গনেশ দাস, বগুড়া

২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে গত এক বছরে বগুড়ায় একের পর এক উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হলেও জেলা পুলিশের সদস্যরা কোথাও লাঠিপেটা, কাঁদানে গ্যাসের শেল বা রাবার বুলেট চালানোর মতো বলপ্রয়োগ করেনি। রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ৩৭ লাখ জনসংখ্যার এই জেলায় নানা ধরনের অপরাধ সংঘটিত হলেও গত বছরের ৫ আগস্টের পর পুলিশ শক্ত হাতে দমন না করে নরম অবস্থান নিয়েছে। ফলে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে ১১ বার। এসব ঘটনায় আহত হয়েছেন ৩৪ জন পুলিশ সদস্য।
পুলিশের দাবি, এত বড় সংখ্যায় পুলিশ আহত হওয়ার নজির গত বছরের ছাত্র-জনতার জুলাই আন্দোলনেও দেখা যায়নি।
জেলা পুলিশের মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা স্বীকার করছেন, তাঁরা ইচ্ছাকৃতভাবে বলপ্রয়োগ এড়িয়ে যাচ্ছেন; যাতে সাধারণ মানুষের সহযোগিতা পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা যায়। কিন্তু পুলিশের এই ‘সংযম’কে দুর্বলতা ভেবে দুর্বৃত্তরা সুযোগ নিচ্ছে। তাঁদের ভাষায়, অপরাধীরা শুধু নিজেদের কার্যক্রম চালাচ্ছে না, বরং সরাসরি পুলিশের ওপর হামলাও চালাচ্ছে। ফলে জেলার অপরাধপ্রবণতা আরও বেড়ে যাচ্ছে।
তবে বগুড়ার পুলিশ সুপার জেদান আল মুসা বলেন, ‘জেলার আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে; যে কারণে এখন পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক।’ তিনি বলেন, ঝুঁকি নিয়েও পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। এখন আর কাউকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। কেউ যেন মব সৃষ্টি করতে না পারে, সেদিকেও পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে। পুলিশের ওপর হামলার প্রতিটি ঘটনায় কাউকে না কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘৫ আগস্টের পর আমরা ভেবেছিলাম, স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারব। কিন্তু বাস্তবে এখনো ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের রাজনৈতিক পক্ষপাতের কারণে তাঁদের নির্দিষ্ট দলঘেঁষা কাজ করতে হচ্ছে, যা পুলিশ বাহিনীর পেশাদারত্ব ও মনোবল দুটিকেই ক্ষতিগ্রস্ত করছে।’
স্থানীয় সুশাসন পর্যবেক্ষক সংগঠন সুশাসনের জন্য প্রচার অভিযানের (সুপ্র) বগুড়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক কে জি এম ফারুক বলেন, পুলিশের নৈতিক মনোবল ভেঙে গেছে। রাজনৈতিক দলের ছত্রচ্ছায়ায় থাকা দুর্বৃত্তদের পুলিশ ভয় পাচ্ছে। এই সুযোগে দুর্বৃত্তরা হামলা চালাচ্ছে। অসৎ পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে দুর্বৃত্তদের যোগসাজশ এখনো রয়েছে। ভুক্তভোগীদের পাশে পুলিশ সময়মতো দাঁড়ালে জনগণের সঙ্গে পুলিশের সম্পর্ক ভালো থাকবে। ফলে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটবে না।
জেলা পুলিশের পরিসংখ্যান বলছে, গত এক বছরে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় মোট ১১টি মামলা হয়েছে। এতে গ্রেপ্তার হয়েছেন ৪২ জন, পলাতক এজাহারভুক্ত আসামি ৩৯ জন। এই মামলাগুলোয় ৮১ জনের নাম উল্লেখ থাকলেও অজ্ঞাতনামা আসামির সংখ্যা পাঁচ শতাধিক।
সর্বশেষ হামলার ঘটনা ঘটে গত ২১ জুলাই শেরপুর থানার শেরুয়া বটতলা এলাকায়। সেদিন পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে একজন আওয়ামী লীগ নেতাকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এতে থানার চার পুলিশ সদস্য আহত হন। এ ঘটনায় মামলা হলেও গ্রেপ্তার হয়েছে শুধু ওই নেতার ছেলে। শেরপুর থানার ওসি এস এম মঈনুদ্দিন বলেন, ছিনিয়ে নেওয়া ব্যক্তির ছেলে ছাড়া আর কাউকে ধরা সম্ভব হয়নি।
পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে স্থানীয় নাগরিক সমাজ বলছে, পুলিশের বলপ্রয়োগে অনীহা যদি দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলে এটি অপরাধীদের জন্য বার্তা হয়ে যাবে—‘পুলিশকে ভয় পাওয়ার দরকার নেই’। আর সেটি হলে শুধু পুলিশই নয়, জেলার সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা আরও ঝুঁকির মুখে পড়বে।
বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজের মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আবু সায়েম বলেছেন, প্রচলিত আইনের প্রতি আস্থার অভাব, বিচার বিলম্বিত হওয়া, বিচার হবে না—এমন ধারণা পোষণ থেকে মানুষ আক্রমণাত্মক আচরণ করে থাকে। এ ছাড়া নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখতে প্রভাব-প্রতিপত্তি প্রদর্শন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি তীব্র ক্ষোভ ও হতাশা থেকে হামলার ঘটনা ঘটতে পারে।
আবু সায়েম আরও বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ওপর হামলার মতো অপরাধ কমাতে হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের কঠোর হওয়ার পাশাপাশি যেকোনো অপরাধের বিচার দ্রুত নিষ্পত্তি করা ছাড়াও সামাজিক সচেতনতা বাড়াতে হবে।’

২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে গত এক বছরে বগুড়ায় একের পর এক উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হলেও জেলা পুলিশের সদস্যরা কোথাও লাঠিপেটা, কাঁদানে গ্যাসের শেল বা রাবার বুলেট চালানোর মতো বলপ্রয়োগ করেনি। রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ৩৭ লাখ জনসংখ্যার এই জেলায় নানা ধরনের অপরাধ সংঘটিত হলেও গত বছরের ৫ আগস্টের পর পুলিশ শক্ত হাতে দমন না করে নরম অবস্থান নিয়েছে। ফলে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে ১১ বার। এসব ঘটনায় আহত হয়েছেন ৩৪ জন পুলিশ সদস্য।
পুলিশের দাবি, এত বড় সংখ্যায় পুলিশ আহত হওয়ার নজির গত বছরের ছাত্র-জনতার জুলাই আন্দোলনেও দেখা যায়নি।
জেলা পুলিশের মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা স্বীকার করছেন, তাঁরা ইচ্ছাকৃতভাবে বলপ্রয়োগ এড়িয়ে যাচ্ছেন; যাতে সাধারণ মানুষের সহযোগিতা পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা যায়। কিন্তু পুলিশের এই ‘সংযম’কে দুর্বলতা ভেবে দুর্বৃত্তরা সুযোগ নিচ্ছে। তাঁদের ভাষায়, অপরাধীরা শুধু নিজেদের কার্যক্রম চালাচ্ছে না, বরং সরাসরি পুলিশের ওপর হামলাও চালাচ্ছে। ফলে জেলার অপরাধপ্রবণতা আরও বেড়ে যাচ্ছে।
তবে বগুড়ার পুলিশ সুপার জেদান আল মুসা বলেন, ‘জেলার আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে; যে কারণে এখন পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক।’ তিনি বলেন, ঝুঁকি নিয়েও পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। এখন আর কাউকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। কেউ যেন মব সৃষ্টি করতে না পারে, সেদিকেও পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে। পুলিশের ওপর হামলার প্রতিটি ঘটনায় কাউকে না কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘৫ আগস্টের পর আমরা ভেবেছিলাম, স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারব। কিন্তু বাস্তবে এখনো ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের রাজনৈতিক পক্ষপাতের কারণে তাঁদের নির্দিষ্ট দলঘেঁষা কাজ করতে হচ্ছে, যা পুলিশ বাহিনীর পেশাদারত্ব ও মনোবল দুটিকেই ক্ষতিগ্রস্ত করছে।’
স্থানীয় সুশাসন পর্যবেক্ষক সংগঠন সুশাসনের জন্য প্রচার অভিযানের (সুপ্র) বগুড়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক কে জি এম ফারুক বলেন, পুলিশের নৈতিক মনোবল ভেঙে গেছে। রাজনৈতিক দলের ছত্রচ্ছায়ায় থাকা দুর্বৃত্তদের পুলিশ ভয় পাচ্ছে। এই সুযোগে দুর্বৃত্তরা হামলা চালাচ্ছে। অসৎ পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে দুর্বৃত্তদের যোগসাজশ এখনো রয়েছে। ভুক্তভোগীদের পাশে পুলিশ সময়মতো দাঁড়ালে জনগণের সঙ্গে পুলিশের সম্পর্ক ভালো থাকবে। ফলে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটবে না।
জেলা পুলিশের পরিসংখ্যান বলছে, গত এক বছরে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় মোট ১১টি মামলা হয়েছে। এতে গ্রেপ্তার হয়েছেন ৪২ জন, পলাতক এজাহারভুক্ত আসামি ৩৯ জন। এই মামলাগুলোয় ৮১ জনের নাম উল্লেখ থাকলেও অজ্ঞাতনামা আসামির সংখ্যা পাঁচ শতাধিক।
সর্বশেষ হামলার ঘটনা ঘটে গত ২১ জুলাই শেরপুর থানার শেরুয়া বটতলা এলাকায়। সেদিন পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে একজন আওয়ামী লীগ নেতাকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এতে থানার চার পুলিশ সদস্য আহত হন। এ ঘটনায় মামলা হলেও গ্রেপ্তার হয়েছে শুধু ওই নেতার ছেলে। শেরপুর থানার ওসি এস এম মঈনুদ্দিন বলেন, ছিনিয়ে নেওয়া ব্যক্তির ছেলে ছাড়া আর কাউকে ধরা সম্ভব হয়নি।
পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে স্থানীয় নাগরিক সমাজ বলছে, পুলিশের বলপ্রয়োগে অনীহা যদি দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলে এটি অপরাধীদের জন্য বার্তা হয়ে যাবে—‘পুলিশকে ভয় পাওয়ার দরকার নেই’। আর সেটি হলে শুধু পুলিশই নয়, জেলার সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা আরও ঝুঁকির মুখে পড়বে।
বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজের মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আবু সায়েম বলেছেন, প্রচলিত আইনের প্রতি আস্থার অভাব, বিচার বিলম্বিত হওয়া, বিচার হবে না—এমন ধারণা পোষণ থেকে মানুষ আক্রমণাত্মক আচরণ করে থাকে। এ ছাড়া নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখতে প্রভাব-প্রতিপত্তি প্রদর্শন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি তীব্র ক্ষোভ ও হতাশা থেকে হামলার ঘটনা ঘটতে পারে।
আবু সায়েম আরও বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ওপর হামলার মতো অপরাধ কমাতে হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের কঠোর হওয়ার পাশাপাশি যেকোনো অপরাধের বিচার দ্রুত নিষ্পত্তি করা ছাড়াও সামাজিক সচেতনতা বাড়াতে হবে।’
গনেশ দাস, বগুড়া

২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে গত এক বছরে বগুড়ায় একের পর এক উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হলেও জেলা পুলিশের সদস্যরা কোথাও লাঠিপেটা, কাঁদানে গ্যাসের শেল বা রাবার বুলেট চালানোর মতো বলপ্রয়োগ করেনি। রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ৩৭ লাখ জনসংখ্যার এই জেলায় নানা ধরনের অপরাধ সংঘটিত হলেও গত বছরের ৫ আগস্টের পর পুলিশ শক্ত হাতে দমন না করে নরম অবস্থান নিয়েছে। ফলে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে ১১ বার। এসব ঘটনায় আহত হয়েছেন ৩৪ জন পুলিশ সদস্য।
পুলিশের দাবি, এত বড় সংখ্যায় পুলিশ আহত হওয়ার নজির গত বছরের ছাত্র-জনতার জুলাই আন্দোলনেও দেখা যায়নি।
জেলা পুলিশের মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা স্বীকার করছেন, তাঁরা ইচ্ছাকৃতভাবে বলপ্রয়োগ এড়িয়ে যাচ্ছেন; যাতে সাধারণ মানুষের সহযোগিতা পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা যায়। কিন্তু পুলিশের এই ‘সংযম’কে দুর্বলতা ভেবে দুর্বৃত্তরা সুযোগ নিচ্ছে। তাঁদের ভাষায়, অপরাধীরা শুধু নিজেদের কার্যক্রম চালাচ্ছে না, বরং সরাসরি পুলিশের ওপর হামলাও চালাচ্ছে। ফলে জেলার অপরাধপ্রবণতা আরও বেড়ে যাচ্ছে।
তবে বগুড়ার পুলিশ সুপার জেদান আল মুসা বলেন, ‘জেলার আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে; যে কারণে এখন পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক।’ তিনি বলেন, ঝুঁকি নিয়েও পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। এখন আর কাউকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। কেউ যেন মব সৃষ্টি করতে না পারে, সেদিকেও পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে। পুলিশের ওপর হামলার প্রতিটি ঘটনায় কাউকে না কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘৫ আগস্টের পর আমরা ভেবেছিলাম, স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারব। কিন্তু বাস্তবে এখনো ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের রাজনৈতিক পক্ষপাতের কারণে তাঁদের নির্দিষ্ট দলঘেঁষা কাজ করতে হচ্ছে, যা পুলিশ বাহিনীর পেশাদারত্ব ও মনোবল দুটিকেই ক্ষতিগ্রস্ত করছে।’
স্থানীয় সুশাসন পর্যবেক্ষক সংগঠন সুশাসনের জন্য প্রচার অভিযানের (সুপ্র) বগুড়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক কে জি এম ফারুক বলেন, পুলিশের নৈতিক মনোবল ভেঙে গেছে। রাজনৈতিক দলের ছত্রচ্ছায়ায় থাকা দুর্বৃত্তদের পুলিশ ভয় পাচ্ছে। এই সুযোগে দুর্বৃত্তরা হামলা চালাচ্ছে। অসৎ পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে দুর্বৃত্তদের যোগসাজশ এখনো রয়েছে। ভুক্তভোগীদের পাশে পুলিশ সময়মতো দাঁড়ালে জনগণের সঙ্গে পুলিশের সম্পর্ক ভালো থাকবে। ফলে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটবে না।
জেলা পুলিশের পরিসংখ্যান বলছে, গত এক বছরে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় মোট ১১টি মামলা হয়েছে। এতে গ্রেপ্তার হয়েছেন ৪২ জন, পলাতক এজাহারভুক্ত আসামি ৩৯ জন। এই মামলাগুলোয় ৮১ জনের নাম উল্লেখ থাকলেও অজ্ঞাতনামা আসামির সংখ্যা পাঁচ শতাধিক।
সর্বশেষ হামলার ঘটনা ঘটে গত ২১ জুলাই শেরপুর থানার শেরুয়া বটতলা এলাকায়। সেদিন পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে একজন আওয়ামী লীগ নেতাকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এতে থানার চার পুলিশ সদস্য আহত হন। এ ঘটনায় মামলা হলেও গ্রেপ্তার হয়েছে শুধু ওই নেতার ছেলে। শেরপুর থানার ওসি এস এম মঈনুদ্দিন বলেন, ছিনিয়ে নেওয়া ব্যক্তির ছেলে ছাড়া আর কাউকে ধরা সম্ভব হয়নি।
পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে স্থানীয় নাগরিক সমাজ বলছে, পুলিশের বলপ্রয়োগে অনীহা যদি দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলে এটি অপরাধীদের জন্য বার্তা হয়ে যাবে—‘পুলিশকে ভয় পাওয়ার দরকার নেই’। আর সেটি হলে শুধু পুলিশই নয়, জেলার সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা আরও ঝুঁকির মুখে পড়বে।
বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজের মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আবু সায়েম বলেছেন, প্রচলিত আইনের প্রতি আস্থার অভাব, বিচার বিলম্বিত হওয়া, বিচার হবে না—এমন ধারণা পোষণ থেকে মানুষ আক্রমণাত্মক আচরণ করে থাকে। এ ছাড়া নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখতে প্রভাব-প্রতিপত্তি প্রদর্শন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি তীব্র ক্ষোভ ও হতাশা থেকে হামলার ঘটনা ঘটতে পারে।
আবু সায়েম আরও বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ওপর হামলার মতো অপরাধ কমাতে হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের কঠোর হওয়ার পাশাপাশি যেকোনো অপরাধের বিচার দ্রুত নিষ্পত্তি করা ছাড়াও সামাজিক সচেতনতা বাড়াতে হবে।’

২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে গত এক বছরে বগুড়ায় একের পর এক উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হলেও জেলা পুলিশের সদস্যরা কোথাও লাঠিপেটা, কাঁদানে গ্যাসের শেল বা রাবার বুলেট চালানোর মতো বলপ্রয়োগ করেনি। রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ৩৭ লাখ জনসংখ্যার এই জেলায় নানা ধরনের অপরাধ সংঘটিত হলেও গত বছরের ৫ আগস্টের পর পুলিশ শক্ত হাতে দমন না করে নরম অবস্থান নিয়েছে। ফলে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে ১১ বার। এসব ঘটনায় আহত হয়েছেন ৩৪ জন পুলিশ সদস্য।
পুলিশের দাবি, এত বড় সংখ্যায় পুলিশ আহত হওয়ার নজির গত বছরের ছাত্র-জনতার জুলাই আন্দোলনেও দেখা যায়নি।
জেলা পুলিশের মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা স্বীকার করছেন, তাঁরা ইচ্ছাকৃতভাবে বলপ্রয়োগ এড়িয়ে যাচ্ছেন; যাতে সাধারণ মানুষের সহযোগিতা পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা যায়। কিন্তু পুলিশের এই ‘সংযম’কে দুর্বলতা ভেবে দুর্বৃত্তরা সুযোগ নিচ্ছে। তাঁদের ভাষায়, অপরাধীরা শুধু নিজেদের কার্যক্রম চালাচ্ছে না, বরং সরাসরি পুলিশের ওপর হামলাও চালাচ্ছে। ফলে জেলার অপরাধপ্রবণতা আরও বেড়ে যাচ্ছে।
তবে বগুড়ার পুলিশ সুপার জেদান আল মুসা বলেন, ‘জেলার আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে; যে কারণে এখন পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক।’ তিনি বলেন, ঝুঁকি নিয়েও পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। এখন আর কাউকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। কেউ যেন মব সৃষ্টি করতে না পারে, সেদিকেও পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে। পুলিশের ওপর হামলার প্রতিটি ঘটনায় কাউকে না কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘৫ আগস্টের পর আমরা ভেবেছিলাম, স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারব। কিন্তু বাস্তবে এখনো ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের রাজনৈতিক পক্ষপাতের কারণে তাঁদের নির্দিষ্ট দলঘেঁষা কাজ করতে হচ্ছে, যা পুলিশ বাহিনীর পেশাদারত্ব ও মনোবল দুটিকেই ক্ষতিগ্রস্ত করছে।’
স্থানীয় সুশাসন পর্যবেক্ষক সংগঠন সুশাসনের জন্য প্রচার অভিযানের (সুপ্র) বগুড়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক কে জি এম ফারুক বলেন, পুলিশের নৈতিক মনোবল ভেঙে গেছে। রাজনৈতিক দলের ছত্রচ্ছায়ায় থাকা দুর্বৃত্তদের পুলিশ ভয় পাচ্ছে। এই সুযোগে দুর্বৃত্তরা হামলা চালাচ্ছে। অসৎ পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে দুর্বৃত্তদের যোগসাজশ এখনো রয়েছে। ভুক্তভোগীদের পাশে পুলিশ সময়মতো দাঁড়ালে জনগণের সঙ্গে পুলিশের সম্পর্ক ভালো থাকবে। ফলে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটবে না।
জেলা পুলিশের পরিসংখ্যান বলছে, গত এক বছরে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় মোট ১১টি মামলা হয়েছে। এতে গ্রেপ্তার হয়েছেন ৪২ জন, পলাতক এজাহারভুক্ত আসামি ৩৯ জন। এই মামলাগুলোয় ৮১ জনের নাম উল্লেখ থাকলেও অজ্ঞাতনামা আসামির সংখ্যা পাঁচ শতাধিক।
সর্বশেষ হামলার ঘটনা ঘটে গত ২১ জুলাই শেরপুর থানার শেরুয়া বটতলা এলাকায়। সেদিন পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে একজন আওয়ামী লীগ নেতাকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এতে থানার চার পুলিশ সদস্য আহত হন। এ ঘটনায় মামলা হলেও গ্রেপ্তার হয়েছে শুধু ওই নেতার ছেলে। শেরপুর থানার ওসি এস এম মঈনুদ্দিন বলেন, ছিনিয়ে নেওয়া ব্যক্তির ছেলে ছাড়া আর কাউকে ধরা সম্ভব হয়নি।
পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে স্থানীয় নাগরিক সমাজ বলছে, পুলিশের বলপ্রয়োগে অনীহা যদি দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলে এটি অপরাধীদের জন্য বার্তা হয়ে যাবে—‘পুলিশকে ভয় পাওয়ার দরকার নেই’। আর সেটি হলে শুধু পুলিশই নয়, জেলার সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা আরও ঝুঁকির মুখে পড়বে।
বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজের মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আবু সায়েম বলেছেন, প্রচলিত আইনের প্রতি আস্থার অভাব, বিচার বিলম্বিত হওয়া, বিচার হবে না—এমন ধারণা পোষণ থেকে মানুষ আক্রমণাত্মক আচরণ করে থাকে। এ ছাড়া নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখতে প্রভাব-প্রতিপত্তি প্রদর্শন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি তীব্র ক্ষোভ ও হতাশা থেকে হামলার ঘটনা ঘটতে পারে।
আবু সায়েম আরও বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ওপর হামলার মতো অপরাধ কমাতে হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের কঠোর হওয়ার পাশাপাশি যেকোনো অপরাধের বিচার দ্রুত নিষ্পত্তি করা ছাড়াও সামাজিক সচেতনতা বাড়াতে হবে।’

কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় রতন (৪২) নামের এক লালনশিল্পীকে ছুরিকাঘাত করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার দিবাগত রাত ১টার দিকে সদর উপজেলার মিললাইন এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত শিল্পী রতন কুমারখালী উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের...
৬ মিনিট আগে
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়নের আবেদের ঘাট এলাকা থেকে অস্ত্র ও মাদকসহ পদ্মার চরের শীর্ষ সন্ত্রাসী জামিল মালিথাকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। গ্রেপ্তার জামিল কুখ্যাত ‘চল্লিশ বাহিনী’র প্রধান রাখিবুল ইসলাম রাখির ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং ফিলিপনগর ইউনিয়ন যুবদলের সদস্যসচিব।
৪৩ মিনিট আগে
শেরপুর-১ (সদর) আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সংসদ সদস্য প্রার্থী হাফেজ রাশেদুল ইসলামের গণসংযোগে হামলার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে সদর উপজেলার চরপক্ষীমারী ইউনিয়নের ডাকপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগে
লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় অটোরিকশা উল্টে খাদে পড়ে দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও একজন। শনিবার (২৫ অক্টোবর) সকালে উপজেলার মহিষখোচা বাজার আদিতমারী বাইপাস সড়কের আনছার খাঁর পুকুরপাড় এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগেকুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় রতন (৪২) নামের এক লালনশিল্পীকে ছুরিকাঘাত করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার দিবাগত রাত ১টার দিকে সদর উপজেলার মিললাইন এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত শিল্পী রতন কুমারখালী উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রামের মৃত আফসার আলীর ছেলে। তিনি ‘শিল্পী সমাজ’ নামক কুষ্টিয়ার একটি সাংস্কৃতিক সংগঠনের সহসভাপতি।
পুলিশ ও আহত শিল্পীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার রাতে গানের অনুষ্ঠান শেষ করে রতন কুমারখালী উপজেলার ছেঁউড়িয়া লালন মাজার এলাকা থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। সদর উপজেলার মিললাইন এলাকায় পৌঁছালে চলন্ত অবস্থায় দুর্বৃত্তরা তাঁর পিঠে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলটি অন্ধকার থাকায় তিনি কাউকে চিনতে পারেননি। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) হোসেন ইমাম বলেন, রাত ২টার দিকে রতনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর পিঠে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি শঙ্কামুক্ত।
লালন একাডেমির নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য ও ভবের হাট সংগীত একাডেমির সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক বাচ্চু বলেন, ‘রতন লালন একাডেমির একজন নিয়মিত শিল্পী। তার ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদসহ অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।’
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশারফ হোসেন বলেন, রাতেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। এ বিষয়ে কুমারখালী ও মডেল থানা যৌথভাবে কাজ করছে।

কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় রতন (৪২) নামের এক লালনশিল্পীকে ছুরিকাঘাত করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার দিবাগত রাত ১টার দিকে সদর উপজেলার মিললাইন এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত শিল্পী রতন কুমারখালী উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রামের মৃত আফসার আলীর ছেলে। তিনি ‘শিল্পী সমাজ’ নামক কুষ্টিয়ার একটি সাংস্কৃতিক সংগঠনের সহসভাপতি।
পুলিশ ও আহত শিল্পীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার রাতে গানের অনুষ্ঠান শেষ করে রতন কুমারখালী উপজেলার ছেঁউড়িয়া লালন মাজার এলাকা থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। সদর উপজেলার মিললাইন এলাকায় পৌঁছালে চলন্ত অবস্থায় দুর্বৃত্তরা তাঁর পিঠে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলটি অন্ধকার থাকায় তিনি কাউকে চিনতে পারেননি। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) হোসেন ইমাম বলেন, রাত ২টার দিকে রতনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর পিঠে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি শঙ্কামুক্ত।
লালন একাডেমির নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য ও ভবের হাট সংগীত একাডেমির সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক বাচ্চু বলেন, ‘রতন লালন একাডেমির একজন নিয়মিত শিল্পী। তার ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদসহ অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।’
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশারফ হোসেন বলেন, রাতেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। এ বিষয়ে কুমারখালী ও মডেল থানা যৌথভাবে কাজ করছে।

২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে গত এক বছরে বগুড়ায় একের পর এক উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হলেও জেলা পুলিশের সদস্যরা কোথাও লাঠিপেটা, কাঁদানে গ্যাসের শেল বা রাবার বুলেট চালানোর মতো বলপ্রয়োগ করেনি। রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ৩৭ লাখ জনসংখ্যার এই জেলায় নানা ধরনের অপরাধ সংঘটিত হলেও গত বছরের ৫ আগস্টের পর...
১৫ আগস্ট ২০২৫
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়নের আবেদের ঘাট এলাকা থেকে অস্ত্র ও মাদকসহ পদ্মার চরের শীর্ষ সন্ত্রাসী জামিল মালিথাকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। গ্রেপ্তার জামিল কুখ্যাত ‘চল্লিশ বাহিনী’র প্রধান রাখিবুল ইসলাম রাখির ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং ফিলিপনগর ইউনিয়ন যুবদলের সদস্যসচিব।
৪৩ মিনিট আগে
শেরপুর-১ (সদর) আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সংসদ সদস্য প্রার্থী হাফেজ রাশেদুল ইসলামের গণসংযোগে হামলার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে সদর উপজেলার চরপক্ষীমারী ইউনিয়নের ডাকপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগে
লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় অটোরিকশা উল্টে খাদে পড়ে দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও একজন। শনিবার (২৫ অক্টোবর) সকালে উপজেলার মহিষখোচা বাজার আদিতমারী বাইপাস সড়কের আনছার খাঁর পুকুরপাড় এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগেদৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়নের আবেদের ঘাট এলাকা থেকে অস্ত্র ও মাদকসহ পদ্মার চরের শীর্ষ সন্ত্রাসী জামিল মালিথাকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। গ্রেপ্তার জামিল কুখ্যাত ‘চল্লিশ বাহিনী’র প্রধান রাখিবুল ইসলাম রাখির ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং ফিলিপনগর ইউনিয়ন যুবদলের সদস্যসচিব। এ সময় জামিল মালিথার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, একটি গুলি এবং ৪৮ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার জামিল মালিথা ফিলিপনগর গ্রামের মৃত জালাল মালিথার ছেলে।
জামিলের ফিলিপনগর ইউনিয়ন যুবদলের সদস্যসচিব পদে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক বেনজির আহমেদ বাচ্চু।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, জামিল একজন চিহ্নিত অস্ত্র ও মাদক কারবারি। ভারত থেকে অবৈধভাবে বিপুল সংখ্যক আধুনিক অস্ত্র, বিশেষ করে অটোমেটিক পিস্তল পাচারের সঙ্গে তাঁর সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে। সেই তথ্যের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান কুষ্টিয়া ৪৭ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক জাকিরুল ইসলাম।
এ বিষয়ে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোলাইমান শেখ বলেন, ‘জামিলের বিরুদ্ধে দৌলতপুর থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। রাতেই বিজিবি তাঁকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। আজ তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।’

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়নের আবেদের ঘাট এলাকা থেকে অস্ত্র ও মাদকসহ পদ্মার চরের শীর্ষ সন্ত্রাসী জামিল মালিথাকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। গ্রেপ্তার জামিল কুখ্যাত ‘চল্লিশ বাহিনী’র প্রধান রাখিবুল ইসলাম রাখির ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং ফিলিপনগর ইউনিয়ন যুবদলের সদস্যসচিব। এ সময় জামিল মালিথার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, একটি গুলি এবং ৪৮ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার জামিল মালিথা ফিলিপনগর গ্রামের মৃত জালাল মালিথার ছেলে।
জামিলের ফিলিপনগর ইউনিয়ন যুবদলের সদস্যসচিব পদে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক বেনজির আহমেদ বাচ্চু।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, জামিল একজন চিহ্নিত অস্ত্র ও মাদক কারবারি। ভারত থেকে অবৈধভাবে বিপুল সংখ্যক আধুনিক অস্ত্র, বিশেষ করে অটোমেটিক পিস্তল পাচারের সঙ্গে তাঁর সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে। সেই তথ্যের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান কুষ্টিয়া ৪৭ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক জাকিরুল ইসলাম।
এ বিষয়ে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোলাইমান শেখ বলেন, ‘জামিলের বিরুদ্ধে দৌলতপুর থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। রাতেই বিজিবি তাঁকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। আজ তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।’

২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে গত এক বছরে বগুড়ায় একের পর এক উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হলেও জেলা পুলিশের সদস্যরা কোথাও লাঠিপেটা, কাঁদানে গ্যাসের শেল বা রাবার বুলেট চালানোর মতো বলপ্রয়োগ করেনি। রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ৩৭ লাখ জনসংখ্যার এই জেলায় নানা ধরনের অপরাধ সংঘটিত হলেও গত বছরের ৫ আগস্টের পর...
১৫ আগস্ট ২০২৫
কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় রতন (৪২) নামের এক লালনশিল্পীকে ছুরিকাঘাত করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার দিবাগত রাত ১টার দিকে সদর উপজেলার মিললাইন এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত শিল্পী রতন কুমারখালী উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের...
৬ মিনিট আগে
শেরপুর-১ (সদর) আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সংসদ সদস্য প্রার্থী হাফেজ রাশেদুল ইসলামের গণসংযোগে হামলার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে সদর উপজেলার চরপক্ষীমারী ইউনিয়নের ডাকপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগে
লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় অটোরিকশা উল্টে খাদে পড়ে দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও একজন। শনিবার (২৫ অক্টোবর) সকালে উপজেলার মহিষখোচা বাজার আদিতমারী বাইপাস সড়কের আনছার খাঁর পুকুরপাড় এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগেশেরপুর প্রতিনিধি

শেরপুর-১ (সদর) আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সংসদ সদস্য প্রার্থী হাফেজ রাশেদুল ইসলামের গণসংযোগে হামলার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে সদর উপজেলার চরপক্ষীমারী ইউনিয়নের ডাকপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এতে জেলা ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতিসহ জামায়াতের অন্তত ২০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাঁদের জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে এই ঘটনার জেরে শুক্রবার রাতে শহরজুড়ে জামায়াত ও বিএনপি পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ মিছিল করেছে।
জামায়াত নেতাদের অভিযোগ, শুক্রবার জুমার নামাজের পর শেরপুর-১ আসনের মনোনীত প্রার্থী হাফেজ রাশেদুল ইসলাম ডাকপাড়া গ্রামে গণসংযোগে বের হলে স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীরা তাতে বাধা দেন। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে প্রথমে বাগ্বিতণ্ডা হয় এবং পরে বিএনপির সমর্থকেরা জামায়াত নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করে। এ সময় জেলা ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি শফিউল ইসলাম স্বপনসহ অন্তত ২০ জন আহত হন।

জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা হাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমাদের প্রার্থীর গণসংযোগে অতর্কিত হামলা চালানো হয়েছে। ৫ আগস্টের বিপ্লবের পর এসব হামলার ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। আমরা ইতিমধ্যে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে প্রশাসনের প্রতি আলটিমেটাম দিচ্ছি।’
জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী হাফেজ রাশেদুল ইসলাম বলেন, বিএনপি যদি জনগণের পালস বুঝতে না পারে, তাহলে আগামী দিনে তারাও বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে হারিয়ে যেতে বাধ্য হবে।
অন্যদিকে জামায়াতের এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দাবি করে শুক্রবার রাতে শেরপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে জেলা বিএনপি।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘জামায়াতের লোকজন পূর্বপরিকল্পিতভাবে ডাকপাড়া গ্রামে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মহড়া দিতে গিয়েছিল। সেখানে কয়েকটি মসজিদে মিটিং-মিছিল করে তারা গ্রামবাসীর মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এলাকাবাসী এর তীব্র প্রতিবাদ করলে তারা এলাকা ছেড়ে চলে আসে।’
সিরাজুল ইসলাম আরও বলেন, ‘পরবর্তীতে তারা থানায় গিয়ে আমাদের নেতা-কর্মীদের নামে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে। তারা মিথ্যা কথা বলছে এবং উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করছে। আমরা তাদের এই প্রোপাগান্ডা ও মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা জানাই এবং মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।’
সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

শেরপুর-১ (সদর) আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সংসদ সদস্য প্রার্থী হাফেজ রাশেদুল ইসলামের গণসংযোগে হামলার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে সদর উপজেলার চরপক্ষীমারী ইউনিয়নের ডাকপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এতে জেলা ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতিসহ জামায়াতের অন্তত ২০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাঁদের জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে এই ঘটনার জেরে শুক্রবার রাতে শহরজুড়ে জামায়াত ও বিএনপি পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ মিছিল করেছে।
জামায়াত নেতাদের অভিযোগ, শুক্রবার জুমার নামাজের পর শেরপুর-১ আসনের মনোনীত প্রার্থী হাফেজ রাশেদুল ইসলাম ডাকপাড়া গ্রামে গণসংযোগে বের হলে স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীরা তাতে বাধা দেন। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে প্রথমে বাগ্বিতণ্ডা হয় এবং পরে বিএনপির সমর্থকেরা জামায়াত নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করে। এ সময় জেলা ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি শফিউল ইসলাম স্বপনসহ অন্তত ২০ জন আহত হন।

জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা হাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমাদের প্রার্থীর গণসংযোগে অতর্কিত হামলা চালানো হয়েছে। ৫ আগস্টের বিপ্লবের পর এসব হামলার ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। আমরা ইতিমধ্যে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে প্রশাসনের প্রতি আলটিমেটাম দিচ্ছি।’
জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী হাফেজ রাশেদুল ইসলাম বলেন, বিএনপি যদি জনগণের পালস বুঝতে না পারে, তাহলে আগামী দিনে তারাও বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে হারিয়ে যেতে বাধ্য হবে।
অন্যদিকে জামায়াতের এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দাবি করে শুক্রবার রাতে শেরপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে জেলা বিএনপি।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘জামায়াতের লোকজন পূর্বপরিকল্পিতভাবে ডাকপাড়া গ্রামে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মহড়া দিতে গিয়েছিল। সেখানে কয়েকটি মসজিদে মিটিং-মিছিল করে তারা গ্রামবাসীর মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এলাকাবাসী এর তীব্র প্রতিবাদ করলে তারা এলাকা ছেড়ে চলে আসে।’
সিরাজুল ইসলাম আরও বলেন, ‘পরবর্তীতে তারা থানায় গিয়ে আমাদের নেতা-কর্মীদের নামে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে। তারা মিথ্যা কথা বলছে এবং উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করছে। আমরা তাদের এই প্রোপাগান্ডা ও মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা জানাই এবং মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।’
সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে গত এক বছরে বগুড়ায় একের পর এক উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হলেও জেলা পুলিশের সদস্যরা কোথাও লাঠিপেটা, কাঁদানে গ্যাসের শেল বা রাবার বুলেট চালানোর মতো বলপ্রয়োগ করেনি। রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ৩৭ লাখ জনসংখ্যার এই জেলায় নানা ধরনের অপরাধ সংঘটিত হলেও গত বছরের ৫ আগস্টের পর...
১৫ আগস্ট ২০২৫
কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় রতন (৪২) নামের এক লালনশিল্পীকে ছুরিকাঘাত করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার দিবাগত রাত ১টার দিকে সদর উপজেলার মিললাইন এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত শিল্পী রতন কুমারখালী উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের...
৬ মিনিট আগে
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়নের আবেদের ঘাট এলাকা থেকে অস্ত্র ও মাদকসহ পদ্মার চরের শীর্ষ সন্ত্রাসী জামিল মালিথাকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। গ্রেপ্তার জামিল কুখ্যাত ‘চল্লিশ বাহিনী’র প্রধান রাখিবুল ইসলাম রাখির ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং ফিলিপনগর ইউনিয়ন যুবদলের সদস্যসচিব।
৪৩ মিনিট আগে
লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় অটোরিকশা উল্টে খাদে পড়ে দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও একজন। শনিবার (২৫ অক্টোবর) সকালে উপজেলার মহিষখোচা বাজার আদিতমারী বাইপাস সড়কের আনছার খাঁর পুকুরপাড় এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগেলালমনিরহাট প্রতিনিধি

লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় অটোরিকশা উল্টে খাদে পড়ে দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও একজন। শনিবার (২৫ অক্টোবর) সকালে উপজেলার মহিষখোচা বাজার আদিতমারী বাইপাস সড়কের আনছার খাঁর পুকুরপাড় এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের দক্ষিণ বালাপাড়া ব্রমত্তর গ্রামের মৃত তালেব্বর রহমানের ছেলে বকুল মিয়া (৬০) ও একই ইউনিয়নের কচুড়ুমা বারহাত কালী এলাকার মেছের আলীর জামাতা আতিকুল ইসলাম আতিক (৩৫)।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মহিষখোচা বাজার থেকে কয়েকজন যাত্রী নিয়ে একটি অটোরিকশা আদিতমারী যাচ্ছিল। আনছার পুকুরপাড়ে ওই অটোরিকশায় ওঠেন আতিকুল ইসলাম আতিক। একটু এগিয়ে যাওয়ার পরই খাদে পড়ে উল্টে গিয়ে নিচের গর্তে পড়ে যায় অটোরিকশা। এতে ঘটনাস্থলে আতিকুল মারা যান। আহত হন বকুল মিয়াসহ একজন নারী।
স্থানীয় বাসিন্দারা আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে প্রথমে আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে আশঙ্কাজনক বকুল মিয়াকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। রংপুর যাওয়ার পথেই মারা যান বকুল মিয়া।
আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আকবর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় অটোরিকশা উল্টে খাদে পড়ে দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও একজন। শনিবার (২৫ অক্টোবর) সকালে উপজেলার মহিষখোচা বাজার আদিতমারী বাইপাস সড়কের আনছার খাঁর পুকুরপাড় এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের দক্ষিণ বালাপাড়া ব্রমত্তর গ্রামের মৃত তালেব্বর রহমানের ছেলে বকুল মিয়া (৬০) ও একই ইউনিয়নের কচুড়ুমা বারহাত কালী এলাকার মেছের আলীর জামাতা আতিকুল ইসলাম আতিক (৩৫)।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মহিষখোচা বাজার থেকে কয়েকজন যাত্রী নিয়ে একটি অটোরিকশা আদিতমারী যাচ্ছিল। আনছার পুকুরপাড়ে ওই অটোরিকশায় ওঠেন আতিকুল ইসলাম আতিক। একটু এগিয়ে যাওয়ার পরই খাদে পড়ে উল্টে গিয়ে নিচের গর্তে পড়ে যায় অটোরিকশা। এতে ঘটনাস্থলে আতিকুল মারা যান। আহত হন বকুল মিয়াসহ একজন নারী।
স্থানীয় বাসিন্দারা আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে প্রথমে আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে আশঙ্কাজনক বকুল মিয়াকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। রংপুর যাওয়ার পথেই মারা যান বকুল মিয়া।
আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আকবর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে গত এক বছরে বগুড়ায় একের পর এক উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হলেও জেলা পুলিশের সদস্যরা কোথাও লাঠিপেটা, কাঁদানে গ্যাসের শেল বা রাবার বুলেট চালানোর মতো বলপ্রয়োগ করেনি। রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ৩৭ লাখ জনসংখ্যার এই জেলায় নানা ধরনের অপরাধ সংঘটিত হলেও গত বছরের ৫ আগস্টের পর...
১৫ আগস্ট ২০২৫
কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় রতন (৪২) নামের এক লালনশিল্পীকে ছুরিকাঘাত করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার দিবাগত রাত ১টার দিকে সদর উপজেলার মিললাইন এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত শিল্পী রতন কুমারখালী উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের...
৬ মিনিট আগে
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়নের আবেদের ঘাট এলাকা থেকে অস্ত্র ও মাদকসহ পদ্মার চরের শীর্ষ সন্ত্রাসী জামিল মালিথাকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। গ্রেপ্তার জামিল কুখ্যাত ‘চল্লিশ বাহিনী’র প্রধান রাখিবুল ইসলাম রাখির ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং ফিলিপনগর ইউনিয়ন যুবদলের সদস্যসচিব।
৪৩ মিনিট আগে
শেরপুর-১ (সদর) আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সংসদ সদস্য প্রার্থী হাফেজ রাশেদুল ইসলামের গণসংযোগে হামলার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে সদর উপজেলার চরপক্ষীমারী ইউনিয়নের ডাকপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগে