Ajker Patrika

সমালোচিত সেই ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এবার স্বাস্থ্যকর্মীকে লাঞ্ছনার অভিযোগ

সমালোচিত সেই ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এবার স্বাস্থ্যকর্মীকে লাঞ্ছনার অভিযোগ

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় সালিস বৈঠকে কিশোরীকে বিয়ে করে সমালোচিত হওয়া সেই ইউপি চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদারের বিরুদ্ধে এক স্বাস্থ্যকর্মীকে প্রকাশ্যে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বিচার চেয়ে ওই স্বাস্থ্যকর্মী রোববার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেছেন। 

স্বাস্থ্যকর্মীর নাম মো. আল আমিন শিকদার (৪২)। তিনি কনকদিয়া ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের স্বাস্থ্য সহকারী হিসেবে কর্মরত আছেন। গত শনিবার গণ টিকাদান কর্মসূচির সময় বেলা ১১টায় ওই ইউনিয়নের পরিষদ ভবনে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় প্রায় এক ঘণ্টা টিকাদান কর্মসূচি বন্ধ ছিল বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। 

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, শনিবার কনকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে করোনা প্রতিষেধক টিকার কার্যক্রম চলার সময় বেলা ১১টায় দিকে চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার আসেন। এ সময় চেয়ারম্যান স্বাস্থ্য সহকারী আল আমিন সিকদারকে তাঁর নির্দেশ অনুযায়ী টিকা কার্যক্রম পরিচালনা করতে বলেন। আল আমিন শিকদার তাঁর নির্দেশ পালন না করায় তাঁকে কিল ঘুষি মারেন। এর প্রতিবাদ করলে অপর এক সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক তাছলিমা বেগমকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। এ ঘটনার কারণে প্রায় এক ঘণ্টা টিকাদান কর্মসূচি বন্ধ ছিল। 

স্বাস্থ্য সহকারী আল আমিন শিকদার বলেন, ‘সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী রেজিস্ট্রেশন করে আমরা কনকদিয়া ইউনিয়নে ৬০০ জনকে করোনা ভ্যাকসিন দেব। এ জন্য সব আয়োজন সম্পন্ন করে কার্যক্রম শুরু করি। চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার বেলা ১১টার সময় এসে আমাদের বলেন যারা ভ্যাকসিন নিতে আসছে তাঁদের ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি রেখে ভ্যাকসিন দিয়ে দেন। আমি সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী রেজিস্ট্রেশনের কথা বললে তিনি আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি এবং লাথি মারেন। আমি অজ্ঞান হয়ে ফ্লোরে পড়ে যাই। একপর্যায়ে আমার সহকর্মীদের সেবায় আমি সুস্থ হয়ে উঠি। এরপর শুনি তাসলিমা আপাকেও (ইউনিয়ন সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক) গালাগালি করেছেন তিনি।’ 

সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক তাছলিমা বেগম বলেন, ‘চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার যে ভাষায় আমাকে গালাগাল করেছে তা মুখে শোভা পায় না।’ 

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রশান্ত কুমার সাহা বলেন, ‘আমার স্বাস্থ্য কর্মী আল আমিন শিকদার ভ্যাকসিন কার্যক্রম শেষ করে আমাকে ওই দিন রাতে ফোনে জানিয়েছেন। আমরা এ ব্যাপারে সরকারি বিধি অনুযায়ী আইনি ব্যবস্থা নিব।’ 
 
অভিযুক্ত চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার বলেন, ‘নিজেদের দোষ ঢাকার জন্য আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছে। যারা আইডি কার্ড নিয়ে আসবে তাঁরা টিকা পাবে। অথচ এখানে টিকা দিতে এসে স্বাস্থ্য কর্মীরা নিজেদের আত্মীয়স্বজনকে টিকা দিচ্ছে। ফলে বিশৃঙ্খলা দেখা দিলে আমি প্রতিবাদ করেছি। কাউকে মারধর কিংবা গালাগালি করার অভিযোগ সত্য না। স্বাস্থ্য সহকারী আল আমিন ও সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক তাছলিমা বেগম দুজনই বিএনপি করেন। তাঁরা আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করতেই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করেছেন। 

উল্লেখ যে, গত ২৫ জুন সালিস বৈঠকে এক কিশোরীকে জোড় পূর্বক বিয়ে করে সমালোচিত হন চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার। এর আগে তিনি সরকারি কর্মকর্তা, মুক্তিযোদ্ধা, ব্যবসায়ী, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পেশার মানুষকে মারধর করে ব্যাপক সমালোচিত হন। শাহিন হাওলাদার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কুয়েটে ক্লাস বর্জন নিয়ে শিক্ষক সমিতিতে মতবিরোধ, এক শিক্ষকের পদত্যাগ

এনবিআর বিলুপ্তির জেরে প্রায় অচল দেশের রাজস্ব কর্মকাণ্ড

দুটি নোবেলের গৌরব বোধ করতে পারে চবি: প্রধান উপদেষ্টা

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের প্রশ্নে যে প্রতিক্রিয়া জানাল যুক্তরাষ্ট্র

২ ম্যাচ খেলেই মোস্তাফিজ কীভাবে ৬ কোটি রুপি পাবেন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত