Ajker Patrika

ভোলায় তৃতীয় দিনে এসে বাস ধর্মঘট প্রত্যাহার

ভোলা প্রতিনিধি
ধর্মঘট চলাকালে বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল বাস টার্মিনাল এলাকায় সড়কে চৌকি ফেলে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেন বাসশ্রমিকেরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
ধর্মঘট চলাকালে বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল বাস টার্মিনাল এলাকায় সড়কে চৌকি ফেলে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেন বাসশ্রমিকেরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

ভোলায় বাসশ্রমিকদের ডাকে চলা ধর্মঘট তৃতীয় দিনে এসে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। অবসান হয়েছে সাধারণ যাত্রীদের চরম দুর্ভোগের।

আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার শ্রমিকদের মধ্যে সমঝোতা বৈঠক হয়। শেষে বিকেলে ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেন বাসশ্রমিকেরা। আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক মো. আজাদ জাহান।

বৈঠকে জেলা প্রশাসক আজাদ সভাপতিত্ব করেন। এ সময় পুলিশ সুপার মো. শরিফুল হকসহ বাস ও অটোরিকশার শ্রমিকনেতা, মালিক সমিতির নেতা ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

ভোলা জেলা বাস ও মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘জেলা প্রশাসকের সঙ্গে দীর্ঘ প্রায় আড়াই ঘণ্টা সমঝোতা বৈঠকের পর মঙ্গলবার বিকেল ৩টা থেকে আমরা ভোলা-চরফ্যাশন আঞ্চলিক মহাসড়কসহ অভ্যন্তরীণ পাঁচ রুটে বাস চলাচল শুরু হয়েছে।’

এর আগে মঙ্গলবার সকাল থেকে ভোলার বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল বাস টার্মিনাল এলাকায় সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে এবং কাঠের চৌকি ফেলে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেন বাসশ্রমিকেরা। তাঁরা হাতে লাঠিসোঁটা নিয়ে সেখানে দফায় দফায় বিক্ষোভ মিছিল এবং বিভিন্ন যানবাহন চলাচলে বাধা সৃষ্টি করেন। এতে করে জেলার বাইরে থেকে আসা বেশ কয়েকটি ট্রাক আটকা পড়ে।

বেলা ১টার দিকে আটকে থাকা এক ট্রাকের চালক মাকসুদুর রহমান জানান, তিনি ঢাকা থেকে ওষুধবাহী ট্রাক নিয়ে চরফ্যাশন যাওয়ার উদ্দেশে সকাল ১০টার দিকে বাসস্ট্যান্ড আসেন। পরে বাসশ্রমিকেরা তাঁদের গন্তব্যে যেতে দেননি।

একই ভোগান্তির কথা জানান আরেক ট্রাকের চালক বাবুল। তিনি বরিশাল থেকে ডাল নিয়ে চরফ্যাশন যাচ্ছিলেন। পথে বাসস্ট্যান্ডে এসে আটকে যান। তিনি বলেন, ‘আমরা সময় ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। আমাদের আজই মাল দিয়ে ট্রাক নিয়ে বরিশাল ফিরতে হবে।’

ধর্মঘটের কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে জসিমউদদীন মোল্লা নামের এক শিক্ষক বলেন, ‘একটি জরুরি কাজে সকালে ভোলায় আসি। কিন্তু গাড়ি না থাকায় ভোগান্তির শেষ ছিল না।’

প্রসঙ্গত, গত রোববার বিকেলে ভোলার বাংলাবাজার এলাকায় বাসশ্রমিকদের সঙ্গে অটোরিকশার শ্রমিকদের সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই দিন সন্ধ্যা থেকে জেলার পাঁচটি রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয় জেলা বাস শ্রমিক ইউনিয়ন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত