জমির উদ্দিন, চট্টগ্রাম
এইচএসসির ফল জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের সাবেক পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র নাথের বিরুদ্ধে। তবে ওই অভিযোগের তদন্ত চলাকালেই তাঁকে পদোন্নতি দিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশ মুক্তিসংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্র ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ডা. মাহফুজুর রহমানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মাউশিকে নারায়ণ চন্দ্র নাথের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। চলতি বছরের ১ এপ্রিলের ওই চিঠিতে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত করে সুস্পষ্ট মতামতসহ প্রতিবেদন দাখিলের অনুরোধ করা হয়। তবে তিন মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো তদন্ত প্রতিবেদন দেয়নি মাউশি; বরং তদন্ত চলাকালে ৯ জুলাই তাঁকে মাউশির পরিচালক করা হয়।
এ বিষয়ে ডা. মাহফুজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ভয়াবহ ফল জালিয়াতিতে অভিযুক্ত কর্মকর্তাকে শাস্তি না দিয়ে পুরস্কার করল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এটি অনৈতিক, মেনে নেওয়া যায় না। এখন তাঁকে যেখানে দায়িত্ব দিয়েছে, সেখানে আরও বেশি দুর্নীতি হয়।
তদন্ত কমিটির সদস্য মাউশির সহকারী পরিচালক (এইচআরএম) আশেকুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, তদন্ত কার্যক্রম এখনো চলমান। খুব শিগগির প্রতিবেদন জমা দিতে পারব।
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড সূত্র জানায়, ২০২১ সালের এইচএসসির ফলে বোর্ডের ফলাফল নিয়ে অসংগতি ধরা পড়ে। কয়েকজন শিক্ষার্থী ২০০ নম্বরের পরীক্ষায় নির্ধারিত নম্বরের চেয়ে বেশি নম্বর পান। তা ছাড়া দুপুরে ফল প্রকাশের পরপর ওয়েবসাইটে দেওয়া নম্বর সন্ধ্যায় পাল্টে যায়। ওই বছর চট্টগ্রাম কলেজের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এইচএসসি উত্তীর্ণ হওয়া এক শিক্ষার্থীর নম্বর ফর্দে দেখা যায়, পদার্থবিজ্ঞানে মোট ২০০ নম্বরের মধ্যে তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ২১৮! ওই শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে একই রকমের ঘটনা ঘটেছে উচ্চতর গণিতেও।
আরও একাধিক শিক্ষার্থীর নম্বর ফর্দে বেশি নম্বর দেখা যায়। এমন ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান অভিভাবকেরা। এ নিয়ে ২০২২ সালের ১ এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব আলমগীর হুছাইন স্বাক্ষরিত চিঠিতে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রককে দায়ী করা হয়।
একইভাবে ২০২৩ সালের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে তৎকালীন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ণ চন্দ্র নাথের ছেলের ফলাফল নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়। তাঁর ছেলে নক্ষত্র দেবনাথের এইচএসসি পরীক্ষার উত্তরপত্র পুনরায় মূল্যায়নের জন্য তৃতীয় পক্ষের পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করা হয়। এরপর গত ১৭ এপ্রিল নারায়ণ চন্দ্র নাথের ফল জালিয়াতির অভিযোগ তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠিত হয়।
কমিটির তিন সদস্য হলেন মাউশির পরিচালক (মনিটরিং অ্যান্ড ইভালুয়েশন উইং) মো. আমির হোসেন, সহকারী পরিচালক (এইচআরএম) আশেকুল হক এবং ইউএমআইএস সেলের খন্দকার আজিজুর রহমান।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক আখতার কবির চৌধুরী আজকের পত্রিকা’কে বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন না দিয়ে একজন অভিযুক্ত ব্যক্তিকে পুরস্কৃত করা হলো। তাহলে কি ধরে নেব, শিক্ষা মন্ত্রণালয় দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে অসহায়?
আরও খবর পড়ুন:
এইচএসসির ফল জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের সাবেক পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র নাথের বিরুদ্ধে। তবে ওই অভিযোগের তদন্ত চলাকালেই তাঁকে পদোন্নতি দিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশ মুক্তিসংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্র ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ডা. মাহফুজুর রহমানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মাউশিকে নারায়ণ চন্দ্র নাথের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। চলতি বছরের ১ এপ্রিলের ওই চিঠিতে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত করে সুস্পষ্ট মতামতসহ প্রতিবেদন দাখিলের অনুরোধ করা হয়। তবে তিন মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো তদন্ত প্রতিবেদন দেয়নি মাউশি; বরং তদন্ত চলাকালে ৯ জুলাই তাঁকে মাউশির পরিচালক করা হয়।
এ বিষয়ে ডা. মাহফুজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ভয়াবহ ফল জালিয়াতিতে অভিযুক্ত কর্মকর্তাকে শাস্তি না দিয়ে পুরস্কার করল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এটি অনৈতিক, মেনে নেওয়া যায় না। এখন তাঁকে যেখানে দায়িত্ব দিয়েছে, সেখানে আরও বেশি দুর্নীতি হয়।
তদন্ত কমিটির সদস্য মাউশির সহকারী পরিচালক (এইচআরএম) আশেকুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, তদন্ত কার্যক্রম এখনো চলমান। খুব শিগগির প্রতিবেদন জমা দিতে পারব।
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড সূত্র জানায়, ২০২১ সালের এইচএসসির ফলে বোর্ডের ফলাফল নিয়ে অসংগতি ধরা পড়ে। কয়েকজন শিক্ষার্থী ২০০ নম্বরের পরীক্ষায় নির্ধারিত নম্বরের চেয়ে বেশি নম্বর পান। তা ছাড়া দুপুরে ফল প্রকাশের পরপর ওয়েবসাইটে দেওয়া নম্বর সন্ধ্যায় পাল্টে যায়। ওই বছর চট্টগ্রাম কলেজের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এইচএসসি উত্তীর্ণ হওয়া এক শিক্ষার্থীর নম্বর ফর্দে দেখা যায়, পদার্থবিজ্ঞানে মোট ২০০ নম্বরের মধ্যে তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ২১৮! ওই শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে একই রকমের ঘটনা ঘটেছে উচ্চতর গণিতেও।
আরও একাধিক শিক্ষার্থীর নম্বর ফর্দে বেশি নম্বর দেখা যায়। এমন ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান অভিভাবকেরা। এ নিয়ে ২০২২ সালের ১ এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব আলমগীর হুছাইন স্বাক্ষরিত চিঠিতে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রককে দায়ী করা হয়।
একইভাবে ২০২৩ সালের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে তৎকালীন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ণ চন্দ্র নাথের ছেলের ফলাফল নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়। তাঁর ছেলে নক্ষত্র দেবনাথের এইচএসসি পরীক্ষার উত্তরপত্র পুনরায় মূল্যায়নের জন্য তৃতীয় পক্ষের পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করা হয়। এরপর গত ১৭ এপ্রিল নারায়ণ চন্দ্র নাথের ফল জালিয়াতির অভিযোগ তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠিত হয়।
কমিটির তিন সদস্য হলেন মাউশির পরিচালক (মনিটরিং অ্যান্ড ইভালুয়েশন উইং) মো. আমির হোসেন, সহকারী পরিচালক (এইচআরএম) আশেকুল হক এবং ইউএমআইএস সেলের খন্দকার আজিজুর রহমান।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক আখতার কবির চৌধুরী আজকের পত্রিকা’কে বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন না দিয়ে একজন অভিযুক্ত ব্যক্তিকে পুরস্কৃত করা হলো। তাহলে কি ধরে নেব, শিক্ষা মন্ত্রণালয় দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে অসহায়?
আরও খবর পড়ুন:
নেত্রকোনার মদনে নিজাম উদ্দিন নামের এক সাংবাদিককে হাত-পা কেটে এলাকাছাড়া করার হুমকি দিয়েছেন সেলিম মিয়া নামের এক আওয়ামী লীগ নেতা। সংবাদ প্রকাশের জেরে গত সোমবার দুপুরে আওয়ামী লীগ নেতা সেলিম মিয়া মোবাইল ফোনে ওই সাংবাদিককে এমন হুমকি দেন। হুমকির কলরেকর্ডটি ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। কলরেক
১৩ মিনিট আগেচট্টগ্রামে কর্মচারীকে কুপিয়ে এক ব্যবসায়ীর ২০ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে নগরীর চান্দগাঁও থানার জানালী রেলস্টেশনসংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁরা হলেন মো. সুমন (৩০), মো. আলী (৪৫), রাকিব (৩২), ফয়সাল (১৯) ও মোছা
২২ মিনিট আগেসিলেটের গোয়াইনঘাটের পর্যটনকেন্দ্র জাফলংয়ে পানিতে ডুবে আবু সুফিয়ান নামের এক পর্যটক নিখোঁজ হয়েছেন। আজ বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে জাফলংয়ের জিরো পয়েন্ট এলাকায় পানিতে পড়ে স্রোতের টানে তলিয়ে গেলে তিনি নিখোঁজ হন। নিখোঁজ আবু সুফিয়ান (২৬) গোলাপগঞ্জ উপজেলার শিংপুর গ্রামের আব্দুল হকের ছেলে। সুফিয়ান
২৪ মিনিট আগেসিলেট বিভাগীয় বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, বিদ্যুতের চাহিদা বেশি ও জাতীয় গ্রিড থেকে সরবরাহ সংকটের কারণে সিলেটে এই লোডশেডিং দেখা দিচ্ছে। সিলেট বিভাগে ২৪০ থেকে ২৪৫ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে ১৫৫ থেকে ১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। যার কারণে সিলেট বিভাগের ৩৬ শতাংশের মতো লোড
৩৬ মিনিট আগে