Ajker Patrika

তরুণীর সঙ্গে তালতলীর আরও এক ইউপি চেয়ারম্যানের আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ২১: ২৯
Thumbnail image

বরগুনার তালতলী উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও নিশানবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ড. কামরুজ্জামান বাচ্চুর সঙ্গে এক তরুণীর আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ওই তরুণীর (২০) বিরুদ্ধে কয়েক দিন আগে তালতলী থানায় পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করেন উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান বাচ্চু। সেই মামলায় ওই তরুণী বর্তমানে জেলহাজতে আছেন। 

তরুণীর সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান ড. কামরুজ্জামান বাচ্চুর ভিডিও ভাইরালের ঘটনায় দলীয় নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছে। 

জানা গেছে, তালতলী উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ড. কামরুজ্জামান বাচ্চু মিয়া এক তরুণীর বিরুদ্ধে মোবাইলে আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপ ও ম্যাসেঞ্জারে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ এনে ১২ এপ্রিল তালতলী থানায় পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা দায়ের করেন। 

এতে ওই তরুণী এবং তাঁর সহযোগী জাহিদুল ইসলাম সবুজ ফকিরকে আসামি করা হয়। ওই মামলায় বরগুনা ডিবি পুলিশ ওই তরুণী ও তাঁর সহযোগীকে গত শুক্রবার গ্রেপ্তার করে। 

এখন মামলার বাদী ড. কামরুজ্জামান বাচ্চু মিয়ার সঙ্গে মামলার প্রধান আসামি ওই তরুণীর একাধিক আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ভাইরাল হওয়া ভিডিও ধারণ করা হয় একটি লঞ্চের কেবিনে। 

এর আগে মামলার আসামি ওই তরুণীর সঙ্গে মামলার প্রধান সাক্ষী উপজেলা আওয়ামী লীগ সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও পঁচাকোড়ালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদার ও দ্বিতীয় সাক্ষী উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিঠুর ভিডিও ভাইরাল হয়। 

এমন ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় দলীয় নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।এ ঘটনায় দলীয় নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষ তাঁর শাস্তি দাবি করেছেন। 

নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের কয়েক ব্যক্তি বলেন, ‘চেয়ারম্যানের এমন ঘৃণিত কর্মকাণ্ড দেখার মতো নয়। গ্রামগঞ্জের সব মানুষের মোবাইলে মোবাইলে ছড়িয়ে পড়েছে ওই ভিডিও। এ ঘটনার সঠিক বিচার হওয়া প্রয়োজন।’

মামলার বাদী নিশানবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান ড. কামরুজ্জামান বাচ্চু বলেন, ‘একটি চক্র ষড়যন্ত্র করে সুপার এডিটের মাধ্যমে এমন ভিডিও করে আমার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার নষ্ট করতে এমন কাজ করছেন।’ 

তালতলী থানার ওসি কাজী শহিদুল ইসলাম খাঁন বলেন, ‘বিষয়টি জেনেছি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক সংসদ অ্যাড. ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু আজকের পত্রিকাকে জানান, ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হলে তাঁর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, ‘দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়—এমন কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’

বরগুনা জেলা প্রশাসক মোহা. রফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি আমি জেনেছি। অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত