গোমস্তাপুর (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) প্রতিনিধি
কোরবানির ঈদের আর মাত্র বাকি দুই দিন। ঈদ সামনে রেখে ব্যস্ততা বেড়েছে কামারদের। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত দোকানগুলো টুং টাং শব্দে চারদিকে মুখরিত হয়ে উঠছে। নতুন ও পুরোনো চাকু, ছুরি, দা, চাপাতি, বঁটি, হাঁসুয়া ইত্যাদি তৈরি ও শাণ দিচ্ছেন তাঁরা।
রহনপুর পৌর এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কেউ নিজে বা অন্যজনকে দিয়ে হাপর টানা হাওয়ার ফুলকিতে কয়লা (আগুন) দিচ্ছেন, কেউ লোহা গরম করে পেটাচ্ছেন আর পানি দিচ্ছেন। কাজের চাপে কারো সঙ্গেই কথা বলার সময়টুকু পাচ্ছেন না তাঁরা। কোরবানির কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জামগুলো কামারেরা প্রকারভেদে ৩০ থেকে ৮০ টাকা দিয়ে শাণ দিচ্ছেন।
উপজেলা সদর রহনপুরসহ বিভিন্ন বাজারে ছুরি, চামড়া ছাড়ানো ও মাংস কাটা চাকু, বঁটি, হাঁসুয়া, চাপাতি বিক্রি করতে দেখা যায়। দোকানের সামনে বিক্রেতারা এসব সরঞ্জাম সাজিয়ে বিক্রি করছেন। আকারভেদে ছোট ছুরি ৩০ থেকে ৭০ টাকা, মাঝারি থেকে বড় ৬০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি করছেন। এ ছাড়া বঁটি ৮০ থেকে ৩০০ টাকা, হাঁসুয়া ৯০ থেকে ৩২০ টাকা, চাপাতি ২০০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি করছেন।
রহনপুর কলোনির মোড়সংলগ্ন ব্রিজের পাশে থাকা অশোক কর্মকার বলেন, ‘বাপ-দাদার কাছ থেকে এ কাজ শিখেছি। তাই অন্য কাজ করতে চাই না। সারা বছর টুকটাক করে কাজ করি। এতে কোনোমতে সংসার চলে। তবে কোরবানির ঈদ এলেই অতিরিক্ত কাজের চাহিদা বেড়ে যায়। সকাল থেকে একটানা রাত পর্যন্ত কাজ করতে হয়। এ সময় আয়-উপার্জন ভালো হয়।’
খোয়াড় মোড়ের বিরত কর্মকার জানান, তাঁর বাড়ি দোকান থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে আলীনগর এলাকায়। প্রতিদিন সকালে সাইকেলে করে বাপ-বেটা দোকান যান। রাত পর্যন্ত কাজ করে বাড়ি ফেরেন। কোরবানির ঈদ আসায় কাজের অতিরিক্ত চাপ বেড়েছে। বাপ-বেটা মিলে সমানতালে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে অনেকে ন্যায্য মজুরি দিচ্ছেন না। কম টাকা দিয়ে চলে যাচ্ছেন। এ সময় বাড়িতে থাকা ভাঙা ও মরিচা ধরা, হাঁসুয়া, বঁটি, ছুরি, চাকু, চাপাতির শাণ দিচ্ছেন বেশি। এই কয়েক দিন নতুন জিনিস তৈরি করতে পারছেন না। প্রতিদিন দুই-আড়াই হাজার টাকা আয় হচ্ছে।
কোরবানির ঈদের বিভিন্ন সরঞ্জাম শাণ দিতে আসা রফিক বলেন, ‘কোরবানির মাংস কাটার চারটি যন্ত্র শাণ দিতে ৩০০ টাকা চাইছেন। তবে ২০০ টাকা দিয়ে নিয়ে এসেছি।’
বাবু নামে আরেকজন বলেন, ‘বাজার থেকে রেডিমেট ছুরি কিনে এনেছি। একবার কাটার পর আর কাটে না। এখানে (কামারের কাছে) শাণ দিতে নিয়ে এসেছি।’
উপজেলার অন্যান্য কামারের দোকানগুলোর একই অবস্থা। তবে অনেকে এই পেশায় সন্তুষ্ট নন বলে জানান। কারণ হিসেবে জানান, কাজের শ্রম অনুযায়ী মজুরি পান কম।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ঈদুল আজহার সামনে রেখে ব্যবসায়ী ও খামারিরা গোমস্তাপুর উপজেলায় ৫৫ হাজার ৩৮২টি কোরবানির প্রাণী প্রস্তুত রেখেছে। এর মধ্যে ষাঁড় ৭ হাজার ৬৬৯টি, বলদ ৬ হাজার ২০৪টি, বকনা ৬ হাজার ৪২৩টি, মহিষ ৯০টি, ছাগল ২৬ হাজার ৭৬৯টি ও ভেড়া ৮ হাজার ২২৭টি রয়েছে।
কোরবানির ঈদের আর মাত্র বাকি দুই দিন। ঈদ সামনে রেখে ব্যস্ততা বেড়েছে কামারদের। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত দোকানগুলো টুং টাং শব্দে চারদিকে মুখরিত হয়ে উঠছে। নতুন ও পুরোনো চাকু, ছুরি, দা, চাপাতি, বঁটি, হাঁসুয়া ইত্যাদি তৈরি ও শাণ দিচ্ছেন তাঁরা।
রহনপুর পৌর এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কেউ নিজে বা অন্যজনকে দিয়ে হাপর টানা হাওয়ার ফুলকিতে কয়লা (আগুন) দিচ্ছেন, কেউ লোহা গরম করে পেটাচ্ছেন আর পানি দিচ্ছেন। কাজের চাপে কারো সঙ্গেই কথা বলার সময়টুকু পাচ্ছেন না তাঁরা। কোরবানির কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জামগুলো কামারেরা প্রকারভেদে ৩০ থেকে ৮০ টাকা দিয়ে শাণ দিচ্ছেন।
উপজেলা সদর রহনপুরসহ বিভিন্ন বাজারে ছুরি, চামড়া ছাড়ানো ও মাংস কাটা চাকু, বঁটি, হাঁসুয়া, চাপাতি বিক্রি করতে দেখা যায়। দোকানের সামনে বিক্রেতারা এসব সরঞ্জাম সাজিয়ে বিক্রি করছেন। আকারভেদে ছোট ছুরি ৩০ থেকে ৭০ টাকা, মাঝারি থেকে বড় ৬০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি করছেন। এ ছাড়া বঁটি ৮০ থেকে ৩০০ টাকা, হাঁসুয়া ৯০ থেকে ৩২০ টাকা, চাপাতি ২০০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি করছেন।
রহনপুর কলোনির মোড়সংলগ্ন ব্রিজের পাশে থাকা অশোক কর্মকার বলেন, ‘বাপ-দাদার কাছ থেকে এ কাজ শিখেছি। তাই অন্য কাজ করতে চাই না। সারা বছর টুকটাক করে কাজ করি। এতে কোনোমতে সংসার চলে। তবে কোরবানির ঈদ এলেই অতিরিক্ত কাজের চাহিদা বেড়ে যায়। সকাল থেকে একটানা রাত পর্যন্ত কাজ করতে হয়। এ সময় আয়-উপার্জন ভালো হয়।’
খোয়াড় মোড়ের বিরত কর্মকার জানান, তাঁর বাড়ি দোকান থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে আলীনগর এলাকায়। প্রতিদিন সকালে সাইকেলে করে বাপ-বেটা দোকান যান। রাত পর্যন্ত কাজ করে বাড়ি ফেরেন। কোরবানির ঈদ আসায় কাজের অতিরিক্ত চাপ বেড়েছে। বাপ-বেটা মিলে সমানতালে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে অনেকে ন্যায্য মজুরি দিচ্ছেন না। কম টাকা দিয়ে চলে যাচ্ছেন। এ সময় বাড়িতে থাকা ভাঙা ও মরিচা ধরা, হাঁসুয়া, বঁটি, ছুরি, চাকু, চাপাতির শাণ দিচ্ছেন বেশি। এই কয়েক দিন নতুন জিনিস তৈরি করতে পারছেন না। প্রতিদিন দুই-আড়াই হাজার টাকা আয় হচ্ছে।
কোরবানির ঈদের বিভিন্ন সরঞ্জাম শাণ দিতে আসা রফিক বলেন, ‘কোরবানির মাংস কাটার চারটি যন্ত্র শাণ দিতে ৩০০ টাকা চাইছেন। তবে ২০০ টাকা দিয়ে নিয়ে এসেছি।’
বাবু নামে আরেকজন বলেন, ‘বাজার থেকে রেডিমেট ছুরি কিনে এনেছি। একবার কাটার পর আর কাটে না। এখানে (কামারের কাছে) শাণ দিতে নিয়ে এসেছি।’
উপজেলার অন্যান্য কামারের দোকানগুলোর একই অবস্থা। তবে অনেকে এই পেশায় সন্তুষ্ট নন বলে জানান। কারণ হিসেবে জানান, কাজের শ্রম অনুযায়ী মজুরি পান কম।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ঈদুল আজহার সামনে রেখে ব্যবসায়ী ও খামারিরা গোমস্তাপুর উপজেলায় ৫৫ হাজার ৩৮২টি কোরবানির প্রাণী প্রস্তুত রেখেছে। এর মধ্যে ষাঁড় ৭ হাজার ৬৬৯টি, বলদ ৬ হাজার ২০৪টি, বকনা ৬ হাজার ৪২৩টি, মহিষ ৯০টি, ছাগল ২৬ হাজার ৭৬৯টি ও ভেড়া ৮ হাজার ২২৭টি রয়েছে।
ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার বইলর ইউনিয়নের বাঁশকুড়ি গ্রামে মা-বাবা হত্যার মর্মান্তিক ঘটনায় গ্রামজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। এই ঘটনার পর থেকে ঘাতক ছেলে রিয়াদ হোসেন রাজুর ৯ মাসের শিশুকন্যা সিদরাতুল মুনতাহা রাইসা ও তার মা এখন চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে দেশের জনগণ ‘দাঁড়িপাল্লায় নীরবে ভোট দিয়ে’ এক নীরব বিপ্লব ঘটাবে। সম্প্রতি চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ছাত্রশিবিরের নিরঙ্কুশ বিজয় সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
১ ঘণ্টা আগেজাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে চাঁপাইনবাবগঞ্জের তিনটি আসনে জমে উঠেছে রাজনৈতিক তৎপরতা। জেলার সর্বত্র এখন বিএনপি ও জামায়াতের প্রার্থীদের প্রচার, গণসংযোগ ও উঠান বৈঠক চলছে। তবে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল, বিভক্ত নেতৃত্ব ও একাধিক প্রার্থীর কারণে মাঠে তাদের অবস্থান দুর্বল।
৬ ঘণ্টা আগেহঠাৎ অস্থির হয়ে উঠেছে দেশের শিক্ষাঙ্গন। প্রাথমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় স্তর পর্যন্ত আলাদা ইস্যু ঘিরে অস্থিরতা বিরাজ করছে। এতে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম। তৈরি হচ্ছে প্রশাসনিক জটিলতাও। শঙ্কা দেখা দিচ্ছে সেশনজটসহ নানা সংকটের।
৬ ঘণ্টা আগে