Ajker Patrika

গৌরনদীতে তিনজনকে কুপিয়ে জখম, যুবলীগ–ছাত্রলীগের ৩০ নেতা কর্মীকে আসামি করে আদালতে মামলা

গৌরনদী (বরিশাল) প্রতিনিধি
Thumbnail image

বরিশালের গৌরনদীতে পৌর যুবলীগের তিন নেতাকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় মামলা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মামলাটি দায়ের করেন আহত যুবলীগের এক নেতার স্ত্রী। এতে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ১০ নেতা কর্মীর নামোল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১০ জনকে আসামি করা হয়েছে। 

বিচারক বিষয়টি আমলে নিয়ে গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) মামলাটি এজাহার হয়েছে গণ্য করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। 

মামলার আসামিরা হলেন–পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর আল-আমিন হাওলাদার, চাঁদশী ইউপি সদস্য মিলন হাওলাদার, পৌর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাশেদ হাওলাদার, উপজেলা যুবলীগের সদস্য সাইমুন তালুকদার, পৌর ছাত্রলীগের কর্মী সজীব তালুকদার, পলাশ হাওলাদার, রনি শেখ, প্রিন্স শেখ, তায়েব হাওলাদার, হেলাল তালুকদারসহ অজ্ঞাত ১০ নেতা কর্মী। 

মামলার বাদী এজাহারে বলেন, টরকী বন্দরে ও কসবা এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আল-আমিন হাওলাদার ও কৃষি বিষয়ক সম্পাদক কাওছার ফকিরের মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। গত ২৭ সেপ্টেম্বর কাওছার ফকির, যুবলীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক ইমাদ খান ও আমার স্বামী যুবলীগের সিনিয়র সদস্য রায়হান ফকির একটি মোটরসাইকেলে করে টরকী বাসস্ট্যান্ডের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। 

পথে মোটরসাইকেলটি কসবা আল্লাহ মসজিদ বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছালে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর আল-আমিন হাওলাদারের নেতৃত্বে যুব ও ছাত্রলীগের ২০ থেকে ২২ জন তাদের গতিরোধ করে। এ সময় কাউন্সিলর আল-আমিন হাওলাদারের নেতৃত্বে চাইনিজ কুড়াল ও রামদা দিয়ে যুবলীগ নেতা কাওছার ফকির, ইমাদ খান ও আমার স্বামী রায়হান ফকিরকে উপর্যুপরি কুপিয়ে জখম করে তারা। 

গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে স্বজনেরা। অবস্থার অবনতি হলে পৌর যুবলীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক ইমাদ খানকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। 

এ বিষয়ে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর আল-আমিন হাওলাদার বলেন, ‘এ হামলার ঘটনার সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। ঘটনার সময় আমি বন্দরে ভোলা সাহার মার্কেটে কেনাকাটা করছিলাম। রাজনৈতিকভাবে আমার ভাবমূর্তি নষ্ট ও আমাকে হয়রানির উদ্দেশ্যে একটি মহলের প্ররোচনায় আমাকে আসামি করা হয়েছে।’ 

গৌরনদী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হেলাল উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বরিশাল আদালতে মামলা দায়েরের খবর শুনেছি। আদালত থেকে এখনো মামলার কপি থানায় এসে পৌঁছেনি। মামলার কপি পেলে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত