Ajker Patrika

ছোটদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা, বড়রা নাগালের বাইরে

  • ব্যবসায় জড়িত থাকায় ৯ মামলায় আসামি মোট ৪০ জন
  • বড় ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ
আরিফুর রহমান মিঠু, শাজাহানপুর (বগুড়া) 
আপডেট : ০৯ মার্চ ২০২৫, ০৯: ০৩
শাজাহানপুরের কচুয়াদহ রঙিলাঘাট এলাকায় সম্প্রতি এক্সকাভেটর নিয়ে আসা হয় মাটি কাটার জন্য। ছবি: আজকের পত্রিকা
শাজাহানপুরের কচুয়াদহ রঙিলাঘাট এলাকায় সম্প্রতি এক্সকাভেটর নিয়ে আসা হয় মাটি কাটার জন্য। ছবি: আজকের পত্রিকা

বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলায় অবৈধ মাটি ব্যবসার বিরুদ্ধে তৎপর রয়েছে উপজেলা প্রশাসন। তবে অভিযোগ রয়েছে, উপজেলা ভূমি অফিসের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে ছোট ছোট অবৈধ মাটি ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। এতে অনেক স্থানেই কৃষিজমি থেকে অবৈধভাবে মাটি কাটা বন্ধ হয়েছে। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে অবৈধভাবে মাটি কাটার বড় পয়েন্টগুলোর ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়নি। তাই সেসব জায়গার মাটিব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য থামছেই না।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত মাটি ব্যবসায় জড়িত এবং জমির মালিকের নামে নিয়মিত মামলা করা হয়েছে মোট ৯টি। ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তারা বাদী হয়ে থানায় মামলাগুলো করেছেন। পৃথক মামলাগুলোয় এজাহারভুক্ত আসামি রয়েছেন ১৭ এবং অজ্ঞাতনামা ২৩ জন। এদিকে উপজেলার সবচেয়ে বড় ৫টি মাটি কাটার পয়েন্ট আশেকপুর এবং মাদলা ইউনিয়নে। তবে উল্লেখযোগ্য এ পয়েন্টগুলোর কোনোটির বিরুদ্ধেই এখনো কোনো ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন। এর বাইরে খড়না ইউনিয়নের নাদুরপুকুর এবং গোহাইল ইউনিয়নের খাদাশ গ্রামে মাটি কাটার পয়েন্ট থাকলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি উপজেলা প্রশাসন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার জোড়া ফকিরপাড়া গ্রামে মাটি কাটা চালিয়ে যাচ্ছেন উপজেলা তাঁতি দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল জোব্বার সোহেল। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘জমির মালিকের কাছ থেকে আমার নামে মাটি লিখিত করে নিয়ে ২ মাস ধরে কাটছি। কয়েকদিন হলো কাটা বন্ধ রেখেছি।’ একই জায়গায় মাটি কাটায় আশেকপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও আশেকপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলী সাকিদার সংশ্লিষ্ট বলে জানা গেছে। তিনি বলেন, ‘আমার নাম করে কেউ কেউ মাটি কাটছে, এমনটি শুনেছি। এটা সঠিক নয়। সব মাটি কাটার পয়েন্ট বন্ধ করতে হবে।’

আশেকপুর ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা সাইদুর রহমান বলেন, ‘আশেকপুর ইউনিয়নের জোড়া ফকিরপাড়া, চকজোড়া এবং পারতেখুর গ্রামে মাটি কাটার পয়েন্ট ছিল। দুই মাস আগে আমরা সব পয়েন্ট বন্ধ করে দিয়েছি।’

এদিকে পরিচয় গোপন রাখার শর্তে গ্রামবাসী বলছেন, ‘এই ইউনিয়নের সব রকম মাটি কাটার কার্যক্রম চালু আছে। রাত ১০টার পর থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলে।

জানা গেছে, মাদলা ইউনিয়নের বলদীপালান গ্রামে ফসলি মাঠের ভেতরে মাটি কাটার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন মেহেদী হাসান রানা নামের একজন। এদিকে মালিপাড়া এলাকায় জয়নালের ইটভাটা-সংলঘ্ন একটি পয়েন্টে অবৈধভাবে মাটি কাটার কার্যক্রম চলছে। যে পয়েন্টগুলোতে এখনো মামলা হয়নি। এ বিষয়ে কথা বলতে মেহেদী হাসান রানার মোবাইল ফোনে অনেকবার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

মাদলা ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান বলেন, ‘আমার কোনো মাটির পয়েন্ট নেই। জয়নালের ভাটার ওখানে একটি পুকুর সংস্কার হয়েছে।’

শাজাহানপুর থানার ওসি ওয়াদুদ আলম বলেন, অনুমতি না নিয়ে মাটি কাটার মামলায় আসামি সহজেই জামিন পায়। মাটি কাটার সংবাদ পাওয়া গেলে সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শাজাহানপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জান্নাতুল নাইম বলেন, ‘অনুমতি না নিয়ে মাটি কাটার ঘটনায় থানায় নিয়মিত মামলা করা হয়েছে। আশেকপুর ইউনিয়নের মাটি কাটার পয়েন্টগুলোর সংবাদ পাইনি, শুনেছি সেগুলো বন্ধ রয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কক্সবাজার বিমানবন্দরকে ‘আন্তর্জাতিক’ ঘোষণা স্থগিত

তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হলে নিরাপদ থাকবে যে দেশগুলো

ফোন নম্বর ‘মোটু’ নামে সেভ করায় ডিভোর্স দিলেন স্ত্রী

প্রতিবেশীদের ছাড়াই পরাশক্তি হওয়ার উচ্চাভিলাষ ভারতের, পারবে কি

পুলিশ কর্মকর্তা ৪ বার ধর্ষণ করেছে—মহারাষ্ট্রে নারী চিকিৎসকের হাতে লেখা সুইসাইড নোট

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাউজানে কৃষকের সবজিখেত তছনছ

রাউজান প্রতিনিধি
উপড়ে ফেলা মুলা খেতে বসে আছেন কৃষক জসিম উদ্দিন। ছবি: আজকের পত্রিকা
উপড়ে ফেলা মুলা খেতে বসে আছেন কৃষক জসিম উদ্দিন। ছবি: আজকের পত্রিকা

চট্টগ্রামের রাউজানে জসিম উদ্দিন নামের এক কৃষকের খেতের সবজি কেটে ও উপড়ে ফেলে দুর্বৃত্তরা নষ্ট করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার কদলপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের শমসেরপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক জসিম উদ্দিন জানান, ঋণের টাকায় বাড়ি থেকে আধা কিলোমিটার দূরে চার কানি জমিতে বিভিন্ন জাতের সবজি চাষ করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতের আঁধারে দুর্বৃত্তরা প্রায় ৮০ শতক জমির সবজি কেটে ও উপড়ে নষ্ট করেছে।

জসিম উদ্দিন বলেন, ‘সবজি কাটতে খেতে এসে দেখি, আমার পুরো সবজিখেত তছনছ। সব ফসল বিক্রি করতে পারলে প্রায় ৫ লাখ টাকার বেশি বিক্রি করা যেত। শ্রমিকের মজুরি ও সার-বীজ কিনতে গিয়ে ইতিমধ্যে প্রায় ২ লাখ টাকা খরচ হয়ে গেছে।’

রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূইয়া বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে কেউ লিখিত বা মৌখিক অভিযোগ করেনি, অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কক্সবাজার বিমানবন্দরকে ‘আন্তর্জাতিক’ ঘোষণা স্থগিত

তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হলে নিরাপদ থাকবে যে দেশগুলো

ফোন নম্বর ‘মোটু’ নামে সেভ করায় ডিভোর্স দিলেন স্ত্রী

প্রতিবেশীদের ছাড়াই পরাশক্তি হওয়ার উচ্চাভিলাষ ভারতের, পারবে কি

পুলিশ কর্মকর্তা ৪ বার ধর্ষণ করেছে—মহারাষ্ট্রে নারী চিকিৎসকের হাতে লেখা সুইসাইড নোট

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মিরপুরে ‘বিবাহ বাড়ি’ কমিউনিটি সেন্টারে আগুন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

‎রাজধানীর মিরপুর ১১ নম্বরের কালশী রোডে একটি কমিউনিটি সেন্টারে আগুন লেগেছে। ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে, আরও দুটি ইউনিট সেখানে যাওয়ার পথে রয়েছে।

‎ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার রাত ১০টা ১২ মিনিটে আগুন লাগার খবর পাওয়া যায়। প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে রাত ১০টা ২৭ মিনিটে কাজ শুরু করে। আগুন লেগেছে মিরপুর ১১ নম্বর এলাকার ‘বিবাহ বাড়ি’ কমিউনিটি সেন্টারের ছয়তলা ভবনের ছয় তলায়।

ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম জানান, ‘আগুন নিয়ন্ত্রণে আমাদের চারটি ইউনিট কাজ করছে। আরও দুটি ইউনিট পথে আছে।’

‎তবে তাৎক্ষণিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কক্সবাজার বিমানবন্দরকে ‘আন্তর্জাতিক’ ঘোষণা স্থগিত

তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হলে নিরাপদ থাকবে যে দেশগুলো

ফোন নম্বর ‘মোটু’ নামে সেভ করায় ডিভোর্স দিলেন স্ত্রী

প্রতিবেশীদের ছাড়াই পরাশক্তি হওয়ার উচ্চাভিলাষ ভারতের, পারবে কি

পুলিশ কর্মকর্তা ৪ বার ধর্ষণ করেছে—মহারাষ্ট্রে নারী চিকিৎসকের হাতে লেখা সুইসাইড নোট

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পানছড়িতে ইউপিডিএফের হয়ে চাঁদা আদায়কারী আটক

পানছড়ি (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি 
আটক সৈয়দ মাহবুব রহমান। ছবি: সংগৃহীত
আটক সৈয়দ মাহবুব রহমান। ছবি: সংগৃহীত

খাগড়াছড়ির পানছড়িতে সশস্ত্র সংগঠন ইউপিডিএফের হয়ে অবৈধভাবে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে সৈয়দ মাহবুব রহমান (৫৩) নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পানছড়ি সেনা সাব জোনের বিশেষ অভিযানে দমদম গ্রাম থেকে তাঁকে আটক করা হয়। আটক মাহবুব রহমান ওই গ্রামের মৃত মিজানুর রহমানের ছেলে।

সেনা সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাঁর কাছ থেকে এক লাখ টাকা ও একাধিক চাঁদা আদায়ের রসিদ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মাহবুব স্বীকার করেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে ইউপিডিএফের পক্ষে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অবৈধভাবে চাঁদা আদায় করে আসছিলেন। পরে তাঁকে আইনগত ব্যবস্থার জন্য পানছড়ি থানায় হস্তান্তর করা হয়।

এ বিষয়ে পানছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসিম উদ্দিন বলেন, আটক সৈয়দ মাহবুব রহমানকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন।

সেনা সূত্র আরও জানায়, পাহাড়ে অবৈধভাবে চাঁদা আদায় বন্ধে অভিযান ও গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে এবং চক্রের অন্যান্য সদস্যের শনাক্তে অভিযান চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কক্সবাজার বিমানবন্দরকে ‘আন্তর্জাতিক’ ঘোষণা স্থগিত

তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হলে নিরাপদ থাকবে যে দেশগুলো

ফোন নম্বর ‘মোটু’ নামে সেভ করায় ডিভোর্স দিলেন স্ত্রী

প্রতিবেশীদের ছাড়াই পরাশক্তি হওয়ার উচ্চাভিলাষ ভারতের, পারবে কি

পুলিশ কর্মকর্তা ৪ বার ধর্ষণ করেছে—মহারাষ্ট্রে নারী চিকিৎসকের হাতে লেখা সুইসাইড নোট

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

যৌতুকের জন্য গৃহবধূর চোখে মরিচের গুঁড়ো দিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

বরগুনার আমতলীতে যৌতুক দিতে রাজি না হওয়ায় শাহিনুর বেগম (৪০) নামে এক গৃহবধূকে তাঁর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন বেধড়ক পিটিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার ছোট নীলগঞ্জ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আজ শুক্রবার দুপুরে পুলিশ ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে।

ভুক্তভোগী গৃহবধূ নীলগঞ্জ গ্রামের কালু হাওলাদারের স্ত্রী।

জানা গেছে, আট দিন আগে কালু হাওলাদার জমি ক্রয় করতে বায়না করেন। জমি কিনার জন্য স্ত্রী শাহিনুরের কাছে তিন লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন তিনি। কিন্তু শাহিনুর বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনতে অস্বীকৃতি জানান। এ নিয়ে গতকাল বিকেলে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকের সঙ্গে শাহিনুরের কলহ বাধে। স্বামী কালু হাওলাদার, ননদ রেবেকা বেগম ও ননদের স্বামী হানিফ মুসল্লি তাঁকে বেধড়ক মারধর করেন। তাঁরা শাহিনুরের চোখে মরিচের গুঁড়ো ছিটিয়ে দেন। মারধর শেষে তাঁকে ঘরের মধ্যে আটকে রাখেন। গৃহবধূর স্বজনেরা খবর পেয়ে আজ পুলিশে খবর দেন। পরে দুপুরে পুলিশ গিয়ে শাহিনুরকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়।

গৃহবধূর বাবা হানিফ হাওলাদার বলেন, ‘জমি কিনতে আমার মেয়ের কাছে জামাতা তিন লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় মারধর করে মেয়েকে মেরে ঘরে আটকে রাখে। পরে পুলিশ গিয়ে আমার মেয়েকে উদ্ধার করেছে। আমি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি দাবি করছি।’

ভুক্তভোগী গৃহবধূ শাহিনুর বেগম বলেন, ‘২০১১ সালে আমার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে নানা অজুহাতে যৌতুক দাবি করে আসছেন স্বামী। টাকা না দিলেই আমার ওপর নির্যাতন চালায়। গত এক সপ্তাহ আগে জমি কিনবে বলে আমার কাছে তিন লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। আমি টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় আমার চোখে মরিচের গুঁড়ো দিয়ে আমার স্বামী, নুনুন্দা (ননদের জামাই) হানিফ মুসুল্লি ও ননদ রেবেকা বেধড়ক মারধর করেছে। আমি এ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি দাবি করছি।’

এদিকে যৌতুক দাবির কথা অস্বীকার করে কালু হাওলাদার বলেন, ‘পারিবারিক বিষয় নিয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে কয়েকটি চর-থাপ্পড় দিয়েছি।’

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মিনহাজ উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, ‘আহত নারীর চোখে যে সমস্যা হয়েছে, ওষুধ খেলে ভালো হয়ে যাবে, তবে সময় লাগবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ওই নারীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন রয়েছে। তাকে যথাযথ চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ পাঠিয়ে ওই নারীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কক্সবাজার বিমানবন্দরকে ‘আন্তর্জাতিক’ ঘোষণা স্থগিত

তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হলে নিরাপদ থাকবে যে দেশগুলো

ফোন নম্বর ‘মোটু’ নামে সেভ করায় ডিভোর্স দিলেন স্ত্রী

প্রতিবেশীদের ছাড়াই পরাশক্তি হওয়ার উচ্চাভিলাষ ভারতের, পারবে কি

পুলিশ কর্মকর্তা ৪ বার ধর্ষণ করেছে—মহারাষ্ট্রে নারী চিকিৎসকের হাতে লেখা সুইসাইড নোট

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত