Ajker Patrika

মুলাদীতে ইউএনও ও শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা

মুলাদী (বরিশাল) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৫: ১২
মুলাদীতে ইউএনও ও শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা

বরিশালের মুলাদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। উপজেলার গাছুয়া ইউনিয়নে সৈয়দা শাহাজাদী বেগম নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আফরোজা বেগম বাদী হয়ে তাঁদের নামে বরিশাল সহকারী জজ আদালতে মামলা করেছেন। এদিকে ইউএনও বলছেন, তাঁদের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। 

গতকাল মঙ্গলবার আদালত থেকে ইউএনওর কাছে নোটিশ এলে কর্মকর্তারা মামলার বিষয়টি জানতে পারেন। বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা পর্ষদ (ম্যানেজিং কমিটি) গঠনের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে আবেদন করে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা না পাওয়ায় আদালতে মামলা করেছেন এমনটাই দাবি প্রধান শিক্ষকের। 

অন্যদিকে ইউএনও মো. নিজাম উদ্দিন জানান, নির্ধারিত সময়ে কমিটি করতে ব্যর্থ হয়ে প্রধান শিক্ষক পেছনের তারিখ (ব্যাক ডেট) দিয়ে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা চেয়ে আবেদন করায় এবং ওই সময় শিক্ষা বোর্ডর তদন্ত চলায় বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচনের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা দেওয়া হয়নি। প্রধান শিক্ষক নিজেকে বাঁচাতে আদালতে মিথ্যা মামলা করেছেন। 

নোটিশের বরাত দিয়ে ইউএনও জানান, গত ১১ আগস্ট প্রধান শিক্ষক আফরোজা বেগম বাদী হয়ে বরিশালের মুলাদী সহকারী জজ আদালত একটি মামলা করেছেন। তাঁকে ছাড়াও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং বিদ্যালয় পরিদর্শককে বিবাদী করা হয়েছে। 

প্রধান শিক্ষক আফরোজা বেগম জানান, ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ গত ৪ জুন শেষ হয়েছে। এর আগে তিনবার অ্যাডহক কমিটি গঠন হয়েছিল। বিধি অনুযায়ী নিয়মিত কমিটি গঠনের জন্য গত ৩১ মার্চ প্রিসাইডিং কর্মকর্তা নিয়োগের জন্য ইউএনওর কাছে আবেদন করা হয়। কিন্তু তিনি আবেদন আটকে রাখায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কমিটি গঠন সম্ভব হয়নি। বিদ্যালয়ের কোনো কমিটি না থাকায় ইউএনও, শিক্ষা কর্মকর্তা এবং শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হয়েছে। 

এদিকে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. মিলন বলেন, প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ে যান না। তিনি গোপনে ম্যানেজিং কমিটি করে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের হয়রানির চেষ্টা করছেন। কর্মকর্তাদের নামে মামলা করায় বিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কাজ ব্যাহত হচ্ছে। 

ইউএনও নিজাম উদ্দিন বলেন, বিদ্যালয়ের লোকেশন নিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে প্রধান শিক্ষকের দ্বন্দ্ব রয়েছে। প্রধান শিক্ষক গোপনে দুবার অ্যাডহক কমিটি গঠন করেছিলেন। গত জুন মাসে ব্যাক ডেট দিয়ে প্রধান শিক্ষক নিয়মিত কমিটি গঠনের জন্য প্রিসাইডিং কর্মকর্তা চেয়ে আবেদন করেছিলেন। বোর্ডের তদন্ত চলমান থাকায় প্রিসাইডিং কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়নি। প্রধান শিক্ষক হয়রানি করতে আদালতে মিথ্যা মামলা করেছেন। 

উল্লেখ্য, সৈয়দা শাহাজাদী নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়টি ১৯৭২ সালে সৈয়দেরগাঁও গ্রামে প্রতিষ্ঠিত হয়। নদীভাঙনের মুখে এবং শিক্ষার্থী কমে যাওয়ায় বিদ্যালয়টি কৃষ্ণপুর গ্রামে স্থানান্তরিত হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

চকরিয়া থানার ওসিকে প্রত্যাহারের নির্দেশ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার

এনসিপির কর্মীদের ঢাকায় আনতে সরকারের বাস রিকুইজিশন, সমালোচনার ঝড়

নয়াদিল্লিতে নতুন হাইকমিশনার রিয়াজ হামিদুল্লাহ, ৩ মাস সময় নিল ভারত

চাপে পড়ে ৫টি বাস রিকুইজিশন দিয়েছেন পিরোজপুরের ডিসি, সরকারের হস্তক্ষেপ নেই: প্রেস সচিব

রাতে স্বামীর জন্মদিন উদ্‌যাপন, সকালে নদীতে মিলল নববধূর লাশ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত