Ajker Patrika

জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে ডা. সামিনা আক্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৯: ৩৪
Thumbnail image

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের (চমেক) চারতলায় নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) পাশে এক কক্ষে বাবার সঙ্গে বসে ছিল মেয়ে রাফা ওয়ালিয়াহ। চোখে-মুখে চিন্তার ভাজ তার। একটু পরপর দরজার ফাঁক দিয়ে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকা মা সামিনা আক্তারকে দেখছিল সে। আর বাবার কাছে জানতে চায়, মায়ের স্বাস্থ্যের অবস্থা সম্পর্কে।

ডা. সামিনা আক্তার মঙ্গলবার রাতে কোতোয়ালি থানার কাজির দেউড়ির রেডিসন ব্লুর সামনে সিএনজি অটোরিকশার ধাক্কায় গুরুতর আহত হন। তখন তিনি রিকশায় ছিলেন। আহত হওয়ার কিছু সময়ের আগে মেয়ের সঙ্গে কথা বলেন মা সামিনা। কিন্তু ঠিক কিছুক্ষণ পর চমেকের আইসিইউতে যে মাকে যেতে হবে, তা কি কোনোভাবে ভেবেছিল মেয়ে রাফা ওয়ালিয়াহ। 

সামিনা আক্তার ইউএসটিসি মেডিকেল কলেজের সাবেক ছাত্রী। বর্তমানে সাউদার্ন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের আইসিইউতে দায়িত্বরত ছিলেন। বাড়ি ফেনী হলেও মেহেদীবাগে পরিবার নিয়ে থাকতেন তিনি। তাঁর স্বামী মীর ওয়াজেদ আলীও একজন ডাক্তার। তাঁদের এক মেয়ে ও এক ছেলে। মেয়ে রাফা ওয়ালিয়াহ নবম শ্রেণিতে ও ছেলে মীর ওয়ালিফ সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। 

চারতলার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের আইসিইউতে দেখা যায়, অনেকটা নির্বাক হয়ে বসে আছেন স্বামী মীর ওয়াজেদ আলী ও মেয়ে রাফা। দুজনই একটু পরপর সামিনা আক্তারের খোঁজ নিচ্ছিলেন। সামিনার সহপাঠী ও শিক্ষার্থীরাও একটু পরপর এসে খোঁজ-খবর নেন। 

সামিনার এক সহপাঠী জানান, তাঁকে প্রথম যখন ভর্তি করা হয়, তখন বিপিও কাউন্ট করা যায়নি। দুপুরের দিকে বিপি কাউন্ট করা যাচ্ছে। তবে অবস্থা খারাপ। বর্তমানে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে তাঁকে। 

চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম আহসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, সামিনা আক্তারের স্বাস্থ্যের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ভেন্টিলেটরে রাখা হয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হচ্ছে। 

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নেজাম উদ্দিন বলেন, সিএনজি অটোরিকশা ও চালকে আটক করা হয়েছে। এই ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত