মীর মহিবুল্লাহ, পটুয়াখালী

ছাত্রলীগের পরে যুবলীগের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও পেশা ছিল সিনেমা হলের ম্যানেজার। পরে হন এক স্কুলের শিক্ষক। আরও পরে আওয়ামী লীগ নেতা। চেয়েছিলেন মেয়র ও সংসদ সদস্য (এমপি) হতে। তবে তা না হতে পারলেও আওয়ামী লীগের সভাপতির পদ পেয়ে যান। আর এর ক্ষমতাবলে তিনি নিয়ন্ত্রণ করতেন পুরো জেলা। এমনকি জেলার পাঁচ এমপিও তাঁর অবাধ্য হলে বিপাকে পড়তেন। তিনি পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আলমগীর।
দলের নেতা ও স্থানীয়দের অভিযোগ, কাজী আলমগীরের নিজস্ব একটি বলয় ছিল। এর মাধ্যমে জেলাজুড়ে তাঁর নিয়ন্ত্রণে ছিল দখলদারি, চাঁদাবাজি এবং টেন্ডার, নিয়োগ ও সালিস-বাণিজ্যে। আর দলের পদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের মনোনয়ন-বাণিজ্যের মাধ্যমে বিপুল সম্পদ গড়েছেন তিনি। আর মতের অমিল হলেই জামায়াত-বিএনপির ট্যাগ লাগিয়ে হয়রানি করতেন প্রতিপক্ষকে; এমনকি দলীয় নেতা-কর্মীদেরও। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এসব নিয়ে মুখ খুলতে শুরু করেছেন দলীয় নেতা-কর্মী ও স্থানীয়রা।
টেন্ডার-বাণিজ্য
সরকারি দপ্তরগুলো ছিল কাজী আলমগীরের নিয়ন্ত্রণে। জেলার উন্নয়ন সমন্বয় সভাগুলোতে বিভিন্ন সময়ে কর্মকর্তাদের তুচ্ছতাচ্ছিল্য করতেন এবং নিজের গড়ে তোলা সিন্ডিকেট দিয়ে বাগিয়ে নিতেন ঠিকাদারি কাজ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রথম শ্রেণির এক কর্মকর্তা বলেন, ‘কাজী আলমগীর কাজের জন্য বিভিন্ন সময় ফোন করে সুপারিশ করতেন এবং তাঁর কাজটি করার জন্য প্রভাব বিস্তারও করতেন। আর কাজটি না হলেই ডিসি অফিসের সমন্বয় সভায় প্রকাশ্যে গালিগালাজ করতেন।’
বঞ্চিত ইজারাদার তৌফিক আলী খান কবির বলেন, ‘গত মে মাসে সড়ক বিভাগের অধীনে গলাচিপা ফেরিঘাট ইজারাদার হিসেবে সর্বোচ্চ দরদাতা আমি হই। তবে কাজী আলমগীর চাচায় তাঁর বাহিনী পাঠিয়ে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নিয়ে টাকার বিনিময়ে কার্যাদেশ অন্যকে পাইয়ে দেন। শুধু সড়ক ও জনপথ বিভাগই নয়, জেলার সব দপ্তর তাঁর বাহিনী দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করে টেন্ডার-বাণিজ্য চালাতেন।’
রেস্টরুম দখল করে অফিস
পৌর শহরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের গরুর বাঁধঘাট এলাকার বটতলা মোড়ে ছিল কাজী আলমগীরের ব্যক্তিগত কার্যালয়। জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় থাকলেও বসতেন না সেখানে। বটতলা মোড়ে পৌরসভার একটি পার্কের রেস্টরুম দখল করে সালিস-বাণিজ্য থেকে শুরু করে দলীয় সব কার্যক্রম পরিচালনা করতেন সেখান থেকে। ৫ আগস্টের পর কাজী আলমগীর গা ঢাকা দেওয়ায় পৌরসভা তাদের রেস্টরুমটি উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে পৌরসভার প্রশাসক মো. জুয়েল রানা বলেন, ‘আমার জানা মতে উনি (কাজী আলমগীর) পার্কের রুমটিতে বসতেন। ৫ আগস্টের পর এটির চাবি আনা হয়েছে; বর্তমানে আমাদের তত্ত্বাবধানে রয়েছে।’
স্বেচ্ছাসেবীকে মারধর
২০২১ সালে শহরের শিশুপার্ক এলাকার বাসিন্দা ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘পটুয়াখালীবাসী’র সভাপতি মাহমুদ হাসান রায়হানের বাড়ি নিয়ে বিরোধ চলছিল স্থানীয় এক বাসিন্দার সঙ্গে। কাজী আলমগীর অপরপক্ষের সুবিধা নিয়ে সালিসের মাধ্যমে রায়হানের ওপর প্রভাব খাটিয়ে জমি দখলের চেষ্টা করেন। না পেরে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের একটি কর্মসূচি ও রায়হানের ওপর হামলা করে পণ্ড করে দেওয়া হয়; যা তখন দেশজুড়ে ভাইরাল হয়।
স্বেচ্ছাসেবী মাহমুদ হাসান রায়হান বলেন, ‘কাজী আলমগীর শহরের বিভিন্ন জায়গা-জমির, এমনকি পারিবারিক সালিস টাকার মাধ্যমে করতেন তাঁর বটতলা অফিসে। তিনি প্রকাশ্যে সার্কিট হাউস মোড়ে বসে আমার গায়ে হাত দেন এবং আমাকে শিবির আখ্যা দিয়ে সামাজিকভাবে অপমান করেন। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি থাকায় কোনো মানুষ তাঁর অপরাধ এবং অপকর্ম নিয়ে কোনো প্রতিবাদ করতে পারেননি।’
দলীয় নেতা-কর্মীদের কোণঠাসা করে পদ-বাণিজ্য
জেলা যুবলীগের সাবেক সদস্য জুয়েল ইসলাম মিঠুন বলেন, ‘হুন্ডা ড্রাইভারের প্রেসক্রিপশনে চলত জেলা আওয়ামী লীগ। দলের ত্যাগী কর্মীদের কোণঠাসা করে নিজের সন্তান এবং স্বজনদের জন্য বিভিন্ন অফিসের ঠিকাদারি কাজের তদবির করত।’
সদর উপজেলা পরিষদের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউল করিম সোয়েব বলেন, ‘কাজী আলমগীর দলের দায়িত্বে আসার পর ত্যাগী নেতা-কর্মীদের কোণঠাসা করে বিপরীত দলের লোকজনকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। দলীয় পদ ও মনোনয়ন-বাণিজ্য করে আওয়ামী লীগ, শ্রমিক লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগকে নিষ্পেষিত করে শেষ করে দিয়েছেন।’
পটুয়াখালী জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. হাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমরা দল করেছি কিন্তু তিনি (কাজী আলমগীর) আমাদের দলের কাছেও ঘেঁষতে দেননি। দলের মধ্যে তাঁর কারণে আমরা ছিলাম স্বতন্ত্র। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে চেয়ারম্যান হয়েছি। তিনি সব সময় আমাদের বিরুদ্ধে কাজ করেছেন, পদ-পদবি থেকে বঞ্চিত করেছেন। তিনি খারাপ লোকদের নিয়ে চলায় এবং তাঁর অপকর্মের জন্য তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা আজ বিপদে পড়েছেন।’
যেভাবে উত্থান
সরকারি জুবলি উচ্চবিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী রবি বলেন, ‘আমি মুকুল সিনেমা হলে ৮০ সালের পর হইতে অনেক বছর চাকরি করছি। তয়, ৯০ সালের দিক কাজী আলমগীর আমাগো হলের ম্যানেজার আছিল। মালিকের লগে ভালো সম্পর্ক থাহায় উনি আইয়া যাইয়া সব দেহাশুনা করতো।’
২০১৭ সালের ১ নভেম্বর তৎকালীন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান খান মোশাররফ হোসেনের মৃত্যুর পর কাজী আলমগীর হন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক। ২০১৮ সালে দলের মনোনয়ন পেয়ে পৌরসভার মেয়র নির্বাচন করলেও হেরে যান তিনি। তবে ২০১৯ সালে জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সভাপতি নির্বাচিত হন। পরে পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসনে একাধিকবার দলের মনোনয়ন চেয়ে না পেলেও তাঁর সভা-সমাবেশে জেলার পাঁচ এমপি উপস্থিত থাকতেন। এ নিয়ে নিজেই দাম্ভিকতা করতেন কাজী আলমগীর।
২০২১ সালের ১২ অক্টোবর পটুয়াখালীতে এসেছিলেন তৎকালীন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী সৈয়দ তাজুল ইসলাম। তবে কাজী আলমগীরকে না জানিয়ে আসায় শিশু একাডেমিতে সুধী সমাবেশে সবার উপস্থিতিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আমার দলের নেতা আসছে আর আমি জানি না। আমি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, জেলার পাঁচটা এমপি থাকে আমার পকেটে।’ তাঁর এই বক্তব্য তখন ভাইরাল হয়।
একাধিক ফ্ল্যাট, বাড়ি
কাজী আলমগীরের গ্রামের বাড়ি জেলার দশমিনা উপজেলায়। তবে পটুয়াখালীর দক্ষিণ সবুজবাগে আবহাওয়া অফিসের পাশে একটি এবং পিটিআই সড়কে আরেকটি বাড়ি আছে তাঁর ও সন্তানদের নামে। এ ছাড়া ঢাকায়ও একাধিক ফ্ল্যাট রয়েছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

ছাত্রলীগের পরে যুবলীগের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও পেশা ছিল সিনেমা হলের ম্যানেজার। পরে হন এক স্কুলের শিক্ষক। আরও পরে আওয়ামী লীগ নেতা। চেয়েছিলেন মেয়র ও সংসদ সদস্য (এমপি) হতে। তবে তা না হতে পারলেও আওয়ামী লীগের সভাপতির পদ পেয়ে যান। আর এর ক্ষমতাবলে তিনি নিয়ন্ত্রণ করতেন পুরো জেলা। এমনকি জেলার পাঁচ এমপিও তাঁর অবাধ্য হলে বিপাকে পড়তেন। তিনি পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আলমগীর।
দলের নেতা ও স্থানীয়দের অভিযোগ, কাজী আলমগীরের নিজস্ব একটি বলয় ছিল। এর মাধ্যমে জেলাজুড়ে তাঁর নিয়ন্ত্রণে ছিল দখলদারি, চাঁদাবাজি এবং টেন্ডার, নিয়োগ ও সালিস-বাণিজ্যে। আর দলের পদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের মনোনয়ন-বাণিজ্যের মাধ্যমে বিপুল সম্পদ গড়েছেন তিনি। আর মতের অমিল হলেই জামায়াত-বিএনপির ট্যাগ লাগিয়ে হয়রানি করতেন প্রতিপক্ষকে; এমনকি দলীয় নেতা-কর্মীদেরও। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এসব নিয়ে মুখ খুলতে শুরু করেছেন দলীয় নেতা-কর্মী ও স্থানীয়রা।
টেন্ডার-বাণিজ্য
সরকারি দপ্তরগুলো ছিল কাজী আলমগীরের নিয়ন্ত্রণে। জেলার উন্নয়ন সমন্বয় সভাগুলোতে বিভিন্ন সময়ে কর্মকর্তাদের তুচ্ছতাচ্ছিল্য করতেন এবং নিজের গড়ে তোলা সিন্ডিকেট দিয়ে বাগিয়ে নিতেন ঠিকাদারি কাজ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রথম শ্রেণির এক কর্মকর্তা বলেন, ‘কাজী আলমগীর কাজের জন্য বিভিন্ন সময় ফোন করে সুপারিশ করতেন এবং তাঁর কাজটি করার জন্য প্রভাব বিস্তারও করতেন। আর কাজটি না হলেই ডিসি অফিসের সমন্বয় সভায় প্রকাশ্যে গালিগালাজ করতেন।’
বঞ্চিত ইজারাদার তৌফিক আলী খান কবির বলেন, ‘গত মে মাসে সড়ক বিভাগের অধীনে গলাচিপা ফেরিঘাট ইজারাদার হিসেবে সর্বোচ্চ দরদাতা আমি হই। তবে কাজী আলমগীর চাচায় তাঁর বাহিনী পাঠিয়ে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নিয়ে টাকার বিনিময়ে কার্যাদেশ অন্যকে পাইয়ে দেন। শুধু সড়ক ও জনপথ বিভাগই নয়, জেলার সব দপ্তর তাঁর বাহিনী দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করে টেন্ডার-বাণিজ্য চালাতেন।’
রেস্টরুম দখল করে অফিস
পৌর শহরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের গরুর বাঁধঘাট এলাকার বটতলা মোড়ে ছিল কাজী আলমগীরের ব্যক্তিগত কার্যালয়। জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় থাকলেও বসতেন না সেখানে। বটতলা মোড়ে পৌরসভার একটি পার্কের রেস্টরুম দখল করে সালিস-বাণিজ্য থেকে শুরু করে দলীয় সব কার্যক্রম পরিচালনা করতেন সেখান থেকে। ৫ আগস্টের পর কাজী আলমগীর গা ঢাকা দেওয়ায় পৌরসভা তাদের রেস্টরুমটি উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে পৌরসভার প্রশাসক মো. জুয়েল রানা বলেন, ‘আমার জানা মতে উনি (কাজী আলমগীর) পার্কের রুমটিতে বসতেন। ৫ আগস্টের পর এটির চাবি আনা হয়েছে; বর্তমানে আমাদের তত্ত্বাবধানে রয়েছে।’
স্বেচ্ছাসেবীকে মারধর
২০২১ সালে শহরের শিশুপার্ক এলাকার বাসিন্দা ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘পটুয়াখালীবাসী’র সভাপতি মাহমুদ হাসান রায়হানের বাড়ি নিয়ে বিরোধ চলছিল স্থানীয় এক বাসিন্দার সঙ্গে। কাজী আলমগীর অপরপক্ষের সুবিধা নিয়ে সালিসের মাধ্যমে রায়হানের ওপর প্রভাব খাটিয়ে জমি দখলের চেষ্টা করেন। না পেরে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের একটি কর্মসূচি ও রায়হানের ওপর হামলা করে পণ্ড করে দেওয়া হয়; যা তখন দেশজুড়ে ভাইরাল হয়।
স্বেচ্ছাসেবী মাহমুদ হাসান রায়হান বলেন, ‘কাজী আলমগীর শহরের বিভিন্ন জায়গা-জমির, এমনকি পারিবারিক সালিস টাকার মাধ্যমে করতেন তাঁর বটতলা অফিসে। তিনি প্রকাশ্যে সার্কিট হাউস মোড়ে বসে আমার গায়ে হাত দেন এবং আমাকে শিবির আখ্যা দিয়ে সামাজিকভাবে অপমান করেন। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি থাকায় কোনো মানুষ তাঁর অপরাধ এবং অপকর্ম নিয়ে কোনো প্রতিবাদ করতে পারেননি।’
দলীয় নেতা-কর্মীদের কোণঠাসা করে পদ-বাণিজ্য
জেলা যুবলীগের সাবেক সদস্য জুয়েল ইসলাম মিঠুন বলেন, ‘হুন্ডা ড্রাইভারের প্রেসক্রিপশনে চলত জেলা আওয়ামী লীগ। দলের ত্যাগী কর্মীদের কোণঠাসা করে নিজের সন্তান এবং স্বজনদের জন্য বিভিন্ন অফিসের ঠিকাদারি কাজের তদবির করত।’
সদর উপজেলা পরিষদের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউল করিম সোয়েব বলেন, ‘কাজী আলমগীর দলের দায়িত্বে আসার পর ত্যাগী নেতা-কর্মীদের কোণঠাসা করে বিপরীত দলের লোকজনকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। দলীয় পদ ও মনোনয়ন-বাণিজ্য করে আওয়ামী লীগ, শ্রমিক লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগকে নিষ্পেষিত করে শেষ করে দিয়েছেন।’
পটুয়াখালী জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. হাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমরা দল করেছি কিন্তু তিনি (কাজী আলমগীর) আমাদের দলের কাছেও ঘেঁষতে দেননি। দলের মধ্যে তাঁর কারণে আমরা ছিলাম স্বতন্ত্র। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে চেয়ারম্যান হয়েছি। তিনি সব সময় আমাদের বিরুদ্ধে কাজ করেছেন, পদ-পদবি থেকে বঞ্চিত করেছেন। তিনি খারাপ লোকদের নিয়ে চলায় এবং তাঁর অপকর্মের জন্য তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা আজ বিপদে পড়েছেন।’
যেভাবে উত্থান
সরকারি জুবলি উচ্চবিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী রবি বলেন, ‘আমি মুকুল সিনেমা হলে ৮০ সালের পর হইতে অনেক বছর চাকরি করছি। তয়, ৯০ সালের দিক কাজী আলমগীর আমাগো হলের ম্যানেজার আছিল। মালিকের লগে ভালো সম্পর্ক থাহায় উনি আইয়া যাইয়া সব দেহাশুনা করতো।’
২০১৭ সালের ১ নভেম্বর তৎকালীন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান খান মোশাররফ হোসেনের মৃত্যুর পর কাজী আলমগীর হন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক। ২০১৮ সালে দলের মনোনয়ন পেয়ে পৌরসভার মেয়র নির্বাচন করলেও হেরে যান তিনি। তবে ২০১৯ সালে জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সভাপতি নির্বাচিত হন। পরে পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসনে একাধিকবার দলের মনোনয়ন চেয়ে না পেলেও তাঁর সভা-সমাবেশে জেলার পাঁচ এমপি উপস্থিত থাকতেন। এ নিয়ে নিজেই দাম্ভিকতা করতেন কাজী আলমগীর।
২০২১ সালের ১২ অক্টোবর পটুয়াখালীতে এসেছিলেন তৎকালীন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী সৈয়দ তাজুল ইসলাম। তবে কাজী আলমগীরকে না জানিয়ে আসায় শিশু একাডেমিতে সুধী সমাবেশে সবার উপস্থিতিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আমার দলের নেতা আসছে আর আমি জানি না। আমি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, জেলার পাঁচটা এমপি থাকে আমার পকেটে।’ তাঁর এই বক্তব্য তখন ভাইরাল হয়।
একাধিক ফ্ল্যাট, বাড়ি
কাজী আলমগীরের গ্রামের বাড়ি জেলার দশমিনা উপজেলায়। তবে পটুয়াখালীর দক্ষিণ সবুজবাগে আবহাওয়া অফিসের পাশে একটি এবং পিটিআই সড়কে আরেকটি বাড়ি আছে তাঁর ও সন্তানদের নামে। এ ছাড়া ঢাকায়ও একাধিক ফ্ল্যাট রয়েছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
মীর মহিবুল্লাহ, পটুয়াখালী

ছাত্রলীগের পরে যুবলীগের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও পেশা ছিল সিনেমা হলের ম্যানেজার। পরে হন এক স্কুলের শিক্ষক। আরও পরে আওয়ামী লীগ নেতা। চেয়েছিলেন মেয়র ও সংসদ সদস্য (এমপি) হতে। তবে তা না হতে পারলেও আওয়ামী লীগের সভাপতির পদ পেয়ে যান। আর এর ক্ষমতাবলে তিনি নিয়ন্ত্রণ করতেন পুরো জেলা। এমনকি জেলার পাঁচ এমপিও তাঁর অবাধ্য হলে বিপাকে পড়তেন। তিনি পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আলমগীর।
দলের নেতা ও স্থানীয়দের অভিযোগ, কাজী আলমগীরের নিজস্ব একটি বলয় ছিল। এর মাধ্যমে জেলাজুড়ে তাঁর নিয়ন্ত্রণে ছিল দখলদারি, চাঁদাবাজি এবং টেন্ডার, নিয়োগ ও সালিস-বাণিজ্যে। আর দলের পদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের মনোনয়ন-বাণিজ্যের মাধ্যমে বিপুল সম্পদ গড়েছেন তিনি। আর মতের অমিল হলেই জামায়াত-বিএনপির ট্যাগ লাগিয়ে হয়রানি করতেন প্রতিপক্ষকে; এমনকি দলীয় নেতা-কর্মীদেরও। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এসব নিয়ে মুখ খুলতে শুরু করেছেন দলীয় নেতা-কর্মী ও স্থানীয়রা।
টেন্ডার-বাণিজ্য
সরকারি দপ্তরগুলো ছিল কাজী আলমগীরের নিয়ন্ত্রণে। জেলার উন্নয়ন সমন্বয় সভাগুলোতে বিভিন্ন সময়ে কর্মকর্তাদের তুচ্ছতাচ্ছিল্য করতেন এবং নিজের গড়ে তোলা সিন্ডিকেট দিয়ে বাগিয়ে নিতেন ঠিকাদারি কাজ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রথম শ্রেণির এক কর্মকর্তা বলেন, ‘কাজী আলমগীর কাজের জন্য বিভিন্ন সময় ফোন করে সুপারিশ করতেন এবং তাঁর কাজটি করার জন্য প্রভাব বিস্তারও করতেন। আর কাজটি না হলেই ডিসি অফিসের সমন্বয় সভায় প্রকাশ্যে গালিগালাজ করতেন।’
বঞ্চিত ইজারাদার তৌফিক আলী খান কবির বলেন, ‘গত মে মাসে সড়ক বিভাগের অধীনে গলাচিপা ফেরিঘাট ইজারাদার হিসেবে সর্বোচ্চ দরদাতা আমি হই। তবে কাজী আলমগীর চাচায় তাঁর বাহিনী পাঠিয়ে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নিয়ে টাকার বিনিময়ে কার্যাদেশ অন্যকে পাইয়ে দেন। শুধু সড়ক ও জনপথ বিভাগই নয়, জেলার সব দপ্তর তাঁর বাহিনী দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করে টেন্ডার-বাণিজ্য চালাতেন।’
রেস্টরুম দখল করে অফিস
পৌর শহরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের গরুর বাঁধঘাট এলাকার বটতলা মোড়ে ছিল কাজী আলমগীরের ব্যক্তিগত কার্যালয়। জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় থাকলেও বসতেন না সেখানে। বটতলা মোড়ে পৌরসভার একটি পার্কের রেস্টরুম দখল করে সালিস-বাণিজ্য থেকে শুরু করে দলীয় সব কার্যক্রম পরিচালনা করতেন সেখান থেকে। ৫ আগস্টের পর কাজী আলমগীর গা ঢাকা দেওয়ায় পৌরসভা তাদের রেস্টরুমটি উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে পৌরসভার প্রশাসক মো. জুয়েল রানা বলেন, ‘আমার জানা মতে উনি (কাজী আলমগীর) পার্কের রুমটিতে বসতেন। ৫ আগস্টের পর এটির চাবি আনা হয়েছে; বর্তমানে আমাদের তত্ত্বাবধানে রয়েছে।’
স্বেচ্ছাসেবীকে মারধর
২০২১ সালে শহরের শিশুপার্ক এলাকার বাসিন্দা ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘পটুয়াখালীবাসী’র সভাপতি মাহমুদ হাসান রায়হানের বাড়ি নিয়ে বিরোধ চলছিল স্থানীয় এক বাসিন্দার সঙ্গে। কাজী আলমগীর অপরপক্ষের সুবিধা নিয়ে সালিসের মাধ্যমে রায়হানের ওপর প্রভাব খাটিয়ে জমি দখলের চেষ্টা করেন। না পেরে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের একটি কর্মসূচি ও রায়হানের ওপর হামলা করে পণ্ড করে দেওয়া হয়; যা তখন দেশজুড়ে ভাইরাল হয়।
স্বেচ্ছাসেবী মাহমুদ হাসান রায়হান বলেন, ‘কাজী আলমগীর শহরের বিভিন্ন জায়গা-জমির, এমনকি পারিবারিক সালিস টাকার মাধ্যমে করতেন তাঁর বটতলা অফিসে। তিনি প্রকাশ্যে সার্কিট হাউস মোড়ে বসে আমার গায়ে হাত দেন এবং আমাকে শিবির আখ্যা দিয়ে সামাজিকভাবে অপমান করেন। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি থাকায় কোনো মানুষ তাঁর অপরাধ এবং অপকর্ম নিয়ে কোনো প্রতিবাদ করতে পারেননি।’
দলীয় নেতা-কর্মীদের কোণঠাসা করে পদ-বাণিজ্য
জেলা যুবলীগের সাবেক সদস্য জুয়েল ইসলাম মিঠুন বলেন, ‘হুন্ডা ড্রাইভারের প্রেসক্রিপশনে চলত জেলা আওয়ামী লীগ। দলের ত্যাগী কর্মীদের কোণঠাসা করে নিজের সন্তান এবং স্বজনদের জন্য বিভিন্ন অফিসের ঠিকাদারি কাজের তদবির করত।’
সদর উপজেলা পরিষদের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউল করিম সোয়েব বলেন, ‘কাজী আলমগীর দলের দায়িত্বে আসার পর ত্যাগী নেতা-কর্মীদের কোণঠাসা করে বিপরীত দলের লোকজনকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। দলীয় পদ ও মনোনয়ন-বাণিজ্য করে আওয়ামী লীগ, শ্রমিক লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগকে নিষ্পেষিত করে শেষ করে দিয়েছেন।’
পটুয়াখালী জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. হাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমরা দল করেছি কিন্তু তিনি (কাজী আলমগীর) আমাদের দলের কাছেও ঘেঁষতে দেননি। দলের মধ্যে তাঁর কারণে আমরা ছিলাম স্বতন্ত্র। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে চেয়ারম্যান হয়েছি। তিনি সব সময় আমাদের বিরুদ্ধে কাজ করেছেন, পদ-পদবি থেকে বঞ্চিত করেছেন। তিনি খারাপ লোকদের নিয়ে চলায় এবং তাঁর অপকর্মের জন্য তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা আজ বিপদে পড়েছেন।’
যেভাবে উত্থান
সরকারি জুবলি উচ্চবিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী রবি বলেন, ‘আমি মুকুল সিনেমা হলে ৮০ সালের পর হইতে অনেক বছর চাকরি করছি। তয়, ৯০ সালের দিক কাজী আলমগীর আমাগো হলের ম্যানেজার আছিল। মালিকের লগে ভালো সম্পর্ক থাহায় উনি আইয়া যাইয়া সব দেহাশুনা করতো।’
২০১৭ সালের ১ নভেম্বর তৎকালীন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান খান মোশাররফ হোসেনের মৃত্যুর পর কাজী আলমগীর হন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক। ২০১৮ সালে দলের মনোনয়ন পেয়ে পৌরসভার মেয়র নির্বাচন করলেও হেরে যান তিনি। তবে ২০১৯ সালে জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সভাপতি নির্বাচিত হন। পরে পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসনে একাধিকবার দলের মনোনয়ন চেয়ে না পেলেও তাঁর সভা-সমাবেশে জেলার পাঁচ এমপি উপস্থিত থাকতেন। এ নিয়ে নিজেই দাম্ভিকতা করতেন কাজী আলমগীর।
২০২১ সালের ১২ অক্টোবর পটুয়াখালীতে এসেছিলেন তৎকালীন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী সৈয়দ তাজুল ইসলাম। তবে কাজী আলমগীরকে না জানিয়ে আসায় শিশু একাডেমিতে সুধী সমাবেশে সবার উপস্থিতিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আমার দলের নেতা আসছে আর আমি জানি না। আমি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, জেলার পাঁচটা এমপি থাকে আমার পকেটে।’ তাঁর এই বক্তব্য তখন ভাইরাল হয়।
একাধিক ফ্ল্যাট, বাড়ি
কাজী আলমগীরের গ্রামের বাড়ি জেলার দশমিনা উপজেলায়। তবে পটুয়াখালীর দক্ষিণ সবুজবাগে আবহাওয়া অফিসের পাশে একটি এবং পিটিআই সড়কে আরেকটি বাড়ি আছে তাঁর ও সন্তানদের নামে। এ ছাড়া ঢাকায়ও একাধিক ফ্ল্যাট রয়েছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

ছাত্রলীগের পরে যুবলীগের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও পেশা ছিল সিনেমা হলের ম্যানেজার। পরে হন এক স্কুলের শিক্ষক। আরও পরে আওয়ামী লীগ নেতা। চেয়েছিলেন মেয়র ও সংসদ সদস্য (এমপি) হতে। তবে তা না হতে পারলেও আওয়ামী লীগের সভাপতির পদ পেয়ে যান। আর এর ক্ষমতাবলে তিনি নিয়ন্ত্রণ করতেন পুরো জেলা। এমনকি জেলার পাঁচ এমপিও তাঁর অবাধ্য হলে বিপাকে পড়তেন। তিনি পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আলমগীর।
দলের নেতা ও স্থানীয়দের অভিযোগ, কাজী আলমগীরের নিজস্ব একটি বলয় ছিল। এর মাধ্যমে জেলাজুড়ে তাঁর নিয়ন্ত্রণে ছিল দখলদারি, চাঁদাবাজি এবং টেন্ডার, নিয়োগ ও সালিস-বাণিজ্যে। আর দলের পদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের মনোনয়ন-বাণিজ্যের মাধ্যমে বিপুল সম্পদ গড়েছেন তিনি। আর মতের অমিল হলেই জামায়াত-বিএনপির ট্যাগ লাগিয়ে হয়রানি করতেন প্রতিপক্ষকে; এমনকি দলীয় নেতা-কর্মীদেরও। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এসব নিয়ে মুখ খুলতে শুরু করেছেন দলীয় নেতা-কর্মী ও স্থানীয়রা।
টেন্ডার-বাণিজ্য
সরকারি দপ্তরগুলো ছিল কাজী আলমগীরের নিয়ন্ত্রণে। জেলার উন্নয়ন সমন্বয় সভাগুলোতে বিভিন্ন সময়ে কর্মকর্তাদের তুচ্ছতাচ্ছিল্য করতেন এবং নিজের গড়ে তোলা সিন্ডিকেট দিয়ে বাগিয়ে নিতেন ঠিকাদারি কাজ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রথম শ্রেণির এক কর্মকর্তা বলেন, ‘কাজী আলমগীর কাজের জন্য বিভিন্ন সময় ফোন করে সুপারিশ করতেন এবং তাঁর কাজটি করার জন্য প্রভাব বিস্তারও করতেন। আর কাজটি না হলেই ডিসি অফিসের সমন্বয় সভায় প্রকাশ্যে গালিগালাজ করতেন।’
বঞ্চিত ইজারাদার তৌফিক আলী খান কবির বলেন, ‘গত মে মাসে সড়ক বিভাগের অধীনে গলাচিপা ফেরিঘাট ইজারাদার হিসেবে সর্বোচ্চ দরদাতা আমি হই। তবে কাজী আলমগীর চাচায় তাঁর বাহিনী পাঠিয়ে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নিয়ে টাকার বিনিময়ে কার্যাদেশ অন্যকে পাইয়ে দেন। শুধু সড়ক ও জনপথ বিভাগই নয়, জেলার সব দপ্তর তাঁর বাহিনী দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করে টেন্ডার-বাণিজ্য চালাতেন।’
রেস্টরুম দখল করে অফিস
পৌর শহরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের গরুর বাঁধঘাট এলাকার বটতলা মোড়ে ছিল কাজী আলমগীরের ব্যক্তিগত কার্যালয়। জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় থাকলেও বসতেন না সেখানে। বটতলা মোড়ে পৌরসভার একটি পার্কের রেস্টরুম দখল করে সালিস-বাণিজ্য থেকে শুরু করে দলীয় সব কার্যক্রম পরিচালনা করতেন সেখান থেকে। ৫ আগস্টের পর কাজী আলমগীর গা ঢাকা দেওয়ায় পৌরসভা তাদের রেস্টরুমটি উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে পৌরসভার প্রশাসক মো. জুয়েল রানা বলেন, ‘আমার জানা মতে উনি (কাজী আলমগীর) পার্কের রুমটিতে বসতেন। ৫ আগস্টের পর এটির চাবি আনা হয়েছে; বর্তমানে আমাদের তত্ত্বাবধানে রয়েছে।’
স্বেচ্ছাসেবীকে মারধর
২০২১ সালে শহরের শিশুপার্ক এলাকার বাসিন্দা ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘পটুয়াখালীবাসী’র সভাপতি মাহমুদ হাসান রায়হানের বাড়ি নিয়ে বিরোধ চলছিল স্থানীয় এক বাসিন্দার সঙ্গে। কাজী আলমগীর অপরপক্ষের সুবিধা নিয়ে সালিসের মাধ্যমে রায়হানের ওপর প্রভাব খাটিয়ে জমি দখলের চেষ্টা করেন। না পেরে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের একটি কর্মসূচি ও রায়হানের ওপর হামলা করে পণ্ড করে দেওয়া হয়; যা তখন দেশজুড়ে ভাইরাল হয়।
স্বেচ্ছাসেবী মাহমুদ হাসান রায়হান বলেন, ‘কাজী আলমগীর শহরের বিভিন্ন জায়গা-জমির, এমনকি পারিবারিক সালিস টাকার মাধ্যমে করতেন তাঁর বটতলা অফিসে। তিনি প্রকাশ্যে সার্কিট হাউস মোড়ে বসে আমার গায়ে হাত দেন এবং আমাকে শিবির আখ্যা দিয়ে সামাজিকভাবে অপমান করেন। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি থাকায় কোনো মানুষ তাঁর অপরাধ এবং অপকর্ম নিয়ে কোনো প্রতিবাদ করতে পারেননি।’
দলীয় নেতা-কর্মীদের কোণঠাসা করে পদ-বাণিজ্য
জেলা যুবলীগের সাবেক সদস্য জুয়েল ইসলাম মিঠুন বলেন, ‘হুন্ডা ড্রাইভারের প্রেসক্রিপশনে চলত জেলা আওয়ামী লীগ। দলের ত্যাগী কর্মীদের কোণঠাসা করে নিজের সন্তান এবং স্বজনদের জন্য বিভিন্ন অফিসের ঠিকাদারি কাজের তদবির করত।’
সদর উপজেলা পরিষদের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউল করিম সোয়েব বলেন, ‘কাজী আলমগীর দলের দায়িত্বে আসার পর ত্যাগী নেতা-কর্মীদের কোণঠাসা করে বিপরীত দলের লোকজনকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। দলীয় পদ ও মনোনয়ন-বাণিজ্য করে আওয়ামী লীগ, শ্রমিক লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগকে নিষ্পেষিত করে শেষ করে দিয়েছেন।’
পটুয়াখালী জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. হাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমরা দল করেছি কিন্তু তিনি (কাজী আলমগীর) আমাদের দলের কাছেও ঘেঁষতে দেননি। দলের মধ্যে তাঁর কারণে আমরা ছিলাম স্বতন্ত্র। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে চেয়ারম্যান হয়েছি। তিনি সব সময় আমাদের বিরুদ্ধে কাজ করেছেন, পদ-পদবি থেকে বঞ্চিত করেছেন। তিনি খারাপ লোকদের নিয়ে চলায় এবং তাঁর অপকর্মের জন্য তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা আজ বিপদে পড়েছেন।’
যেভাবে উত্থান
সরকারি জুবলি উচ্চবিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী রবি বলেন, ‘আমি মুকুল সিনেমা হলে ৮০ সালের পর হইতে অনেক বছর চাকরি করছি। তয়, ৯০ সালের দিক কাজী আলমগীর আমাগো হলের ম্যানেজার আছিল। মালিকের লগে ভালো সম্পর্ক থাহায় উনি আইয়া যাইয়া সব দেহাশুনা করতো।’
২০১৭ সালের ১ নভেম্বর তৎকালীন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান খান মোশাররফ হোসেনের মৃত্যুর পর কাজী আলমগীর হন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক। ২০১৮ সালে দলের মনোনয়ন পেয়ে পৌরসভার মেয়র নির্বাচন করলেও হেরে যান তিনি। তবে ২০১৯ সালে জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সভাপতি নির্বাচিত হন। পরে পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসনে একাধিকবার দলের মনোনয়ন চেয়ে না পেলেও তাঁর সভা-সমাবেশে জেলার পাঁচ এমপি উপস্থিত থাকতেন। এ নিয়ে নিজেই দাম্ভিকতা করতেন কাজী আলমগীর।
২০২১ সালের ১২ অক্টোবর পটুয়াখালীতে এসেছিলেন তৎকালীন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী সৈয়দ তাজুল ইসলাম। তবে কাজী আলমগীরকে না জানিয়ে আসায় শিশু একাডেমিতে সুধী সমাবেশে সবার উপস্থিতিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আমার দলের নেতা আসছে আর আমি জানি না। আমি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, জেলার পাঁচটা এমপি থাকে আমার পকেটে।’ তাঁর এই বক্তব্য তখন ভাইরাল হয়।
একাধিক ফ্ল্যাট, বাড়ি
কাজী আলমগীরের গ্রামের বাড়ি জেলার দশমিনা উপজেলায়। তবে পটুয়াখালীর দক্ষিণ সবুজবাগে আবহাওয়া অফিসের পাশে একটি এবং পিটিআই সড়কে আরেকটি বাড়ি আছে তাঁর ও সন্তানদের নামে। এ ছাড়া ঢাকায়ও একাধিক ফ্ল্যাট রয়েছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ীতে এক অপ্রাপ্তবয়স্ক ছাত্রীকে অপহরণ করে জোরপূর্বক বিয়ের চেষ্টা করার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টঙ্গিবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম।
৫ মিনিট আগে
পুলিশের ওপর হামলা করে হাতকড়াসহ পালিয়ে যাওয়া আওয়ামী লীগ নেতা রেজ্জাকুল ইসলাম রাজুকে গ্রেপ্তার করেছে বগুড়া র্যাব। বুধবার দিবাগত রাতে ঢাকার আশুলিয়া থানার নবীনগর এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। র্যাব-১২ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার ফিরোজ আহম্মেদ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১ ঘণ্টা আগে
ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে যেন প্রাণ ফিরে পেল ময়মনসিংহের নান্দাইল। পলো, জাল আর মাছ ধরার সরঞ্জাম হাতে নিয়ে বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) ভোরে হাজারো মানুষ জড়ো হলেন সদর ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী বলদা বিলের ধারে।
২ ঘণ্টা আগে
মাদ্রাসার চারতলার ছাদ থেকে একটি কাপড় বাইরে থাকা বিদ্যুতের তারের ওপর পড়ে গিয়েছিল। কাপড়টি আনার জন্য মাদ্রাসার আয়ার দায়িত্বে থাকা আলেয়া (৩০) জানালা দিয়ে একটি স্টিলের লম্বা পাইপ ব্যবহার করেন। পাইপটি বিদ্যুতের তারে লাগার সঙ্গে সঙ্গেই শক লেগে আলেয়ার শরীরে বিদ্যুতায়িত হয়।
২ ঘণ্টা আগেটঙ্গিবাড়ী (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি

মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ীতে এক অপ্রাপ্তবয়স্ক ছাত্রীকে অপহরণ করে জোরপূর্বক বিয়ের চেষ্টা করার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টঙ্গিবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলার ব্যাপারীকান্দি গ্রামের মো. উজ্জল হাসান (২২), টঙ্গিবাড়ী উপজেলার পাঁচগাঁও গ্রামের আতাউল হক ঢালীর ছেলে মো. সিয়াম ঢালী (২০) এবং একই উপজেলার হাসাইল গ্রামের আবুল দেওয়ানের ছেলে মো. ইসমাঈল হোসেন দেওয়ান (২০)।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকালে ওই তিন যুবক ওই ছাত্রীকে অপহরণ করে মুন্সিগঞ্জ সদর এলাকায় নিয়ে জোরপূর্বক বিয়ের চেষ্টা চালান। খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে বুধবার (২৯ অক্টোবর) মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করে। পরে বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের আদালতে পাঠানো হয়।

মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ীতে এক অপ্রাপ্তবয়স্ক ছাত্রীকে অপহরণ করে জোরপূর্বক বিয়ের চেষ্টা করার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টঙ্গিবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলার ব্যাপারীকান্দি গ্রামের মো. উজ্জল হাসান (২২), টঙ্গিবাড়ী উপজেলার পাঁচগাঁও গ্রামের আতাউল হক ঢালীর ছেলে মো. সিয়াম ঢালী (২০) এবং একই উপজেলার হাসাইল গ্রামের আবুল দেওয়ানের ছেলে মো. ইসমাঈল হোসেন দেওয়ান (২০)।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকালে ওই তিন যুবক ওই ছাত্রীকে অপহরণ করে মুন্সিগঞ্জ সদর এলাকায় নিয়ে জোরপূর্বক বিয়ের চেষ্টা চালান। খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে বুধবার (২৯ অক্টোবর) মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করে। পরে বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের আদালতে পাঠানো হয়।

ছাত্রলীগের পরে যুবলীগের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও পেশা ছিল সিনেমা হলের ম্যানেজার। পরে হন এক স্কুলের শিক্ষক। আরও পরে আওয়ামী লীগ নেতা। চেয়েছিলেন মেয়র ও সংসদ সদস্য (এমপি) হতে। তবে তা না হতে পারলেও আওয়ামী লীগের সভাপতির পদ পেয়ে যান। আর এর ক্ষমতাবলে তিনি নিয়ন্ত্রণ করতেন পুরো জেলা। এমনকি জেলার পাঁচ এমপিও তাঁর অবা
০৩ নভেম্বর ২০২৪
পুলিশের ওপর হামলা করে হাতকড়াসহ পালিয়ে যাওয়া আওয়ামী লীগ নেতা রেজ্জাকুল ইসলাম রাজুকে গ্রেপ্তার করেছে বগুড়া র্যাব। বুধবার দিবাগত রাতে ঢাকার আশুলিয়া থানার নবীনগর এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। র্যাব-১২ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার ফিরোজ আহম্মেদ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১ ঘণ্টা আগে
ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে যেন প্রাণ ফিরে পেল ময়মনসিংহের নান্দাইল। পলো, জাল আর মাছ ধরার সরঞ্জাম হাতে নিয়ে বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) ভোরে হাজারো মানুষ জড়ো হলেন সদর ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী বলদা বিলের ধারে।
২ ঘণ্টা আগে
মাদ্রাসার চারতলার ছাদ থেকে একটি কাপড় বাইরে থাকা বিদ্যুতের তারের ওপর পড়ে গিয়েছিল। কাপড়টি আনার জন্য মাদ্রাসার আয়ার দায়িত্বে থাকা আলেয়া (৩০) জানালা দিয়ে একটি স্টিলের লম্বা পাইপ ব্যবহার করেন। পাইপটি বিদ্যুতের তারে লাগার সঙ্গে সঙ্গেই শক লেগে আলেয়ার শরীরে বিদ্যুতায়িত হয়।
২ ঘণ্টা আগেবগুড়া প্রতিনিধি

পুলিশের ওপর হামলা করে হাতকড়াসহ পালিয়ে যাওয়া আওয়ামী লীগ নেতা রেজ্জাকুল ইসলাম রাজুকে গ্রেপ্তার করেছে বগুড়া র্যাব। বুধবার দিবাগত রাতে ঢাকার আশুলিয়া থানার নবীনগর এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। র্যাব-১২ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার ফিরোজ আহম্মেদ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তার রাজু শিবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান। তাঁর নামে একাধিক মামলা রয়েছে।
জানা গেছে, ৪ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭টার দিকে শিবগঞ্জ উপজেলার চক ভোলাখাঁ গ্রামে তাঁর মামাতো ভাইয়ের বিবাহোত্তর অনুষ্ঠানে যোগ দেন রাজু। এই খবর পেয়ে শিবগঞ্জ থানা-পুলিশ তাঁকে আটক করে হাতকড়া পড়ায়। এ সময় রাজুর চিৎকার শুনে এলাকাবাসী পুলিশের ওপর হামলা করে রাজুকে হাতকড়াসহ ছিনিয়ে নেয়। এই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে রাজুকে প্রধান আসামি করে দুই শতাধিক নারী-পুরুষের বিরুদ্ধে মামলা করে।
পুলিশ রাজুকে গ্রেপ্তার করতে না পারলেও ওই গ্রামের ১১ নারী এবং ১০ জন পুরুষকে গ্রেপ্তার করে। রাজু দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার রাতে ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। বৃহস্পতিবার রাজুকে শিবগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

পুলিশের ওপর হামলা করে হাতকড়াসহ পালিয়ে যাওয়া আওয়ামী লীগ নেতা রেজ্জাকুল ইসলাম রাজুকে গ্রেপ্তার করেছে বগুড়া র্যাব। বুধবার দিবাগত রাতে ঢাকার আশুলিয়া থানার নবীনগর এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। র্যাব-১২ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার ফিরোজ আহম্মেদ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তার রাজু শিবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান। তাঁর নামে একাধিক মামলা রয়েছে।
জানা গেছে, ৪ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭টার দিকে শিবগঞ্জ উপজেলার চক ভোলাখাঁ গ্রামে তাঁর মামাতো ভাইয়ের বিবাহোত্তর অনুষ্ঠানে যোগ দেন রাজু। এই খবর পেয়ে শিবগঞ্জ থানা-পুলিশ তাঁকে আটক করে হাতকড়া পড়ায়। এ সময় রাজুর চিৎকার শুনে এলাকাবাসী পুলিশের ওপর হামলা করে রাজুকে হাতকড়াসহ ছিনিয়ে নেয়। এই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে রাজুকে প্রধান আসামি করে দুই শতাধিক নারী-পুরুষের বিরুদ্ধে মামলা করে।
পুলিশ রাজুকে গ্রেপ্তার করতে না পারলেও ওই গ্রামের ১১ নারী এবং ১০ জন পুরুষকে গ্রেপ্তার করে। রাজু দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার রাতে ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। বৃহস্পতিবার রাজুকে শিবগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

ছাত্রলীগের পরে যুবলীগের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও পেশা ছিল সিনেমা হলের ম্যানেজার। পরে হন এক স্কুলের শিক্ষক। আরও পরে আওয়ামী লীগ নেতা। চেয়েছিলেন মেয়র ও সংসদ সদস্য (এমপি) হতে। তবে তা না হতে পারলেও আওয়ামী লীগের সভাপতির পদ পেয়ে যান। আর এর ক্ষমতাবলে তিনি নিয়ন্ত্রণ করতেন পুরো জেলা। এমনকি জেলার পাঁচ এমপিও তাঁর অবা
০৩ নভেম্বর ২০২৪
মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ীতে এক অপ্রাপ্তবয়স্ক ছাত্রীকে অপহরণ করে জোরপূর্বক বিয়ের চেষ্টা করার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টঙ্গিবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম।
৬ মিনিট আগে
ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে যেন প্রাণ ফিরে পেল ময়মনসিংহের নান্দাইল। পলো, জাল আর মাছ ধরার সরঞ্জাম হাতে নিয়ে বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) ভোরে হাজারো মানুষ জড়ো হলেন সদর ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী বলদা বিলের ধারে।
২ ঘণ্টা আগে
মাদ্রাসার চারতলার ছাদ থেকে একটি কাপড় বাইরে থাকা বিদ্যুতের তারের ওপর পড়ে গিয়েছিল। কাপড়টি আনার জন্য মাদ্রাসার আয়ার দায়িত্বে থাকা আলেয়া (৩০) জানালা দিয়ে একটি স্টিলের লম্বা পাইপ ব্যবহার করেন। পাইপটি বিদ্যুতের তারে লাগার সঙ্গে সঙ্গেই শক লেগে আলেয়ার শরীরে বিদ্যুতায়িত হয়।
২ ঘণ্টা আগেনান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে যেন প্রাণ ফিরে পেল ময়মনসিংহের নান্দাইল। পলো, জাল আর মাছ ধরার সরঞ্জাম হাতে নিয়ে বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) ভোরে হাজারো মানুষ জড়ো হলেন সদর ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী বলদা বিলের ধারে।

গ্রামীণ জীবনের শত বছরের আনন্দ-ঐতিহ্যকে ধারণ করে প্রতিবছরের মতো এবারও বলদা বিলে শুরু হলো ‘হাইত উৎসব’—শৌখিন মৎস্যশিকারিদের এই মিলনমেলা পরিণত হলো এক গণ-উৎসবে।
প্রতিবছর আশ্বিনের শেষে বা কার্তিক মাসের মধ্যে যখন বলদা বিলের খালবিল ও জলাশয়গুলোর পানি কমে হাঁটু বা কোমরসমান হয়, তখনই এলাকার মানুষ দিনক্ষণ ঠিক করে এই হাইত উৎসবের আয়োজন করে থাকে। উৎসবের দিনক্ষণ এক সপ্তাহ আগে থেকে এলাকায় এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকেও ব্যাপকভাবে প্রচার করা হয়।
আয়োজনের খবর পেয়ে মাছশিকারিরা বুধবার রাতেই বলদা বিলের আশপাশের আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে অবস্থান নেন। বৃহস্পতিবার ফজরের নামাজের পর থেকে হাজার হাজার শৌখিন মাছশিকারি তাঁদের পলো, ঠেলা জাল, খড়াজাল, ডুবা ফাঁদ, চাঁইসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম নিয়ে মাছ ধরার এই আনন্দ আয়োজনে অংশ নেন।
বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, মাছশিকারিরা হইহুল্লোড় করতে করতে বিলে নেমে পড়েছেন। বিলের দুই পাশে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা নারী-পুরুষের ভিড়। আশপাশের উপজেলা, যেমন ঈশ্বরগঞ্জ, তাড়াইল, হোসেনপুর, কেন্দুয়া থেকেও মাছশিকারিরা এতে অংশ নেন। তবে এ বছর আগেই নিষিদ্ধ কারেন্ট ও নেট জাল দিয়ে মাছ নিধন করায় মাছশিকারিরা বেশি মাছ শিকার করতে পারেননি।
তাই মাছশিকারিদের মধ্যে কিছুটা আক্ষেপ লক্ষ করা গেছে। পার্শ্ববর্তী ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা রাকিবুল হাসান শুভ বলেন, ‘হাইত উৎসবে মাছ শিকার করতে এসে তেমন মাছ পাইনি। তবে সবার সঙ্গে বিলে এসে মাছ ধরার আনন্দ উপভোগ করেছি।’
মোয়াজ্জেমপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. বিল্লাল মিয়া বলেন, আগের মতো হাইত উৎসবের সেই জৌলুশ নেই। বর্তমানে কিছু কিছু অঞ্চলে গ্রামীণ ঐতিহ্য ধরে রাখতে গ্রামের মুরব্বিরা এই আয়োজন করেন, কিন্তু মাছশিকারিরা তেমন মাছ শিকার করতে পারেননি।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. রিয়াজ উদ্দিন বলেন, ‘প্রায় ১০০ বছর ধরে আমাদের বাপ-দাদারা বলদা বিলে অত্যন্ত সুন্দর পরিবেশে হাইত উৎসবের আয়োজন করে আসছে। তবে এ বছর নিষিদ্ধ কারেন্ট ও নেট জাল দিয়ে মাছ নিধন করায় মাছশিকারিরা প্রত্যাশা অনুযায়ী মাছ শিকার করতে পারেননি।’
বেলা ১১টা পর্যন্ত চলে এই মাছ শিকারের আয়োজন। মাছ কম মিললেও শত বছরের ঐতিহ্যবাহী এই মিলনমেলা গ্রামীণ মানুষের জীবনে অন্যরকম আনন্দ এনে দিয়েছে।

ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে যেন প্রাণ ফিরে পেল ময়মনসিংহের নান্দাইল। পলো, জাল আর মাছ ধরার সরঞ্জাম হাতে নিয়ে বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) ভোরে হাজারো মানুষ জড়ো হলেন সদর ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী বলদা বিলের ধারে।

গ্রামীণ জীবনের শত বছরের আনন্দ-ঐতিহ্যকে ধারণ করে প্রতিবছরের মতো এবারও বলদা বিলে শুরু হলো ‘হাইত উৎসব’—শৌখিন মৎস্যশিকারিদের এই মিলনমেলা পরিণত হলো এক গণ-উৎসবে।
প্রতিবছর আশ্বিনের শেষে বা কার্তিক মাসের মধ্যে যখন বলদা বিলের খালবিল ও জলাশয়গুলোর পানি কমে হাঁটু বা কোমরসমান হয়, তখনই এলাকার মানুষ দিনক্ষণ ঠিক করে এই হাইত উৎসবের আয়োজন করে থাকে। উৎসবের দিনক্ষণ এক সপ্তাহ আগে থেকে এলাকায় এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকেও ব্যাপকভাবে প্রচার করা হয়।
আয়োজনের খবর পেয়ে মাছশিকারিরা বুধবার রাতেই বলদা বিলের আশপাশের আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে অবস্থান নেন। বৃহস্পতিবার ফজরের নামাজের পর থেকে হাজার হাজার শৌখিন মাছশিকারি তাঁদের পলো, ঠেলা জাল, খড়াজাল, ডুবা ফাঁদ, চাঁইসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম নিয়ে মাছ ধরার এই আনন্দ আয়োজনে অংশ নেন।
বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, মাছশিকারিরা হইহুল্লোড় করতে করতে বিলে নেমে পড়েছেন। বিলের দুই পাশে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা নারী-পুরুষের ভিড়। আশপাশের উপজেলা, যেমন ঈশ্বরগঞ্জ, তাড়াইল, হোসেনপুর, কেন্দুয়া থেকেও মাছশিকারিরা এতে অংশ নেন। তবে এ বছর আগেই নিষিদ্ধ কারেন্ট ও নেট জাল দিয়ে মাছ নিধন করায় মাছশিকারিরা বেশি মাছ শিকার করতে পারেননি।
তাই মাছশিকারিদের মধ্যে কিছুটা আক্ষেপ লক্ষ করা গেছে। পার্শ্ববর্তী ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা রাকিবুল হাসান শুভ বলেন, ‘হাইত উৎসবে মাছ শিকার করতে এসে তেমন মাছ পাইনি। তবে সবার সঙ্গে বিলে এসে মাছ ধরার আনন্দ উপভোগ করেছি।’
মোয়াজ্জেমপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. বিল্লাল মিয়া বলেন, আগের মতো হাইত উৎসবের সেই জৌলুশ নেই। বর্তমানে কিছু কিছু অঞ্চলে গ্রামীণ ঐতিহ্য ধরে রাখতে গ্রামের মুরব্বিরা এই আয়োজন করেন, কিন্তু মাছশিকারিরা তেমন মাছ শিকার করতে পারেননি।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. রিয়াজ উদ্দিন বলেন, ‘প্রায় ১০০ বছর ধরে আমাদের বাপ-দাদারা বলদা বিলে অত্যন্ত সুন্দর পরিবেশে হাইত উৎসবের আয়োজন করে আসছে। তবে এ বছর নিষিদ্ধ কারেন্ট ও নেট জাল দিয়ে মাছ নিধন করায় মাছশিকারিরা প্রত্যাশা অনুযায়ী মাছ শিকার করতে পারেননি।’
বেলা ১১টা পর্যন্ত চলে এই মাছ শিকারের আয়োজন। মাছ কম মিললেও শত বছরের ঐতিহ্যবাহী এই মিলনমেলা গ্রামীণ মানুষের জীবনে অন্যরকম আনন্দ এনে দিয়েছে।

