাল ট্রেনগুলোতে কোনো সদস্য মোতায়েন নেই। 

তথ্য মতে, চলমান সরকার বিরোধী আন্দোলনে গণপরিবহনের পাশাপাশি আন্দোলনকারীরা ট্রেনকেও টার্গেটে পরিণত করেছে। ট্রেনে আগুন দেওয়া, রেললাইন উপড়ে ফেলা, স্টেশনে ককটেল হামলা করে আতঙ্ক সৃষ্টি করাই তাদের লক্ষ্য। এমন অবস্থায় ট্রেনকে নিরাপদ রাখতে প্রতিটি ট্রেনে বাড়তি পুলিশ মোতায়েনের বিকল্প নেই। 

রেলওয়ে পুলিশের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘প্রতিটি ট্রেনে পাঁচজন করে পুলিশ মোতায়েন করতে পারলে, নাশকতা প্রতিরোধ করা সম্ভব। এর কম হলে, নাশকতাকারীদের প্রতিরোধ করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়বে। কারণ, পুলিশ সদস্য কম হলে নাশকতাকারীরা পুলিশ সদস্যদের ওপর চড়াও হতে সহজ হবে।’ 

এ বিষয়ে রেলওয়ে সহকারী পুলিশ সুপার ঊর্মি দেব আজকের পত্রিকাকে জানান, ‘প্রতিটি ট্রেনে তিনজন করে পুলিশ মোতায়েনের চাহিদা রয়েছে। কিন্তু লোকবল স্বল্পতার কারণে তাও সম্ভব হচ্ছে না। এখন ট্রেনে নাশকতা রোধে আমরা অতিরিক্ত পুলিশের চাহিদা চেয়েছি। শিগগিরই প্রতিটি ট্রেনে পর্যাপ্ত পরিমাণ পুলিশ সদস্য মোতায়েন করতে পারব।’ 

এদিকে চলতি বছরের ১ সেপ্টেম্বর আন্তনগর ট্রেন থেকে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী–আরএনবি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। এতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জটিল আকার ধারণ করেছে। নিরাপত্তার দায়িত্বে এখন শুধু পুলিশ। 

২০০৬ সাল থেকে আন্তনগর ট্রেনের যাত্রী, গার্ড ও লোকোটিভ মাস্টারের নিরাপত্তায় আরএনবি মোতায়েন শুরু হয়। পূর্বাঞ্চল রেলওয়ে অর্থাৎ চট্টগ্রাম থেকে চলাচল করা প্রতিটি ট্রেনে এত দিন একজন হাবিলদারের নেতৃত্বে চারজন আরএনবি সদস্য থাকত। যাদের দায়িত্ব ছিল ট্রেন যাত্রীদের নিরাপত্তার পাশাপাশি নিষিদ্ধ পণ্য ও চোরাচালান ঠেকানো। 
 
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরএনবির ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, ‘পূর্বাঞ্চল রেলওয়ে ২০২৫টি পদের বিপরীতে বর্তমানে আরএনবি সদস্য আছেন ১ হাজার ৩০০ জন। এই ১ হাজার ৩০০ জন ট্রেনের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন। তার মতে, চলমান ট্রেনে নাশকতা ঠেকাতে আরএনবিকে আগের অবস্থায় ফেরানো ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প নেই।’ 

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক (চট্টগ্রাম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আরএনবির বিষয়ে এখনো কোনো পরিকল্পনা নেই। তবে, নাশকতা প্রতিরোধে বাড়তি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রামের রেলের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা নিরাপদ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ডাব চুরি করতে গিয়ে গাছ থেকে পড়ে প্রাণ গেল যুবকের

বদলগাছী (নওগাঁ) প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

নওগাঁর বদলগাছী উপজেলায় ডাব চুরি করতে গিয়ে গাছ থেকে পড়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। ওই ব্যক্তির নাম আসলাম হোসেন (৪৫)। তিনি উপজেলার কোলা ইউনিয়নের পারিচা গ্রামের মোলায়েমের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোববার ভোরের দিকে বদলগাছী উপজেলার আক্কেলপুর মধ্যপাড়া (মণ্ডলপাড়া) গ্রামে মুসা নামের এক ব্যক্তির নারকেলগাছে উঠেছিলেন আসলাম। ধারণা করা হচ্ছে, ডাব চুরি করার সময় তিনি গাছ থেকে নিচে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।

সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা গাছের নিচে ডাবসহ লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে বদলগাছী থানা-পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে।

বদলগাছী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিসুর রহমান বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ডাব পাড়তে গিয়ে পা ফসকে পড়ে ওই ব্যক্তি মারা গেছেন। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ নওগাঁ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নারায়ণগঞ্জে কারখানায় বিস্ফোরণে ৬ শ্রমিক দগ্ধ, অবস্থা গুরুতর

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১২: ২৯
এম এস ডাইং প্রিন্টিং অ্যান্ড ফিনিশিং কারখানা। ছবি: সংগৃহীত
এম এস ডাইং প্রিন্টিং অ্যান্ড ফিনিশিং কারখানা। ছবি: সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বিসিক শিল্পনগরীতে এমএস ডাইং প্রিন্টিং অ্যান্ড ফিনিশিং নামে একটি কারখানায় বিস্ফোরণে ৬ শ্রমিক দগ্ধ হয়েছেন। গুরুতর অবস্থায় তাঁদের জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।

আজ রোববার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। দগ্ধরা হলেন— কারখানাটির শ্রমিক আল আমিন (৩০), আজিজুল্লাহ (৩২), মো. সেলিম (৩৫), মো. জালাল মোল্লা (৪০), মো. নাজমুল হুদা (৩৫) এবং সিকিউরিটি গার্ড সুপারভাইজার নুর মোহাম্মদ (৩৫)।

দগ্ধরা জানান, সকালে কারখানার নিচতলায় বয়লার রুমে কাজ করছিলেন শ্রমিকেরা। হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। মুহূর্তেই সেই কক্ষে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলে ওঠে। এতে ৬ জনের শরীর ঝলসে যায়। সহকর্মীরা দগ্ধদের উদ্ধার করে ঢাকায় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসেন।

বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান জানান, দগ্ধদের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের সবার অবস্থাই গুরুতর। কার শরীরে কত শতাংশ পুড়েছে তা পরবর্তীতে বলা যাবে।

ফতুল্লা ফায়ার স্টেশনের ফায়ার ফাইটার খায়রুল ইসলাম আজকের পত্রিকা বলেন, সকালে এসএম ডাইং স্টেশনে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তবে কারাখানা থেকে কোনো তাদের (ফায়ার সার্ভিস) বিস্ফোরণের সংবাদ জানানো হয়নি। স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে তাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তদন্ত করছেন। বিস্ফোরণের কারণ তদন্তের পর জানা যাবে। তবে এ ঘটনায় কারখানাটির বেশ কয়েক শ্রমিক-কর্মচারী আহত হয়েছেন।

ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আগুনে দগ্ধের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হচ্ছে। অফিশিয়ালি আমাদের এই বিষয়ে কেউ তথ্য দেয়নি। গণমাধ্যমে সংবাদ পেয়ে আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কেশবপুরে হাডুডু খেলায় অতর্কিত হামলা: ছাত্রদলের আহ্বায়কসহ আহত ১০

কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি 
আহত ব্যক্তিদের কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
আহত ব্যক্তিদের কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

যশোরের কেশবপুর উপজেলায় গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী হাডুডু খেলার অনুষ্ঠানে অতর্কিত হামলায় উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়কসহ অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন। শনিবার (২৬ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার পাঁজিয়া ইউনিয়নের সাগরদত্তকাটি গ্রামের মধ্যপাড়ায় হাডুডু খেলার পুরস্কার বিতরণের সময় এই ঘটনা ঘটে। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ৯ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

হামলায় আহত ব্যক্তিরা হলেন উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আজিজুর রহমান, বিদ্যানন্দকাটির কামরুজ্জামান (২৮), মির্জাপুর গ্রামের আবু মুসা (২০), পাত্রপাড়া গ্রামের নয়ন (২১), সাগরদত্তকাটি গ্রামের সুমন হোসেন (২৫), মইনুল ইসলাম (২৫), মনোহরনগর গ্রামের আলী হাসান, মজিদপুর গ্রামের রিয়াদ হোসেন (২২) ও মাদারডাঙ্গা গ্রামের মাসুদ হোসেন (২৩)। রাতে আহত ব্যক্তিদের কয়েকজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এই ঘটনার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

খেলা দেখতে আসা একাধিক দর্শক জানান, আটদলীয় হাডুডু টুর্নামেন্টের উদ্বোধন ও অতিথি নির্বাচন নিয়ে আয়োজক কমিটির দুটি গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়।

শনিবার দুপুরে পাঁজিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মকবুল হোসেন মুকুল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করার পরই আয়োজক কমিটির একটি অংশ এতে আপত্তি জানিয়ে উত্তেজনার সৃষ্টি করে।

একপর্যায়ে তারা অনুষ্ঠানের মঞ্চে থাকা মকবুল হোসেন মুকুলকে উদ্দেশ করে অশালীন কথাবার্তা বলতে থাকলে তিনি মঞ্চ থেকে চলে যান।

সন্ধ্যায় ওই হাডুডু খেলার ফাইনাল দেখার জন্য মঞ্চে আসেন উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আজিজুর রহমান। ফাইনালে উপজেলার বুড়ুলি দল খুলনার চুকনগর দলকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়। খেলা শেষে চ্যাম্পিয়ন দলের কাছে পুরস্কার হিসেবে ফ্রিজ হস্তান্তর করার সময় একদল যুবক মঞ্চে এসে অতর্কিত হামলা চালান। এ সময় মঞ্চে থাকা উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আজিজুর রহমানসহ আরও কয়েকজন আহত হন। হামলার কারণে দর্শকেরা ভয়ে দিগ্‌বিদিক ছোটাছুটি করতে থাকেন এবং এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

খেলার রেফারি শওকত হোসেন বলেন, সুষ্ঠুভাবে হাডুডু খেলা সম্পন্ন হলেও পুরস্কার বিতরণের সময় ওই ঘটনা ঘটে। টুর্নামেন্টের সভাপতি রেজাউল করিম সরদার বলেন, ‘হামলা শুরু হলে আমি দ্রুত এলাকা ত্যাগ করি।’

পাঁজিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মকবুল হোসেন মুকুল বলেন, ‘কিছু যুবক পুরস্কার বিতরণের সময় হামলা চালিয়েছে। ওই সময় আমি সেখানে ছিলাম না এবং এটি কোনো রাজনৈতিক বিষয়ও নয়।’

এ ব্যাপারে উপজেলার পাঁজিয়া ইউনিয়নের বিট পুলিশিংয়ের সহকারী কর্মকর্তা সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মামুন বলেন, খেলার অনুষ্ঠানে মারামারির ঘটনায় এখনো কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নোয়াখালীতে ট্রাকের পেছনে মাইক্রোবাসের ধাক্কা, নিহত ১

নোয়াখালী প্রতিনিধি
আবুল কালাম আজাদ। ছবি: সংগৃহীত
আবুল কালাম আজাদ। ছবি: সংগৃহীত

সৌদি আরবে পবিত্র ওমরাহ শেষে বাড়ি ফেরার পথে নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদী বাজারের টিভি সেন্টার এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় আবুল কালাম আজাদ (৫৩) নামের এক ব্যবসায়ী মারা গেছেন। রোববার (২৬ অক্টোবর) ভোরে মাইজদী টিভি সেন্টার এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময় আবুল কালামকে বহনকারী মাইক্রোবাসটি দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকের পেছনে ধাক্কা দেয়। তখন মাইক্রোবাসের যাত্রী আবুল কালাম আজাদ মারা যান এবং আহত হন আরও তিনজন।

আবুল কালাম আজাদ জেলার সদর উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নুরুল হক ছোট মিয়ার ছেলে। তিনি স্থানীয় উত্তর ওয়াপদা বাজারের ব্যবসায়ী ছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সৌদি আরবে পবিত্র ওমরাহ পালন শেষে শনিবার রাতে দেশে ফেরেন আজাদ। এরপর মাইক্রোবাস যোগে স্ত্রী নাসিমা আক্তার, মা ও ভাতিজা লিমনসহ গ্রামের বাড়ি ফিরছিলেন। যাত্রাপথে মাইক্রোবাসটি সোনাপুর-চৌমুহনী আঞ্চলিক মহাসড়কের মাইজদী বাজারের টিভি সেন্টার এলাকায় পৌঁছালে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পেছনে ধাক্কা দেন।

এতে মাইক্রোবাসটি ধুমড়েমুচড়ে যায়। ঘটনার পরপরই চালক পালিয়ে যান। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক আজাদকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত ব্যক্তিদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ঘটনার পরপরই মাইক্রোবাসের চালক পালিয়ে যান। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত