Ajker Patrika

সারিয়াকান্দি ইউপি নির্বাচনে প্রার্থী ৭৩ জন, নৌকার দৌড়ে ৫৪ জন

সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৪ অক্টোবর ২০২১, ২৩: ১৩
সারিয়াকান্দি ইউপি নির্বাচনে প্রার্থী ৭৩ জন, নৌকার দৌড়ে ৫৪ জন

দ্বিতীয় দফায় ৮৪৮টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। সারিয়াকান্দি উপজেলার ইউনিয়নগুলো এর আওতার বাইরে থাকলেও সমগ্র উপজেলাতেই চলছে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে আলোচনা। ইউনিয়নগুলোতে কে পাবেন নৌকার মনোনয়ন তা নিয়ে চলছে নানামুখী আলোচনা। চেয়ারম্যান পদে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশায় বিভিন্ন ব্যানার ফেস্টুন সাঁটিয়ে দিয়েছেন প্রার্থীরা। কেউ কেউ এলাকায় গণসংযোগ এবং মতবিনিময় সভা চালিয়ে যাচ্ছেন। 

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে লড়তে মাঠে রয়েছেন ৭৩ জন প্রার্থী। শুধুমাত্র নৌকার দৌড়েই রয়েছেন অর্ধশতাধিক প্রার্থী। 

সারিয়াকান্দি সদর ইউনিয়নে নৌকা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী হতে চান বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল কাফি মন্ডল। তিনি গত নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। অপরদিকে নৌকা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচন করতে চান সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সাহাম্মাত করিম, সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান কবির টুটুল, সাবেক ছাত্রনেতা উপজেলা যুবলীগের সহ সভাপতি মাহবুবুর রহমান রুবেল, সাবেক সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলিম, পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাইফুজ্জামান বাবু। বিএনপি থেকে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করতে গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন অ্যাড জাকিউল ইসলাম সোহেল এবং সাখাওয়াত হোসেন ডাবলু। 

হাটশেরপুর ইউনিয়নে নৌকা প্রতীক চেয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন গত নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত বর্তমান চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান মধু, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বগুড়া জেলার সভাপতি সুলতান মাহমুদ প্রিন্স, উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি আজিজুল হক টেপা, ৬ নং ওয়ার্ড মেম্বার এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এফাজ উদ্দিন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল ওয়াকি শিলু, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সহ সভাপতি শাহানুর রহমান শান্ত, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নিয়ামুল হক প্রিন্স।  

চালুয়াবাড়ী ইউনিয়নে নৌকা প্রতীক প্রত্যাশা করে গণসংযোগসহ মাঠে রয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান শওকত আলী। তিনি ২০১৭ সাল হতে বর্তমান পর্যন্ত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রয়েছেন। এ ইউনিয়নে অন্য কোন প্রার্থীকে চেয়ারম্যান নির্বাচন করার কোন খবর পাওয়া যায়নি।  

কাজলা ইউনিয়ন পরিষদে নৌকার মনোনয়ন পেতে গণসংযোগ করছেন বর্তমান চেয়ারম্যান রাশেদ মোশারফ। তিনি গত নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। এছাড়া নৌকা মনোনয়ন প্রত্যাশা করে ব্যানার ফেস্টুন লাগিয়ে এলাকাবাসীর দোয়া প্রার্থনা করেছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান মোল্লা, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ তাজুল ইসলাম তারা, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা তোফাজ্জল হোসেন তোফা, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি জিয়াউর রহমান জান্নাত। এ ইউনিয়নে বি এন পি হতে চেয়ারম্যান নির্বাচন করতে চান সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান নির্বাচন করতে গণসংযোগ করছেন সাবেক চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন জিন্নাহ।  

নারচী ইউনিয়নে নৌকা প্রতীক চেয়ে গণসংযোগ শুরু করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য বর্তমান চেয়ারম্যান মো. আলতাফ হোসেন বান্টু। তিনি গত নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। নৌকা প্রতীক প্রত্যাশায় ব্যানার ফেস্টুনে এলাকাবাসীর দোয়া চেয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মামুনুর রশিদ হিমু, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আহসান উল্লাহ বাদশা, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য ও ইউ পি সদস্য আনোয়ার হোসেন ফুলবাবু। বি এন পি হতে চেয়ারম্যান নির্বাচন করতে চান ইউনিয়ন বি এন পির সাবেক সভাপতি মদন মিয়া।  

হাটফুলবাড়ী ইউনিয়নে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে চান পরপর ৩ বার নির্বাচিত বর্তমান চেয়ারম্যান আনোয়ারুত তারিক মোহাম্মদ। তিনি গত নির্বাচনেও নৌকা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। অপরদিকে নৌকা প্রতীক পেতে গণসংযোগ শুরু করেছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফজলুল করিম নিপু, উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন ছকো, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক রাজু আহম্মেদ, ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক রাফিউল ইসলাম  বাবুল। বি এন পি হতে চেয়ারম্যান নির্বাচন করতে চান আক্তারুজ্জামান বুলবুল এবং মো. বেলাল মিয়া। এ ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান নির্বাচন করতে চান মো. সাগর মিয়া।  

কুতুবপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান হতে গণসংযোগ করছেন মো. মন্জুরুল হক রণি, রফিকুল ডাক্তার এবং সুথুন মিয়া। ইউনিয়নটির চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীক পেতে গণসংযোগ শুরু করেছেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মিঠু মিয়া, সাবেক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলম নয়ন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. শ্যামল মিয়া, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মো. সামাদ খাঁ। বি এন পি হতে চেয়ারম্যান প্রার্থী আলী মিয়া এবং বর্তমান চেয়ারম্যান মো. রণি মিয়া পুনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে এলাকায় গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। 

ভেলাবাড়ী ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মো. রুবেল উদ্দিন পুনরায় নৌকা প্রতীক চেয়ে এলাকায় গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়া নৌকা প্রতীক চেয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারণা চালাচ্ছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মো. মহির উদ্দিন, গোলাম রব্বানী টুকু, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি এনামুল করিম পুটু। বি এন পি থেকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে এলাকায় গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন উপজেলা বি এন পির সাবেক সভাপতি লুৎফুল হায়দার রুমি এবং বি এন পি নেতা শরিফুল ইসলাম শিপন। 

বোহাইল ইউনিয়নে নৌকা প্রতীক প্রত্যাশা করে গণসংযোগ শুরু করেছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম মান্নান, সাবেক চেয়ারম্যান মো. গোলাম মোস্তফা টুকু, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সহ সভাপতি মো. জরদিশ খান, সাবেক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মো. আহসান হাবিব, ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. তাহেরুল মহুরি। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মো. আসাদুজ্জামান আসান খান ও বি এন পির প্রার্থী হিসেবে মো. মজিদ মণ্ডল চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করতে গণসংযোগ শুরু করেছেন। 

কামালপুর ইউনিয়নে নৌকা প্রতীক চেয়ে গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন বর্তমান চেয়ারম্যান ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি হেদাইদুল ইসলাম হেদায়েত, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম হেলাল, সাবেক চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা বাদশা মণ্ডল, আওয়ামী লীগ নেতা আমিনুল ইসলাম, সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা মোখলেছার রহমান। 

কর্নিবাড়ী ইউনিয়নে নৌকা মার্কা প্রত্যাশা করে গণসংযোগ করছেন বর্তমান চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মো. আজহার আলী মণ্ডল। তিনি গত নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। এছাড়া নৌকা প্রতীক প্রত্যাশায় বিভিন্ন ব্যানার ফেস্টুন দিয়েছেন ইউনিয়ন আলীগ নেতা রামচন্দ্রপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ তোজাম্মেল হক, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মন্জুর রহমান মন্জু। এ ইউনিয়ন বি এন পির প্রার্থী হয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচন করতে গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন উপজেলা বি এন পির অন্যতম নেতা এরফানুর রহমান রন্জু কাজী, উপজেলা বি এন পি নেতা খাদেমুল ইসলাম পিন্টু মেম্বার, বি এন পি নেতা দিপন, বি এন পি নেতা রাশেদ ইকবাল। 

চন্দনবাইশা ইউনিয়নে নৌকা প্রতীক প্রত্যাশায় গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মাহমুদুন নবী হিরো, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি মো. আব্দুর রাজ্জাক নয়া মিয়া, বর্তমান চেয়ারম্যান মো. দুলাল হোসেন। 

এ বিষয়ে সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে জানান, অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ এবং গ্রহণযোগ্য ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের জন্য আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে যথাযথ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ইতিমধ্যেই আমাদের ভোটার তালিকা হালনাগাদ এবং কেন্দ্র চিহ্নিত করণের কাজ সমাপ্ত হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

আরপিও সংশোধন থেকে সরলে লন্ডন বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া মনে করবে এনসিপি: আখতার

আজকের রাশিফল: মেজাজ সামলে রাখুন, ফেসবুকে দার্শনিকতা বন্ধ করুন

বাড়ি ফেরার পথে লালনশিল্পীকে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাত

সিনেমায় কাজ করতে চান সাফা, তবে ভয়ও পাচ্ছেন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গ্রেপ্তার বাবাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকা শিশুকে পুলিশের সামনেই চড়, সমালোচনার ঝড়

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

এক ব্যক্তিকে পুলিশ ধরে নিয়ে যাচ্ছে, আর আটক বাবাকে জড়িয়ে ধরে তাঁর সাত থেকে আট বছর বয়সী মেয়ে কাঁদছে। এমন সময় ভিড়ের মধ্যে কেউ একজন চড় মারেন, সেটি শিশুটির গালে পড়ে। ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওর এই দৃশ্য নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠেছে।

পুলিশ বলছে, রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পে মাদক বিক্রিতে জড়িত থাকার অভিযোগে রুস্তমকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে তাদের কোনো সদস্য শিশুটিকে চড় মারেননি। ঘটনাটিকে গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখছে তাঁরা।

গত বৃহস্পতিবার ভোরে মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত দুই পক্ষের মারামারির সময় ‘ককটেল’ বিস্ফোরণে মো. জাহিদ (২০) নামের এক তরুণ নিহত হন। সেদিন সন্ধ্যায়ই সেখানে পুলিশ অভিযান চালিয়ে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে। তখন রুস্তমকেও গ্রেপ্তার করা হয়।

ভিডিওতে দেখা যায়, রুস্তমকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়ার সময় তাঁর মেয়ে তাঁকে জড়িয়ে ধরে কান্না শুরু করে। এ সময় ভিড়ের মধ্যে থাকা কেউ একজন শিশুটিকে চড় মারেন। পরে শিশুটিকে বাবার কাছ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।

এই ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে পুলিশের ভূমিকার সমালোচনা করেছেন। ফেসবুকে ভাইরাল ভিডিওর কমেন্টে অনেকে লেখেন, একজন মানুষ অপরাধ করলে তাঁকে পুলিশ ধরে নিয়ে যেতেই পারে। কিন্তু আসামিকে মারধর করা মানবাধিকার লঙ্ঘন। অথচ এই ঘটনায় পুলিশের সামনেই তাঁর বাচ্চা মেয়ে মারধরের শিকার হলো!

কেউ কেউ লেখেন, ছোট্ট বাচ্চার সঙ্গে এমন আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়। কেউ কেউ আবার রুস্তমকে আওয়ামী লীগের (বর্তমানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ) কর্মী দাবি করে তারও সমালোচনা করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

আরপিও সংশোধন থেকে সরলে লন্ডন বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া মনে করবে এনসিপি: আখতার

আজকের রাশিফল: মেজাজ সামলে রাখুন, ফেসবুকে দার্শনিকতা বন্ধ করুন

বাড়ি ফেরার পথে লালনশিল্পীকে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাত

সিনেমায় কাজ করতে চান সাফা, তবে ভয়ও পাচ্ছেন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

তিন বস্তা টাকা জমানো সেই ভিক্ষুক মারা গেছেন

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি  
ভিক্ষুক সালেহার জমানো টাকা গুনছে এলাকাবাসী। ছবি: ফাইল ফটো
ভিক্ষুক সালেহার জমানো টাকা গুনছে এলাকাবাসী। ছবি: ফাইল ফটো

সিরাজগঞ্জে ভিক্ষা করে তিন বস্তা টাকা জমিয়ে আলোচনায় আসা সালেহা বেগম (৬৫) মারা গেছেন। স্থানীয়ভাবে সবাই তাঁকে ‘সালে পাগলী’ নামে চিনতেন। গতকাল শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। আজ শনিবার (২৫ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে জানাজা শেষে তাঁকে সিরাজগঞ্জ শহরের কান্দাপাড়া কবরস্থানে দাফন করা হয়।

পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অসুস্থ অবস্থায় প্রথমে সালেহা বেগমকে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য নর্থবেঙ্গল মেডিকেল কলেজ হয়ে বগুড়ার শজিমেকে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁর লিভার ক্যানসার শনাক্ত করেন।সিরাজগঞ্জ পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মো. শাহরিয়ার শিপু বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সালে পাগলী দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। গতকাল তিনি মারা গেছেন, আজ জানাজা শেষে দাফন করা হয়েছে। জমানো টাকা তাঁর মেয়েকে দেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার মাছুমপুর নতুনপাড়ায় সালেহা বেগমের বসতঘর থেকে দুই দিনের ব্যবধানে তিন বস্তা টাকা উদ্ধার করে এলাকাবাসী। উদ্ধার হওয়া ব্যবহারযোগ্য টাকার পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৭৪ হাজার ৭৯ টাকা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

আরপিও সংশোধন থেকে সরলে লন্ডন বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া মনে করবে এনসিপি: আখতার

আজকের রাশিফল: মেজাজ সামলে রাখুন, ফেসবুকে দার্শনিকতা বন্ধ করুন

বাড়ি ফেরার পথে লালনশিল্পীকে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাত

সিনেমায় কাজ করতে চান সাফা, তবে ভয়ও পাচ্ছেন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চকরিয়ায় পিকআপ-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে নিহত ২

চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি 
আপডেট : ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ১৭: ৫৬
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় পিকআপের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে দুই যুবক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও দুজন। আজ শনিবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের উপজেলার ইসলামনগর দরগাপাড়া কবরস্থান এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত মোটরসাইকেল আরোহী হলেন রিয়াদ উদ্দিন মিয়া (৩১) ও মূসা মোল্লা (২৮)। রিয়াদ মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলার মজুমদারকান্দি এলাকার আলিয়ার রহমান মিয়ার ছেলে এবং মূসা একই উপজেলার ঘোষেরকান্দি এলাকার দেলোয়ার মোল্লার ছেলে। আহতেরা হলেন সোহান আকন (৩০) ও তাঁর স্ত্রী অথৈ (২৩)।

পুলিশ জানায়, মাদারীপুর থেকে রিয়াদ, মূসা মোল্লা, সোহান ও তাঁর স্ত্রী দুটি মোটরসাইকেলে কক্সবাজার যাচ্ছিলেন। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে মোটরসাইকেল দুটি চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়ার ইসলামনগর দরগাপাড়া কবরস্থান এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি পিকআপের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে চারজন আহত হন। পুলিশ ও স্থানীয়রা আহত তিনজনকে উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রিয়াদকে মৃত ঘোষণা করেন। আরেক আহত যুবক মূসাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রামে বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একটি তাঁর মৃত্যু হয়।

এ ব্যাপারে চিরিংগা হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুল আমিন বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে নিয়ে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে একজনের মৃত্যু হয়। অপরজনের চট্টগ্রামে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে বলে শুনেছি। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

আরপিও সংশোধন থেকে সরলে লন্ডন বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া মনে করবে এনসিপি: আখতার

আজকের রাশিফল: মেজাজ সামলে রাখুন, ফেসবুকে দার্শনিকতা বন্ধ করুন

বাড়ি ফেরার পথে লালনশিল্পীকে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাত

সিনেমায় কাজ করতে চান সাফা, তবে ভয়ও পাচ্ছেন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জিরাফশূন্য গাজীপুর সাফারি পার্ক, সর্বশেষটি মারা গেল টিবিতে

শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি  
সাফারি-পার্ক–জিরাফের-মৃত্যু
সাফারি-পার্ক–জিরাফের-মৃত্যু

২০১৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ১০টি জিরাফ এনে যাত্রা শুরু হয়েছিল গাজীপুর সাফারি পার্কের। এক যুগের ব্যবধানে পার্কটি এখন জিরাফশূন্য। বিভিন্ন সময় রোগে আক্রান্ত হয়ে সব কটি জিরাফই মারা গেছে। সর্বশেষ জিরাফটি টিবি রোগে আক্রান্ত হয়ে গত বৃহস্পতিবার মারা যায়।

দুই দিন পর আজ শনিবার সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষ জিরাফের মৃত্যুর তথ্য গণমাধ্যমকে জানিয়েছে।

পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সহকারী বনসংরক্ষক (এসিএফ) মো. তারেক রহমান বলেন, ‘এক সপ্তাহ ধরে জিরাফটি অসুস্থ ছিল। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোহাম্মদ আবু হাদী নূর আলী খানের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করে তাঁদের তত্ত্বাবধানে জিরাফটির চিকিৎসা চলছিল।’

তারেক রহমান বলেন, ‘মেডিকেল বোর্ড জানিয়েছে, জিরাফটি টিবি রোগে আক্রান্ত হয়। হঠাৎ করে বৃহস্পতিবার প্রাণীটির শারীরিক অবস্থা আরও অবনতি হতে থাকে। পরে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে জিরাফটি মারা যায়। মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পার্কের নির্দিষ্ট স্থানে মাটিচাপা দেওয়া হয়। এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার সকালে শ্রীপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।’

বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা শারমিন আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জিরাফটি টিবি রোগের কারণে ফুসফুস মারাত্মকভাবে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। মৃত্যুর বিষয়টি বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা থেকে শুরু করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’

শারমিন আক্তার আরও বলেন, ‘এটি পার্কের সর্বশেষ জিরাফ ছিল। সাফারি পার্ক এখন জিরাফশূন্য রয়েছে।’

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহম্মদ আব্দুল বারিক জানান, সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষ জিরাফের মৃত্যুর বিষয়ে থানার জিডি করেছেন।

জানা গেছ, ২০১৩ সালে গাজীপুর সাফারি পার্ক প্রতিষ্ঠার সময় দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে দুই দফায় ১০টি জিরাফ আনা হয়। ২০১৭ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে সেগুলো থেকে জিরাফ পরিবারে আরও চারটি শাবকের জন্ম হয়। সেগুলো মধ্যে ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত রোগাক্রান্ত হয়ে বেশ কয়েকটি মারা যায়। সর্বশেষ তিনটি জিরাফ ছিল। ক্যানসার আক্রান্ত হয়ে ২০২৩ সালের ২০ অক্টোবর সেগুলো থেকে একটি মারা যায়। আরও একটি মারা যায় ২০২৪ সালে ১৮ সেপ্টেম্বর। এরপর এক বছর ধরে পার্কে জিরাফ পরিবারে একটি অবশিষ্ট ছিল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

আরপিও সংশোধন থেকে সরলে লন্ডন বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া মনে করবে এনসিপি: আখতার

আজকের রাশিফল: মেজাজ সামলে রাখুন, ফেসবুকে দার্শনিকতা বন্ধ করুন

বাড়ি ফেরার পথে লালনশিল্পীকে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাত

সিনেমায় কাজ করতে চান সাফা, তবে ভয়ও পাচ্ছেন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত