Ajker Patrika

বগুড়ার ২২ ইউপিতে নৌকার প্রার্থী চূড়ান্ত 

বগুড়া প্রতিনিধি
আপডেট : ০৩ ডিসেম্বর ২০২১, ২০: ৪১
বগুড়ার ২২ ইউপিতে নৌকার প্রার্থী চূড়ান্ত 

পঞ্চম ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বগুড়ার পাঁচ উপজেলার চূড়ান্ত প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করেছে আওয়ামী লীগ। বৃহস্পতিবার রাতে ওই তালিকা প্রকাশ করা হয়। শুক্রবার বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেন জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল রাজী জুয়েল। 

আওয়ামী লীগের নেতা আব্দুল্লাহ আল জুয়েল জানান, কেন্দ্র থেকে পঞ্চম ধাপের ২২ ইউপিতে দলীয় প্রার্থীদের নাম প্রকাশ করা হয়েছে। দলীয় প্রার্থীদের পক্ষে জেলা আওয়ামী লীগ একজোট হয়ে কাজ করবে। 

পাঁচ উপজেলার মধ্যে শেরপুর ও শিবগঞ্জের একটি করে, আদমদীঘির ছয়টি, দুপচাঁচিয়ার পাঁচ ও গাবতলী উপজেলার নয়টি ইউপিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এবার জেলায় মোট ২২টি ইউপিতে নির্বাচন হতে যাচ্ছে। 

আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নপ্রাপ্ত নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীরা হলেন—শেরপুর উপজেলার গাড়ীদহ ইউনিয়নে মোকাব্বর হোসেন, শিবগঞ্জের মোকামতলায় ওয়াশিম রেজা চৌধুরী, দুপচাঁচিয়া উপজেলার সদর ইউপিতে আব্দুল বাখের সেন্টু, চামরুলে আজমল হোসেন প্রামাণিক, গুনাহারে শাহ আব্দুল খালেক, গোবিন্দপুরে আব্দুর রশিদ মুঞ্জু ও জিয়ানগরে কামরুজ্জামান। 

আদমদীঘি উপজেলায় সদর ইউপিতে জিল্লুর রহমান, ছাতিয়ান গ্রামে আব্দুল হক, সান্তাহারে নাহিদ সুলতানা, নশরতপুরে আব্দুর রাজ্জাক, কুন্দগ্রামে শামীম উল ইসলাম ও চাঁপাপুরে শামসুল হক। 

গাবতলী উপজেলার সদর ইউপিতে ফারুক আহম্মেদ, বালিয়াদীঘিতে ইউনুছ আলী, দক্ষিণপাড়ায় রফিকুল ইসলাম, দুর্গাহাটায় আব্দুল মতিন, কাগইলে দিল আফরুজা খাতুন লাবনী, মহিষাবানে শাকিল ইসলাম বুলেট, নারুয়ামালায় আব্দুল গফুর, নশিপুরে আবুল কালাম আজাদ ও রামেশ্বপুরে সেকেন্দার আলী। 

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ৫ জানুয়ারি পঞ্চম ধাপে বগুড়ার ওই ২২ ইউপিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ চলতি বছরের ৭ ডিসেম্বর। যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া শেষ হবে চলতি বছরেরই ৯ ডিসেম্বর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মিরপুরে ‘বিবাহ বাড়ি’ কমিউনিটি সেন্টারে আগুন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

‎রাজধানীর মিরপুর ১১ নম্বরের কালশী রোডে একটি কমিউনিটি সেন্টারে আগুন লেগেছে। ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে, আরও দুটি ইউনিট সেখানে যাওয়ার পথে রয়েছে।

‎ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার রাত ১০টা ১২ মিনিটে আগুন লাগার খবর পাওয়া যায়। প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে রাত ১০টা ২৭ মিনিটে কাজ শুরু করে। আগুন লেগেছে মিরপুর ১১ নম্বর এলাকার ‘বিবাহ বাড়ি’ কমিউনিটি সেন্টারের ছয়তলা ভবনের ছয় তলায়।

ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম জানান, ‘আগুন নিয়ন্ত্রণে আমাদের চারটি ইউনিট কাজ করছে। আরও দুটি ইউনিট পথে আছে।’

‎তবে তাৎক্ষণিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পানছড়িতে ইউপিডিএফের হয়ে চাঁদা আদায়কারী আটক

পানছড়ি (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি 
আটক সৈয়দ মাহবুব রহমান। ছবি: সংগৃহীত
আটক সৈয়দ মাহবুব রহমান। ছবি: সংগৃহীত

খাগড়াছড়ির পানছড়িতে সশস্ত্র সংগঠন ইউপিডিএফের হয়ে অবৈধভাবে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে সৈয়দ মাহবুব রহমান (৫৩) নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পানছড়ি সেনা সাব জোনের বিশেষ অভিযানে দমদম গ্রাম থেকে তাঁকে আটক করা হয়। আটক মাহবুব রহমান ওই গ্রামের মৃত মিজানুর রহমানের ছেলে।

সেনা সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাঁর কাছ থেকে এক লাখ টাকা ও একাধিক চাঁদা আদায়ের রসিদ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মাহবুব স্বীকার করেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে ইউপিডিএফের পক্ষে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অবৈধভাবে চাঁদা আদায় করে আসছিলেন। পরে তাঁকে আইনগত ব্যবস্থার জন্য পানছড়ি থানায় হস্তান্তর করা হয়।

এ বিষয়ে পানছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসিম উদ্দিন বলেন, আটক সৈয়দ মাহবুব রহমানকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন।

সেনা সূত্র আরও জানায়, পাহাড়ে অবৈধভাবে চাঁদা আদায় বন্ধে অভিযান ও গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে এবং চক্রের অন্যান্য সদস্যের শনাক্তে অভিযান চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

যৌতুকের জন্য গৃহবধূর চোখে মরিচের গুঁড়ো দিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

বরগুনার আমতলীতে যৌতুক দিতে রাজি না হওয়ায় শাহিনুর বেগম (৪০) নামে এক গৃহবধূকে তাঁর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন বেধড়ক পিটিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার ছোট নীলগঞ্জ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আজ শুক্রবার দুপুরে পুলিশ ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে।

ভুক্তভোগী গৃহবধূ নীলগঞ্জ গ্রামের কালু হাওলাদারের স্ত্রী।

জানা গেছে, আট দিন আগে কালু হাওলাদার জমি ক্রয় করতে বায়না করেন। জমি কিনার জন্য স্ত্রী শাহিনুরের কাছে তিন লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন তিনি। কিন্তু শাহিনুর বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনতে অস্বীকৃতি জানান। এ নিয়ে গতকাল বিকেলে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকের সঙ্গে শাহিনুরের কলহ বাধে। স্বামী কালু হাওলাদার, ননদ রেবেকা বেগম ও ননদের স্বামী হানিফ মুসল্লি তাঁকে বেধড়ক মারধর করেন। তাঁরা শাহিনুরের চোখে মরিচের গুঁড়ো ছিটিয়ে দেন। মারধর শেষে তাঁকে ঘরের মধ্যে আটকে রাখেন। গৃহবধূর স্বজনেরা খবর পেয়ে আজ পুলিশে খবর দেন। পরে দুপুরে পুলিশ গিয়ে শাহিনুরকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়।

গৃহবধূর বাবা হানিফ হাওলাদার বলেন, ‘জমি কিনতে আমার মেয়ের কাছে জামাতা তিন লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় মারধর করে মেয়েকে মেরে ঘরে আটকে রাখে। পরে পুলিশ গিয়ে আমার মেয়েকে উদ্ধার করেছে। আমি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি দাবি করছি।’

ভুক্তভোগী গৃহবধূ শাহিনুর বেগম বলেন, ‘২০১১ সালে আমার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে নানা অজুহাতে যৌতুক দাবি করে আসছেন স্বামী। টাকা না দিলেই আমার ওপর নির্যাতন চালায়। গত এক সপ্তাহ আগে জমি কিনবে বলে আমার কাছে তিন লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। আমি টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় আমার চোখে মরিচের গুঁড়ো দিয়ে আমার স্বামী, নুনুন্দা (ননদের জামাই) হানিফ মুসুল্লি ও ননদ রেবেকা বেধড়ক মারধর করেছে। আমি এ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি দাবি করছি।’

এদিকে যৌতুক দাবির কথা অস্বীকার করে কালু হাওলাদার বলেন, ‘পারিবারিক বিষয় নিয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে কয়েকটি চর-থাপ্পড় দিয়েছি।’

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মিনহাজ উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, ‘আহত নারীর চোখে যে সমস্যা হয়েছে, ওষুধ খেলে ভালো হয়ে যাবে, তবে সময় লাগবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ওই নারীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন রয়েছে। তাকে যথাযথ চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ পাঠিয়ে ওই নারীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাল্যবিবাহের অতিথি ইউএনও, জানতে পেরে খাবার না খেয়ে চলে গেলেন

নেছারাবাদ (পিরোজপুর) প্রতিনিধি 
মো. জাহিদুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত
মো. জাহিদুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

পিরোজপুরের নেছারাবাদে সপরিবারে বিয়ের দাওয়াতে গিয়ে জানতে পারেন কনের বয়স ১৮ বছরের নিচে; এরপর খাবার না খেয়ে ফিরে গেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাহিদুল ইসলাম। পরে কাজিও বিয়ে না পড়িয়ে চলে যান।

ঘটনাটি ঘটে আজ শুক্রবার দুপুরে উপজেলার দৈহারী গ্রামে।

জানা যায়, বর শেখ মো. অনিক (২৩) জগন্নাথকাঠি গ্রামের মো. জাকির হোসেনের ছেলে এবং কনে মোসাম্মৎ মুন্নি আখতার (১৬) দৈহারী গ্রামের বাবুল হাওলাদারের মেয়ে। শুক্রবার তাদের বিয়ের আয়োজন করে উভয় পরিবার। বিয়ে অনুষ্ঠানে পরিবারসহ ইউএনও অতিথি হিসেবে যোগ দেন।

জানতে চাইলে বিয়ে পড়াতে আসা কাজি মো. ইসহাক আলী বলেন, ‘প্রথমে আমাকে জানানো হয় মেয়ের বয়স ১৮ বছর। পরে কনের প্রকৃত বয়স ১৬ জেনে আমি বিয়ে পড়াইনি। ইউএনও সাহেবও বিষয়টি জানার পর সপরিবারে না খেয়েই চলে যান।’

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আল আমীন জানান, ‘বিয়েবাড়িতে উৎসবমুখর পরিবেশ ছিল। ইউএনও সাহেব সপরিবারে এসেছিলেন। কনের বয়স কম শুনেই তিনি এবং কাজি চলে গেলে আমি নিজেও ফিরে এসেছি। আমরা কোনো খাওয়াদাওয়া করিনি।’

এ বিষয়ে ইউএনও মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগত অনুরোধে দাওয়াতে গিয়েছিলাম। কনের বয়স কম জেনে আইনগত ও নৈতিক দিক বিবেচনায় দাওয়াত না খেয়েই ফিরে এসেছি। পরে জানতে পেরেছি বিয়েটি আর হয়নি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত