শিমুল চৌধুরী, ভোলা

ভোলার সদর উপজেলার চর সামাইয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বড় চর সামাইয়া গ্রামে ৩৫ বছরের পুরোনো মাটির সড়কের মাঝে পাকা দোকানঘর তুলে পথচারীদের পথ রোধ করেছে একটি প্রভাবশালী পরিবার। ওই পরিবারকে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মদদ দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয়রা ভোলা জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও ভোলা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বরাবর লিখিত অভিযোগ করলে পুলিশ নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেয়। অবিলম্বে দোকানঘরটি তুলে দিয়ে সড়কটি পাকা করে জনগণের চলাচলের উপযুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
সরেজমিনে গিয়ে পথচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ভোলা শহর থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমের তেঁতুলিয়া নদী থেকে পূর্ব দিকে উঠে আসা প্রবহমান খাল। খালের পাশে একটি সরকারি হালট। গত ৩৫ বছর ধরে ইউনিয়নের বড় চর সামাইয়া গ্রামের প্রায় ৩০টি পরিবারের দুই শতাধিক মানুষ চলাচলের জন্য হালটটি ব্যবহার করে আসছে। হালটটি পরে মাটির সড়কে পরিণত হয়েছে। যার নাম খামারবাড়ি সড়ক। সড়কটি ইউনিয়নের উত্তর-দক্ষিণ বরাবর বিশ্বরোড-ধোপাবাড়ি পাকা সড়কের পাশ দিয়ে পশ্চিম দিকে খামারের দিকে চলে গেছে। কোনো আলোচনা ছাড়াই গত ১৮ জুলাই চর সামাইয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নজরুল ইসলামের (সাবেক ইউপি সদস্য) বোন আঙ্কুরি বেগম ও তাঁর জামাই মো. আলম খামারবাড়ি সড়কের প্রবেশমুখের মাঝে (পাকা সড়কের পাশে) পাকা দোকানঘর তুলেছেন এবং সড়কের মাঝে সুপারিগাছ লাগিয়ে দিয়েছেন। ফলে পথচারীদের চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বন্ধ হয়ে যায় রিকশা-ভ্যান চলাচলও। পরে পুলিশ ওই কাজ বন্ধ করে দেয়। সড়কটির মধ্যে হাঁটু সমান কাঁদাপানি জমে গেছে। পথে একটি কালভার্ট রয়েছে। প্রায় এক কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ওই সড়কের আশপাশে ও দূরে বেশ কয়েকটি পরিবার রয়েছে। রাস্তার পাশ দিয়ে পল্লী বিদ্যুতের খুঁটিতে সঞ্চালন লাইন টানা রয়েছে।
জানতে চাইলে স্থানীয় অটোরিকশাচালক শাহজাহানের স্ত্রী বিউটি বেগম বলেন, ‘আমরা প্রতি বছর টাকা দিতাম। কিন্তু এখন টাকা না দেওয়ায় আমাদের চলাচলের পথ বন্ধ করে দোকানঘর নির্মাণ করেছে আঙ্কুরি বেগম।’ স্থানীয় এক চাকরিজীবী আলমগীর জানান, এটি সরকারি হালট ছিল। পরে হালটের মাথায় খামারবাড়ি হলে রাস্তা চওড়া হয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে গাড়িতে মানুষ চলাফেরা করেছে। হঠাৎ আঙ্কুরি বেগম রাস্তার মালিকানা দাবি করে মোটা টাকা দাবি করেন। টাকা না দেওয়ায় রাস্তার মধ্যে তাঁরা পাকা ঘর তুলেছেন। অথচ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) থেকে কয়েকবার এই রাস্তায় মাটি ফেলে সংস্কার করা হয়েছে।
ইউনিয়ন ভূমি অফিস থেকে তোলা কাগজপত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ধোপাবাড়ির সামনের খালের পাশ দিয়ে খামারবাড়িতে যাওয়ার মাটির সড়কটি (হালট) চর সামাইয়া ইউনিয়ন পরিষদের। জমির পরিমাণ ১ একর ১৮ শতাংশ, যা বিএস জরিপ অনুসারে ৪ নম্বর খতিয়ানের ৩ নম্বর দাগভুক্ত, যা চর সামাইয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সচিবের তত্ত্বাবধানে রয়েছে।
চর সামাইয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নজরুল ইসলাম ও তাঁর বোন আঙ্কুরি বেগমের দাবি, বিএস জরিপে আঙ্কুরি বেগমের জমির পরিমাণ ১৮ শতাংশ, যা তাঁর ক্রয়কৃত রেকর্ড সম্পত্তি। এখানে কোনো সরকারি বা ইউনিয়ন পরিষদের জমি নেই। সরকারি জমি আরও ২০০ হাত পশ্চিম থেকে শুরু। এখানে যদি সরকারি জমি থেকেও থাকে, তা খালে ভেঙে ফেলেছে। তার নিজেরও (আঙ্কুরি) ২ শতাংশ জমি খালে ভেঙে গেছে। তার মালিকানাধীন জমির ওপর দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে জনগণ হাঁটাহাঁটি করেছে সত্য, কিন্তু তিনি ঢাকায় থাকাকালীন এখানে একটি খামারের মালামাল আনা-নেওয়ায় রাস্তা প্রশস্ত করে ফেলেছে। এতে তাঁর অনেক জমি রাস্তার মধ্যে চলে গেছে।
আঙ্কুরি বেগম বলেন, তিনি তাঁর জমির ওপর দিয়ে গাড়ি চলার মতো রাস্তা দেবেন না। মানুষ হাঁটছে হাঁটুক, এ কারণে দোকানঘর তুলেছেন এবং পায়ে হাঁটা পথ দিয়েছেন।
তবে আঙ্কুরি বেগমের ১৮ শতাংশ জমি বুঝিয়ে দিলে তাঁর বাড়তি জমির দাবি নেই বলে জানান।
স্থানীয়দের দাবি, এখানে ইউনিয়ন পরিষদের হালটের জমি ঠিকই আছে। সম্প্রতি ইউপি চেয়ারম্যান আঙ্কুরি বেগমের জমির দক্ষিণ পাশের জমিটি ক্রয় করেছেন। চেয়ারম্যান তাঁর জমি বুঝে নিতে গিয়ে আঙ্কুরি বেগমকে আরও উত্তরে ঠেলে দিয়েছেন। এ কারণেই যত সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। তবে একাধিক ব্যক্তি জানান, দীর্ঘদিন আঙ্কুরি বেগম টাকার বিনিময়ে পথচারীদের চলাচল করতে দিয়েছেন। কিন্তু সম্প্রতি আঙ্কুরি বেগম টাকা না পাওয়ায় চলাচলের পথ বন্ধ করে দোকানঘর নির্মাণ করেন, যাতে স্থানীয়রা তাঁকে বাধ্য হয়ে টাকা দিয়ে চলাচল করতে পরেন।
এ বিষয়ে চর সামাইয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. মহিউদ্দিন হাওলাদার বলেন, যখন পুরো জমি মাপা হবে, তখন বোঝা যাবে রাস্তার জমি ইউনিয়ন পরিষদের, নাকি আঙ্কুরি বেগমের। এর জন্য কাগজপত্র নিয়ে বসতে হবে। তবে আঙ্কুরি বেগম তাঁর জমি না মেপে, রাস্তার মধ্যে পাকা দোকানঘর তুলে পথ রোধ করা অযৌক্তিক। আর যদি তিনি চলাচলের পথ রেখে দোকানঘর নির্মাণ করেন, তবে পথচারীদের সমস্যা না, খামারবাড়ির লোকজনের সমস্যা। কারণ তাদের গাড়ি চলবে না। এখন সবাই যদি এই সমস্যার সমাধান চায়, বসে সমাধান করতে হবে।
ভোলা সদর উপজেলা ভূমি কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আলী সুজা বলেন, বিষয়টি তিনি শুনেছেন। কাগজপত্রে রাস্তার জমিটি ইউনিয়ন পরিষদের। এক নম্বর খাস খতিয়ানভুক্ত হলে তিনি সরাসরি ব্যবস্থা নিতে পারতেন। ইউনিয়ন পরিষদের হওয়ার কারণে আবেদনকারীদের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করতে বলেছিলেন। মামলা করলে সরেজমিন তদন্তে গিয়ে সত্যতা পেলে পথরোধকারী ওই স্থাপনা ভেঙে ফেলা যায়। তার পরেও তিনি বিষয়টি তদন্ত করে দেখবেন।

ভোলার সদর উপজেলার চর সামাইয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বড় চর সামাইয়া গ্রামে ৩৫ বছরের পুরোনো মাটির সড়কের মাঝে পাকা দোকানঘর তুলে পথচারীদের পথ রোধ করেছে একটি প্রভাবশালী পরিবার। ওই পরিবারকে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মদদ দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয়রা ভোলা জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও ভোলা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বরাবর লিখিত অভিযোগ করলে পুলিশ নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেয়। অবিলম্বে দোকানঘরটি তুলে দিয়ে সড়কটি পাকা করে জনগণের চলাচলের উপযুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
সরেজমিনে গিয়ে পথচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ভোলা শহর থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমের তেঁতুলিয়া নদী থেকে পূর্ব দিকে উঠে আসা প্রবহমান খাল। খালের পাশে একটি সরকারি হালট। গত ৩৫ বছর ধরে ইউনিয়নের বড় চর সামাইয়া গ্রামের প্রায় ৩০টি পরিবারের দুই শতাধিক মানুষ চলাচলের জন্য হালটটি ব্যবহার করে আসছে। হালটটি পরে মাটির সড়কে পরিণত হয়েছে। যার নাম খামারবাড়ি সড়ক। সড়কটি ইউনিয়নের উত্তর-দক্ষিণ বরাবর বিশ্বরোড-ধোপাবাড়ি পাকা সড়কের পাশ দিয়ে পশ্চিম দিকে খামারের দিকে চলে গেছে। কোনো আলোচনা ছাড়াই গত ১৮ জুলাই চর সামাইয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নজরুল ইসলামের (সাবেক ইউপি সদস্য) বোন আঙ্কুরি বেগম ও তাঁর জামাই মো. আলম খামারবাড়ি সড়কের প্রবেশমুখের মাঝে (পাকা সড়কের পাশে) পাকা দোকানঘর তুলেছেন এবং সড়কের মাঝে সুপারিগাছ লাগিয়ে দিয়েছেন। ফলে পথচারীদের চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বন্ধ হয়ে যায় রিকশা-ভ্যান চলাচলও। পরে পুলিশ ওই কাজ বন্ধ করে দেয়। সড়কটির মধ্যে হাঁটু সমান কাঁদাপানি জমে গেছে। পথে একটি কালভার্ট রয়েছে। প্রায় এক কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ওই সড়কের আশপাশে ও দূরে বেশ কয়েকটি পরিবার রয়েছে। রাস্তার পাশ দিয়ে পল্লী বিদ্যুতের খুঁটিতে সঞ্চালন লাইন টানা রয়েছে।
জানতে চাইলে স্থানীয় অটোরিকশাচালক শাহজাহানের স্ত্রী বিউটি বেগম বলেন, ‘আমরা প্রতি বছর টাকা দিতাম। কিন্তু এখন টাকা না দেওয়ায় আমাদের চলাচলের পথ বন্ধ করে দোকানঘর নির্মাণ করেছে আঙ্কুরি বেগম।’ স্থানীয় এক চাকরিজীবী আলমগীর জানান, এটি সরকারি হালট ছিল। পরে হালটের মাথায় খামারবাড়ি হলে রাস্তা চওড়া হয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে গাড়িতে মানুষ চলাফেরা করেছে। হঠাৎ আঙ্কুরি বেগম রাস্তার মালিকানা দাবি করে মোটা টাকা দাবি করেন। টাকা না দেওয়ায় রাস্তার মধ্যে তাঁরা পাকা ঘর তুলেছেন। অথচ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) থেকে কয়েকবার এই রাস্তায় মাটি ফেলে সংস্কার করা হয়েছে।
ইউনিয়ন ভূমি অফিস থেকে তোলা কাগজপত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ধোপাবাড়ির সামনের খালের পাশ দিয়ে খামারবাড়িতে যাওয়ার মাটির সড়কটি (হালট) চর সামাইয়া ইউনিয়ন পরিষদের। জমির পরিমাণ ১ একর ১৮ শতাংশ, যা বিএস জরিপ অনুসারে ৪ নম্বর খতিয়ানের ৩ নম্বর দাগভুক্ত, যা চর সামাইয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সচিবের তত্ত্বাবধানে রয়েছে।
চর সামাইয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নজরুল ইসলাম ও তাঁর বোন আঙ্কুরি বেগমের দাবি, বিএস জরিপে আঙ্কুরি বেগমের জমির পরিমাণ ১৮ শতাংশ, যা তাঁর ক্রয়কৃত রেকর্ড সম্পত্তি। এখানে কোনো সরকারি বা ইউনিয়ন পরিষদের জমি নেই। সরকারি জমি আরও ২০০ হাত পশ্চিম থেকে শুরু। এখানে যদি সরকারি জমি থেকেও থাকে, তা খালে ভেঙে ফেলেছে। তার নিজেরও (আঙ্কুরি) ২ শতাংশ জমি খালে ভেঙে গেছে। তার মালিকানাধীন জমির ওপর দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে জনগণ হাঁটাহাঁটি করেছে সত্য, কিন্তু তিনি ঢাকায় থাকাকালীন এখানে একটি খামারের মালামাল আনা-নেওয়ায় রাস্তা প্রশস্ত করে ফেলেছে। এতে তাঁর অনেক জমি রাস্তার মধ্যে চলে গেছে।
আঙ্কুরি বেগম বলেন, তিনি তাঁর জমির ওপর দিয়ে গাড়ি চলার মতো রাস্তা দেবেন না। মানুষ হাঁটছে হাঁটুক, এ কারণে দোকানঘর তুলেছেন এবং পায়ে হাঁটা পথ দিয়েছেন।
তবে আঙ্কুরি বেগমের ১৮ শতাংশ জমি বুঝিয়ে দিলে তাঁর বাড়তি জমির দাবি নেই বলে জানান।
স্থানীয়দের দাবি, এখানে ইউনিয়ন পরিষদের হালটের জমি ঠিকই আছে। সম্প্রতি ইউপি চেয়ারম্যান আঙ্কুরি বেগমের জমির দক্ষিণ পাশের জমিটি ক্রয় করেছেন। চেয়ারম্যান তাঁর জমি বুঝে নিতে গিয়ে আঙ্কুরি বেগমকে আরও উত্তরে ঠেলে দিয়েছেন। এ কারণেই যত সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। তবে একাধিক ব্যক্তি জানান, দীর্ঘদিন আঙ্কুরি বেগম টাকার বিনিময়ে পথচারীদের চলাচল করতে দিয়েছেন। কিন্তু সম্প্রতি আঙ্কুরি বেগম টাকা না পাওয়ায় চলাচলের পথ বন্ধ করে দোকানঘর নির্মাণ করেন, যাতে স্থানীয়রা তাঁকে বাধ্য হয়ে টাকা দিয়ে চলাচল করতে পরেন।
এ বিষয়ে চর সামাইয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. মহিউদ্দিন হাওলাদার বলেন, যখন পুরো জমি মাপা হবে, তখন বোঝা যাবে রাস্তার জমি ইউনিয়ন পরিষদের, নাকি আঙ্কুরি বেগমের। এর জন্য কাগজপত্র নিয়ে বসতে হবে। তবে আঙ্কুরি বেগম তাঁর জমি না মেপে, রাস্তার মধ্যে পাকা দোকানঘর তুলে পথ রোধ করা অযৌক্তিক। আর যদি তিনি চলাচলের পথ রেখে দোকানঘর নির্মাণ করেন, তবে পথচারীদের সমস্যা না, খামারবাড়ির লোকজনের সমস্যা। কারণ তাদের গাড়ি চলবে না। এখন সবাই যদি এই সমস্যার সমাধান চায়, বসে সমাধান করতে হবে।
ভোলা সদর উপজেলা ভূমি কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আলী সুজা বলেন, বিষয়টি তিনি শুনেছেন। কাগজপত্রে রাস্তার জমিটি ইউনিয়ন পরিষদের। এক নম্বর খাস খতিয়ানভুক্ত হলে তিনি সরাসরি ব্যবস্থা নিতে পারতেন। ইউনিয়ন পরিষদের হওয়ার কারণে আবেদনকারীদের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করতে বলেছিলেন। মামলা করলে সরেজমিন তদন্তে গিয়ে সত্যতা পেলে পথরোধকারী ওই স্থাপনা ভেঙে ফেলা যায়। তার পরেও তিনি বিষয়টি তদন্ত করে দেখবেন।
শিমুল চৌধুরী, ভোলা

ভোলার সদর উপজেলার চর সামাইয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বড় চর সামাইয়া গ্রামে ৩৫ বছরের পুরোনো মাটির সড়কের মাঝে পাকা দোকানঘর তুলে পথচারীদের পথ রোধ করেছে একটি প্রভাবশালী পরিবার। ওই পরিবারকে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মদদ দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয়রা ভোলা জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও ভোলা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বরাবর লিখিত অভিযোগ করলে পুলিশ নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেয়। অবিলম্বে দোকানঘরটি তুলে দিয়ে সড়কটি পাকা করে জনগণের চলাচলের উপযুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
সরেজমিনে গিয়ে পথচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ভোলা শহর থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমের তেঁতুলিয়া নদী থেকে পূর্ব দিকে উঠে আসা প্রবহমান খাল। খালের পাশে একটি সরকারি হালট। গত ৩৫ বছর ধরে ইউনিয়নের বড় চর সামাইয়া গ্রামের প্রায় ৩০টি পরিবারের দুই শতাধিক মানুষ চলাচলের জন্য হালটটি ব্যবহার করে আসছে। হালটটি পরে মাটির সড়কে পরিণত হয়েছে। যার নাম খামারবাড়ি সড়ক। সড়কটি ইউনিয়নের উত্তর-দক্ষিণ বরাবর বিশ্বরোড-ধোপাবাড়ি পাকা সড়কের পাশ দিয়ে পশ্চিম দিকে খামারের দিকে চলে গেছে। কোনো আলোচনা ছাড়াই গত ১৮ জুলাই চর সামাইয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নজরুল ইসলামের (সাবেক ইউপি সদস্য) বোন আঙ্কুরি বেগম ও তাঁর জামাই মো. আলম খামারবাড়ি সড়কের প্রবেশমুখের মাঝে (পাকা সড়কের পাশে) পাকা দোকানঘর তুলেছেন এবং সড়কের মাঝে সুপারিগাছ লাগিয়ে দিয়েছেন। ফলে পথচারীদের চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বন্ধ হয়ে যায় রিকশা-ভ্যান চলাচলও। পরে পুলিশ ওই কাজ বন্ধ করে দেয়। সড়কটির মধ্যে হাঁটু সমান কাঁদাপানি জমে গেছে। পথে একটি কালভার্ট রয়েছে। প্রায় এক কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ওই সড়কের আশপাশে ও দূরে বেশ কয়েকটি পরিবার রয়েছে। রাস্তার পাশ দিয়ে পল্লী বিদ্যুতের খুঁটিতে সঞ্চালন লাইন টানা রয়েছে।
জানতে চাইলে স্থানীয় অটোরিকশাচালক শাহজাহানের স্ত্রী বিউটি বেগম বলেন, ‘আমরা প্রতি বছর টাকা দিতাম। কিন্তু এখন টাকা না দেওয়ায় আমাদের চলাচলের পথ বন্ধ করে দোকানঘর নির্মাণ করেছে আঙ্কুরি বেগম।’ স্থানীয় এক চাকরিজীবী আলমগীর জানান, এটি সরকারি হালট ছিল। পরে হালটের মাথায় খামারবাড়ি হলে রাস্তা চওড়া হয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে গাড়িতে মানুষ চলাফেরা করেছে। হঠাৎ আঙ্কুরি বেগম রাস্তার মালিকানা দাবি করে মোটা টাকা দাবি করেন। টাকা না দেওয়ায় রাস্তার মধ্যে তাঁরা পাকা ঘর তুলেছেন। অথচ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) থেকে কয়েকবার এই রাস্তায় মাটি ফেলে সংস্কার করা হয়েছে।
ইউনিয়ন ভূমি অফিস থেকে তোলা কাগজপত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ধোপাবাড়ির সামনের খালের পাশ দিয়ে খামারবাড়িতে যাওয়ার মাটির সড়কটি (হালট) চর সামাইয়া ইউনিয়ন পরিষদের। জমির পরিমাণ ১ একর ১৮ শতাংশ, যা বিএস জরিপ অনুসারে ৪ নম্বর খতিয়ানের ৩ নম্বর দাগভুক্ত, যা চর সামাইয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সচিবের তত্ত্বাবধানে রয়েছে।
চর সামাইয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নজরুল ইসলাম ও তাঁর বোন আঙ্কুরি বেগমের দাবি, বিএস জরিপে আঙ্কুরি বেগমের জমির পরিমাণ ১৮ শতাংশ, যা তাঁর ক্রয়কৃত রেকর্ড সম্পত্তি। এখানে কোনো সরকারি বা ইউনিয়ন পরিষদের জমি নেই। সরকারি জমি আরও ২০০ হাত পশ্চিম থেকে শুরু। এখানে যদি সরকারি জমি থেকেও থাকে, তা খালে ভেঙে ফেলেছে। তার নিজেরও (আঙ্কুরি) ২ শতাংশ জমি খালে ভেঙে গেছে। তার মালিকানাধীন জমির ওপর দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে জনগণ হাঁটাহাঁটি করেছে সত্য, কিন্তু তিনি ঢাকায় থাকাকালীন এখানে একটি খামারের মালামাল আনা-নেওয়ায় রাস্তা প্রশস্ত করে ফেলেছে। এতে তাঁর অনেক জমি রাস্তার মধ্যে চলে গেছে।
আঙ্কুরি বেগম বলেন, তিনি তাঁর জমির ওপর দিয়ে গাড়ি চলার মতো রাস্তা দেবেন না। মানুষ হাঁটছে হাঁটুক, এ কারণে দোকানঘর তুলেছেন এবং পায়ে হাঁটা পথ দিয়েছেন।
তবে আঙ্কুরি বেগমের ১৮ শতাংশ জমি বুঝিয়ে দিলে তাঁর বাড়তি জমির দাবি নেই বলে জানান।
স্থানীয়দের দাবি, এখানে ইউনিয়ন পরিষদের হালটের জমি ঠিকই আছে। সম্প্রতি ইউপি চেয়ারম্যান আঙ্কুরি বেগমের জমির দক্ষিণ পাশের জমিটি ক্রয় করেছেন। চেয়ারম্যান তাঁর জমি বুঝে নিতে গিয়ে আঙ্কুরি বেগমকে আরও উত্তরে ঠেলে দিয়েছেন। এ কারণেই যত সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। তবে একাধিক ব্যক্তি জানান, দীর্ঘদিন আঙ্কুরি বেগম টাকার বিনিময়ে পথচারীদের চলাচল করতে দিয়েছেন। কিন্তু সম্প্রতি আঙ্কুরি বেগম টাকা না পাওয়ায় চলাচলের পথ বন্ধ করে দোকানঘর নির্মাণ করেন, যাতে স্থানীয়রা তাঁকে বাধ্য হয়ে টাকা দিয়ে চলাচল করতে পরেন।
এ বিষয়ে চর সামাইয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. মহিউদ্দিন হাওলাদার বলেন, যখন পুরো জমি মাপা হবে, তখন বোঝা যাবে রাস্তার জমি ইউনিয়ন পরিষদের, নাকি আঙ্কুরি বেগমের। এর জন্য কাগজপত্র নিয়ে বসতে হবে। তবে আঙ্কুরি বেগম তাঁর জমি না মেপে, রাস্তার মধ্যে পাকা দোকানঘর তুলে পথ রোধ করা অযৌক্তিক। আর যদি তিনি চলাচলের পথ রেখে দোকানঘর নির্মাণ করেন, তবে পথচারীদের সমস্যা না, খামারবাড়ির লোকজনের সমস্যা। কারণ তাদের গাড়ি চলবে না। এখন সবাই যদি এই সমস্যার সমাধান চায়, বসে সমাধান করতে হবে।
ভোলা সদর উপজেলা ভূমি কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আলী সুজা বলেন, বিষয়টি তিনি শুনেছেন। কাগজপত্রে রাস্তার জমিটি ইউনিয়ন পরিষদের। এক নম্বর খাস খতিয়ানভুক্ত হলে তিনি সরাসরি ব্যবস্থা নিতে পারতেন। ইউনিয়ন পরিষদের হওয়ার কারণে আবেদনকারীদের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করতে বলেছিলেন। মামলা করলে সরেজমিন তদন্তে গিয়ে সত্যতা পেলে পথরোধকারী ওই স্থাপনা ভেঙে ফেলা যায়। তার পরেও তিনি বিষয়টি তদন্ত করে দেখবেন।

ভোলার সদর উপজেলার চর সামাইয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বড় চর সামাইয়া গ্রামে ৩৫ বছরের পুরোনো মাটির সড়কের মাঝে পাকা দোকানঘর তুলে পথচারীদের পথ রোধ করেছে একটি প্রভাবশালী পরিবার। ওই পরিবারকে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মদদ দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয়রা ভোলা জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও ভোলা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বরাবর লিখিত অভিযোগ করলে পুলিশ নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেয়। অবিলম্বে দোকানঘরটি তুলে দিয়ে সড়কটি পাকা করে জনগণের চলাচলের উপযুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
সরেজমিনে গিয়ে পথচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ভোলা শহর থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমের তেঁতুলিয়া নদী থেকে পূর্ব দিকে উঠে আসা প্রবহমান খাল। খালের পাশে একটি সরকারি হালট। গত ৩৫ বছর ধরে ইউনিয়নের বড় চর সামাইয়া গ্রামের প্রায় ৩০টি পরিবারের দুই শতাধিক মানুষ চলাচলের জন্য হালটটি ব্যবহার করে আসছে। হালটটি পরে মাটির সড়কে পরিণত হয়েছে। যার নাম খামারবাড়ি সড়ক। সড়কটি ইউনিয়নের উত্তর-দক্ষিণ বরাবর বিশ্বরোড-ধোপাবাড়ি পাকা সড়কের পাশ দিয়ে পশ্চিম দিকে খামারের দিকে চলে গেছে। কোনো আলোচনা ছাড়াই গত ১৮ জুলাই চর সামাইয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নজরুল ইসলামের (সাবেক ইউপি সদস্য) বোন আঙ্কুরি বেগম ও তাঁর জামাই মো. আলম খামারবাড়ি সড়কের প্রবেশমুখের মাঝে (পাকা সড়কের পাশে) পাকা দোকানঘর তুলেছেন এবং সড়কের মাঝে সুপারিগাছ লাগিয়ে দিয়েছেন। ফলে পথচারীদের চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বন্ধ হয়ে যায় রিকশা-ভ্যান চলাচলও। পরে পুলিশ ওই কাজ বন্ধ করে দেয়। সড়কটির মধ্যে হাঁটু সমান কাঁদাপানি জমে গেছে। পথে একটি কালভার্ট রয়েছে। প্রায় এক কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ওই সড়কের আশপাশে ও দূরে বেশ কয়েকটি পরিবার রয়েছে। রাস্তার পাশ দিয়ে পল্লী বিদ্যুতের খুঁটিতে সঞ্চালন লাইন টানা রয়েছে।
জানতে চাইলে স্থানীয় অটোরিকশাচালক শাহজাহানের স্ত্রী বিউটি বেগম বলেন, ‘আমরা প্রতি বছর টাকা দিতাম। কিন্তু এখন টাকা না দেওয়ায় আমাদের চলাচলের পথ বন্ধ করে দোকানঘর নির্মাণ করেছে আঙ্কুরি বেগম।’ স্থানীয় এক চাকরিজীবী আলমগীর জানান, এটি সরকারি হালট ছিল। পরে হালটের মাথায় খামারবাড়ি হলে রাস্তা চওড়া হয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে গাড়িতে মানুষ চলাফেরা করেছে। হঠাৎ আঙ্কুরি বেগম রাস্তার মালিকানা দাবি করে মোটা টাকা দাবি করেন। টাকা না দেওয়ায় রাস্তার মধ্যে তাঁরা পাকা ঘর তুলেছেন। অথচ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) থেকে কয়েকবার এই রাস্তায় মাটি ফেলে সংস্কার করা হয়েছে।
ইউনিয়ন ভূমি অফিস থেকে তোলা কাগজপত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ধোপাবাড়ির সামনের খালের পাশ দিয়ে খামারবাড়িতে যাওয়ার মাটির সড়কটি (হালট) চর সামাইয়া ইউনিয়ন পরিষদের। জমির পরিমাণ ১ একর ১৮ শতাংশ, যা বিএস জরিপ অনুসারে ৪ নম্বর খতিয়ানের ৩ নম্বর দাগভুক্ত, যা চর সামাইয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সচিবের তত্ত্বাবধানে রয়েছে।
চর সামাইয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নজরুল ইসলাম ও তাঁর বোন আঙ্কুরি বেগমের দাবি, বিএস জরিপে আঙ্কুরি বেগমের জমির পরিমাণ ১৮ শতাংশ, যা তাঁর ক্রয়কৃত রেকর্ড সম্পত্তি। এখানে কোনো সরকারি বা ইউনিয়ন পরিষদের জমি নেই। সরকারি জমি আরও ২০০ হাত পশ্চিম থেকে শুরু। এখানে যদি সরকারি জমি থেকেও থাকে, তা খালে ভেঙে ফেলেছে। তার নিজেরও (আঙ্কুরি) ২ শতাংশ জমি খালে ভেঙে গেছে। তার মালিকানাধীন জমির ওপর দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে জনগণ হাঁটাহাঁটি করেছে সত্য, কিন্তু তিনি ঢাকায় থাকাকালীন এখানে একটি খামারের মালামাল আনা-নেওয়ায় রাস্তা প্রশস্ত করে ফেলেছে। এতে তাঁর অনেক জমি রাস্তার মধ্যে চলে গেছে।
আঙ্কুরি বেগম বলেন, তিনি তাঁর জমির ওপর দিয়ে গাড়ি চলার মতো রাস্তা দেবেন না। মানুষ হাঁটছে হাঁটুক, এ কারণে দোকানঘর তুলেছেন এবং পায়ে হাঁটা পথ দিয়েছেন।
তবে আঙ্কুরি বেগমের ১৮ শতাংশ জমি বুঝিয়ে দিলে তাঁর বাড়তি জমির দাবি নেই বলে জানান।
স্থানীয়দের দাবি, এখানে ইউনিয়ন পরিষদের হালটের জমি ঠিকই আছে। সম্প্রতি ইউপি চেয়ারম্যান আঙ্কুরি বেগমের জমির দক্ষিণ পাশের জমিটি ক্রয় করেছেন। চেয়ারম্যান তাঁর জমি বুঝে নিতে গিয়ে আঙ্কুরি বেগমকে আরও উত্তরে ঠেলে দিয়েছেন। এ কারণেই যত সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। তবে একাধিক ব্যক্তি জানান, দীর্ঘদিন আঙ্কুরি বেগম টাকার বিনিময়ে পথচারীদের চলাচল করতে দিয়েছেন। কিন্তু সম্প্রতি আঙ্কুরি বেগম টাকা না পাওয়ায় চলাচলের পথ বন্ধ করে দোকানঘর নির্মাণ করেন, যাতে স্থানীয়রা তাঁকে বাধ্য হয়ে টাকা দিয়ে চলাচল করতে পরেন।
এ বিষয়ে চর সামাইয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. মহিউদ্দিন হাওলাদার বলেন, যখন পুরো জমি মাপা হবে, তখন বোঝা যাবে রাস্তার জমি ইউনিয়ন পরিষদের, নাকি আঙ্কুরি বেগমের। এর জন্য কাগজপত্র নিয়ে বসতে হবে। তবে আঙ্কুরি বেগম তাঁর জমি না মেপে, রাস্তার মধ্যে পাকা দোকানঘর তুলে পথ রোধ করা অযৌক্তিক। আর যদি তিনি চলাচলের পথ রেখে দোকানঘর নির্মাণ করেন, তবে পথচারীদের সমস্যা না, খামারবাড়ির লোকজনের সমস্যা। কারণ তাদের গাড়ি চলবে না। এখন সবাই যদি এই সমস্যার সমাধান চায়, বসে সমাধান করতে হবে।
ভোলা সদর উপজেলা ভূমি কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আলী সুজা বলেন, বিষয়টি তিনি শুনেছেন। কাগজপত্রে রাস্তার জমিটি ইউনিয়ন পরিষদের। এক নম্বর খাস খতিয়ানভুক্ত হলে তিনি সরাসরি ব্যবস্থা নিতে পারতেন। ইউনিয়ন পরিষদের হওয়ার কারণে আবেদনকারীদের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করতে বলেছিলেন। মামলা করলে সরেজমিন তদন্তে গিয়ে সত্যতা পেলে পথরোধকারী ওই স্থাপনা ভেঙে ফেলা যায়। তার পরেও তিনি বিষয়টি তদন্ত করে দেখবেন।

মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার মাদবরেরচর ইউনিয়ন। এক পাশে পদ্মা নদী, অন্য পাশে ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে। পদ্মা সেতু নির্মাণের সঙ্গে সঙ্গে এই এলাকার যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়ন হয়েছে। তবে রেল সড়ক নির্মাণের পর দুর্ভোগে পড়েছেন এই ইউনিয়নের তিনটি ওয়ার্ডের হাজার হাজার মানুষ।
২০ মিনিট আগে
সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রাজ্জাক হত্যার ঘটনায় শনিবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টা পর্যন্ত পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো মামলা না করায় পুলিশ হত্যা মামলা করেছে। নিহত রাজ্জাকের ছেলে আসাদ আহমদকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছে পুলিশ।
৪ ঘণ্টা আগে
খুলনা নগরের ডাকবাংলো মোড়ে একটি হোটেলে ঢুকে চার কর্মচারীকে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ শনিবার সন্ধ্যায় লাভলু হোটেলে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ বলছে, দুপুরে হোটেলের কর্মচারীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারকে কেন্দ্র করে কয়েক যুবকের কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়।
৪ ঘণ্টা আগে
ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার ভরাডোবা গ্রামে অবস্থিত এক্সপেরিয়েন্স টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের বর্জ্য ও কেমিক্যাল মিশ্রিত রঙের পানি এবং মুলতাজিম স্প্রিনিং মিলের গরুর গোবর ও অন্যান্য বর্জ্যের পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দ্রুত পরিশোধের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন কৃষকেরা।
৫ ঘণ্টা আগেইমতিয়াজ আহমেদ, শিবচর (মাদারীপুর)

মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার মাদবরেরচর ইউনিয়ন। এক পাশে পদ্মা নদী, অন্য পাশে ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে। পদ্মা সেতু নির্মাণের সঙ্গে সঙ্গে এই এলাকার যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়ন হয়েছে। তবে রেল সড়ক নির্মাণের পর দুর্ভোগে পড়েছেন এই ইউনিয়নের তিনটি ওয়ার্ডের হাজার হাজার মানুষ।
স্থানীয়রা বলছেন, পদ্মা সেতু নির্মাণের পর যোগাযোগব্যবস্থাসহ নানা উন্নয়নের ছোঁয়া লাগে এই এলাকায়। তবে উন্নয়নের মুদ্রার অপর পিঠে আটকে পড়েছেন এই ইউনিয়নের তিনটি ওয়ার্ডের কয়েক হাজার মানুষ। এক্সপ্রেসওয়ের পর রেল সড়ক নির্মাণ করা হলে বন্ধ হয়ে যায় পানিপ্রবাহের পথ। মহাসড়কের সংযোগ সড়কের পাশে অনেকে আবার ভরাট করে ফেলেছে খালের অংশবিশেষ। ফলে বন্ধ হয়ে আছে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা। এ কারণে মহাসড়কের অপর পাশের গ্রামগুলো থেকে বৃষ্টির পানি বের হতে পারছে না।
পানিপ্রবাহের পথগুলো আটকে থাকায় এবং পানি নিষ্কাশন ব্যাহত হওয়ায় প্রায় সারা বছরই পানিবন্দী থাকছে এই এলাকার মানুষ। একটু বৃষ্টি হলেই মানুষের ঘরের দুয়ারে, এমনকি ঘরেও উঠে যাচ্ছে পানি। অনেককে বাঁশের সাঁকো দিয়ে আসা-যাওয়া করতে হয়। এ ছাড়াও প্রায় ১০০ হেক্টর জমি পানিতে নিমজ্জিত থাকায় হচ্ছে না ফসলও। শ্যাওলা, কচুরিপানা জমে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি।
মাদবরেরচর ইউনিয়নের ৫, ৬ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডে দেখা গেছে, বর্ষা মৌসুম শেষ হলেও এখানে তা রয়ে গেছে। বাড়ির আঙিনাসহ চারপাশ ডুবে আছে পানিতে। ঘর থেকে বের হতে হলে বাঁশের সাঁকোর ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে অনেককে। কোথাও পানি শুকিয়ে এলেও ভরপুর কাদা। বাড়ির আঙিনাজুড়ে স্যাঁতসেঁতে ভেজা মাটি। রাস্তা থেকে ঘরে যেতে অনেকে বাঁশ-কাঠ দিয়ে ছোট সেতু তৈরি করে নিয়েছে। এরপরও কোথাও কোথাও পানি মাড়িয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।

স্থানীয়রা বলছেন, বছরের ৮-৯ মাস এখানে পানি থাকে। বৃষ্টি নামলেই পানিতে ভরে যায় চারপাশ। শীত মৌসুমে পানি কিছুটা শুকিয়ে যেতেই বৃষ্টির কারণে আবারও ডুবে যায়। পানি সরে যাওয়ার সব পথ বন্ধ থাকায় বিগত ৫-৭ বছরই এই ভোগান্তি নিত্যসঙ্গী এখানকার মানুষের। মাদবরেরচর ইউনিয়নের বাখরেরকান্দি থেকে শুরু করে মহাসড়কের একপাশজুড়ে তিনটি ওয়ার্ডের ফসলি জমি এখন অনেকটা হাওরে পরিণত হয়েছে। সারা বছরই পানিতে ডুবে থাকে এই এলাকার পথঘাট, ফসলি জমি, বাড়ির আঙিনা।
মাদবরেরচর ইউনিয়নের চরকান্দি এলাকার বাসিন্দা হাবিবুর রহমান বলেন, ‘এক্সপ্রেসওয়ের কয়েকটি স্থানে পানিপ্রবাহের ব্যবস্থা থাকলেও রেল সড়ক নির্মাণের পর আন্ডারপাসের ওপর প্রান্তে মাটি ভরাট করে রাখায় পানিপ্রবাহের পথ বন্ধ হয়ে আছে। শুধু বৃষ্টির পানিতেই মাদবরেরচর ইউনিয়নের ৫, ৬ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাখরেরকান্দি, চরকান্দিসহ অসংখ্য গ্রামের মানুষ এখন জলাবদ্ধতার ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। একসময়ের ফসলি জমি যেন পরিণত হয়েছে বিল বা হাওরে। আমাদের দুর্ভোগের শেষ নেই।’
আরেক বাসিন্দা মো. মাসুদ বলেন, ‘এই দুর্ভোগ থেকে কবে পরিত্রাণ পাব? আদৌ পাব কি না, জানা নেই। আমাদের এখানে শীত মৌসুমে ফসলি খেতে শাক-সবজিসহ নানা জাতের ফসল হতো। এখন এসব খেতে সারা বছরই পানি থাকে। জমি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে বেশ কয়েকটি জায়গায় পানিপ্রবাহের ব্যবস্থা আছে। তবে রেল সড়ক করার পর পানি বের হওয়ার জন্য যে স্থানগুলো করা হয়েছিল, তার অপর পাশেই মাটির স্তূপ দিয়ে ভরাট করা। পানি বের হয়ে কোথাও যাওয়ার পথ নেই। এ ছাড়া আমাদের এখানকার বড় বড় খালের মুখ ভরাট করে আটকে ফেলা হয়েছে। ফলে আমরা কয়েক হাজার বাসিন্দা ৫-৭ বছর পানিবন্দী হয়ে রয়েছি। ফসল উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। জীবনযাত্রা খুবই দুর্বিষহ এখানে।’
শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এইচ এম ইবনে মিজান বলেন, ‘আমি ওই এলাকা পরিদর্শন করেছি। পানিপ্রবাহের পথ বন্ধ থাকায় বেশ দুর্ভোগ ওখানে। রেল সড়কের নিচ দিয়ে পানি সরে যাওয়ার কথা। ওই পথই বন্ধ রয়েছে। এ বিষয়টি নিয়ে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার মাদবরেরচর ইউনিয়ন। এক পাশে পদ্মা নদী, অন্য পাশে ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে। পদ্মা সেতু নির্মাণের সঙ্গে সঙ্গে এই এলাকার যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়ন হয়েছে। তবে রেল সড়ক নির্মাণের পর দুর্ভোগে পড়েছেন এই ইউনিয়নের তিনটি ওয়ার্ডের হাজার হাজার মানুষ।
স্থানীয়রা বলছেন, পদ্মা সেতু নির্মাণের পর যোগাযোগব্যবস্থাসহ নানা উন্নয়নের ছোঁয়া লাগে এই এলাকায়। তবে উন্নয়নের মুদ্রার অপর পিঠে আটকে পড়েছেন এই ইউনিয়নের তিনটি ওয়ার্ডের কয়েক হাজার মানুষ। এক্সপ্রেসওয়ের পর রেল সড়ক নির্মাণ করা হলে বন্ধ হয়ে যায় পানিপ্রবাহের পথ। মহাসড়কের সংযোগ সড়কের পাশে অনেকে আবার ভরাট করে ফেলেছে খালের অংশবিশেষ। ফলে বন্ধ হয়ে আছে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা। এ কারণে মহাসড়কের অপর পাশের গ্রামগুলো থেকে বৃষ্টির পানি বের হতে পারছে না।
পানিপ্রবাহের পথগুলো আটকে থাকায় এবং পানি নিষ্কাশন ব্যাহত হওয়ায় প্রায় সারা বছরই পানিবন্দী থাকছে এই এলাকার মানুষ। একটু বৃষ্টি হলেই মানুষের ঘরের দুয়ারে, এমনকি ঘরেও উঠে যাচ্ছে পানি। অনেককে বাঁশের সাঁকো দিয়ে আসা-যাওয়া করতে হয়। এ ছাড়াও প্রায় ১০০ হেক্টর জমি পানিতে নিমজ্জিত থাকায় হচ্ছে না ফসলও। শ্যাওলা, কচুরিপানা জমে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি।
মাদবরেরচর ইউনিয়নের ৫, ৬ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডে দেখা গেছে, বর্ষা মৌসুম শেষ হলেও এখানে তা রয়ে গেছে। বাড়ির আঙিনাসহ চারপাশ ডুবে আছে পানিতে। ঘর থেকে বের হতে হলে বাঁশের সাঁকোর ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে অনেককে। কোথাও পানি শুকিয়ে এলেও ভরপুর কাদা। বাড়ির আঙিনাজুড়ে স্যাঁতসেঁতে ভেজা মাটি। রাস্তা থেকে ঘরে যেতে অনেকে বাঁশ-কাঠ দিয়ে ছোট সেতু তৈরি করে নিয়েছে। এরপরও কোথাও কোথাও পানি মাড়িয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।

স্থানীয়রা বলছেন, বছরের ৮-৯ মাস এখানে পানি থাকে। বৃষ্টি নামলেই পানিতে ভরে যায় চারপাশ। শীত মৌসুমে পানি কিছুটা শুকিয়ে যেতেই বৃষ্টির কারণে আবারও ডুবে যায়। পানি সরে যাওয়ার সব পথ বন্ধ থাকায় বিগত ৫-৭ বছরই এই ভোগান্তি নিত্যসঙ্গী এখানকার মানুষের। মাদবরেরচর ইউনিয়নের বাখরেরকান্দি থেকে শুরু করে মহাসড়কের একপাশজুড়ে তিনটি ওয়ার্ডের ফসলি জমি এখন অনেকটা হাওরে পরিণত হয়েছে। সারা বছরই পানিতে ডুবে থাকে এই এলাকার পথঘাট, ফসলি জমি, বাড়ির আঙিনা।
মাদবরেরচর ইউনিয়নের চরকান্দি এলাকার বাসিন্দা হাবিবুর রহমান বলেন, ‘এক্সপ্রেসওয়ের কয়েকটি স্থানে পানিপ্রবাহের ব্যবস্থা থাকলেও রেল সড়ক নির্মাণের পর আন্ডারপাসের ওপর প্রান্তে মাটি ভরাট করে রাখায় পানিপ্রবাহের পথ বন্ধ হয়ে আছে। শুধু বৃষ্টির পানিতেই মাদবরেরচর ইউনিয়নের ৫, ৬ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাখরেরকান্দি, চরকান্দিসহ অসংখ্য গ্রামের মানুষ এখন জলাবদ্ধতার ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। একসময়ের ফসলি জমি যেন পরিণত হয়েছে বিল বা হাওরে। আমাদের দুর্ভোগের শেষ নেই।’
আরেক বাসিন্দা মো. মাসুদ বলেন, ‘এই দুর্ভোগ থেকে কবে পরিত্রাণ পাব? আদৌ পাব কি না, জানা নেই। আমাদের এখানে শীত মৌসুমে ফসলি খেতে শাক-সবজিসহ নানা জাতের ফসল হতো। এখন এসব খেতে সারা বছরই পানি থাকে। জমি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে বেশ কয়েকটি জায়গায় পানিপ্রবাহের ব্যবস্থা আছে। তবে রেল সড়ক করার পর পানি বের হওয়ার জন্য যে স্থানগুলো করা হয়েছিল, তার অপর পাশেই মাটির স্তূপ দিয়ে ভরাট করা। পানি বের হয়ে কোথাও যাওয়ার পথ নেই। এ ছাড়া আমাদের এখানকার বড় বড় খালের মুখ ভরাট করে আটকে ফেলা হয়েছে। ফলে আমরা কয়েক হাজার বাসিন্দা ৫-৭ বছর পানিবন্দী হয়ে রয়েছি। ফসল উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। জীবনযাত্রা খুবই দুর্বিষহ এখানে।’
শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এইচ এম ইবনে মিজান বলেন, ‘আমি ওই এলাকা পরিদর্শন করেছি। পানিপ্রবাহের পথ বন্ধ থাকায় বেশ দুর্ভোগ ওখানে। রেল সড়কের নিচ দিয়ে পানি সরে যাওয়ার কথা। ওই পথই বন্ধ রয়েছে। এ বিষয়টি নিয়ে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এটি সরকারি হালট ছিল। পরে হালটের মাথায় খামার বাড়ি হলে রাস্তা চওড়া হয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে গাড়িতে মানুষ চলাফেরা করেছে। হঠাৎ আঙ্কুরি বেগম রাস্তার মালিকানা দাবি করে মোটা টাকা দাবি করেন
১০ আগস্ট ২০২২
সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রাজ্জাক হত্যার ঘটনায় শনিবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টা পর্যন্ত পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো মামলা না করায় পুলিশ হত্যা মামলা করেছে। নিহত রাজ্জাকের ছেলে আসাদ আহমদকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছে পুলিশ।
৪ ঘণ্টা আগে
খুলনা নগরের ডাকবাংলো মোড়ে একটি হোটেলে ঢুকে চার কর্মচারীকে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ শনিবার সন্ধ্যায় লাভলু হোটেলে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ বলছে, দুপুরে হোটেলের কর্মচারীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারকে কেন্দ্র করে কয়েক যুবকের কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়।
৪ ঘণ্টা আগে
ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার ভরাডোবা গ্রামে অবস্থিত এক্সপেরিয়েন্স টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের বর্জ্য ও কেমিক্যাল মিশ্রিত রঙের পানি এবং মুলতাজিম স্প্রিনিং মিলের গরুর গোবর ও অন্যান্য বর্জ্যের পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দ্রুত পরিশোধের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন কৃষকেরা।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রাজ্জাক হত্যার ঘটনায় শনিবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টা পর্যন্ত পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো মামলা না করায় পুলিশ হত্যা মামলা করেছে। নিহত রাজ্জাকের ছেলে আসাদ আহমদকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছে পুলিশ।
শনিবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় দক্ষিণ সুরমা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আনোয়ারুল কামাল মামলাটি করেন। মামলায় কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি। তবে পরিবারের কয়েকজন সদস্যের নাম মামলার বিবরণে সন্দেহজনক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
তিনি বলেন, হত্যা মামলায় নিহত ব্যক্তির ছেলেকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। তবে রিমান্ড আবেদনের শুনানি হয়নি।
মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘নিহত ব্যক্তির পরিবার প্রথম থেকে ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বলে দাবি করে আসছে। তবে ঘটনাটি আত্মহত্যা নয়, এটি হত্যাকাণ্ড। যেভাবে নিহত ব্যক্তির শরীরে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে, তাতে আত্মহত্যা মনে হয়নি। পরিবার মামলা না করায় পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে।’
পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, শনিবার দুপুরে আবদুর রাজ্জাকের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা ছুরিটি ফরেনসিকের জন্য পাঠানো হয়েছে।
শুক্রবার সকালে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার মোল্লারগাঁও ইউনিয়নের তেলিরাই গ্রামে নিজ বাসার ছাদের সিঁড়ির পাশে একটি কক্ষ থেকে আবদুর রাজ্জাকের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি দক্ষিণ সুরমা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ছিলেন।
পরিবারের বরাতে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ফজরের নামাজ শেষে আবদুর রাজ্জাক ছাদে হাঁটার জন্য উঠেছিলেন। এরপর সকাল ৯টার দিকে তাঁর রক্তাক্ত মরদেহ দেখার পর পুলিশকে জানানো হয়।
পুলিশ জানায়, আবদুর রাজ্জাকের পেট, বুক ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছুরিকাঘাতের গভীর চিহ্ন পাওয়া গেছে। লাশের পাশ থেকে একটি ২২ ইঞ্চি লম্বা ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে।
বাড়ির সিসিটিভি ক্যামেরা দেখে পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোর থেকে লাশ উদ্ধারের আগপর্যন্ত নিহত ব্যক্তির বাড়িতে কাউকে ঢুকতে কিংবা বের হতে দেখা যায়নি। এর মধ্যে শুধু ওই বাড়ির গৃহকর্মী সকাল আটটার দিকে বাড়িতে ঢোকেন। তিনি বাড়িতে যাওয়ার পর আবদুর রাজ্জাককে তাঁর কক্ষে পাননি। একপর্যায়ে সিঁড়ির ঘরে লাশটি দেখতে পান পরিবারের সদস্যরা। এ সময় সিঁড়ির দরজা তালাবদ্ধ ছিল, সিঁড়ির চাবি আবদুর রাজ্জাকের কাছেই ছিল।
পারিবারিক সূত্র জানায়, নিহত আবদুর রাজ্জাকের এক ছেলে ও এক মেয়ে। দুজনেরই বিয়ে হয়ে গেছে। সন্তানদের মধ্যে মাস দুয়েক আগে সম্পত্তি ভাগ-বাঁটোয়ারাও করে দিয়েছিলেন তিনি। শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন তিনি। চিকিৎসার জন্য ভারতেও গিয়েছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে গত বছরের ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে একটি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পরিবার। মামলা থাকলেও তিনি নিজ বাড়িতেই অবস্থান করতেন।

সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রাজ্জাক হত্যার ঘটনায় শনিবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টা পর্যন্ত পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো মামলা না করায় পুলিশ হত্যা মামলা করেছে। নিহত রাজ্জাকের ছেলে আসাদ আহমদকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছে পুলিশ।
শনিবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় দক্ষিণ সুরমা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আনোয়ারুল কামাল মামলাটি করেন। মামলায় কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি। তবে পরিবারের কয়েকজন সদস্যের নাম মামলার বিবরণে সন্দেহজনক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
তিনি বলেন, হত্যা মামলায় নিহত ব্যক্তির ছেলেকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। তবে রিমান্ড আবেদনের শুনানি হয়নি।
মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘নিহত ব্যক্তির পরিবার প্রথম থেকে ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বলে দাবি করে আসছে। তবে ঘটনাটি আত্মহত্যা নয়, এটি হত্যাকাণ্ড। যেভাবে নিহত ব্যক্তির শরীরে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে, তাতে আত্মহত্যা মনে হয়নি। পরিবার মামলা না করায় পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে।’
পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, শনিবার দুপুরে আবদুর রাজ্জাকের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা ছুরিটি ফরেনসিকের জন্য পাঠানো হয়েছে।
শুক্রবার সকালে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার মোল্লারগাঁও ইউনিয়নের তেলিরাই গ্রামে নিজ বাসার ছাদের সিঁড়ির পাশে একটি কক্ষ থেকে আবদুর রাজ্জাকের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি দক্ষিণ সুরমা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ছিলেন।
পরিবারের বরাতে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ফজরের নামাজ শেষে আবদুর রাজ্জাক ছাদে হাঁটার জন্য উঠেছিলেন। এরপর সকাল ৯টার দিকে তাঁর রক্তাক্ত মরদেহ দেখার পর পুলিশকে জানানো হয়।
পুলিশ জানায়, আবদুর রাজ্জাকের পেট, বুক ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছুরিকাঘাতের গভীর চিহ্ন পাওয়া গেছে। লাশের পাশ থেকে একটি ২২ ইঞ্চি লম্বা ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে।
বাড়ির সিসিটিভি ক্যামেরা দেখে পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোর থেকে লাশ উদ্ধারের আগপর্যন্ত নিহত ব্যক্তির বাড়িতে কাউকে ঢুকতে কিংবা বের হতে দেখা যায়নি। এর মধ্যে শুধু ওই বাড়ির গৃহকর্মী সকাল আটটার দিকে বাড়িতে ঢোকেন। তিনি বাড়িতে যাওয়ার পর আবদুর রাজ্জাককে তাঁর কক্ষে পাননি। একপর্যায়ে সিঁড়ির ঘরে লাশটি দেখতে পান পরিবারের সদস্যরা। এ সময় সিঁড়ির দরজা তালাবদ্ধ ছিল, সিঁড়ির চাবি আবদুর রাজ্জাকের কাছেই ছিল।
পারিবারিক সূত্র জানায়, নিহত আবদুর রাজ্জাকের এক ছেলে ও এক মেয়ে। দুজনেরই বিয়ে হয়ে গেছে। সন্তানদের মধ্যে মাস দুয়েক আগে সম্পত্তি ভাগ-বাঁটোয়ারাও করে দিয়েছিলেন তিনি। শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন তিনি। চিকিৎসার জন্য ভারতেও গিয়েছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে গত বছরের ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে একটি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পরিবার। মামলা থাকলেও তিনি নিজ বাড়িতেই অবস্থান করতেন।

এটি সরকারি হালট ছিল। পরে হালটের মাথায় খামার বাড়ি হলে রাস্তা চওড়া হয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে গাড়িতে মানুষ চলাফেরা করেছে। হঠাৎ আঙ্কুরি বেগম রাস্তার মালিকানা দাবি করে মোটা টাকা দাবি করেন
১০ আগস্ট ২০২২
মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার মাদবরেরচর ইউনিয়ন। এক পাশে পদ্মা নদী, অন্য পাশে ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে। পদ্মা সেতু নির্মাণের সঙ্গে সঙ্গে এই এলাকার যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়ন হয়েছে। তবে রেল সড়ক নির্মাণের পর দুর্ভোগে পড়েছেন এই ইউনিয়নের তিনটি ওয়ার্ডের হাজার হাজার মানুষ।
২০ মিনিট আগে
খুলনা নগরের ডাকবাংলো মোড়ে একটি হোটেলে ঢুকে চার কর্মচারীকে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ শনিবার সন্ধ্যায় লাভলু হোটেলে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ বলছে, দুপুরে হোটেলের কর্মচারীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারকে কেন্দ্র করে কয়েক যুবকের কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়।
৪ ঘণ্টা আগে
ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার ভরাডোবা গ্রামে অবস্থিত এক্সপেরিয়েন্স টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের বর্জ্য ও কেমিক্যাল মিশ্রিত রঙের পানি এবং মুলতাজিম স্প্রিনিং মিলের গরুর গোবর ও অন্যান্য বর্জ্যের পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দ্রুত পরিশোধের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন কৃষকেরা।
৫ ঘণ্টা আগেখুলনা প্রতিনিধি

খুলনা নগরের ডাকবাংলো মোড়ে একটি হোটেলে ঢুকে চার কর্মচারীকে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ শনিবার সন্ধ্যায় লাভলু হোটেলে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ বলছে, দুপুরে হোটেলের কর্মচারীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারকে কেন্দ্র করে কয়েক যুবকের কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। ওই ঘটনার জেরে সন্ধ্যায় ১৫-২০ জন যুবক হোটেলে ঢুকে হামলা চালায়।
আহত কর্মচারীরা হলেন আইয়ুব, মধু, সজল ও টুটুল। তাঁদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে নগরের প্রাণকেন্দ্র ডাকবাংলো মোড়ে প্রকাশ্যে এই হামলার ঘটনা ঘটলেও আধা ঘণ্টা পর পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে বলে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা অভিযোগ তোলেন।
লাভলু হোটেলের কর্মচারী মো. সাইফুল ইসলাম জানান, দুপুরের দিকে দুই যুবক খাওয়ার জন্য ওই হোটেলে আসেন। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হোটেলে কর্মচারীদের সঙ্গে তাঁরা তর্কে জড়ান। এতে উভয়ের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। হোটেল ব্যবস্থাপক গিয়ে তখন পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। তাঁকেও অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন ওই যুবকেরা।
হামলার ঘটনার বর্ণনা দিয়ে সাইফুল ইসলাম জানান, মাগরিবের নামাজের পর ১৫-২০ জন যুবক ওই হোটেলে প্রবেশ করে ধারালো অস্ত্র নিয়ে কর্মচারীদের ওপর হামলা চালান। এতে চারজন আহত হন। উপস্থিত লোকজন আহত ব্যক্তিদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। ঘটনার পরপরই হোটেলের প্রধান ফটক বন্ধ করে দেওয়া হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক হকার বলেন, ‘ডাকবাংলো মোড় একটি জনবহুল এলাকা। প্রায় সময় এখানে পুলিশ অবস্থান করে। কিন্তু এ রকম হামলার পর আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। ডাকবাংলো মোড়ে এ ঘটনার পর পুলিশ ২৫ মিনিট পর ঘটনাস্থলে আসে; যা খুবই দুঃখজনক।’
খুলনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, দুপুরে দুই যুবক ওই হোটেলে খাওয়ার জন্য গেলে কর্মচারীরা তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। সন্ধ্যার দিকে ওই যুবকেরা আরও কয়েকজনকে নিয়ে হোটেলে হামলা চালান। তাঁরা চারজনকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যান। আহত ব্যক্তিদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের আটকের জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে।

খুলনা নগরের ডাকবাংলো মোড়ে একটি হোটেলে ঢুকে চার কর্মচারীকে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ শনিবার সন্ধ্যায় লাভলু হোটেলে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ বলছে, দুপুরে হোটেলের কর্মচারীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারকে কেন্দ্র করে কয়েক যুবকের কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। ওই ঘটনার জেরে সন্ধ্যায় ১৫-২০ জন যুবক হোটেলে ঢুকে হামলা চালায়।
আহত কর্মচারীরা হলেন আইয়ুব, মধু, সজল ও টুটুল। তাঁদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে নগরের প্রাণকেন্দ্র ডাকবাংলো মোড়ে প্রকাশ্যে এই হামলার ঘটনা ঘটলেও আধা ঘণ্টা পর পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে বলে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা অভিযোগ তোলেন।
লাভলু হোটেলের কর্মচারী মো. সাইফুল ইসলাম জানান, দুপুরের দিকে দুই যুবক খাওয়ার জন্য ওই হোটেলে আসেন। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হোটেলে কর্মচারীদের সঙ্গে তাঁরা তর্কে জড়ান। এতে উভয়ের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। হোটেল ব্যবস্থাপক গিয়ে তখন পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। তাঁকেও অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন ওই যুবকেরা।
হামলার ঘটনার বর্ণনা দিয়ে সাইফুল ইসলাম জানান, মাগরিবের নামাজের পর ১৫-২০ জন যুবক ওই হোটেলে প্রবেশ করে ধারালো অস্ত্র নিয়ে কর্মচারীদের ওপর হামলা চালান। এতে চারজন আহত হন। উপস্থিত লোকজন আহত ব্যক্তিদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। ঘটনার পরপরই হোটেলের প্রধান ফটক বন্ধ করে দেওয়া হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক হকার বলেন, ‘ডাকবাংলো মোড় একটি জনবহুল এলাকা। প্রায় সময় এখানে পুলিশ অবস্থান করে। কিন্তু এ রকম হামলার পর আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। ডাকবাংলো মোড়ে এ ঘটনার পর পুলিশ ২৫ মিনিট পর ঘটনাস্থলে আসে; যা খুবই দুঃখজনক।’
খুলনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, দুপুরে দুই যুবক ওই হোটেলে খাওয়ার জন্য গেলে কর্মচারীরা তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। সন্ধ্যার দিকে ওই যুবকেরা আরও কয়েকজনকে নিয়ে হোটেলে হামলা চালান। তাঁরা চারজনকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যান। আহত ব্যক্তিদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের আটকের জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে।

এটি সরকারি হালট ছিল। পরে হালটের মাথায় খামার বাড়ি হলে রাস্তা চওড়া হয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে গাড়িতে মানুষ চলাফেরা করেছে। হঠাৎ আঙ্কুরি বেগম রাস্তার মালিকানা দাবি করে মোটা টাকা দাবি করেন
১০ আগস্ট ২০২২
মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার মাদবরেরচর ইউনিয়ন। এক পাশে পদ্মা নদী, অন্য পাশে ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে। পদ্মা সেতু নির্মাণের সঙ্গে সঙ্গে এই এলাকার যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়ন হয়েছে। তবে রেল সড়ক নির্মাণের পর দুর্ভোগে পড়েছেন এই ইউনিয়নের তিনটি ওয়ার্ডের হাজার হাজার মানুষ।
২০ মিনিট আগে
সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রাজ্জাক হত্যার ঘটনায় শনিবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টা পর্যন্ত পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো মামলা না করায় পুলিশ হত্যা মামলা করেছে। নিহত রাজ্জাকের ছেলে আসাদ আহমদকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছে পুলিশ।
৪ ঘণ্টা আগে
ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার ভরাডোবা গ্রামে অবস্থিত এক্সপেরিয়েন্স টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের বর্জ্য ও কেমিক্যাল মিশ্রিত রঙের পানি এবং মুলতাজিম স্প্রিনিং মিলের গরুর গোবর ও অন্যান্য বর্জ্যের পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দ্রুত পরিশোধের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন কৃষকেরা।
৫ ঘণ্টা আগেভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার ভরাডোবা গ্রামে অবস্থিত এক্সপেরিয়েন্স টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের বর্জ্য ও কেমিক্যাল মিশ্রিত রঙের পানি এবং মুলতাজিম স্প্রিনিং মিলের গরুর গোবর ও অন্যান্য বর্জ্যের পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দ্রুত পরিশোধের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন কৃষকেরা।
শনিবার (১ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ভরাডোবা এলাকায় কৃষকেরা বিক্ষোভ মিছিল শেষে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন করেন।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের দাবি উপজেলার ভরাডোবা গ্রামে অবস্থিত এক্সপেরিয়েন্স মিলের বর্জ্য মিশ্রিত পানি এবং মুলতাজিম স্পিনিং মিলের গরুর খামারের বর্জ্যে স্থানীয় কৃষকদের ৩৩৫.৭৪ একর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে।
উপজেলা প্রশাসন থেকে সুপারিশকৃত ক্ষতিপূরণের টাকা মিল কর্তৃপক্ষ আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে পরিশোধ না করলে তাঁরা কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন।
মানববন্ধন শেষে বক্তব্য দেন কৃষক প্রতিনিধি ইঞ্জিনিয়ার রুহুল আমীন, আবদুর রহিম আকন্দ, মনির তালুকদার, নুরুজ্জামান কবির প্রমুখ।

ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার ভরাডোবা গ্রামে অবস্থিত এক্সপেরিয়েন্স টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের বর্জ্য ও কেমিক্যাল মিশ্রিত রঙের পানি এবং মুলতাজিম স্প্রিনিং মিলের গরুর গোবর ও অন্যান্য বর্জ্যের পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দ্রুত পরিশোধের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন কৃষকেরা।
শনিবার (১ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ভরাডোবা এলাকায় কৃষকেরা বিক্ষোভ মিছিল শেষে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন করেন।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের দাবি উপজেলার ভরাডোবা গ্রামে অবস্থিত এক্সপেরিয়েন্স মিলের বর্জ্য মিশ্রিত পানি এবং মুলতাজিম স্পিনিং মিলের গরুর খামারের বর্জ্যে স্থানীয় কৃষকদের ৩৩৫.৭৪ একর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে।
উপজেলা প্রশাসন থেকে সুপারিশকৃত ক্ষতিপূরণের টাকা মিল কর্তৃপক্ষ আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে পরিশোধ না করলে তাঁরা কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন।
মানববন্ধন শেষে বক্তব্য দেন কৃষক প্রতিনিধি ইঞ্জিনিয়ার রুহুল আমীন, আবদুর রহিম আকন্দ, মনির তালুকদার, নুরুজ্জামান কবির প্রমুখ।

এটি সরকারি হালট ছিল। পরে হালটের মাথায় খামার বাড়ি হলে রাস্তা চওড়া হয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে গাড়িতে মানুষ চলাফেরা করেছে। হঠাৎ আঙ্কুরি বেগম রাস্তার মালিকানা দাবি করে মোটা টাকা দাবি করেন
১০ আগস্ট ২০২২
মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার মাদবরেরচর ইউনিয়ন। এক পাশে পদ্মা নদী, অন্য পাশে ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে। পদ্মা সেতু নির্মাণের সঙ্গে সঙ্গে এই এলাকার যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়ন হয়েছে। তবে রেল সড়ক নির্মাণের পর দুর্ভোগে পড়েছেন এই ইউনিয়নের তিনটি ওয়ার্ডের হাজার হাজার মানুষ।
২০ মিনিট আগে
সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রাজ্জাক হত্যার ঘটনায় শনিবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টা পর্যন্ত পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো মামলা না করায় পুলিশ হত্যা মামলা করেছে। নিহত রাজ্জাকের ছেলে আসাদ আহমদকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছে পুলিশ।
৪ ঘণ্টা আগে
খুলনা নগরের ডাকবাংলো মোড়ে একটি হোটেলে ঢুকে চার কর্মচারীকে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ শনিবার সন্ধ্যায় লাভলু হোটেলে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ বলছে, দুপুরে হোটেলের কর্মচারীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারকে কেন্দ্র করে কয়েক যুবকের কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়।
৪ ঘণ্টা আগে