ছাত্রলীগের পরে যুবলীগের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও পেশা ছিল সিনেমা হলের ম্যানেজার। পরে হন এক স্কুলের শিক্ষক। আরও পরে আওয়ামী লীগ নেতা। চেয়েছিলেন মেয়র ও সংসদ সদস্য (এমপি) হতে। তবে তা না হতে পারলেও আওয়ামী লীগের সভাপতির পদ পেয়ে যান। আর এর ক্ষমতাবলে তিনি নিয়ন্ত্রণ করতেন পুরো জেলা। এমনকি জেলার পাঁচ এমপিও তাঁর অবা
০৩ নভেম্বর ২০২৪
মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ীতে এক অপ্রাপ্তবয়স্ক ছাত্রীকে অপহরণ করে জোরপূর্বক বিয়ের চেষ্টা করার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টঙ্গিবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম।
৬ মিনিট আগে
পুলিশের ওপর হামলা করে হাতকড়াসহ পালিয়ে যাওয়া আওয়ামী লীগ নেতা রেজ্জাকুল ইসলাম রাজুকে গ্রেপ্তার করেছে বগুড়া র্যাব। বুধবার দিবাগত রাতে ঢাকার আশুলিয়া থানার নবীনগর এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। র্যাব-১২ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার ফিরোজ আহম্মেদ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১ ঘণ্টা আগে
মাদ্রাসার চারতলার ছাদ থেকে একটি কাপড় বাইরে থাকা বিদ্যুতের তারের ওপর পড়ে গিয়েছিল। কাপড়টি আনার জন্য মাদ্রাসার আয়ার দায়িত্বে থাকা আলেয়া (৩০) জানালা দিয়ে একটি স্টিলের লম্বা পাইপ ব্যবহার করেন। পাইপটি বিদ্যুতের তারে লাগার সঙ্গে সঙ্গেই শক লেগে আলেয়ার শরীরে বিদ্যুতায়িত হয়।
২ ঘণ্টা আগেব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাদ থেকে নিচে পড়ে যাওয়া কাপড় আনতে গিয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে একটি মহিলা মাদ্রাসার সাত শিক্ষার্থী ও একজন আয়া। জানালা দিয়ে বিদ্যুতের লাইনে স্পর্শ লেগে তারা আহত হয়। আহত আটজনের মধ্যে ছয়জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বুধবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ভাদুঘর এলাকায় দারুন নাজাত মহিলা মাদ্রাসায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের সূত্রে জানা যায়, মাদ্রাসার চারতলার ছাদ থেকে একটি কাপড় বাইরে থাকা বিদ্যুতের তারের ওপর পড়ে গিয়েছিল। কাপড়টি আনার জন্য মাদ্রাসার আয়ার দায়িত্বে থাকা আলেয়া (৩০) জানালা দিয়ে একটি স্টিলের লম্বা পাইপ ব্যবহার করেন। পাইপটি বিদ্যুতের তারে লাগার সঙ্গে সঙ্গেই শক লেগে আলেয়ার শরীরে বিদ্যুতায়িত হয়। বিদ্যুতের তার থেকে সৃষ্ট আগুন বাষ্পীয় হয়ে দ্রুত রুমের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে এবং কাছাকাছি থাকা ছাত্রীদের শরীরে লাগে।
আহত শিক্ষার্থীরা হলো নবীনগর উপজেলার তালগাটি গ্রামের নুরুল হকের মেয়ে নুসরাত (১০), সিরাজগঞ্জ জেলার আবু সাইদের মেয়ে সাদিয়া খাতুন (৬), ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সাদেকপুর গ্রামের মজনু মিয়ার মেয়ে রওজা আক্তার (১২), ভাদুঘর গ্রামের কবির হোসেনের মেয়ে নুসরাত (১০), একই এলাকার কাবির মিয়ার মেয়ে জান্নাতুল মাওয়া (৮), কসবা উপজেলার শিমরাইল গ্রামের আনোয়ার হোসেনের মেয়ে উম্মে তাইসান (০৫) এবং মাদ্রাসার আয়ার দায়িত্বে থাকা ভাদুঘর এলাকার তুফাজ্জল হোসেনের স্ত্রী আলেয়া (৩০)।
দারুন নাজাত মহিলা মাদ্রাসার কারি মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেন, ‘আমরা আহত শিক্ষার্থীদের সদর হাসপাতালের নিয়ে এসেছি। ছয়জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পাঠাচ্ছি। বাকি দুজনকেও ঢাকা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর জেনারেল হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডের সিনিয়র স্টাফ নার্স হাসিম খান বলেন, ‘মাদ্রাসার আট ছাত্রী ভর্তি হয়েছে। তারা সবাই বার্নের পেশেন্ট। এর মধ্যে ছয়জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদেরকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আর দুজন সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছে।
এই ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, ‘খবর নিচ্ছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।’

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাদ থেকে নিচে পড়ে যাওয়া কাপড় আনতে গিয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে একটি মহিলা মাদ্রাসার সাত শিক্ষার্থী ও একজন আয়া। জানালা দিয়ে বিদ্যুতের লাইনে স্পর্শ লেগে তারা আহত হয়। আহত আটজনের মধ্যে ছয়জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বুধবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ভাদুঘর এলাকায় দারুন নাজাত মহিলা মাদ্রাসায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের সূত্রে জানা যায়, মাদ্রাসার চারতলার ছাদ থেকে একটি কাপড় বাইরে থাকা বিদ্যুতের তারের ওপর পড়ে গিয়েছিল। কাপড়টি আনার জন্য মাদ্রাসার আয়ার দায়িত্বে থাকা আলেয়া (৩০) জানালা দিয়ে একটি স্টিলের লম্বা পাইপ ব্যবহার করেন। পাইপটি বিদ্যুতের তারে লাগার সঙ্গে সঙ্গেই শক লেগে আলেয়ার শরীরে বিদ্যুতায়িত হয়। বিদ্যুতের তার থেকে সৃষ্ট আগুন বাষ্পীয় হয়ে দ্রুত রুমের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে এবং কাছাকাছি থাকা ছাত্রীদের শরীরে লাগে।
আহত শিক্ষার্থীরা হলো নবীনগর উপজেলার তালগাটি গ্রামের নুরুল হকের মেয়ে নুসরাত (১০), সিরাজগঞ্জ জেলার আবু সাইদের মেয়ে সাদিয়া খাতুন (৬), ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সাদেকপুর গ্রামের মজনু মিয়ার মেয়ে রওজা আক্তার (১২), ভাদুঘর গ্রামের কবির হোসেনের মেয়ে নুসরাত (১০), একই এলাকার কাবির মিয়ার মেয়ে জান্নাতুল মাওয়া (৮), কসবা উপজেলার শিমরাইল গ্রামের আনোয়ার হোসেনের মেয়ে উম্মে তাইসান (০৫) এবং মাদ্রাসার আয়ার দায়িত্বে থাকা ভাদুঘর এলাকার তুফাজ্জল হোসেনের স্ত্রী আলেয়া (৩০)।
দারুন নাজাত মহিলা মাদ্রাসার কারি মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেন, ‘আমরা আহত শিক্ষার্থীদের সদর হাসপাতালের নিয়ে এসেছি। ছয়জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পাঠাচ্ছি। বাকি দুজনকেও ঢাকা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর জেনারেল হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডের সিনিয়র স্টাফ নার্স হাসিম খান বলেন, ‘মাদ্রাসার আট ছাত্রী ভর্তি হয়েছে। তারা সবাই বার্নের পেশেন্ট। এর মধ্যে ছয়জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদেরকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আর দুজন সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছে।
এই ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, ‘খবর নিচ্ছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।’

ছাত্রলীগের পরে যুবলীগের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও পেশা ছিল সিনেমা হলের ম্যানেজার। পরে হন এক স্কুলের শিক্ষক। আরও পরে আওয়ামী লীগ নেতা। চেয়েছিলেন মেয়র ও সংসদ সদস্য (এমপি) হতে। তবে তা না হতে পারলেও আওয়ামী লীগের সভাপতির পদ পেয়ে যান। আর এর ক্ষমতাবলে তিনি নিয়ন্ত্রণ করতেন পুরো জেলা। এমনকি জেলার পাঁচ এমপিও তাঁর অবা
০৩ নভেম্বর ২০২৪
মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ীতে এক অপ্রাপ্তবয়স্ক ছাত্রীকে অপহরণ করে জোরপূর্বক বিয়ের চেষ্টা করার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টঙ্গিবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম।
৬ মিনিট আগে
পুলিশের ওপর হামলা করে হাতকড়াসহ পালিয়ে যাওয়া আওয়ামী লীগ নেতা রেজ্জাকুল ইসলাম রাজুকে গ্রেপ্তার করেছে বগুড়া র্যাব। বুধবার দিবাগত রাতে ঢাকার আশুলিয়া থানার নবীনগর এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। র্যাব-১২ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার ফিরোজ আহম্মেদ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১ ঘণ্টা আগে
ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে যেন প্রাণ ফিরে পেল ময়মনসিংহের নান্দাইল। পলো, জাল আর মাছ ধরার সরঞ্জাম হাতে নিয়ে বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) ভোরে হাজারো মানুষ জড়ো হলেন সদর ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী বলদা বিলের ধারে।
২ ঘণ্টা আগে