Ajker Patrika

ভাঙা সেতু নিয়ে চরম ভোগান্তি এলাকাবাসী

আগৈলঝাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধি
আপডেট : ৩০ জানুয়ারি ২০২২, ১৪: ১৯
Thumbnail image

বরিশালের আগৈলঝাড়ায় ১৩ বছর আগে নির্মিত একটি সেতুর বেহালদশার কারণে ভোগান্তিতে পড়েছে শত শত শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী। এক যুগের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও জরাজীর্ণ সেতুটির সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। প্রতিদিন শত শত মানুষ ঝুঁকি নিয়ে সেতুটি দিয়ে পার হচ্ছে। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের আহুতিবাটরা গ্রামের হালদার বাড়িসংলগ্ন খালের ওপর ১৩ বছর পূর্বে এই সেতু নির্মাণ করা হয়। সেতুটি নির্মাণের পাঁচ-ছয় বছর পর থেকেই সেতুর নিচের লোহার ভিম মরিচা পড়ে খুলে গেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, সেতুটি নির্মাণের সময় অপরিকল্পিতভাবে নির্মাণ করা হয়েছিল। কারণ বাশাইল-আহুতি বাটরা সড়কের পাশে তিন ফুট উচ্চতায় এই সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। সেতুর গোড়ায় কোনো মাটি না দেওয়ার কারণে সেতুটি দিয়ে কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারে না। ফলে স্থানীয়দের কোনো কাজেই আসেনি সেতুটি। বরং শুধু হেঁটে এখানকার মানুষ চলাচল করতে হয়েছে। 

সেতুর বেশির ভাগ অংশ মরিচা পড়ে ধসে যাওয়ায় এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। যেকোনো মুহূর্তে এটি ধসে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। 

আহুতিবাটরা গ্রামের বাসিন্দা মঙ্গল চন্দ্র হালদার জানান, সেতুটি সংস্কারের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের তেমন কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি। 

ওই গ্রামের গোপাল হালদার বলেন, ‘আমাদের হালদার বাড়ির প্রায় ২৫টি পরিবারের কয়েক শ লোককে এই সেতুর ওপর দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। সেতুটি এমনভাবে নির্মাণ করা হয়েছে, এই এলাকার কোনো লোক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে কোনো গাড়িতে করে হাসপাতালে নেবে সেই ব্যবস্থা পর্যন্ত নেই। অথচ সেতুটি মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কোনো মাথাব্যথা নেই। কয়েক বছর যাবৎ শুনি সেতুটি মেরামত করা হবে, কিন্তু মেরামত কবে হবে তা কেউই বলতে পারে না।’

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী শিপলু কর্মকার বলেন, গুরুত্বপূর্ণ এই সেতুর অবস্থা খুবই বেহাল। সেতুটি সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত