মীর মহিবুল্লাহ, পটুয়াখালী
দেশের দ্বিতীয় বৃহৎ সমুদ্রসৈকত কুয়াকাটা। পটুয়াখালীর এই পর্যটনকেন্দ্র ঘিরে বিপুল সম্পদ গড়ে তুলেছেন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী-এমপি ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা। কুয়াকাটায় জমি আছে আওয়ামী লীগের সময় বিরোধী দলে থাকা জাতীয় পার্টির (জাপা) নেতাদেরও। আজকের পত্রিকার অনুসন্ধানে কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত এলাকায় অন্তত আটজন সাবেক এমপি-মন্ত্রীর জমির তথ্য মিলেছে।
কুয়াকাটায় বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় যাদের নামে সম্পদ থাকার তথ্য পাওয়া গেছে, তাঁরা হলেন সাবেক পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী, সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন ও তাঁর স্ত্রী খাজা নারগীছ হোসেন, সাবেক ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী মো. মহিব্বুর রহমানের, জাতীয় পার্টির সাবেক মহাসচিব ও সাবেক মন্ত্রী রুহুল আমিন হাওলাদার ও তাঁর স্ত্রী সাবেক এমপি নাসরিন জাহান রতনা, সাবেক এমপি রানা মো. সোহেল, সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মাহবুবুর রহমান তালুকদার ও সাবেক এমপি অভিনেতা ফেরদৌস। এ ছাড়া ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের সাবেক সহসভাপতি মুরসালিন আহমেদের জমি আছে সেখানে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, কুয়াকাটায় সাবেক পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর নিজ নামে ১ একর ৫০ শতাংশের বাণিজ্যিক প্লট রয়েছে। সরকারি হিসাব অনুযায়ী এই জমির বর্তমান মূল্য প্রায় ৬ কোটি টাকা, যদিও স্থানীয় হিসাবে জমির মূল্য ৩০ কোটি টাকার বেশি।
সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনের নামে ১৩ শতাংশ জমি আছে কুয়াকাটায়। সরকারি দামে এই জমির মূল্য প্রায় আড়াই কোটি টাকা। এ ছাড়া তাঁর স্ত্রীর নামে ২ একর ৮০ শতাংশ জমি রয়েছে সেখানে। এই জমির মূল্য সরকারি হিসেবে সাড়ে ১০ কোটি এবং স্থানীয় হিসেবে ৫৬ কোটি টাকারও বেশি।
সাবেক ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী মো. মহিব্বুর রহমানের নামে ৮০ শতাংশ জমি আছে কুয়াকাটায়। সরকারি হিসেবে এই জমির মূল্য প্রায় ৩ কোটি টাকা। তবে স্থানীয়দের হিসেবে তা ১৬ কোটি টাকারও বেশি।
জাতীয় পার্টির সাবেক মহাসচিব ও পটুয়াখালী-১ আসনের সাবেক এমপি রুহুল হাওলাদার তাঁর ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান কে আর ফ্যাশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে তিন খতিয়ানে যথাক্রমে ৬৪ শতাংশ, ১ একর ১০ শতাংশ ও ১৩ শতাংশ জমির মালিক। এ ছাড়া কুয়াকাটা হোটেল গ্রান্ড সি রিসোর্ট নামের একটি বিলাসবহুল হোটেলও রয়েছে তাঁর। রুহুল আমিন হাওলাদারের স্ত্রী বরিশাল-৬ আসনের সাবেক এমপি নাসরিন জাহান রতনার নামেও কুয়াকাটায় ৮০ শতাংশ বাণিজ্যিক জমি রয়েছে। এই জমির ওপর হানিমুন প্যালেস নামে একটি বিশাল মার্কেট করে ভাড়া দেওয়া হয়েছে।
নীলফামারী-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রানা মোহাম্মদ সোহেলের কুয়াকাটা মৌজায় ২ একর ৬৬ শতাংশ জমির তথ্য পাওয়া গেছে। সরকারি হিসেবে এই জমির মূল্য প্রায় ১০ কোটি টাকা। তবে স্থানীয় হিসাবে তা ৫৩ কোটি টাকারও বেশি।
সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মাহবুবুর রহমান তালুকদার, সাবেক এমপি অভিনেতা ফেরদৌস ও ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের সাবেক সহসভাপতি মুরসালিন আহমেদের কুয়াকাটায় জমি রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে একাধিক সূত্র।
কলাপাড়া সাবরেজিস্ট্রি অফিসের তথ্যমতে, ২০২৩-২৪ সালে কুয়াকাটা মৌজায় বাণিজ্যিক জমির হস্তান্তরের মূল্য নির্ধারিত ৩ লাখ ৩৭ হাজার ৮৩২ টাকা এবং আবাসিক জমির শতাংশ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ৪১ হাজার ৭৮৫ টাকা। তবে স্থানীয় হিসাব অনুযায়ী ওপরে ওই জমিগুলো গুরুত্বপূর্ণ স্থানে হওয়ায় প্রতি শতাংশ জমির সর্বনিম্ন মূল্য রয়েছে প্রায় ২০ লাখ টাকা।
এ বিষয়ে ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটার (টোয়াক) সভাপতি রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, ‘কুয়াকাটায় যারা জমি কিনে, সাধারণত বিনিয়োগকারী হিসাবেই কিনে। কিন্তু বিগত সরকারের আমলে সাবেক এমপি মন্ত্রী ও রাঘববোয়ালরা কুয়াকাটায় একরে জমি কিনেছে, তবে এসব জমির এক যুগ পার হলেও অনেকেই কোনো স্থাপনা নির্মাণ করেনি। আর এতেই বোঝা যায়, তাদের অবৈধ কালো টাকাকে লুকিয়ে রাখার জন্য পর্যটন এলাকার মতো মূল্যবান স্থানে জমি কিনে ফেলে রেখেছে।’
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) পটুয়াখালী জেলার আহ্বায়ক পিযুস কান্তি হরি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিগত সরকারের আমলে সব এমপি-মন্ত্রীরাই দুর্নীতিগ্রস্ত। আর তাদের দুর্নীতির প্রচুর পরিমাণে উদাহরণ হলো কুয়াকাটার মতো জায়গায় জমি কেনা। দুর্নীতি করার কারণেই যেখানে-সেখানে জমি কিনেছে।’
দেশের দ্বিতীয় বৃহৎ সমুদ্রসৈকত কুয়াকাটা। পটুয়াখালীর এই পর্যটনকেন্দ্র ঘিরে বিপুল সম্পদ গড়ে তুলেছেন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী-এমপি ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা। কুয়াকাটায় জমি আছে আওয়ামী লীগের সময় বিরোধী দলে থাকা জাতীয় পার্টির (জাপা) নেতাদেরও। আজকের পত্রিকার অনুসন্ধানে কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত এলাকায় অন্তত আটজন সাবেক এমপি-মন্ত্রীর জমির তথ্য মিলেছে।
কুয়াকাটায় বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় যাদের নামে সম্পদ থাকার তথ্য পাওয়া গেছে, তাঁরা হলেন সাবেক পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী, সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন ও তাঁর স্ত্রী খাজা নারগীছ হোসেন, সাবেক ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী মো. মহিব্বুর রহমানের, জাতীয় পার্টির সাবেক মহাসচিব ও সাবেক মন্ত্রী রুহুল আমিন হাওলাদার ও তাঁর স্ত্রী সাবেক এমপি নাসরিন জাহান রতনা, সাবেক এমপি রানা মো. সোহেল, সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মাহবুবুর রহমান তালুকদার ও সাবেক এমপি অভিনেতা ফেরদৌস। এ ছাড়া ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের সাবেক সহসভাপতি মুরসালিন আহমেদের জমি আছে সেখানে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, কুয়াকাটায় সাবেক পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর নিজ নামে ১ একর ৫০ শতাংশের বাণিজ্যিক প্লট রয়েছে। সরকারি হিসাব অনুযায়ী এই জমির বর্তমান মূল্য প্রায় ৬ কোটি টাকা, যদিও স্থানীয় হিসাবে জমির মূল্য ৩০ কোটি টাকার বেশি।
সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনের নামে ১৩ শতাংশ জমি আছে কুয়াকাটায়। সরকারি দামে এই জমির মূল্য প্রায় আড়াই কোটি টাকা। এ ছাড়া তাঁর স্ত্রীর নামে ২ একর ৮০ শতাংশ জমি রয়েছে সেখানে। এই জমির মূল্য সরকারি হিসেবে সাড়ে ১০ কোটি এবং স্থানীয় হিসেবে ৫৬ কোটি টাকারও বেশি।
সাবেক ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী মো. মহিব্বুর রহমানের নামে ৮০ শতাংশ জমি আছে কুয়াকাটায়। সরকারি হিসেবে এই জমির মূল্য প্রায় ৩ কোটি টাকা। তবে স্থানীয়দের হিসেবে তা ১৬ কোটি টাকারও বেশি।
জাতীয় পার্টির সাবেক মহাসচিব ও পটুয়াখালী-১ আসনের সাবেক এমপি রুহুল হাওলাদার তাঁর ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান কে আর ফ্যাশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে তিন খতিয়ানে যথাক্রমে ৬৪ শতাংশ, ১ একর ১০ শতাংশ ও ১৩ শতাংশ জমির মালিক। এ ছাড়া কুয়াকাটা হোটেল গ্রান্ড সি রিসোর্ট নামের একটি বিলাসবহুল হোটেলও রয়েছে তাঁর। রুহুল আমিন হাওলাদারের স্ত্রী বরিশাল-৬ আসনের সাবেক এমপি নাসরিন জাহান রতনার নামেও কুয়াকাটায় ৮০ শতাংশ বাণিজ্যিক জমি রয়েছে। এই জমির ওপর হানিমুন প্যালেস নামে একটি বিশাল মার্কেট করে ভাড়া দেওয়া হয়েছে।
নীলফামারী-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রানা মোহাম্মদ সোহেলের কুয়াকাটা মৌজায় ২ একর ৬৬ শতাংশ জমির তথ্য পাওয়া গেছে। সরকারি হিসেবে এই জমির মূল্য প্রায় ১০ কোটি টাকা। তবে স্থানীয় হিসাবে তা ৫৩ কোটি টাকারও বেশি।
সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মাহবুবুর রহমান তালুকদার, সাবেক এমপি অভিনেতা ফেরদৌস ও ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের সাবেক সহসভাপতি মুরসালিন আহমেদের কুয়াকাটায় জমি রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে একাধিক সূত্র।
কলাপাড়া সাবরেজিস্ট্রি অফিসের তথ্যমতে, ২০২৩-২৪ সালে কুয়াকাটা মৌজায় বাণিজ্যিক জমির হস্তান্তরের মূল্য নির্ধারিত ৩ লাখ ৩৭ হাজার ৮৩২ টাকা এবং আবাসিক জমির শতাংশ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ৪১ হাজার ৭৮৫ টাকা। তবে স্থানীয় হিসাব অনুযায়ী ওপরে ওই জমিগুলো গুরুত্বপূর্ণ স্থানে হওয়ায় প্রতি শতাংশ জমির সর্বনিম্ন মূল্য রয়েছে প্রায় ২০ লাখ টাকা।
এ বিষয়ে ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটার (টোয়াক) সভাপতি রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, ‘কুয়াকাটায় যারা জমি কিনে, সাধারণত বিনিয়োগকারী হিসাবেই কিনে। কিন্তু বিগত সরকারের আমলে সাবেক এমপি মন্ত্রী ও রাঘববোয়ালরা কুয়াকাটায় একরে জমি কিনেছে, তবে এসব জমির এক যুগ পার হলেও অনেকেই কোনো স্থাপনা নির্মাণ করেনি। আর এতেই বোঝা যায়, তাদের অবৈধ কালো টাকাকে লুকিয়ে রাখার জন্য পর্যটন এলাকার মতো মূল্যবান স্থানে জমি কিনে ফেলে রেখেছে।’
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) পটুয়াখালী জেলার আহ্বায়ক পিযুস কান্তি হরি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিগত সরকারের আমলে সব এমপি-মন্ত্রীরাই দুর্নীতিগ্রস্ত। আর তাদের দুর্নীতির প্রচুর পরিমাণে উদাহরণ হলো কুয়াকাটার মতো জায়গায় জমি কেনা। দুর্নীতি করার কারণেই যেখানে-সেখানে জমি কিনেছে।’
এক মাসের ব্যবধানে হত্যাকাণ্ড ও সহিংসতার ঘটনায় সাবেক সরকারসংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা বেড়েছে ৪ গুণের বেশি। আর আসামির সংখ্যা হয়েছে দ্বিগুণের বেশি। সরকার পতনের পর গত ডিসেম্বরে হত্যাকাণ্ড ও সহিংসতার ঘটনায় সাবেক সরকারসংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা ছিল ১৭টি। জানুয়ারিতে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭২টি।
৩ মিনিট আগেসৌদি আরবে সাইদুল গাজী ও মামুন হাওলাদার নামের দুই ভাইকে পাঁচ মাস আটকে রেখে দেড় লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে দালাল রুবেল হাওলাদার ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে। সৌদি আরবের জেলহাজত থেকে সাইদুল মুক্তি পেয়ে দেশে ফিরলেও অপর ভাই মামুন এখনো পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
৩ মিনিট আগেলক্ষ্মীপুরের রামগতিতে বিএনপির উঠান বৈঠকে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে বিশেষ অতিথি করায় ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে। ওই বৈঠকে কেন্দ্রীয় বিএনপির শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক ও লক্ষ্মীপুর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবিএম আশরাফ উদ্দিন নিজাম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
৭ মিনিট আগেবাংলাদেশের প্রথম নারী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান শামসুন্নাহার চৌধুরী আর নেই। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আড়াইটায় ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
১ ঘণ্টা আগে