Ajker Patrika

সেমিনারে বসা নিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে ২ গ্রুপের মারামারি 

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
সেমিনারে বসা নিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে ২ গ্রুপের মারামারি 

বরিশালে জিয়াউর রহমানের শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির আয়োজিত বিভাগীয় সেমিনারে দুই পক্ষের মধ্যে হট্টগোল হয়েছে। বসাকে কেন্দ্র করে আজ বুধবার বিকেলে নগরের মোহনা কমিউনিটি সেন্টারে কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে এ ঘটনা ঘটে। 

যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম জাহানের অনুসারী কর্মী এবং ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুর রহমান মুন্না অনুসারীদের মধ্যে এ হট্টগোল ঘটেছে বলে জানা গেছে। 

বেলা ৩টায় শুরু হওয়া সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব:) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। এ ছাড়া প্রধান বক্তা ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান সামসুজ্জামান দুদু, বিশেষ অতিথি যুগ্ম মহাসচিব মজিবর রহমান সরোয়ার এবং সেমিনারের সভাপতিত্ব করেন সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন। 

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বিকেলে যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম জাহানের একদল কর্মী সেমিনার স্থলে প্রবেশ করেন। সেখানে ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুর রহমান মুন্নার অনুসারীরাও অবস্থান করছিলেন। এই দুই পক্ষের মধ্যে বসা নিয়ে বিরোধের জেরে বেশ কিছুক্ষণ চলে হাতাহাতি, মারামারি এবং চেয়ার ছোড়াছুড়ি। পরে তারা দৌড়ে রাস্তায় নেমেও মারামারি করে। এতে সেমিনারের কার্যক্রম ব্যাহত হয়। 

খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ অবস্থান নেয়। পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় নেতারা গন্ডগোলকারীদের বের করে দিয়ে দরজা আটকে কর্মসূচি শেষ করেন। 

ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুর রহমান মুন্না বলেন, মহানগর যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম জাহান বেলা ৩টার কর্মসূচিতে আসেন সাড়ে ৪টায়। তখন তিনি বসার জায়গা না পেয়ে আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। এটা নিয়ে তার অনুসারী কর্মীদের সঙ্গে জাহানের কর্মীদের হট্টগোল হয়েছে। পরে তিনি সেখান থেকে চলে এসেছেন। 

তবে মহানগর যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম জাহান বলেন, পোলাপানের মধ্যে বসা নিয়ে কথা–কাটাকাটি হয়েছে। একপর্যায়ে তারা হাতাহাতিতে জড়ায়। পরে সিনিয়ররা নিয়ন্ত্রণ আনেন। তিনি বলেন, দরজা আটকে কর্মসূচি করার তথ্য সঠিক নয়। 

এ ব্যাপারে বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন বলেন, সেমিনারে বিভাগের কেন্দ্রীয় সব নেতা উপস্থিত ছিলেন। এই সেমিনারে বক্তাদের বক্তব্যে উঠে এসেছে যে দেশের সাবেক সেনাপ্রধান, পুলিশ প্রধান দুর্নীতির দায়ে স্যাংশনের আওতায় আসে। যে কারণে দেশের অবস্থা আজ টালমাটাল। সবাইকে এ জন্য শপথ নিয়ে আগামী দিনে রাজপথে লড়াই করার আহ্বান জানানো হয়েছে। 

তিনি বলেন, সেমিনারে কে আগে, কে পিছে বসবে তা নিয়ে ৫–৭ মিনিট হট্টগোল হয়েছে মাত্র। পরে নিজেরাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত