Ajker Patrika

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়: মধ্যরাতে ছাত্রলীগের সংঘর্ষের ঘটনায় ৪৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
আপডেট : ০৮ আগস্ট ২০২৩, ১৯: ৪০
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়: মধ্যরাতে ছাত্রলীগের সংঘর্ষের ঘটনায় ৪৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) গত শনিবার মধ্যরাতে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় ছাত্রলীগের ১৫ জনসহ অজ্ঞাত আরও ২৫ থেকে ৩০ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন মুয়ীদুর রহমান বাকি নামে এক ভুক্তভোগী। গতকাল সোমবার রাতে নগরীর বন্দর থানায় তিনি এ অভিযোগ দেন। 

বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ আর মুকুল অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ছাত্রদের এক পক্ষ একটি অভিযোগ এজাহার আকারে দিয়েছে। আরও এক পক্ষ দেবে। তবে এখনো অভিযোগের বিষয়ে পরিষ্কার হওয়া যায়নি।’ 

ছাত্রলীগের ১৫ জন হলেন আল মোবাশ্বীর রিদম, তানজিদ মঞ্জু, শরীফুল ইসলাম, মাহমুদুল হাসান তমাল, খালিদ হাসান রুমি, মো. ফাত্তাহুর রাফি, মো. শাওন, মো. রায়হান ইসলাম, ইব্রাহীম খলিল, রিয়াজ উদ্দিন মোল্লা, আল আমিন, আল সামাদ শান্ত, হাসিবুল হাসান শান্ত, সরোয়ার আহমেদ সাঈফ এবং রুহুল আমিন। এরা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ছাত্র এবং সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ অনুসারী ছাত্রলীগ কর্মী। 

মুয়ীদুর রহমান বাকি আজকের পত্রিকাকে জানান, তিনি সোমবার রাতেই এজাহার বন্দর থানায় পৌঁছে দিয়েছেন। কিন্তু মামলা নিতে বিলম্ব করছে পুলিশ। তাঁর দাবি, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয়জন ছাত্র হাসপাতালে ভর্তি আছেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত কাউকে খোঁজখবর নিতেও পাঠায়নি। এমনকি তদন্ত টিমও এখন পর্যন্ত কাজ শুরু করেনি।’ 

এদিকে আজ মঙ্গলবার আবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শেরে বাংলা হলের চারটি কক্ষ দখলের চেষ্টা করেছে ছাত্রলীগের কর্মীরা। এমন অভিযোগ করে মুয়ীদুর রহমান বাকি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রতিপক্ষ ছাত্রলীগ কর্মী রিদমের নেতৃত্বে হলে তাদের কক্ষগুলো দখলের চেষ্টা করেছে। বিকেল ৪টার দিকে শেরে বাংলা হলের ৪০১৮, ৪০২১, ৫০২০, ২০০৬ কক্ষ দখলের চেষ্টা করে ছাত্রলীগ কর্মী মোবাশ্বের রিদম, তমাল, তানজিদ মঞ্জুসহ একদল কর্মী। এতে হলের সাধারণ শিক্ষার্থীরা কক্ষ দখল চেষ্টার ঘটনায় আতঙ্কিত।’ 

তবে ছাত্রলীগ কর্মী মোবাশ্বের রিদম বলেন, ‘যাঁরা অভিযোগ করেছেন তাঁরাই তো বহিরাগত। তাহলে হলের সিট তাঁদের থাকে কী করে। ওই সব কক্ষ ভাঙচুর কিংবা দখলের কোনো ঘটনা ঘটেনি। তিনি আরও বলেন, থানায় যে অভিযোগ দিয়েছে তার কোনো ভিত্তি নেই।’ 

শেরে বাংলা হলের প্রভোস্ট আবু জাফর মিয়া বলেন, ‘ছাত্রলীগের কয়েকজন হলের কয়েকটি কক্ষ খুলে দেওয়ার জন্য তার কাছে এসেছিল। আমি তাদের আইনি জটিলতার কথা বুঝিয়ে বলেছি। পরে কী হয়েছে তা তাঁর জানা নেই।’ 

বিশ্ববিদ্যালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান হিসাববিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. হারুন অর রশিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি নির্দেশনা ছিল প্রতি মঙ্গলবার সব কার্যক্রম অনলাইনে হবে। যে কারণে আমরা অনলাইনে সভার আয়োজন করি। কিন্তু সদস্যরা উপস্থিত হতে না পারায় সভাটি করতে পারেনি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত