Ajker Patrika

খালের কচুরিপানায় ৩ ঘণ্টা লুকিয়েও রেহায় পেলেন না আসামি

মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ১৮: ৪২
Thumbnail image

পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কচুরিপানা ভর্তি খালে ঝাঁপ দেন এক ধর্ষণ মামলার আসামি। তাঁকে ধরতে পুলিশও ঝাঁপ দেয় খালে। প্রায় তিন ঘণ্টার চেষ্টায় গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। এ ঘটনা দেখতে খালের দুপাশে শতাধিক মানুষের ভিড় জমে যায়। 

গতকাল শনিবার বিকেলে ৪টার দিকে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার মজিদবাড়িয়া ইউনিয়নের বৈদ্যপাশা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আজ রোববার দুপুর ১২টায় গ্রেপ্তার বেলাল হোসেনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। 

পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কচুরিপানায় ভর্তি গভীর খালের পানিতে ঝাঁপ দেয় একটি ধর্ষণ মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি। পুলিশও ঝাঁপ দেয় খালে। প্রায় তিন ঘণ্টার চেষ্টায় কচুরিপানার মধ্যে থেকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন মির্জাগঞ্জ থানার পুলিশের উপপরিদর্শক মো. এনামুল হক

গ্রেপ্তার ওই আসামির নাম মো. বেলাল হোসেন। তিনি ওই গ্রামের মো. সায়েদ আলীর ছেলে। 

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বেলাল হোসেন একটি ধর্ষণ মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি। চলতি বছরের ২১ জুলাই মির্জাগঞ্জ থানায় তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করা হয়। ঘটনার দিন বিকেলে নিজ গ্রামের বৈদ্যপাশা খালের পাশে কাজ করছিলেন। মির্জাগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. এনামুল হক তাঁকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালান। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তিনি খালে ঝাঁপ দিয়ে কচুরিপানার মধ্যে লুকিয়ে থাকেন। তাঁকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশের ওই কর্মকর্তাও ঝাঁপ দেন খালে। প্রায় ৩ ঘণ্টার চেষ্টায় কচুরিপানার মধ্যে থেকে বেলালকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন ওই পুলিশ কর্মকর্তা। এ ঘটনায় প্রশংসায় ভাসছেন তিনি। 

এ বিষয়ে মির্জাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামীম আহম্মেদ বলেন, উপপরিদর্শক এনামুল খালের কচুরিপানার ভেতরে ঝাঁপ দিয়ে ৩ ঘণ্টা চেষ্টার পর ধর্ষণ মামলার আসামি বেলালকে গ্রেপ্তার করেছেন। এনামুল একজন সাহসী পুলিশ সদস্য। তিনি তাঁর দায়িত্ব গুরুত্ব সহকারে পালন করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত