Ajker Patrika

গৌরনদীতে আওয়ামী লীগ-বিএনপির সংঘর্ষ আহত ১২

গৌরনদী (বরিশাল) প্রতিনিধি
আপডেট : ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৮: ১০
গৌরনদীতে আওয়ামী লীগ-বিএনপির সংঘর্ষ আহত ১২

চলাচলের রাস্তা বন্ধ করাকে কেন্দ্র করে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বার্থী এলাকায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছ। এতে তিনটি বসতঘর, একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুরসহ কমপক্ষে ১২ জন আহত হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। 

হামলা ও সংঘর্ষে বার্থী ইউনিয়ন ১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল আজিজ ফকির, ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য শাহজাহান ফকির, রিনা বেগম, মোসলেম ফকির, জুলেখা বেগম ও হামিদা বেগম ও আওয়ামী লীগ নেতা করিম লস্করের সমর্থক বার্থী ইউনিয়ন স্বেচ্ছসেবকলীগের সদস্য সালাম ফকির, ওয়ার্ড যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বক্তিয়ার পালোয়ান, ছাত্রলীগের ইউনিয়ন কমিটির সদস্য রিয়াজ সরদার, লিলি বেগম ও অজ্ঞাত দুজনসহ উভয় পক্ষের ১২ জন আহত হন। আহতদের গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানান, গৌরনদী উপজেলার বার্থী ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও বার্থী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী সদস্য মো. করিম লস্কর (৩৬) ও বার্থী ইউনিয়ন ১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল আজিজ ফকিরের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছিল। ইউপি সদস্য করিম লস্করের বাড়ির পাশের কাচা রাস্তা দিয়ে গ্রামের লোকজন চলাচল করত। ইউপি সদস্যর বড় ভাই আবদুল কাদের লস্কর (৪০) শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেয়। এর জের ধরে দুপুর ১টার দিকে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় করিম লস্করের সমর্থকেরা বিএনপি কর্মী আজিজ ফকির, শাহজাহান ফকির ও মোসলেম ফকিরের বসত ঘরে হামলা করে বসতঘর ভাঙচুর করে। গৌরনদী মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। 

বিএনপি নেতা আবদুল আজিজ ফকির অভিযোগ করে বলেন, কয়েক যুগ ধরে ওই রাস্তা ব্যবহার করে গ্রামবাসী যাতায়াত করে থাকে। সেই রাস্তা বন্ধ করার প্রতিবাদ করলে করিম লস্কর ও তাঁর সমর্থকেরা দফায় দফায় হামলা চালিয়ে বিএনপি নেতাদের বাড়ি ঘর ভাঙচুর করে এবং আমার ৮ জন স্বজনকে রক্তাক্ত জখম করেছে। 

এ অভিযোগ অস্বীকার করে করিম লস্কর বলেন, আমার ভাই পথ বন্ধ করেছে খবর পেয়ে আমি আমার স্ত্রীকে নিয়ে বেড়া ভেঙে যাতায়াতের ব্যবস্থা করতে যাই। এ সময় বিএনপি সমর্থকেরা আমার স্ত্রীর ওপর হামলা চালায়। পরে আমার বিক্ষুব্ধ সমর্থকেরা বিএনপির একটি বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর করেছে বলে শুনেছি। 

গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আফজাল হোসেন বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। এখনো কোন মামলা হয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত