মো. আকতারুজ্জামান, চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা)
প্রতিবছর হেমন্তের এই সময়ে আমন ধান ওঠার পর কৃষকদের ঘরে ঘরে চলত নবান্ন উৎসব। চারদিকে খেত থেকে পাকা ধান কাটা, মাড়াই ও ঝাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় পার করতেন কৃষকেরা। নতুন ধানে পিঠাপুলির আয়োজনে তাঁরা আনন্দমুখর থাকতেন। কিন্তু এ বছর নবান্ন উৎসব নেই কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কৃষকদের।
চলতি বছরের আগস্টে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় ৬৬ হাজার কৃষকের খেতের আমন ডুবে নষ্ট হয়ে যায়। একদিকে ঘরে খোরাকির চাল তুলতে না পারায় পরিবারের সদস্যদের খাদ্য নিয়ে দুশ্চিন্তা, অন্যদিকে গবাদিপশুর খড়ের জোগান নিয়েও কৃষকেরা বিপাকে পড়েছেন। যে মাঠে ফসল কাটা নিয়ে ব্যস্ততা ছিল, সেই মাঠ এখন বিরান ভূমির মতো।
যদিও কৃষি বিভাগ বলছে, ছয় হাজার কৃষককে বীজ ও সার দেওয়া হয়েছে। তাঁরা ঘরে ধান তুলতে পারবেন। তবে আমনচাষিরা বলছেন, তাঁরা বন্যাপরবর্তী কয়েক দফা ভারী বৃষ্টি এবং অসময়ে ধান চাষ করায় ভালো ফলন পাচ্ছেন না।
উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আগস্টের বন্যায় ১৮ হাজার ৪৪০ হেক্টর জমির ফসলের ক্ষতি হয়। এতে ৪০০ কোটি টাকার বেশি লোকসানে পড়ে ৬৬ হাজার ৩২৮ কৃষক পরিবার। বন্যা দীর্ঘায়িত হওয়ায় আমনের বীজতলা নষ্ট হয়। ক্ষতি পোষাতে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয় ছয় হাজার কৃষকের মধ্যে ধান ও সার বিতরণ করে। অথচ সেই প্রণোদনা বীজ ও সার কৃষকদের কাজে আসেনি। একাধিকবার ভারী বর্ষণে জলাবদ্ধতায় বীজতলা নষ্ট হওয়ায় আমন ধান ফলাতে পারেনি ৬৬ হাজার ৩২৮ কৃষক পরিবার। তাই এবার নবান্ন উৎসব নেই এই পরিবারগুলোতে।
উপজেলার একটি পৌরসভা ও ১৩টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রান্তিক কৃষকদের বেশির ভাগ ফসলের মাঠ আগাছায় পূর্ণ। অথচ প্রতিবছর এমন সময় এসব মাঠে ফসল কাটার ধুম থাকে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ সূত্রে আরও জানা গেছে, এই উপজেলায় ১৮ হাজার ৪৪০ হেক্টরের মধ্যে মাত্র ১০ হাজার হেক্টরে আমন চাষ হয়েছে। তা-ও আবার আশানুরূপ ফসল পাওয়া যাবে না বলে কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে। এখনো বিভিন্ন এলাকায় কৃষকের আবাদি জমিতে বন্যার পানি জমে আছে। আমনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে চৌদ্দগ্রামের প্রায় ছয় হাজার কৃষককে প্রণোদনা হিসেবে বীজধান ও সার দেওয়া হয়।
আমনের বীজ দেওয়া হলেও এবার তা কাজে আসছে না। অসময়ে কৃষকেরা অন্য উপজেলা থেকে আমনের চারা এনে জমিতে রোপণ করলেও আশানুরূপ ধান পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে এবার লোকসান গুনতে হচ্ছে কৃষকদের।
বাতিসা ইউনিয়নের দেবিপুর গ্রামের মো. আমির হোসেন মজুমদার বলেন, বন্যার ক্ষতি পোষাতে কৃষিস্প্রসারণ দপ্তর থেকে ধান ও সার দেয়। কিন্তু বীজতলা তৈরীর পর ভারী বর্ষণে আমনের বীজতলা নষ্ট হয়ে যায়। এতে প্রণোদনা কোনো কাজে আসেনি।
মুন্সিরহাট ইউনিয়নের ফেলনা গ্রামে কৃষক নজির আহমেদ বলেন, ‘আমি তিন হাজার টাকা খরচ করে অন্যের জমিতে বীজতলা তৈরি করেছিলাম। কিন্তু আগস্টের বন্যায় সেই বীজতলা নষ্ট হয়ে যায়। পরে পানি নেমে গেলে আবার বীজতলা তৈরি করি। তখন একাধিকবার জলাবদ্ধতায় সেই বীজতলাও নষ্ট হয়ে যায়। ফলে এবার আমন চাষ করা সম্ভব হয়নি। ঘরে নতুন ধানও ওঠেনি।’
এদিকে প্রতিবছর আমনের খড় দিয়ে কৃষকেরা তাঁদের গৃহপালিত পশুর খাদ্যের জোগান দিতে পারলেও এবার আমন চাষ না হওয়ায় গোখাদ্যের সংকট সৃষ্টি হবে। এই নিয়ে কৃষকেরা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।
সোনাপুর গ্রামের কৃষক আবু তাহের বলেন, ‘প্রতিবছর আমনের খড়ে গৃহপালিত গরুর খাদ্যের জোগান হতো। আমার সাতটি গরু আছে। আমন চাষ না হওয়ায় এগুলো নিয়ে খাদ্যসংকটে পড়তে হবে।’
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জুবায়ের আহমেদ বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ছয় হাজার কৃষককে ধান ও সার প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। আশা করছি, আবহাওয়া ঠিক থাকলে প্রায় ৬০ শতাংশ ধান কৃষকেরা গোলায় তুলতে পারবেন।
প্রতিবছর হেমন্তের এই সময়ে আমন ধান ওঠার পর কৃষকদের ঘরে ঘরে চলত নবান্ন উৎসব। চারদিকে খেত থেকে পাকা ধান কাটা, মাড়াই ও ঝাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় পার করতেন কৃষকেরা। নতুন ধানে পিঠাপুলির আয়োজনে তাঁরা আনন্দমুখর থাকতেন। কিন্তু এ বছর নবান্ন উৎসব নেই কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কৃষকদের।
চলতি বছরের আগস্টে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় ৬৬ হাজার কৃষকের খেতের আমন ডুবে নষ্ট হয়ে যায়। একদিকে ঘরে খোরাকির চাল তুলতে না পারায় পরিবারের সদস্যদের খাদ্য নিয়ে দুশ্চিন্তা, অন্যদিকে গবাদিপশুর খড়ের জোগান নিয়েও কৃষকেরা বিপাকে পড়েছেন। যে মাঠে ফসল কাটা নিয়ে ব্যস্ততা ছিল, সেই মাঠ এখন বিরান ভূমির মতো।
যদিও কৃষি বিভাগ বলছে, ছয় হাজার কৃষককে বীজ ও সার দেওয়া হয়েছে। তাঁরা ঘরে ধান তুলতে পারবেন। তবে আমনচাষিরা বলছেন, তাঁরা বন্যাপরবর্তী কয়েক দফা ভারী বৃষ্টি এবং অসময়ে ধান চাষ করায় ভালো ফলন পাচ্ছেন না।
উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আগস্টের বন্যায় ১৮ হাজার ৪৪০ হেক্টর জমির ফসলের ক্ষতি হয়। এতে ৪০০ কোটি টাকার বেশি লোকসানে পড়ে ৬৬ হাজার ৩২৮ কৃষক পরিবার। বন্যা দীর্ঘায়িত হওয়ায় আমনের বীজতলা নষ্ট হয়। ক্ষতি পোষাতে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয় ছয় হাজার কৃষকের মধ্যে ধান ও সার বিতরণ করে। অথচ সেই প্রণোদনা বীজ ও সার কৃষকদের কাজে আসেনি। একাধিকবার ভারী বর্ষণে জলাবদ্ধতায় বীজতলা নষ্ট হওয়ায় আমন ধান ফলাতে পারেনি ৬৬ হাজার ৩২৮ কৃষক পরিবার। তাই এবার নবান্ন উৎসব নেই এই পরিবারগুলোতে।
উপজেলার একটি পৌরসভা ও ১৩টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রান্তিক কৃষকদের বেশির ভাগ ফসলের মাঠ আগাছায় পূর্ণ। অথচ প্রতিবছর এমন সময় এসব মাঠে ফসল কাটার ধুম থাকে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ সূত্রে আরও জানা গেছে, এই উপজেলায় ১৮ হাজার ৪৪০ হেক্টরের মধ্যে মাত্র ১০ হাজার হেক্টরে আমন চাষ হয়েছে। তা-ও আবার আশানুরূপ ফসল পাওয়া যাবে না বলে কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে। এখনো বিভিন্ন এলাকায় কৃষকের আবাদি জমিতে বন্যার পানি জমে আছে। আমনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে চৌদ্দগ্রামের প্রায় ছয় হাজার কৃষককে প্রণোদনা হিসেবে বীজধান ও সার দেওয়া হয়।
আমনের বীজ দেওয়া হলেও এবার তা কাজে আসছে না। অসময়ে কৃষকেরা অন্য উপজেলা থেকে আমনের চারা এনে জমিতে রোপণ করলেও আশানুরূপ ধান পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে এবার লোকসান গুনতে হচ্ছে কৃষকদের।
বাতিসা ইউনিয়নের দেবিপুর গ্রামের মো. আমির হোসেন মজুমদার বলেন, বন্যার ক্ষতি পোষাতে কৃষিস্প্রসারণ দপ্তর থেকে ধান ও সার দেয়। কিন্তু বীজতলা তৈরীর পর ভারী বর্ষণে আমনের বীজতলা নষ্ট হয়ে যায়। এতে প্রণোদনা কোনো কাজে আসেনি।
মুন্সিরহাট ইউনিয়নের ফেলনা গ্রামে কৃষক নজির আহমেদ বলেন, ‘আমি তিন হাজার টাকা খরচ করে অন্যের জমিতে বীজতলা তৈরি করেছিলাম। কিন্তু আগস্টের বন্যায় সেই বীজতলা নষ্ট হয়ে যায়। পরে পানি নেমে গেলে আবার বীজতলা তৈরি করি। তখন একাধিকবার জলাবদ্ধতায় সেই বীজতলাও নষ্ট হয়ে যায়। ফলে এবার আমন চাষ করা সম্ভব হয়নি। ঘরে নতুন ধানও ওঠেনি।’
এদিকে প্রতিবছর আমনের খড় দিয়ে কৃষকেরা তাঁদের গৃহপালিত পশুর খাদ্যের জোগান দিতে পারলেও এবার আমন চাষ না হওয়ায় গোখাদ্যের সংকট সৃষ্টি হবে। এই নিয়ে কৃষকেরা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।
সোনাপুর গ্রামের কৃষক আবু তাহের বলেন, ‘প্রতিবছর আমনের খড়ে গৃহপালিত গরুর খাদ্যের জোগান হতো। আমার সাতটি গরু আছে। আমন চাষ না হওয়ায় এগুলো নিয়ে খাদ্যসংকটে পড়তে হবে।’
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জুবায়ের আহমেদ বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ছয় হাজার কৃষককে ধান ও সার প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। আশা করছি, আবহাওয়া ঠিক থাকলে প্রায় ৬০ শতাংশ ধান কৃষকেরা গোলায় তুলতে পারবেন।
সকাল সাড়ে ৭টা। সিরাজগঞ্জের বেলকুচি পৌরসভার সামনের আঞ্চলিক সড়ক ধীরে ধীরে ভরে উঠতে থাকে ধান ও সরিষার বস্তায়। আশপাশের চরাঞ্চল থেকে আসা কৃষকেরা নৌকা বা ভ্যানগাড়িতে করে ধান নামাতে থাকেন আর ব্যাপারীরা দরদামে ব্যস্ত। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে রাস্তাটি পরিণত হয় বড়সড় হাটে। কেনাবেচা চলে দুপুর পর্যন্ত।
৬ ঘণ্টা আগেকুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সড়ক সংস্কারের ছয়টি প্রকল্পের কাজ পেয়েছেন ঠিকাদার ও আওয়ামী লীগের নেতা অলি আহাম্মেদ। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এসব প্রকল্পের মধ্যে পাঁচটিতে বরাদ্দ দেয় ১০ কোটি ৪৭ লাখ ২৯ হাজার টাকা। মোট সড়কের দৈর্ঘ্য প্রায় ১৮ কিলোমিটার।
৬ ঘণ্টা আগেকারও তিনতলা বাড়ি আছে, কেউ চড়ে প্রাইভেট কারে—তবু পেশা দিনমজুর। এভাবে রাজশাহী মহানগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে বেড়ে গেছে দিনমজুরের সংখ্যা। কথা বলে জানা গেল, ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) কার্ড পেতে এমন চতুরতার আশ্রয় নেওয়া হয়েছে। এতে বঞ্চিত হয়েছে দুস্থরা।
৬ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জ শহরের চেচানিয়াকান্দি এলাকায় প্রেমানন্দ হালদার (৮০) নামের এক বৃদ্ধ ট্রাকচাপায় নিহত হয়েছেন। তাঁর বাড়ি কোটালীপাড়া উপজেলার ভেন্নাবাড়ি গ্রামে। সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর মোহাম্মদ সাজেদুর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
৭ ঘণ্টা আগে