কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
রাজনৈতিক অস্থিরতায় সংকটের মুখে পর্যটন নগরী কুয়াকাটার ব্যবসায়ীরা। স্থবির হয়ে পড়েছে সকল কর্মকাণ্ড। অলস সময় পার করছেন পর্যটনশিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। করোনার ধাক্কা কেটে যাওয়ার পর কুয়াকাটা প্রাণচাঞ্চল্য ফিরতে শুরু করে। পদ্মা সেতুকে আশীর্বাদ মনে করছিলেন ব্যবসায়ীরা। এখন পুরোদমে ভাটা পড়েছে। পুরো সৈকতে নীরবতা। ব্যবসায়ীদের মধ্যে বিরাজ করছে হতাশা। সামনের দিনগুলো কীভাবে কাটবে এ নিয়ে দুশ্চিন্তা।
গত ২৮ অক্টোবর বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে কুয়াকাটা সৈকতে তেমন কোনো পর্যটকদের আনাগোনা ছিল না। এর আগের সপ্তাহে ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবেও নগরী খালি ছিল। সপ্তাহের শুরুতে হরতাল ডাকার একদিন বিরতির পরে আবার শুরু হয়েছে টানা তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচি। ফলে পর্যটন নির্ভর ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত। মৌসুমের শুরুতে এমন খারাপ পরিস্থিতি মোটেই স্বাভাবিকভাবে মেনে নিতে পারছেন না তাঁরা।
সৈকতে বসে একা একা সময় পার করছে আলোকচিত্রী মো. মাসুদ। তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন ১ হাজার টাকা থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা আয় হতো। গত কয়েক দিনে দিন প্রতি ১০০ টাকাও আয় হয় না। বউ-বাচ্চা নিয়ে সংসার চালানো, মাস গেলে বাড়ি ভাড়া দিয়া টিকে থাকা এখন কষ্ট হচ্ছে। এটা থেকে মুক্তি চাই, না হয় না খেয়ে মারা যেতে হবে।’
আমরা কুয়াকাটাবাসীর সভাপতি হাফিজুর রহমান আকাশ বলেন, ‘রাজনৈতিক অস্থিরতায় মূলত পর্যটকদের আনাগোনা কমে গেছে। এতে সরকারও রাজস্ব হারাচ্ছে। দেশের সব পর্যটন মুখ থুবড়ে পড়বে।’
সৈকতের স্পিড বোটের মালিক মো. লিটন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমার ২২ জন কর্মচারী। দিন হিসেবে আমার ২৫ হাজার টাকা লস। গত কয়েক দিনে আমার লাখ টাকা নেই। এভাবে চলতে থাকলে সামনের দিনগুলো কীভাবে চলব জানি না। করোনার সময় জমানো টাকা সব শেষ। এখন ঋণের বোঝা টানছি। আরও কয়েকটি দিন এমন থাকলে না খেয়ে থাকতে হবে।’
সৈকতে চা বিক্রেতা আলতাফ বলেন, ‘মানুষ রাজনৈতিক দুরবস্থা দেখে ভয় পাচ্ছে ঘর থেকে বের হতে। ২৮ অক্টোবর থেকে এখন ১০ কাপ চা বিক্রি হয় না। এমন সংকট আমরা চাই না।’
এক হোটেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে এম জহির বলেন, ‘আমরা সবার আগে ধাক্কা খাই। এ ধাক্কা কাটতে সময় লাগবে। এখন রাজনৈতিক সমস্যা সমাধান না হলে এ সংকট কবে নাগাদ কাটবে তা বলা মুসকিল। আমরা এখান থেকে মুক্তি চাই।’
কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ বলেন, ‘রাজনৈতিক অস্থিরতা থাকলে মানুষ ঘর থেকে বের হয় না। গত কয়েক দিন ধরে রাজনৈতিক অস্থিরতায় পর্যটকেরা মুখ ফিরেয়ে নিয়েছে। এ সংকট দূর না হলে আমরা পথে বসে যাব। হরতাল ও অবরোধে সকল পর্যটন ব্যবসায়ীদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে।’
রাজনৈতিক অস্থিরতায় সংকটের মুখে পর্যটন নগরী কুয়াকাটার ব্যবসায়ীরা। স্থবির হয়ে পড়েছে সকল কর্মকাণ্ড। অলস সময় পার করছেন পর্যটনশিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। করোনার ধাক্কা কেটে যাওয়ার পর কুয়াকাটা প্রাণচাঞ্চল্য ফিরতে শুরু করে। পদ্মা সেতুকে আশীর্বাদ মনে করছিলেন ব্যবসায়ীরা। এখন পুরোদমে ভাটা পড়েছে। পুরো সৈকতে নীরবতা। ব্যবসায়ীদের মধ্যে বিরাজ করছে হতাশা। সামনের দিনগুলো কীভাবে কাটবে এ নিয়ে দুশ্চিন্তা।
গত ২৮ অক্টোবর বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে কুয়াকাটা সৈকতে তেমন কোনো পর্যটকদের আনাগোনা ছিল না। এর আগের সপ্তাহে ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবেও নগরী খালি ছিল। সপ্তাহের শুরুতে হরতাল ডাকার একদিন বিরতির পরে আবার শুরু হয়েছে টানা তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচি। ফলে পর্যটন নির্ভর ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত। মৌসুমের শুরুতে এমন খারাপ পরিস্থিতি মোটেই স্বাভাবিকভাবে মেনে নিতে পারছেন না তাঁরা।
সৈকতে বসে একা একা সময় পার করছে আলোকচিত্রী মো. মাসুদ। তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন ১ হাজার টাকা থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা আয় হতো। গত কয়েক দিনে দিন প্রতি ১০০ টাকাও আয় হয় না। বউ-বাচ্চা নিয়ে সংসার চালানো, মাস গেলে বাড়ি ভাড়া দিয়া টিকে থাকা এখন কষ্ট হচ্ছে। এটা থেকে মুক্তি চাই, না হয় না খেয়ে মারা যেতে হবে।’
আমরা কুয়াকাটাবাসীর সভাপতি হাফিজুর রহমান আকাশ বলেন, ‘রাজনৈতিক অস্থিরতায় মূলত পর্যটকদের আনাগোনা কমে গেছে। এতে সরকারও রাজস্ব হারাচ্ছে। দেশের সব পর্যটন মুখ থুবড়ে পড়বে।’
সৈকতের স্পিড বোটের মালিক মো. লিটন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমার ২২ জন কর্মচারী। দিন হিসেবে আমার ২৫ হাজার টাকা লস। গত কয়েক দিনে আমার লাখ টাকা নেই। এভাবে চলতে থাকলে সামনের দিনগুলো কীভাবে চলব জানি না। করোনার সময় জমানো টাকা সব শেষ। এখন ঋণের বোঝা টানছি। আরও কয়েকটি দিন এমন থাকলে না খেয়ে থাকতে হবে।’
সৈকতে চা বিক্রেতা আলতাফ বলেন, ‘মানুষ রাজনৈতিক দুরবস্থা দেখে ভয় পাচ্ছে ঘর থেকে বের হতে। ২৮ অক্টোবর থেকে এখন ১০ কাপ চা বিক্রি হয় না। এমন সংকট আমরা চাই না।’
এক হোটেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে এম জহির বলেন, ‘আমরা সবার আগে ধাক্কা খাই। এ ধাক্কা কাটতে সময় লাগবে। এখন রাজনৈতিক সমস্যা সমাধান না হলে এ সংকট কবে নাগাদ কাটবে তা বলা মুসকিল। আমরা এখান থেকে মুক্তি চাই।’
কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ বলেন, ‘রাজনৈতিক অস্থিরতা থাকলে মানুষ ঘর থেকে বের হয় না। গত কয়েক দিন ধরে রাজনৈতিক অস্থিরতায় পর্যটকেরা মুখ ফিরেয়ে নিয়েছে। এ সংকট দূর না হলে আমরা পথে বসে যাব। হরতাল ও অবরোধে সকল পর্যটন ব্যবসায়ীদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে।’
‘কপোতাক্ষ নদের জলাবদ্ধতা দূরীকরণ’ (দ্বিতীয় পর্যায়) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মাধ্যমে হরিহর নদ পুনঃখনন কাজ বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অথচ নীতিমালা অনুযায়ী যথাযথ উল্লম্ব-অনুভূমিক জায়গা না রেখে হরিহর নদের ওপর যশোর সদর উপজেলার গোয়ালদাহ বাজারে আরেকটি অপরিকল্পিত সেতু নির্মাণ করছে স্
৩৯ মিনিট আগেগাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মজুত থাকা সরকারি বিপুল ওষুধ নষ্ট হয়ে গেছে। সময়মতো রোগীদের মাঝে বিতরণ না করায় ওষুধগুলোর মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে বলে জানা গেছে। এতে সরকারি সম্পদের ক্ষতি হয়েছে; একই সঙ্গে সরকারি সেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছে হাজারো রোগী।
৪২ মিনিট আগেঢাকা রোড ট্রাফিক সেফটি প্রজেক্টের (ডিআরএসপি) আওতায় ‘নিরাপদ পথচারী পারাপারে পাইলট প্রকল্প’ বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সহযোগিতায় পাইলট প্রকল্পটি রোববার (২০ এপ্রিল ২০২৫) থেকে শুরু হয়ে ৮ মে পর্যন্ত চলবে।
১ ঘণ্টা আগেরাজধানীর তেজগাঁও থানাধীন কারওয়ান বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী আলাল উদ্দিন হত্যার চাঞ্চল্যকর ঘটনায় জড়িত মূল দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির তেজগাঁও থানা-পুলিশ। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মো. শামীম হোসেন (২৮) ও মো. ইয়াসিন আরাফাত ওরফে মুরগি ইয়াসিন (২১)।
২ ঘণ্টা আগে