সবুর শুভ, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে নাঙ্গলমোড়া শামসুল উলুম ডিগ্রি (ফাজিল) মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটি গঠন নিয়ে অধ্যক্ষ ও বিএনপি নেতার দ্বন্দ্বের জেরে অধ্যক্ষের ওপর হামলা হয়েছে। হামলাকারীরা হুমকি দেওয়া বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন আলীর অনুসারী বলে অভিযোগ উঠেছে।
আজ শুক্রবার (১১ অক্টোবর) জুমার নামাজের পর বাড়ি ফেরার পথে হাটহাজারীর সরকারহাট এলাকায় অধ্যক্ষ সালেহ আহমাদ আনছারী ওপর এ হামলা হয়। পরে গুরুতর অবস্থায় তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পেটানোর হুমকিদাতা সালাউদ্দিন আলী হাটহাজারী ৫ নম্বর ইউনিয়ন নাঙ্গলমোড়া বিএনপির আহ্বায়ক।
জানা গেছে, ৫ আগস্টে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর সম্প্রতি উল্লিখিত মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটি গঠনের লক্ষ্যে প্রস্তাবনা তৈরি করা হয়। এতে সভাপতি হিসেবে রাখার প্রস্তাব করা হয় বিএনপি নেতা গাজী শহীদুল্লাহকে। এটা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন আরেক বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন আলী।
প্রস্তাবনা তৈরির আগে বিষয়টি সালাউদ্দিন আলীকে জানানো দরকার ছিল বলে তিনি অধ্যক্ষের ওপর ক্ষোভ ঝাড়েন। এতে অধ্যক্ষ ও সালাউদ্দিন আলীর মধ্যে মোবাইলে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) এ–সংক্রান্ত একটি অডিও ভাইরাল হয়। এরপর তোলপাড় হয় সর্বত্র। এতে ক্ষিপ্ত হন বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন আলী ও তাঁর সমর্থকেরা।
৩ মিনিট ২৩ সেকেন্ডের ওই অডিও এই প্রতিবেদকের সংগ্রহে রয়েছে।
ফাঁস হওয়া ওই অডিওতে সালাউদ্দিন আলী অধ্যক্ষকে মাদ্রাসা থেকে বদলি করার ধমক দিয়ে বলেন, ‘বদলি তো ছোটখাটো ব্যাপার। উলঙ্গ করে পিটিয়ে মাদ্রাসা থেকে বের করে দেব।’ এ সময় অধ্যক্ষ সালাউদ্দিন আলীকে উত্তেজিত কণ্ঠে বলেন, ‘সামর্থ্য থাকলে উলঙ্গ করে পিটাইও।’
এরপর আজ জুমার নামাজের পর বাড়ি ফেরার পথে হাটহাজারীর সরকারহাট এলাকায় বিভিন্ন যানবাহনে আসা ১২ থেকে ১৫ জন অধ্যক্ষের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। কারণ, আগে থেকেই তাঁর হার্টে পাঁচটি রিং পরানো আছে বলে জানান তাঁর ছেলে অ্যাডভোকেট মহিউদ্দিন ইরফান।
ঘটনাস্থলে সংবাদকর্মীদের আহত অধ্যক্ষ আনছারী বলেন, ‘সালাউদ্দিন আলীর লোকেরা আমার ওপর হামলা করে। তারা আমাকে মারধর করেছে।’
এ বিষয়ে অ্যাডভোকেট মহিউদ্দিন ইরফান বলেন, ‘সন্ত্রাসীদের অতর্কিত হামলায় আব্বু গুরুতর আহত হয়েছেন। বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে। মামলা করা হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগে আব্বুর চিকিৎসা দরকার। তারপর মামলা।’
এ বিষয়ে হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব বলেন, ‘অধ্যক্ষকে মারধরের ঘটনা আমার জানা নেই। তবে ওই মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটি গঠন নিয়ে এলাকার লোকজনের সঙ্গে অধ্যক্ষের একটু দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে বলে জেনেছি।’
ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততার বিষয়ে বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন আলী বলেন, ‘মাদ্রাসার কমিটি নিয়ে হুজুরের সঙ্গে আমার মোবাইলে বলা কিছু কথার অডিও ভাইরাল করে দেন অধ্যক্ষ আনছারী। অথচ কথাগুলো ছিল একান্তই দুজনের মধ্যে। অডিও ভাইরাল হওয়ার পর স্বাভাবিকভাবেই এলাকায় আমার সমর্থকদের মধ্যে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে কোনো ঘটনা ঘটেছে কি না, আমার জানা নেই।’
চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে নাঙ্গলমোড়া শামসুল উলুম ডিগ্রি (ফাজিল) মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটি গঠন নিয়ে অধ্যক্ষ ও বিএনপি নেতার দ্বন্দ্বের জেরে অধ্যক্ষের ওপর হামলা হয়েছে। হামলাকারীরা হুমকি দেওয়া বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন আলীর অনুসারী বলে অভিযোগ উঠেছে।
আজ শুক্রবার (১১ অক্টোবর) জুমার নামাজের পর বাড়ি ফেরার পথে হাটহাজারীর সরকারহাট এলাকায় অধ্যক্ষ সালেহ আহমাদ আনছারী ওপর এ হামলা হয়। পরে গুরুতর অবস্থায় তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পেটানোর হুমকিদাতা সালাউদ্দিন আলী হাটহাজারী ৫ নম্বর ইউনিয়ন নাঙ্গলমোড়া বিএনপির আহ্বায়ক।
জানা গেছে, ৫ আগস্টে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর সম্প্রতি উল্লিখিত মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটি গঠনের লক্ষ্যে প্রস্তাবনা তৈরি করা হয়। এতে সভাপতি হিসেবে রাখার প্রস্তাব করা হয় বিএনপি নেতা গাজী শহীদুল্লাহকে। এটা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন আরেক বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন আলী।
প্রস্তাবনা তৈরির আগে বিষয়টি সালাউদ্দিন আলীকে জানানো দরকার ছিল বলে তিনি অধ্যক্ষের ওপর ক্ষোভ ঝাড়েন। এতে অধ্যক্ষ ও সালাউদ্দিন আলীর মধ্যে মোবাইলে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) এ–সংক্রান্ত একটি অডিও ভাইরাল হয়। এরপর তোলপাড় হয় সর্বত্র। এতে ক্ষিপ্ত হন বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন আলী ও তাঁর সমর্থকেরা।
৩ মিনিট ২৩ সেকেন্ডের ওই অডিও এই প্রতিবেদকের সংগ্রহে রয়েছে।
ফাঁস হওয়া ওই অডিওতে সালাউদ্দিন আলী অধ্যক্ষকে মাদ্রাসা থেকে বদলি করার ধমক দিয়ে বলেন, ‘বদলি তো ছোটখাটো ব্যাপার। উলঙ্গ করে পিটিয়ে মাদ্রাসা থেকে বের করে দেব।’ এ সময় অধ্যক্ষ সালাউদ্দিন আলীকে উত্তেজিত কণ্ঠে বলেন, ‘সামর্থ্য থাকলে উলঙ্গ করে পিটাইও।’
এরপর আজ জুমার নামাজের পর বাড়ি ফেরার পথে হাটহাজারীর সরকারহাট এলাকায় বিভিন্ন যানবাহনে আসা ১২ থেকে ১৫ জন অধ্যক্ষের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। কারণ, আগে থেকেই তাঁর হার্টে পাঁচটি রিং পরানো আছে বলে জানান তাঁর ছেলে অ্যাডভোকেট মহিউদ্দিন ইরফান।
ঘটনাস্থলে সংবাদকর্মীদের আহত অধ্যক্ষ আনছারী বলেন, ‘সালাউদ্দিন আলীর লোকেরা আমার ওপর হামলা করে। তারা আমাকে মারধর করেছে।’
এ বিষয়ে অ্যাডভোকেট মহিউদ্দিন ইরফান বলেন, ‘সন্ত্রাসীদের অতর্কিত হামলায় আব্বু গুরুতর আহত হয়েছেন। বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে। মামলা করা হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগে আব্বুর চিকিৎসা দরকার। তারপর মামলা।’
এ বিষয়ে হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব বলেন, ‘অধ্যক্ষকে মারধরের ঘটনা আমার জানা নেই। তবে ওই মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটি গঠন নিয়ে এলাকার লোকজনের সঙ্গে অধ্যক্ষের একটু দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে বলে জেনেছি।’
ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততার বিষয়ে বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন আলী বলেন, ‘মাদ্রাসার কমিটি নিয়ে হুজুরের সঙ্গে আমার মোবাইলে বলা কিছু কথার অডিও ভাইরাল করে দেন অধ্যক্ষ আনছারী। অথচ কথাগুলো ছিল একান্তই দুজনের মধ্যে। অডিও ভাইরাল হওয়ার পর স্বাভাবিকভাবেই এলাকায় আমার সমর্থকদের মধ্যে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে কোনো ঘটনা ঘটেছে কি না, আমার জানা নেই।’
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে আটক হন নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা নাজমুল কবির শিশির। আজ শুক্রবার বিকেলে চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে তাঁকে জেল-হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি রামগঞ্জ পৌরসভার আঙ্গারপাড়া এলাকার মো. নয়ন মাস্টারের ছেলে।
১ ঘণ্টা আগেকুমিল্লায় যৌথ বাহিনী তুলে নেওয়ার পর হাসপাতালে তৌহিদুর রহমান নামের এক যুবদল নেতার লাশ পেয়েছে পরিবার। আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টায় তাঁর মৃত্যুর খবর পায় পরিবার। তবে কখন তাঁর মৃত্যু হয়েছে সে তথ্য জানা যায়নি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে যুবদল নেতার মৃত্যু তথ্য জানিয়েছেন তাঁর ভাই আবুল কালাম।
১ ঘণ্টা আগেইতালি নেওয়া কথা বলে ফরিদপুর থেকে দুই জনকে নেওয়া হয়েছিল লিবিয়ায়। সেখানে নেওয়ার পর তাঁদের ওপর নির্যাতন করা হয়। এরপর নেওয়া হয় মুক্তিপণ। তবে এতেও মুক্তি মেলেনি। গুলি করে হত্যা করা হয়েছে ওই দুই যুবককে। ঢাকা, ফরিদপুর, লিবিয়া, গুলি, হত্যা, জেলার খবর
১ ঘণ্টা আগেএক মাসের ব্যবধানে হত্যাকাণ্ড ও সহিংসতার ঘটনায় সাবেক সরকারসংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা বেড়েছে ৪ গুণের বেশি। আর আসামির সংখ্যা হয়েছে দ্বিগুণের বেশি। সরকার পতনের পর গত ডিসেম্বরে হত্যাকাণ্ড ও সহিংসতার ঘটনায় সাবেক সরকারসংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা ছিল ১৭টি। জানুয়ারিতে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭২টি।
১ ঘণ্টা আগে