Ajker Patrika

হঠাৎ উত্তপ্ত বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, আতঙ্কে শিক্ষার্থীরা

  • হামলার আশঙ্কায় অনেক ছাত্র ক্যাম্পাস ছেড়ে নিজ নিজ বাড়িতে গেছেন।
  • গত চার দিনে ‘ছাত্রলীগ নামধারী’ দুই ছাত্রকে ধরে হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে।
  • উপাচার্যের নির্দেশে দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
খান রফিক, বরিশাল 
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সারা দেশে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের প্রতিহত করতে সোচ্চার ছিলেন ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মী থেকে শুরু করে বিভিন্ন দলের নেতারাও। তবে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) গত চার মাসে এ ধরনের কোনো তৎপরতা ছিল না। কিন্তু হঠাৎ করে ববিতে মামলা, হামলা, মারধরের শিকার হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। গত চার দিনে ‘ছাত্রলীগ নামধারী’ দুই ছাত্রকে ধরে হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে গত রোববার রাতে দুই পক্ষে উত্তেজনা দেখা দেয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হামলার আশঙ্কায় অনেক ছাত্র ক্যাম্পাস ছেড়েছেন। এ ঘটনা তদন্তে গত সোমবার দুই সদস্যের কমিটি গঠন করেছে ববি প্রশাসন। তবে ক্যাম্পাসে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনা ধামাচাপা দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয়, রেজিস্ট্রার দপ্তর ও প্রক্টরিয়াল বডি লুকোচুরি খেলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এসব দপ্তর থেকে দেওয়া হচ্ছে না ঘটনার কোনো তথ্য।

রোববার বিকেলে জুবায়ের নামের এক ছাত্রকে ধরে পুলিশে দেওয়ার চেষ্টা করেন ছাত্রদলের কর্মীরা। তাঁদের সঙ্গে যুক্ত হন সমন্বয়ক, ছাত্রশিবির, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীরাও। জুবায়ের বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র। আটক হওয়া ওই ছাত্রকে পুলিশে দেওয়ার চেষ্টা করলে তাতে বাধা দেয় অন্য একটি পক্ষ। এ নিয়ে রোববার গভীর রাত পর্যন্ত ক্যাম্পাসে দুই পক্ষে উত্তেজনা দেখা দেয়। জুবায়ের অসুস্থ হয়ে পড়লে রাত ১১টার দিকে তাঁকে শেরেবাংলা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

জানা গেছে, ববিতে ছাত্রদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি মামলার জেরে ক্যাম্পাসে কয়েক দিন ধরে উত্তেজনা চলছিল। রসায়ন বিভাগের ছাত্র ইমরান আল-আমিন বলেন, জুবায়েরকে রাজনৈতিক কারণে ধরা হয়। তাঁকে পুলিশের হাতে তুলে দিতে প্রক্টরিয়াল বডিকে চাপ দেওয়া হয়েছিল।

তবে ববি ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রেজা শরীফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, জুবায়ের ছাত্রলীগ করে। তাঁকে রক্ষার জন্য সজীব, ইমরান, ইমন নামের কয়েকজন পক্ষে চলে যান। এ জন্য রাতে ঝামেলা করে। এ নিয়ে দুই পক্ষে তর্কাতর্কি ও উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল।

এর আগে গত শুক্রবার রাতে ছাত্রলীগ কর্মী শাহরিয়ার ওরফে সানকে আটকে রাখার পর দরজা ভেঙে ছিনিয়ে নেন তাঁর অনুসারীরা। পরে রাতেই ববি প্রশাসনকে চাপ দিলে ২৪ ছাত্রের বিরুদ্ধে মামলা করে প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিকিউরিটি ইনচার্জ সানোয়ার পারভেজ বাদী হয়ে ওই মামলা করেন।

এদিকে ২১ জানুয়ারি রুমান হোসেন নামের এক ছাত্রকে মারধরের অভিযোগে ১৫ ছাত্রের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা করা হয়। পৃথক এ দুই মামলার ৩৯ ছাত্রের একাংশ ছাত্রলীগের কর্মী, অপর অংশ সাধারণ ছাত্র এবং কেউ কেউ সমন্বয়ক বলে জানা গেছে।

এর আগে, গত ৫ আগস্ট বিকেলে ববি ক্যাম্পাসে বেদম মারধর করে বিবস্ত্র করে ঘোরানো হয় রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র রুমান হোসেনকে। ঘটনার শিকার রুমান হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, মারধরের ঘটনায় মামলা করায় তাঁকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এ জন্য ভয়ে তিনি ক্যাম্পাস ছেড়ে বাড়ি চলে গেছেন।

এদিকে গত কয়েক দিনের ঘটনার অনুসন্ধান করতে সোমবার উপাচার্যের নির্দেশে দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

ববি রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলাম বলেন, তিনি শুনেছেন তদন্ত কমিটির কথা, তবে এখনো অফিশিয়ালি চিঠি পাননি। এ বিষয়ে ববি উপাচার্য অধ্যাপক ড. সুচীতা শরমিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও সাড়া দেননি তিনি। সহ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম রাব্বানী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি কিছুই জানি না, আমাকে জানানো হয় না।’

বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে নোটিশ

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) ভেতরে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ও অরাজকতা সৃষ্টি করলে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। গতকাল বৃহস্পতিবার ববির প্রক্টর ড. এ টি এম রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত নোটিশে এ কথা বলা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের খসড়া আদেশে যা আছে

বিএনপি নেতার ব্যানার টানানো নিয়ে গোলাগুলি, যুবদল কর্মী নিহত

ইতিহাসের ‘সবচেয়ে শক্তিশালী’ ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে যাচ্ছে জ্যামাইকায়, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা

সন্ধ্যা থেকে বন্ধ থাকবে নির্বাচন ভবনের আশপাশের ব্যবসা কার্যক্রম

কক্সবাজার বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের জরুরি অবতরণও করা যাবে না

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

টেকনাফে নাফ নদীতে এক জেলের জালে ৬০ মণ ইলিশ

 টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ০০: ৩৬
নাফ নদীতে এক জেলের জালে ৬০ মণ ইলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
নাফ নদীতে এক জেলের জালে ৬০ মণ ইলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

কক্সবাজারের টেকনাফে নাফ নদীতে এক জেলের টানা জালে ধরা পড়েছে ৬০ মণ ইলিশ। প্রতিটি মাছের ওজন ৬০০ থেকে ৮০০ গ্রাম। ধরা পড়া এসব মাছ বিক্রি হয়েছে প্রায় সাড়ে ১৪ লাখ টাকায়।

আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় টেকনাফ পৌরসভার জালিয়াপাড়ার জেলে মোহাম্মদ ঈমান হোসেন নাফ নদীতে জাল ফেলেন। সন্ধ্যার দিকে জাল টেনে তুললে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ মাছ ধরা পড়ে।

টেকনাফ পৌরসভার কায়ুকখালীয়া খালের হাকিম ফিশারিজের পরিচালক মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আজ দুপুরে নদীতে জাল ফেলার পর সন্ধ্যায় জাল টানতেই প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ে। পরে মাছগুলো কায়ুকখালীয়া খালের ফিশারিজে আনা হয়।

স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী আব্দুর রশিদ বলেন, ‘প্রতি কেজি ৬০০ টাকা দরে আমি মাছগুলো কিনেছি। প্রতি মণ ২৪ হাজার টাকায় মোট ৬০ মণ ইলিশ কিনতে আমার সাড়ে ১৪ লাখ টাকা লেগেছে। মাছগুলো বরফে সংরক্ষণ করে বুধবার সকালে চট্টগ্রামে পাঠানো হবে।’

এ বিষয়ে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, গত শনিবার মধ্যরাতে ২২ দিনের ইলিশ প্রজনন মৌসুমের নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা শেষে জেলেরা নদীতে নামার পরই এক জেলের জালে বিপুল পরিমাণ ইলিশ ধরা পড়া আনন্দের খবর। স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, টেকনাফের নাফ নদীতে এই মৌসুমে এটি এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ইলিশ ধরা পড়ার ঘটনা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের খসড়া আদেশে যা আছে

বিএনপি নেতার ব্যানার টানানো নিয়ে গোলাগুলি, যুবদল কর্মী নিহত

ইতিহাসের ‘সবচেয়ে শক্তিশালী’ ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে যাচ্ছে জ্যামাইকায়, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা

সন্ধ্যা থেকে বন্ধ থাকবে নির্বাচন ভবনের আশপাশের ব্যবসা কার্যক্রম

কক্সবাজার বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের জরুরি অবতরণও করা যাবে না

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দপ্তরের গোপন নথি প্রকাশ পিএসের ফেসবুক আইডিতে

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্যের দপ্তরের একাধিক গোপন নথি প্রকাশ করা হয়েছে এক কর্মকর্তার ফেসবুক আইডিতে। ওই কর্মকর্তা হলেন উপাচার্যের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (পিএস) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।

গতকাল সোমবার মধ্যরাতে মিজানুর রহমানের ফেসবুক আইডিতে কমপক্ষে ৬০টি নথি শেয়ার করা হয়। তবে কিছুক্ষণের মধ্যে সেগুলো মুছে ফেলা হলেও অনেক শিক্ষার্থী সেগুলোর স্ক্রিনশট রেখেছেন। এ নিয়ে আজ ক্যাম্পাসে আলোচনার ঝড় ওঠে।

প্রকাশ করা নথিপত্র বিশ্লেষণে দেখা যায়, সেগুলোর মধ্যে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের চাকরিচ্যুত করা, ব্যক্তিগত ফাইল ও শাস্তির নথি, তদন্ত প্রতিবেদন ও অডিট আপত্তির নথি, শিক্ষার্থীদের মামলার নথি, কর্মকর্তাদের চাকরির আবেদনপত্রের ব্যক্তিগত ছবি রয়েছে।

এ বিষয়ে মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না। কীভাবে গোপন এসব ছবি আমার ফেসবুক স্টোরি থেকে শেয়ার হলো তা-ও বুঝতে পারছি না।’

প্রতিষ্ঠানটির গোপন নথি প্রকাশ করে দেওয়ার বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তৌফিক আলমকে ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের খসড়া আদেশে যা আছে

বিএনপি নেতার ব্যানার টানানো নিয়ে গোলাগুলি, যুবদল কর্মী নিহত

ইতিহাসের ‘সবচেয়ে শক্তিশালী’ ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে যাচ্ছে জ্যামাইকায়, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা

সন্ধ্যা থেকে বন্ধ থাকবে নির্বাচন ভবনের আশপাশের ব্যবসা কার্যক্রম

কক্সবাজার বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের জরুরি অবতরণও করা যাবে না

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সংঘর্ষের পর সিটি ও ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি বন্ধ, পাল্টাপাল্টি দোষারোপ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎নিজস্ব প্রতিবেদক, সাভার
সিটি ইউনিভার্সিটির আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া বাস। ছবি: আজকের পত্রিকা
সিটি ইউনিভার্সিটির আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া বাস। ছবি: আজকের পত্রিকা

সাভারের বিরুলিয়ায় সিটি ইউনিভার্সিটি ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনার পর উভয় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। সিটি ইউনিভার্সিটি ৪ নভেম্বর এবং ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রাখবে।

এর আগে শরীরে থুতু ফেলাকে কেন্দ্র করে রোববার রাতে সিটি ইউনিভার্সিটি ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের জের ধরে রাতেই ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা পাশের সিটি ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর করেন, গাড়ি পুড়িয়ে দেন। সংঘর্ষে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন।

এই সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনার জন্য উভয় বিশ্ববিদ্যালয় একে অপরকে দোষারোপ করছে। দুইটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি গঠনসহ থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।

আজ মঙ্গলবার সিটি ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে পোড়া গাড়ির অংশ, ভাঙচুর হওয়া ভবনের জানালা ও আসবাব। উপাচার্যের কার্যালয়েও চালানো হয়েছে হামলা। সেখানে ভাঙা কাচ ও পুড়ে যাওয়া নথিপত্র ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে।

জানতে চাইলে ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক লুৎফর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হামলাকারীদের আচরণ শিক্ষার্থীসুলভ ছিল না। তারা আমার কার্যালয়সহ গুরুত্বপূর্ণ সব জায়গায় হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে। গাড়িগুলো আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে। এ ব্যাপারে আমরা আজ থানায় মামলা করব এবং ইউজিসিতে লিখিত অভিযোগ জানাব।’

তিনি আরও বলেন, ‘অভ্যন্তরীণভাবে পুরো বিষয়টি তদন্তের পাশাপাশি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করে পুরো ঘটনার তদন্ত করা হবে। এই এলাকার পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে যে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করা হয়েছে, সেই পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমেও স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করব।’

অপর দিকে ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির কনফারেন্স রুমে সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক এম আর কবির বলেন, ‘রোববার রাতে সংঘর্ষের ঘটনাকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করে সব দায় ড্যাফোডিলের ওপর চাপানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। সংঘর্ষে ড্যাফোডিলের শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে অনেকে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।’

তিনি বলেন, ‘ঘটনার দিন রাতে ড্যাফোডিলের ১১ শিক্ষার্থীকে আটকের পর জিম্মি করে জোরপূর্বক তাঁদের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে। জবানবন্দিতে ওই শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সিটি ইউনিভার্সিটির অ্যাকাউন্টস থেকে দেড় কোটি টাকা চুরি ও অস্ত্রসহ হামলার কথা বলানো হয়, যা সত্য নয়। তদন্ত হলেই প্রকৃত ঘটনা বের হয়ে আসবে।’

ড. এম আর কবির আরও বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় ৬ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, যাঁরা ৭ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেবেন। প্রতিবেদন পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এ সময় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাসুম ইকবাল, এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক সৈয়দ মিজানুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের খসড়া আদেশে যা আছে

বিএনপি নেতার ব্যানার টানানো নিয়ে গোলাগুলি, যুবদল কর্মী নিহত

ইতিহাসের ‘সবচেয়ে শক্তিশালী’ ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে যাচ্ছে জ্যামাইকায়, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা

সন্ধ্যা থেকে বন্ধ থাকবে নির্বাচন ভবনের আশপাশের ব্যবসা কার্যক্রম

কক্সবাজার বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের জরুরি অবতরণও করা যাবে না

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হালদা নদী রক্ষায় গেজেট সংশোধন করা হবে: উপদেষ্টা ফরিদা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
প্রাকৃতিক প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে মৎস্য হেরিটেজ বাস্তবায়ন তদারকি কমিটির ১৫তম সভায় বক্তব্য দেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। ছবি: সংগৃহীত
প্রাকৃতিক প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে মৎস্য হেরিটেজ বাস্তবায়ন তদারকি কমিটির ১৫তম সভায় বক্তব্য দেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। ছবি: সংগৃহীত

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, হালদা নদী রক্ষায় গেজেট সংশোধনের মাধ্যমে তামাক চাষ ও নদীদূষণ বন্ধ করা হবে। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস সম্মেলনকক্ষে প্রাকৃতিক প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে মৎস্য হেরিটেজ বাস্তবায়ন তদারকি কমিটির ১৫তম সভায় উপদেষ্টা এ কথা বলেন।

উপদেষ্টা ফরিদা আক্তার বলেন, গেজেট সংশোধন না হওয়ায় হালদা নদীর উন্নয়নমূলক অনেক কার্যক্রম বাস্তবায়নে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। তামাক চাষের কারণে হালদা নদীর তীরবর্তী ভূমির উর্বরতা নষ্ট হচ্ছে, যা নদীর পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকিস্বরূপ।

উপদেষ্টা বলেন, হালদা নদী উন্নয়ন প্রকল্পের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে একযোগে ও সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। প্রয়োজনে হালদা নদী রক্ষায় ডিপিপি ও চলমান প্রকল্পের বাইরে থেকেও টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করার উপায় নিয়ে গবেষণা করতে হবে।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. জিয়াউদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র শাহাদাত হোসেন ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামান। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার নুসরাত সুলতানা, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম, খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক এ বি এম ইফতেখারুল ইসলাম, চট্টগ্রাম বিভাগের পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক জমির উদ্দিন, মৎস্য অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগের পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা সালমা বেগম।

প্রসঙ্গত, পার্বত্য খাগড়াছড়ি থেকে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি, হাটহাজারী ও রাউজান উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে মদুনাঘাটের কাছে কর্ণফুলী নদীতে মিশেছে হালদা নদী। এ নদী থেকে বর্ষা মৌসুমে কার্পজাতীয় মাছের নিষিক্ত ডিম সংগ্রহ করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের খসড়া আদেশে যা আছে

বিএনপি নেতার ব্যানার টানানো নিয়ে গোলাগুলি, যুবদল কর্মী নিহত

ইতিহাসের ‘সবচেয়ে শক্তিশালী’ ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে যাচ্ছে জ্যামাইকায়, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা

সন্ধ্যা থেকে বন্ধ থাকবে নির্বাচন ভবনের আশপাশের ব্যবসা কার্যক্রম

কক্সবাজার বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের জরুরি অবতরণও করা যাবে না

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত