Ajker Patrika

ইভিএমের সঙ্গে মিলছে না এনআইডি, বিরক্ত হয়ে চলে যাচ্ছেন ভোটাররা

সাখাওয়াত ফাহাদ, বরিশাল থেকে
আপডেট : ১২ জুন ২০২৩, ১৪: ২৯
ইভিএমের সঙ্গে মিলছে না এনআইডি, বিরক্ত হয়ে চলে যাচ্ছেন ভোটাররা

এই প্রথমবারের মতো বরিশালে ইভিএম মেশিনে বড় কোনো নির্বাচন হচ্ছে। আগে থেকে প্রচার থাকলেও যন্ত্রটির সঙ্গে অভ্যস্ত নন ভোট গ্রহণে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং ভোটারেরা। পাশাপাশি অনেক ভোটারের তথ্য ইভিএমের সঙ্গে না মেলায় দীর্ঘক্ষণ কেন্দ্রে অপেক্ষা করে ভোট না দিয়েই ফিরে যেতে দেখা গেছে অনেক ভোটারকে।

আজ সোমবার দুপুরে নগরীর অক্সফোর্ড মিশন হাইস্কুল কেন্দ্রে এমন চিত্র দেখা গেছে। এই কেন্দ্রে মোট ২ হাজার ৭০২ জন নারী ভোটার রয়েছে। কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার জানিয়েছেন, দুপুর ১২টা পর্যন্ত ২৫ শতাংশ ভোট গৃহীত হয়েছে।

ভোট দিতে আসা বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আয়েশা ফেরদৌস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রায় ২০ মিনিট অপেক্ষা করতে হয়েছে।’  ইভিএমে ভোট দিতে সমস্যা হচ্ছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের সমস্যা হচ্ছে না কিন্তু যাঁরা একটু বয়স্ক এবং অল্পশিক্ষিত তাঁদের কিছুটা সমস্যা হচ্ছে।’ 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ষাটোর্ধ্ব এক নারী আজকের পত্রিকাকে জানান, তিনি ৯টায় কেন্দ্রে এসেছেন। দুই ঘণ্টার অপেক্ষার পর বেলা ১১টায় ভোট দিতে পেরেছেন। তাঁকে একাধিকবার কেন্দ্রের বিভিন্ন কক্ষে কর্মকর্তারা পাঠিয়েছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন। ব্যালটে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়াই সহজ বলে মনে করেন তিনি। এ ছাড়া ভোটকক্ষের সামনে ভোটারদের দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। প্রচণ্ড গরমে লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে অনেককেই বিরক্তি প্রকাশ করতে দেখা গেছে। 

স্থানীয় ভোটার স্বর্ণা রায় আজকের পত্রিকাকে অভিযোগ করে বলেন, ‘আমাকে কয়েকবার এখান থেকে ওইখানে, ওপর থেকে নিচে এমন করেছে। পুরা কেন্দ্র ঘুরেও আমার ভোট দিতে পারি নাই।’ 

ধীর গতি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে একটি কেন্দ্রের সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার হানিফ হাওলাদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অনেকেই এসে ঠিকমতো বাটনে চাপ দিতে পারছেন না। অনেকেরই ভোটার আইডি কার্ডের সঙ্গে মিলে নাই। অনেকের ফিঙ্গার পাচ্ছে না। অনেকের স্মার্ট কার্ড নিচ্ছে না। ইভিএমের তালিকা এবং ভোটারের মধ্যে না মিললে তো আমাদের কিছু করার নেই।’ 

কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার কাজী আমিনুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সিস্টেমটা আমাদের জন্য নতুন। আমাদের এখানে বেশির ভাগই নারী ভোটার এবং তাঁরা হাউস ওয়াইফ। বাসাবাড়িতে কাজের কারণে তাঁদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট কিছুটা অস্পষ্ট। তাই কয়েকবার করে ফিঙ্গার পাঞ্চ করতে হচ্ছে। এ ছাড়া বয়স্ক যাঁরা আছেন তাঁদের সিস্টেমটা বোঝাতে কিছুটা সময় লাগছে। তবে আশা করি বিকেলের মধ্যে যাঁরাই আসবেন তাঁদের সবার ভোট গ্রহণ করতে পারব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত