নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

ইলিশের ভরা মৌসুম শেষের দিকে। কিন্তু এবার মোকামে নেই আগের মতো ইলিশের দেখা; দামও অস্বাভাবিক। এসবের মধ্যেই অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে মা ইলিশ রক্ষায় আবারও ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু হচ্ছে। এসব নিয়ে হতাশ জেলে, ব্যবসায়ী এবং ভোক্তাদের প্রশ্ন, ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ কি এ বছর আর মিলবে না। মৎস্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, নানা প্রতিকূলতার কারণে নদীতে আর ইলিশ বাড়ানো সম্ভব নয়।
এদিকে চারটি কারণে সাগর মোহনায় জাটকা রক্ষা এবং ইলিশ আহরণে ব্যর্থতার কথা অকপটে স্বীকার করেছেন ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের পরিচালক মোল্লা এমদাদুল্যাহ। সূত্রে জানা গেছে, আজ মঙ্গলবার মৎস্য অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে মাছের মূল্য নির্ধারণী সভায় ইলিশের উৎপাদন কমা এবং অস্বাভাবিক দাম বাড়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় বরিশাল নগরের পোর্ট রোড ঘুরে দেখা গেছে, ইলিশের মোকামে ক্রেতার ঢল।
জায়গায় জায়গায় ইলিশ কেনাবেচা চলছে। গোটা মোকামেই ৩০০ থেকে ৫০০ গ্রামের ইলিশ ৭০ থেকে ৮০ শতাংশের ওপরে। বাকি ২০ শতাংশ ইলিশ এলসি সাইজ এবং কোথাও কোথাও ১ কেজির সাইজের ইলিশ দেখা গেছে।
মোকামের লিয়া আড়তঘরের স্বত্বাধিকারী আড়তদার নাসির উদ্দিন বলেন, ‘ইলিশের আমদানি কম। সোমবার দেড় শ মণের মতো মোকামে ইলিশ উঠেছে। এর আগের দিন ছিল আড়াই শ মণ। তিনি জানান, গত বছরের চেয়ে এবার কেজিপ্রতি ৫০০-৬০০ টাকার বেশি ইলিশের দাম বেড়েছে। তা ছাড়া ভারতে ইলিশ রপ্তানির কারণে বড় আকৃতির ইলিশ বরিশালে এখন কম আসছে।’
পোর্ট রোড মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের তথ্যমতে, সোমবার ১ কেজির ইলিশ বিক্রি হয়েছে ২,১৭৫ টাকা। একইভাবে এলসি সাইজের (৭০০-৯০০) ইলিশ প্রতি কেজি ১,৯০০ টাকা এবং ৫০০ গ্রামের ইলিশ প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ১,৫০০ টাকা দরে। ব্যবসায়ীরা হতাশা প্রকাশ করে বলেন, গত বছরের চেয়ে এ বছর ইলিশের দাম ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা কেজিতে বেড়েছে।
এদিকে নদীতীরের জেলেরা ইলিশ নিয়ে আরও বেশি হতাশ। মেহেন্দীগঞ্জের উলানিয়ার মেঘনাতীরের জেলে তোফায়েল হোসেন, বরিশাল সদর উপজেলার কালাবদর নদীতীরের জেলে আব্দুস সালাম জানান, ইলিশ এখন কিছু মিলছে। কিন্তু তাতে দাদন (ঋণ) মেটানো সম্ভব নয়। কারণ, আগামী মাসেই ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা। এখনো ধরা না পড়লে ইলিশ জালে কবে পাবেন তাঁরা?
মৎস্য অধিদপ্তরের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা বলেন, ডিমওয়ালা মা ইলিশ রক্ষায় গত বছর নিষেধাজ্ঞা হয়েছিল ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত। সাধারণত পূর্ণিমা ও অমাবস্যার ওপর নির্ভর করে মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী এ বছর ৭ অক্টোবর পূর্ণিমা শুরু। এর ৩ দিন পিছিয়ে দেওয়া হলে এবার ৫ অক্টোবর থেকে ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু হতে পারে। আর অমাবস্যা বিবেচনা করে নিষেধাজ্ঞা পিছিয়ে দেওয়া হলে পরের বছর মাছ উৎপাদন কমে যাবে। কারণ, অক্টোবরের ২১ তারিখ অমাবস্যা। ৩ দিন পিছিয়ে দিলে ১৮ অক্টোবর থেকে ৭ নভেম্বর নিষেধাজ্ঞা হবে। এমনটা হলে মা ইলিশ নির্বিচার ধরার সুযোগ করে দেওয়া হবে।
চাঁদপুর মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও ইলিশ বিশেষজ্ঞ ড. আনিছুর রহমান জানান, ডুবোচর, আবহাওয়া পরিবর্তন, পানিপ্রবাহ কমে যাওয়া, বৃষ্টিপাত হ্রাস, অবৈধ কারেন্ট জাল এবং জাটকা রক্ষায় ব্যর্থতার কারণে ইলিশের আহরণ কমে আসছে।
ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের পরিচালক মোল্লা এমদাদুল্যাহ বলেন, ‘ইলিশের উৎপাদন কমে যাওয়া এবং দাম বাড়ার বিষয়ে আমরা মনিটরিং করছি। জাটকা ও মা ইলিশ রক্ষায় এত চেষ্টার পরও সফলতা আসছে না। এর কারণ, আমরা সাগরে ইলিশ রক্ষা এবং আহরণে ব্যর্থ। ট্রলিং বোট, সাগরের মুখে জাল, বিদেশি বোট এবং বাণিজ্যিক ট্রলার নিয়ন্ত্রণ করতে না পারা—এই চার কারণে ইলিশ উৎপাদন গত বছর প্রায় ৪০ হাজার টন কমে গেছে। এবারও ইলিশের উৎপাদন কমবে বলে তিনি মনে করেন।
এমদাদুল্যাহ আরও বলেন, নদীতে শত চেষ্টা করেও ইলিশের উৎপাদন বাড়ানোর সুযোগ নেই। কারণ, জলবায়ুর পরিবর্তন, পানিসংকট, ডুবোচর, নাব্যতাসংকটের কারণে নদীতে সব মাছের উৎপাদন কমছে।
বরিশাল জেলা মার্কেটিং অফিসার এস এম মাহবুব আলম বলেন, তাঁরা পণ্যের বাজারদর জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের অবহিত করেন। কিন্তু ইলিশের দাম বাড়ার রহস্য খোঁজার সুযোগ নেই।

ইলিশের ভরা মৌসুম শেষের দিকে। কিন্তু এবার মোকামে নেই আগের মতো ইলিশের দেখা; দামও অস্বাভাবিক। এসবের মধ্যেই অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে মা ইলিশ রক্ষায় আবারও ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু হচ্ছে। এসব নিয়ে হতাশ জেলে, ব্যবসায়ী এবং ভোক্তাদের প্রশ্ন, ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ কি এ বছর আর মিলবে না। মৎস্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, নানা প্রতিকূলতার কারণে নদীতে আর ইলিশ বাড়ানো সম্ভব নয়।
এদিকে চারটি কারণে সাগর মোহনায় জাটকা রক্ষা এবং ইলিশ আহরণে ব্যর্থতার কথা অকপটে স্বীকার করেছেন ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের পরিচালক মোল্লা এমদাদুল্যাহ। সূত্রে জানা গেছে, আজ মঙ্গলবার মৎস্য অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে মাছের মূল্য নির্ধারণী সভায় ইলিশের উৎপাদন কমা এবং অস্বাভাবিক দাম বাড়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় বরিশাল নগরের পোর্ট রোড ঘুরে দেখা গেছে, ইলিশের মোকামে ক্রেতার ঢল।
জায়গায় জায়গায় ইলিশ কেনাবেচা চলছে। গোটা মোকামেই ৩০০ থেকে ৫০০ গ্রামের ইলিশ ৭০ থেকে ৮০ শতাংশের ওপরে। বাকি ২০ শতাংশ ইলিশ এলসি সাইজ এবং কোথাও কোথাও ১ কেজির সাইজের ইলিশ দেখা গেছে।
মোকামের লিয়া আড়তঘরের স্বত্বাধিকারী আড়তদার নাসির উদ্দিন বলেন, ‘ইলিশের আমদানি কম। সোমবার দেড় শ মণের মতো মোকামে ইলিশ উঠেছে। এর আগের দিন ছিল আড়াই শ মণ। তিনি জানান, গত বছরের চেয়ে এবার কেজিপ্রতি ৫০০-৬০০ টাকার বেশি ইলিশের দাম বেড়েছে। তা ছাড়া ভারতে ইলিশ রপ্তানির কারণে বড় আকৃতির ইলিশ বরিশালে এখন কম আসছে।’
পোর্ট রোড মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের তথ্যমতে, সোমবার ১ কেজির ইলিশ বিক্রি হয়েছে ২,১৭৫ টাকা। একইভাবে এলসি সাইজের (৭০০-৯০০) ইলিশ প্রতি কেজি ১,৯০০ টাকা এবং ৫০০ গ্রামের ইলিশ প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ১,৫০০ টাকা দরে। ব্যবসায়ীরা হতাশা প্রকাশ করে বলেন, গত বছরের চেয়ে এ বছর ইলিশের দাম ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা কেজিতে বেড়েছে।
এদিকে নদীতীরের জেলেরা ইলিশ নিয়ে আরও বেশি হতাশ। মেহেন্দীগঞ্জের উলানিয়ার মেঘনাতীরের জেলে তোফায়েল হোসেন, বরিশাল সদর উপজেলার কালাবদর নদীতীরের জেলে আব্দুস সালাম জানান, ইলিশ এখন কিছু মিলছে। কিন্তু তাতে দাদন (ঋণ) মেটানো সম্ভব নয়। কারণ, আগামী মাসেই ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা। এখনো ধরা না পড়লে ইলিশ জালে কবে পাবেন তাঁরা?
মৎস্য অধিদপ্তরের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা বলেন, ডিমওয়ালা মা ইলিশ রক্ষায় গত বছর নিষেধাজ্ঞা হয়েছিল ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত। সাধারণত পূর্ণিমা ও অমাবস্যার ওপর নির্ভর করে মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী এ বছর ৭ অক্টোবর পূর্ণিমা শুরু। এর ৩ দিন পিছিয়ে দেওয়া হলে এবার ৫ অক্টোবর থেকে ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু হতে পারে। আর অমাবস্যা বিবেচনা করে নিষেধাজ্ঞা পিছিয়ে দেওয়া হলে পরের বছর মাছ উৎপাদন কমে যাবে। কারণ, অক্টোবরের ২১ তারিখ অমাবস্যা। ৩ দিন পিছিয়ে দিলে ১৮ অক্টোবর থেকে ৭ নভেম্বর নিষেধাজ্ঞা হবে। এমনটা হলে মা ইলিশ নির্বিচার ধরার সুযোগ করে দেওয়া হবে।
চাঁদপুর মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও ইলিশ বিশেষজ্ঞ ড. আনিছুর রহমান জানান, ডুবোচর, আবহাওয়া পরিবর্তন, পানিপ্রবাহ কমে যাওয়া, বৃষ্টিপাত হ্রাস, অবৈধ কারেন্ট জাল এবং জাটকা রক্ষায় ব্যর্থতার কারণে ইলিশের আহরণ কমে আসছে।
ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের পরিচালক মোল্লা এমদাদুল্যাহ বলেন, ‘ইলিশের উৎপাদন কমে যাওয়া এবং দাম বাড়ার বিষয়ে আমরা মনিটরিং করছি। জাটকা ও মা ইলিশ রক্ষায় এত চেষ্টার পরও সফলতা আসছে না। এর কারণ, আমরা সাগরে ইলিশ রক্ষা এবং আহরণে ব্যর্থ। ট্রলিং বোট, সাগরের মুখে জাল, বিদেশি বোট এবং বাণিজ্যিক ট্রলার নিয়ন্ত্রণ করতে না পারা—এই চার কারণে ইলিশ উৎপাদন গত বছর প্রায় ৪০ হাজার টন কমে গেছে। এবারও ইলিশের উৎপাদন কমবে বলে তিনি মনে করেন।
এমদাদুল্যাহ আরও বলেন, নদীতে শত চেষ্টা করেও ইলিশের উৎপাদন বাড়ানোর সুযোগ নেই। কারণ, জলবায়ুর পরিবর্তন, পানিসংকট, ডুবোচর, নাব্যতাসংকটের কারণে নদীতে সব মাছের উৎপাদন কমছে।
বরিশাল জেলা মার্কেটিং অফিসার এস এম মাহবুব আলম বলেন, তাঁরা পণ্যের বাজারদর জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের অবহিত করেন। কিন্তু ইলিশের দাম বাড়ার রহস্য খোঁজার সুযোগ নেই।
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

ইলিশের ভরা মৌসুম শেষের দিকে। কিন্তু এবার মোকামে নেই আগের মতো ইলিশের দেখা; দামও অস্বাভাবিক। এসবের মধ্যেই অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে মা ইলিশ রক্ষায় আবারও ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু হচ্ছে। এসব নিয়ে হতাশ জেলে, ব্যবসায়ী এবং ভোক্তাদের প্রশ্ন, ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ কি এ বছর আর মিলবে না। মৎস্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, নানা প্রতিকূলতার কারণে নদীতে আর ইলিশ বাড়ানো সম্ভব নয়।
এদিকে চারটি কারণে সাগর মোহনায় জাটকা রক্ষা এবং ইলিশ আহরণে ব্যর্থতার কথা অকপটে স্বীকার করেছেন ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের পরিচালক মোল্লা এমদাদুল্যাহ। সূত্রে জানা গেছে, আজ মঙ্গলবার মৎস্য অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে মাছের মূল্য নির্ধারণী সভায় ইলিশের উৎপাদন কমা এবং অস্বাভাবিক দাম বাড়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় বরিশাল নগরের পোর্ট রোড ঘুরে দেখা গেছে, ইলিশের মোকামে ক্রেতার ঢল।
জায়গায় জায়গায় ইলিশ কেনাবেচা চলছে। গোটা মোকামেই ৩০০ থেকে ৫০০ গ্রামের ইলিশ ৭০ থেকে ৮০ শতাংশের ওপরে। বাকি ২০ শতাংশ ইলিশ এলসি সাইজ এবং কোথাও কোথাও ১ কেজির সাইজের ইলিশ দেখা গেছে।
মোকামের লিয়া আড়তঘরের স্বত্বাধিকারী আড়তদার নাসির উদ্দিন বলেন, ‘ইলিশের আমদানি কম। সোমবার দেড় শ মণের মতো মোকামে ইলিশ উঠেছে। এর আগের দিন ছিল আড়াই শ মণ। তিনি জানান, গত বছরের চেয়ে এবার কেজিপ্রতি ৫০০-৬০০ টাকার বেশি ইলিশের দাম বেড়েছে। তা ছাড়া ভারতে ইলিশ রপ্তানির কারণে বড় আকৃতির ইলিশ বরিশালে এখন কম আসছে।’
পোর্ট রোড মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের তথ্যমতে, সোমবার ১ কেজির ইলিশ বিক্রি হয়েছে ২,১৭৫ টাকা। একইভাবে এলসি সাইজের (৭০০-৯০০) ইলিশ প্রতি কেজি ১,৯০০ টাকা এবং ৫০০ গ্রামের ইলিশ প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ১,৫০০ টাকা দরে। ব্যবসায়ীরা হতাশা প্রকাশ করে বলেন, গত বছরের চেয়ে এ বছর ইলিশের দাম ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা কেজিতে বেড়েছে।
এদিকে নদীতীরের জেলেরা ইলিশ নিয়ে আরও বেশি হতাশ। মেহেন্দীগঞ্জের উলানিয়ার মেঘনাতীরের জেলে তোফায়েল হোসেন, বরিশাল সদর উপজেলার কালাবদর নদীতীরের জেলে আব্দুস সালাম জানান, ইলিশ এখন কিছু মিলছে। কিন্তু তাতে দাদন (ঋণ) মেটানো সম্ভব নয়। কারণ, আগামী মাসেই ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা। এখনো ধরা না পড়লে ইলিশ জালে কবে পাবেন তাঁরা?
মৎস্য অধিদপ্তরের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা বলেন, ডিমওয়ালা মা ইলিশ রক্ষায় গত বছর নিষেধাজ্ঞা হয়েছিল ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত। সাধারণত পূর্ণিমা ও অমাবস্যার ওপর নির্ভর করে মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী এ বছর ৭ অক্টোবর পূর্ণিমা শুরু। এর ৩ দিন পিছিয়ে দেওয়া হলে এবার ৫ অক্টোবর থেকে ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু হতে পারে। আর অমাবস্যা বিবেচনা করে নিষেধাজ্ঞা পিছিয়ে দেওয়া হলে পরের বছর মাছ উৎপাদন কমে যাবে। কারণ, অক্টোবরের ২১ তারিখ অমাবস্যা। ৩ দিন পিছিয়ে দিলে ১৮ অক্টোবর থেকে ৭ নভেম্বর নিষেধাজ্ঞা হবে। এমনটা হলে মা ইলিশ নির্বিচার ধরার সুযোগ করে দেওয়া হবে।
চাঁদপুর মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও ইলিশ বিশেষজ্ঞ ড. আনিছুর রহমান জানান, ডুবোচর, আবহাওয়া পরিবর্তন, পানিপ্রবাহ কমে যাওয়া, বৃষ্টিপাত হ্রাস, অবৈধ কারেন্ট জাল এবং জাটকা রক্ষায় ব্যর্থতার কারণে ইলিশের আহরণ কমে আসছে।
ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের পরিচালক মোল্লা এমদাদুল্যাহ বলেন, ‘ইলিশের উৎপাদন কমে যাওয়া এবং দাম বাড়ার বিষয়ে আমরা মনিটরিং করছি। জাটকা ও মা ইলিশ রক্ষায় এত চেষ্টার পরও সফলতা আসছে না। এর কারণ, আমরা সাগরে ইলিশ রক্ষা এবং আহরণে ব্যর্থ। ট্রলিং বোট, সাগরের মুখে জাল, বিদেশি বোট এবং বাণিজ্যিক ট্রলার নিয়ন্ত্রণ করতে না পারা—এই চার কারণে ইলিশ উৎপাদন গত বছর প্রায় ৪০ হাজার টন কমে গেছে। এবারও ইলিশের উৎপাদন কমবে বলে তিনি মনে করেন।
এমদাদুল্যাহ আরও বলেন, নদীতে শত চেষ্টা করেও ইলিশের উৎপাদন বাড়ানোর সুযোগ নেই। কারণ, জলবায়ুর পরিবর্তন, পানিসংকট, ডুবোচর, নাব্যতাসংকটের কারণে নদীতে সব মাছের উৎপাদন কমছে।
বরিশাল জেলা মার্কেটিং অফিসার এস এম মাহবুব আলম বলেন, তাঁরা পণ্যের বাজারদর জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের অবহিত করেন। কিন্তু ইলিশের দাম বাড়ার রহস্য খোঁজার সুযোগ নেই।

ইলিশের ভরা মৌসুম শেষের দিকে। কিন্তু এবার মোকামে নেই আগের মতো ইলিশের দেখা; দামও অস্বাভাবিক। এসবের মধ্যেই অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে মা ইলিশ রক্ষায় আবারও ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু হচ্ছে। এসব নিয়ে হতাশ জেলে, ব্যবসায়ী এবং ভোক্তাদের প্রশ্ন, ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ কি এ বছর আর মিলবে না। মৎস্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, নানা প্রতিকূলতার কারণে নদীতে আর ইলিশ বাড়ানো সম্ভব নয়।
এদিকে চারটি কারণে সাগর মোহনায় জাটকা রক্ষা এবং ইলিশ আহরণে ব্যর্থতার কথা অকপটে স্বীকার করেছেন ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের পরিচালক মোল্লা এমদাদুল্যাহ। সূত্রে জানা গেছে, আজ মঙ্গলবার মৎস্য অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে মাছের মূল্য নির্ধারণী সভায় ইলিশের উৎপাদন কমা এবং অস্বাভাবিক দাম বাড়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় বরিশাল নগরের পোর্ট রোড ঘুরে দেখা গেছে, ইলিশের মোকামে ক্রেতার ঢল।
জায়গায় জায়গায় ইলিশ কেনাবেচা চলছে। গোটা মোকামেই ৩০০ থেকে ৫০০ গ্রামের ইলিশ ৭০ থেকে ৮০ শতাংশের ওপরে। বাকি ২০ শতাংশ ইলিশ এলসি সাইজ এবং কোথাও কোথাও ১ কেজির সাইজের ইলিশ দেখা গেছে।
মোকামের লিয়া আড়তঘরের স্বত্বাধিকারী আড়তদার নাসির উদ্দিন বলেন, ‘ইলিশের আমদানি কম। সোমবার দেড় শ মণের মতো মোকামে ইলিশ উঠেছে। এর আগের দিন ছিল আড়াই শ মণ। তিনি জানান, গত বছরের চেয়ে এবার কেজিপ্রতি ৫০০-৬০০ টাকার বেশি ইলিশের দাম বেড়েছে। তা ছাড়া ভারতে ইলিশ রপ্তানির কারণে বড় আকৃতির ইলিশ বরিশালে এখন কম আসছে।’
পোর্ট রোড মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের তথ্যমতে, সোমবার ১ কেজির ইলিশ বিক্রি হয়েছে ২,১৭৫ টাকা। একইভাবে এলসি সাইজের (৭০০-৯০০) ইলিশ প্রতি কেজি ১,৯০০ টাকা এবং ৫০০ গ্রামের ইলিশ প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ১,৫০০ টাকা দরে। ব্যবসায়ীরা হতাশা প্রকাশ করে বলেন, গত বছরের চেয়ে এ বছর ইলিশের দাম ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা কেজিতে বেড়েছে।
এদিকে নদীতীরের জেলেরা ইলিশ নিয়ে আরও বেশি হতাশ। মেহেন্দীগঞ্জের উলানিয়ার মেঘনাতীরের জেলে তোফায়েল হোসেন, বরিশাল সদর উপজেলার কালাবদর নদীতীরের জেলে আব্দুস সালাম জানান, ইলিশ এখন কিছু মিলছে। কিন্তু তাতে দাদন (ঋণ) মেটানো সম্ভব নয়। কারণ, আগামী মাসেই ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা। এখনো ধরা না পড়লে ইলিশ জালে কবে পাবেন তাঁরা?
মৎস্য অধিদপ্তরের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা বলেন, ডিমওয়ালা মা ইলিশ রক্ষায় গত বছর নিষেধাজ্ঞা হয়েছিল ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত। সাধারণত পূর্ণিমা ও অমাবস্যার ওপর নির্ভর করে মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী এ বছর ৭ অক্টোবর পূর্ণিমা শুরু। এর ৩ দিন পিছিয়ে দেওয়া হলে এবার ৫ অক্টোবর থেকে ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু হতে পারে। আর অমাবস্যা বিবেচনা করে নিষেধাজ্ঞা পিছিয়ে দেওয়া হলে পরের বছর মাছ উৎপাদন কমে যাবে। কারণ, অক্টোবরের ২১ তারিখ অমাবস্যা। ৩ দিন পিছিয়ে দিলে ১৮ অক্টোবর থেকে ৭ নভেম্বর নিষেধাজ্ঞা হবে। এমনটা হলে মা ইলিশ নির্বিচার ধরার সুযোগ করে দেওয়া হবে।
চাঁদপুর মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও ইলিশ বিশেষজ্ঞ ড. আনিছুর রহমান জানান, ডুবোচর, আবহাওয়া পরিবর্তন, পানিপ্রবাহ কমে যাওয়া, বৃষ্টিপাত হ্রাস, অবৈধ কারেন্ট জাল এবং জাটকা রক্ষায় ব্যর্থতার কারণে ইলিশের আহরণ কমে আসছে।
ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের পরিচালক মোল্লা এমদাদুল্যাহ বলেন, ‘ইলিশের উৎপাদন কমে যাওয়া এবং দাম বাড়ার বিষয়ে আমরা মনিটরিং করছি। জাটকা ও মা ইলিশ রক্ষায় এত চেষ্টার পরও সফলতা আসছে না। এর কারণ, আমরা সাগরে ইলিশ রক্ষা এবং আহরণে ব্যর্থ। ট্রলিং বোট, সাগরের মুখে জাল, বিদেশি বোট এবং বাণিজ্যিক ট্রলার নিয়ন্ত্রণ করতে না পারা—এই চার কারণে ইলিশ উৎপাদন গত বছর প্রায় ৪০ হাজার টন কমে গেছে। এবারও ইলিশের উৎপাদন কমবে বলে তিনি মনে করেন।
এমদাদুল্যাহ আরও বলেন, নদীতে শত চেষ্টা করেও ইলিশের উৎপাদন বাড়ানোর সুযোগ নেই। কারণ, জলবায়ুর পরিবর্তন, পানিসংকট, ডুবোচর, নাব্যতাসংকটের কারণে নদীতে সব মাছের উৎপাদন কমছে।
বরিশাল জেলা মার্কেটিং অফিসার এস এম মাহবুব আলম বলেন, তাঁরা পণ্যের বাজারদর জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের অবহিত করেন। কিন্তু ইলিশের দাম বাড়ার রহস্য খোঁজার সুযোগ নেই।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সহিদুল ইসলাম মাসুম আজকের পত্রিকাকে বলেন, গৃহকর্তার বাসা থেকে কিছু মালামাল চুরি করার পর সেখানে ধস্তাধস্তি হয়।
২৪ মিনিট আগে
দেশের রাজনীতিবিদদের মধ্যে গুণগত পরিবর্তন না এলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম নেতৃত্ব সংকটে পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি। তিনি বলেন, ‘রাজনীতিবিদদের গুণগত পরিবর্তন হয়নি, গুণগত পরিবর্তন করতে হবে। তা না হলে সমাজের মানুষ যাবে কোথায়? কে তাদের নেতা হবে? কে নেতৃত্ব দেবে?
২৪ মিনিট আগে
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় কিস্তির টাকা না পেয়ে এক নারীর বাড়ি থেকে একটি চিনাহাঁস ধরে নিয়ে গেছেন এনজিও কর্মীরা। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে আগৈলঝাড়া উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের ফুল্লশ্রী গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। ওই নারী জানিয়েছেন, তাঁর স্কুলপড়ুয়া মেয়ে শখ করে হাঁসটি পালত।
১ ঘণ্টা আগে
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, ‘২০২৩ সালে হাজিদের আনা-নেওয়ার জন্য বিমানভাড়া ছিল ১ লাখ ৯৪ হাজার ৮০০ টাকা। ২০২৪ সালে আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর বিমানভাড়া ২৭ হাজার টাকা কমানো হয়েছে। বর্তমানে ১ লাখ ৫৪ হাজার টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। এরপরও বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়কে আরও ১০০ ডলার কমান
২ ঘণ্টা আগেমোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে খুন:
ঝালকাঠি প্রতিনিধি

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার গৃহকর্মী আয়েশা আক্তার (২০) চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, বাসা থেকে জিনিসপত্র চুরির সময় ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে তিনি গৃহকর্তার স্ত্রী ও মেয়েকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন।
আজ বুধবার দুপুরে ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া ইউনিয়নের কয়ারচর এলাকা থেকে মোহাম্মদপুর থানা-পুলিশ আয়েশাকে গ্রেপ্তার করে। তিনি নরসিংদীর সলিমগঞ্জ এলাকার রবিউল ইসলামের মেয়ে। হত্যাকাণ্ডের পর নলছিটির দপদপিয়া ইউনিয়নের কয়ারচর এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন এই তরুণী।

পুলিশের অভিযানে তাঁর স্বামী জামাল সিকদার রাব্বিকেও আটক করা হয়েছে। জামাল ওই এলাকার জাকির সিকদারের ছেলে। জামাল ও আয়েশা ঢাকায় থাকেন। মা-মেয়ের হত্যাকাণ্ডের পরে তাঁরা বাড়িতে আসেন।
অভিযানে অংশ নেওয়া মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সহিদুল ইসলাম মাসুম সাংবাদিকদের বলেন, গৃহকর্তার বাসা থেকে কিছু মালামাল চুরি করার পর সেখানে ধস্তাধস্তি হয়। এ সময় আয়েশা আক্তার ছুরিকাঘাত করে গৃহকর্তার স্ত্রী লায়লা আফরোজ (৪৮) ও তাঁর মেয়ে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজকে (১৫) হত্যা করেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান চালিয়ে আয়েশাকে গ্রেপ্তার করা হয়।প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে তিনি এসব কথা বলেন।
অভিযানে তেজগাঁও বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার আব্দুল্লাহ আল মামুনও ছিলেন। পরে আয়েশাকে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন পুলিশ সদস্যরা।
এর আগে গত সোমবার সকালে শাহজাহান রোডের ১৪ তলা একটি আবাসিক ভবনের সপ্তম তলায় লায়লা আফরোজ ও তাঁর মেয়ে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।
গতকাল মঙ্গলবার তাঁদের মরদেহ নাটোরে দাফন করা হয়েছে। মামলার এজাহারে বাসা থেকে মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, স্বর্ণালংকার, নগদ টাকাসহ মূল্যবান জিনিস খোয়া যাওয়ার কথা বলা হয়েছে।
ভবনের ভেতরের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, হত্যাকাণ্ডের পর এক নারী স্কুলড্রেস পরে কাঁধে ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন। চার দিন আগে আয়েশা পরিচয় দিয়ে ওই বাসায় গৃহকর্মীর কাজ নেওয়া তরুণী এই জোড়া খুনে জড়িত বলে সন্দেহ হয় স্বজনদের। ঘটনার পর থেকে ওই তরুণী পলাতক ছিলেন।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার গৃহকর্মী আয়েশা আক্তার (২০) চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, বাসা থেকে জিনিসপত্র চুরির সময় ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে তিনি গৃহকর্তার স্ত্রী ও মেয়েকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন।
আজ বুধবার দুপুরে ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া ইউনিয়নের কয়ারচর এলাকা থেকে মোহাম্মদপুর থানা-পুলিশ আয়েশাকে গ্রেপ্তার করে। তিনি নরসিংদীর সলিমগঞ্জ এলাকার রবিউল ইসলামের মেয়ে। হত্যাকাণ্ডের পর নলছিটির দপদপিয়া ইউনিয়নের কয়ারচর এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন এই তরুণী।

পুলিশের অভিযানে তাঁর স্বামী জামাল সিকদার রাব্বিকেও আটক করা হয়েছে। জামাল ওই এলাকার জাকির সিকদারের ছেলে। জামাল ও আয়েশা ঢাকায় থাকেন। মা-মেয়ের হত্যাকাণ্ডের পরে তাঁরা বাড়িতে আসেন।
অভিযানে অংশ নেওয়া মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সহিদুল ইসলাম মাসুম সাংবাদিকদের বলেন, গৃহকর্তার বাসা থেকে কিছু মালামাল চুরি করার পর সেখানে ধস্তাধস্তি হয়। এ সময় আয়েশা আক্তার ছুরিকাঘাত করে গৃহকর্তার স্ত্রী লায়লা আফরোজ (৪৮) ও তাঁর মেয়ে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজকে (১৫) হত্যা করেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান চালিয়ে আয়েশাকে গ্রেপ্তার করা হয়।প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে তিনি এসব কথা বলেন।
অভিযানে তেজগাঁও বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার আব্দুল্লাহ আল মামুনও ছিলেন। পরে আয়েশাকে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন পুলিশ সদস্যরা।
এর আগে গত সোমবার সকালে শাহজাহান রোডের ১৪ তলা একটি আবাসিক ভবনের সপ্তম তলায় লায়লা আফরোজ ও তাঁর মেয়ে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।
গতকাল মঙ্গলবার তাঁদের মরদেহ নাটোরে দাফন করা হয়েছে। মামলার এজাহারে বাসা থেকে মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, স্বর্ণালংকার, নগদ টাকাসহ মূল্যবান জিনিস খোয়া যাওয়ার কথা বলা হয়েছে।
ভবনের ভেতরের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, হত্যাকাণ্ডের পর এক নারী স্কুলড্রেস পরে কাঁধে ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন। চার দিন আগে আয়েশা পরিচয় দিয়ে ওই বাসায় গৃহকর্মীর কাজ নেওয়া তরুণী এই জোড়া খুনে জড়িত বলে সন্দেহ হয় স্বজনদের। ঘটনার পর থেকে ওই তরুণী পলাতক ছিলেন।

ইলিশের ভরা মৌসুম শেষের দিকে। কিন্তু এবার মোকামে নেই আগের মতো ইলিশের দেখা; দামও অস্বাভাবিক। এসবের মধ্যেই অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে মা ইলিশ রক্ষায় আবারও ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু হচ্ছে। এসব নিয়ে হতাশ জেলে, ব্যবসায়ী এবং ভোক্তাদের প্রশ্ন, ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ কি এ বছর আর মিলবে না।
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
দেশের রাজনীতিবিদদের মধ্যে গুণগত পরিবর্তন না এলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম নেতৃত্ব সংকটে পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি। তিনি বলেন, ‘রাজনীতিবিদদের গুণগত পরিবর্তন হয়নি, গুণগত পরিবর্তন করতে হবে। তা না হলে সমাজের মানুষ যাবে কোথায়? কে তাদের নেতা হবে? কে নেতৃত্ব দেবে?
২৪ মিনিট আগে
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় কিস্তির টাকা না পেয়ে এক নারীর বাড়ি থেকে একটি চিনাহাঁস ধরে নিয়ে গেছেন এনজিও কর্মীরা। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে আগৈলঝাড়া উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের ফুল্লশ্রী গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। ওই নারী জানিয়েছেন, তাঁর স্কুলপড়ুয়া মেয়ে শখ করে হাঁসটি পালত।
১ ঘণ্টা আগে
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, ‘২০২৩ সালে হাজিদের আনা-নেওয়ার জন্য বিমানভাড়া ছিল ১ লাখ ৯৪ হাজার ৮০০ টাকা। ২০২৪ সালে আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর বিমানভাড়া ২৭ হাজার টাকা কমানো হয়েছে। বর্তমানে ১ লাখ ৫৪ হাজার টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। এরপরও বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়কে আরও ১০০ ডলার কমান
২ ঘণ্টা আগেলক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

দেশের রাজনীতিবিদদের মধ্যে গুণগত পরিবর্তন না এলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম নেতৃত্ব সংকটে পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি। তিনি বলেন, ‘রাজনীতিবিদদের গুণগত পরিবর্তন হয়নি, গুণগত পরিবর্তন করতে হবে। তা না হলে সমাজের মানুষ যাবে কোথায়? কে তাদের নেতা হবে? কে নেতৃত্ব দেবে? একটি অদৃশ্য শক্তির বিরুদ্ধে এবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তাই সবাইকে সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে।’ আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ড মহিলা দলের উঠান বৈঠকে বক্তব্য দিতে গিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
এ্যানি অভিযোগ করে বলেন, গত ১৭ বছরে ‘অত্যাচার–নির্যাতনের’ কারণে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আজ মৃত্যুর মুখোমুখী। তাঁর দাবি, মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে খালেদা জিয়াকে কারাগারে রাখা হয়েছিল এবং ‘যে খাবার তিনি খেতেন, তাতে বিষ মেশানো হয়েছিল’। তিনি আরও বলেন, সুস্থ মানুষ জেলে গিয়েছিলেন, অসুস্থ হয়ে বের হয়েছেন। এর জন্য শেখ হাসিনাই দায়ী।
শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেন, খালেদা জিয়া খুবই অসুস্থ। আল্লাহ জানেন কবে সুস্থ হয়ে তিনি ফিরে আসবেন। তিনি সুস্থ হয়ে ফিরে আসুক, এটাই এখন সবার প্রত্যাশা। এ সময় তিনি আশা প্রকাশ করেন, আগামী দুই–চার দিন বা ১০ দিনের মধ্যে তারেক রহমান দেশে ফিরবেন, নির্বাচনে অংশ নেবেন এবং দেশের নেতৃত্ব দেবেন।
বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, এবারের নির্বাচন আগের মতো নয়। ‘একটি অদৃশ্য শক্তির বিরুদ্ধে নির্বাচন’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া বেঁচে থাকা মানে দেশের গণতন্ত্রের ভিত্তি আরও শক্তিশালী থাকা। তিনি বিএনপির মনোবল ও সাহস।
এ্যানি মহিলা দলের নেতা-কর্মী ও শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘বর্তমান প্রজন্মের নারীরা দেশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। দেশ বদলে গেছে। দেশ এখন আর আগের জায়গায় নেই। বাসায় বসে আয় করার সুযোগ রয়েছে। তাই আগামী দিনে বিএনপি ক্ষমতায় এলে নারীদের অধিকার নিশ্চিত করা হবে। তাই আপনাদের অধিকার বুঝে নেওয়ার সময় এসেছে। অনেক সুযোগ তৈরি হয়েছে। এখন অনেক সহজ হয়েছে। তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
জিয়াউর রহমানকে স্মরণ করে এ্যানি বলেন, রাষ্ট্র পরিচালনা, স্বাধীনতার নেতৃত্ব, যুদ্ধের মাঠে লড়াই—এসব কারণে জিয়াউর রহমান মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন। একইভাবে বেগম জিয়াও মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছেন।
আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব সাহাবুদ্দিন সাবু, বাফুফের সহসভাপতি ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী হ্যাপি, জেলা বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান, লক্ষ্মীপুর পৌর বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম লিটন, জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক ফাতেমা আক্তার সুমি ভূঁইয়া প্রমুখ।

দেশের রাজনীতিবিদদের মধ্যে গুণগত পরিবর্তন না এলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম নেতৃত্ব সংকটে পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি। তিনি বলেন, ‘রাজনীতিবিদদের গুণগত পরিবর্তন হয়নি, গুণগত পরিবর্তন করতে হবে। তা না হলে সমাজের মানুষ যাবে কোথায়? কে তাদের নেতা হবে? কে নেতৃত্ব দেবে? একটি অদৃশ্য শক্তির বিরুদ্ধে এবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তাই সবাইকে সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে।’ আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ড মহিলা দলের উঠান বৈঠকে বক্তব্য দিতে গিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
এ্যানি অভিযোগ করে বলেন, গত ১৭ বছরে ‘অত্যাচার–নির্যাতনের’ কারণে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আজ মৃত্যুর মুখোমুখী। তাঁর দাবি, মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে খালেদা জিয়াকে কারাগারে রাখা হয়েছিল এবং ‘যে খাবার তিনি খেতেন, তাতে বিষ মেশানো হয়েছিল’। তিনি আরও বলেন, সুস্থ মানুষ জেলে গিয়েছিলেন, অসুস্থ হয়ে বের হয়েছেন। এর জন্য শেখ হাসিনাই দায়ী।
শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেন, খালেদা জিয়া খুবই অসুস্থ। আল্লাহ জানেন কবে সুস্থ হয়ে তিনি ফিরে আসবেন। তিনি সুস্থ হয়ে ফিরে আসুক, এটাই এখন সবার প্রত্যাশা। এ সময় তিনি আশা প্রকাশ করেন, আগামী দুই–চার দিন বা ১০ দিনের মধ্যে তারেক রহমান দেশে ফিরবেন, নির্বাচনে অংশ নেবেন এবং দেশের নেতৃত্ব দেবেন।
বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, এবারের নির্বাচন আগের মতো নয়। ‘একটি অদৃশ্য শক্তির বিরুদ্ধে নির্বাচন’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া বেঁচে থাকা মানে দেশের গণতন্ত্রের ভিত্তি আরও শক্তিশালী থাকা। তিনি বিএনপির মনোবল ও সাহস।
এ্যানি মহিলা দলের নেতা-কর্মী ও শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘বর্তমান প্রজন্মের নারীরা দেশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। দেশ বদলে গেছে। দেশ এখন আর আগের জায়গায় নেই। বাসায় বসে আয় করার সুযোগ রয়েছে। তাই আগামী দিনে বিএনপি ক্ষমতায় এলে নারীদের অধিকার নিশ্চিত করা হবে। তাই আপনাদের অধিকার বুঝে নেওয়ার সময় এসেছে। অনেক সুযোগ তৈরি হয়েছে। এখন অনেক সহজ হয়েছে। তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
জিয়াউর রহমানকে স্মরণ করে এ্যানি বলেন, রাষ্ট্র পরিচালনা, স্বাধীনতার নেতৃত্ব, যুদ্ধের মাঠে লড়াই—এসব কারণে জিয়াউর রহমান মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন। একইভাবে বেগম জিয়াও মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছেন।
আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব সাহাবুদ্দিন সাবু, বাফুফের সহসভাপতি ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী হ্যাপি, জেলা বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান, লক্ষ্মীপুর পৌর বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম লিটন, জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক ফাতেমা আক্তার সুমি ভূঁইয়া প্রমুখ।

ইলিশের ভরা মৌসুম শেষের দিকে। কিন্তু এবার মোকামে নেই আগের মতো ইলিশের দেখা; দামও অস্বাভাবিক। এসবের মধ্যেই অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে মা ইলিশ রক্ষায় আবারও ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু হচ্ছে। এসব নিয়ে হতাশ জেলে, ব্যবসায়ী এবং ভোক্তাদের প্রশ্ন, ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ কি এ বছর আর মিলবে না।
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সহিদুল ইসলাম মাসুম আজকের পত্রিকাকে বলেন, গৃহকর্তার বাসা থেকে কিছু মালামাল চুরি করার পর সেখানে ধস্তাধস্তি হয়।
২৪ মিনিট আগে
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় কিস্তির টাকা না পেয়ে এক নারীর বাড়ি থেকে একটি চিনাহাঁস ধরে নিয়ে গেছেন এনজিও কর্মীরা। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে আগৈলঝাড়া উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের ফুল্লশ্রী গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। ওই নারী জানিয়েছেন, তাঁর স্কুলপড়ুয়া মেয়ে শখ করে হাঁসটি পালত।
১ ঘণ্টা আগে
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, ‘২০২৩ সালে হাজিদের আনা-নেওয়ার জন্য বিমানভাড়া ছিল ১ লাখ ৯৪ হাজার ৮০০ টাকা। ২০২৪ সালে আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর বিমানভাড়া ২৭ হাজার টাকা কমানো হয়েছে। বর্তমানে ১ লাখ ৫৪ হাজার টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। এরপরও বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়কে আরও ১০০ ডলার কমান
২ ঘণ্টা আগেআগৈলঝাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধি

বরিশালের আগৈলঝাড়ায় কিস্তির টাকা না পেয়ে এক নারীর বাড়ি থেকে একটি চিনাহাঁস ধরে নিয়ে গেছেন এনজিও কর্মীরা। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের ফুল্লশ্রী গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। ওই নারী জানিয়েছেন, তাঁর স্কুলপড়ুয়া মেয়ে শখ করে হাঁসটি পালত।
হাঁসটির মালিক ফুল্লশ্রী গ্রামের মো. মুরাদ হোসেনের স্ত্রী হাফিজা খানম। অভিযোগ উঠেছে, কিস্তির টাকা না পেয়ে ঠেঙ্গামারা মহিলা সবুজ সংঘ (টিএমএসএস) নামের একটি এনজিওর কর্মীরা তাঁর বাড়ি থেকে হাঁসটি নিয়ে যান।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হাফিজা টিএমএসএসের সদস্য। ওই এনজিও থেকে চলতি বছরের শুরুর দিকে ৬০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছেন তিনি। প্রতি সপ্তাহে ১ হাজার ২৫০ টাকা করে নিয়মিত কিস্তি দিয়ে আসছিলেন তিনি। গতকাল বিকেলে কিস্তির টাকা তুলতে হাফিজার বাড়িতে যান ওই এনজিওর মাঠকর্মী ফিরোজ খানসহ দুজন। হাফিজা আগামী সপ্তাহে কিস্তির টাকা পরিশোধ করে দেবেন বলে তাঁদের চলে যেতে অনুরোধ জানান। কিন্তু ফিরোজ খান কিস্তির টাকা না নিয়ে হাফিজার বাড়ি থেকে যাবেন না বলে অনড় থাকেন। এ সময় ফিরোজ খান হাফিজার উঠানে থাকা হাঁস-মুরগি দেখে টাকার পরিবর্তে হাঁস দাবি করেন। হাফিজা তাতে অসম্মতি জানিয়ে পাশের বাড়িতে চলে যান। এই ফাঁকে এনজিওর কর্মীরা হাফিজার বাড়ি থেকে একটি চিনাহাঁস ধরে নিয়ে যান।
এ ব্যাপারে হাফিজা খানম বলেন, ‘সর্বশেষ একটি কিস্তির টাকা আগামী সপ্তাহে পরিশোধ করার কথা বলছি। কিন্তু এনজিওর মাঠকর্মীরা আমার বাড়ির উঠান থেকে ধাওয়া করে বড় একটি চিনাহাঁস ধরে নিয়ে যায়। তখন আমি বাড়ি ছিলাম না। ওই হাঁসটির দাম পনেরো শ-ষোলো শ টাকার মতো হবে। আমার মেয়ের পালা শখের হাঁসটি ফেরত চাই।’
উপজেলা এনজিও সমন্বয় পরিষদের সভাপতি কাজল দাসগুপ্ত বলেন, কিস্তির টাকার পরিবর্তে ঋণগ্রহীতার বাড়ি থেকে কোনো জিনিস আনার বৈধতা নেই। সদস্যের বাড়ি থেকে হাঁস আনার বিষয়টি অনাকাঙ্ক্ষিত। টিএমএসএস এনজিও আগৈলঝাড়া উপজেলা এনজিও সমন্বয় পরিষদের আওতাভুক্ত নয়।
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা তপন বিশ্বাস বলেন, ‘এই এনজিওটি আমার উপজেলার আওতাভুক্ত নয়। তারা কীভাবে এই উপজেলায় কাজ করে আমার জানা নেই। কিস্তির টাকার পরিবর্তে হাঁস আনার বিষয়টি অবৈধ।’
অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে টিএমএসএস এনজিওর মাঠকর্মী ফিরোজ খান হাফিজা খানমের বাড়ি থেকে হাঁস ধরে আনার কথা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, কিস্তির টাকার পরিবর্তে ৮০০ টাকা দাম ধরে হাঁস আনা হয়েছে।
এ ব্যাপারে টিএমএসএস এনজিওর ম্যানেজার মো. রাজেক ইসলাম বলেন, ‘ঋণগ্রহীতা হাফিজা খানম হাঁস বিক্রি করে পরে টাকা দেবে। আমার এনজিওর মাঠকর্মী দাম ধরে কিনে আনলে অপরাধের কিছু নয়।’

বরিশালের আগৈলঝাড়ায় কিস্তির টাকা না পেয়ে এক নারীর বাড়ি থেকে একটি চিনাহাঁস ধরে নিয়ে গেছেন এনজিও কর্মীরা। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের ফুল্লশ্রী গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। ওই নারী জানিয়েছেন, তাঁর স্কুলপড়ুয়া মেয়ে শখ করে হাঁসটি পালত।
হাঁসটির মালিক ফুল্লশ্রী গ্রামের মো. মুরাদ হোসেনের স্ত্রী হাফিজা খানম। অভিযোগ উঠেছে, কিস্তির টাকা না পেয়ে ঠেঙ্গামারা মহিলা সবুজ সংঘ (টিএমএসএস) নামের একটি এনজিওর কর্মীরা তাঁর বাড়ি থেকে হাঁসটি নিয়ে যান।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হাফিজা টিএমএসএসের সদস্য। ওই এনজিও থেকে চলতি বছরের শুরুর দিকে ৬০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছেন তিনি। প্রতি সপ্তাহে ১ হাজার ২৫০ টাকা করে নিয়মিত কিস্তি দিয়ে আসছিলেন তিনি। গতকাল বিকেলে কিস্তির টাকা তুলতে হাফিজার বাড়িতে যান ওই এনজিওর মাঠকর্মী ফিরোজ খানসহ দুজন। হাফিজা আগামী সপ্তাহে কিস্তির টাকা পরিশোধ করে দেবেন বলে তাঁদের চলে যেতে অনুরোধ জানান। কিন্তু ফিরোজ খান কিস্তির টাকা না নিয়ে হাফিজার বাড়ি থেকে যাবেন না বলে অনড় থাকেন। এ সময় ফিরোজ খান হাফিজার উঠানে থাকা হাঁস-মুরগি দেখে টাকার পরিবর্তে হাঁস দাবি করেন। হাফিজা তাতে অসম্মতি জানিয়ে পাশের বাড়িতে চলে যান। এই ফাঁকে এনজিওর কর্মীরা হাফিজার বাড়ি থেকে একটি চিনাহাঁস ধরে নিয়ে যান।
এ ব্যাপারে হাফিজা খানম বলেন, ‘সর্বশেষ একটি কিস্তির টাকা আগামী সপ্তাহে পরিশোধ করার কথা বলছি। কিন্তু এনজিওর মাঠকর্মীরা আমার বাড়ির উঠান থেকে ধাওয়া করে বড় একটি চিনাহাঁস ধরে নিয়ে যায়। তখন আমি বাড়ি ছিলাম না। ওই হাঁসটির দাম পনেরো শ-ষোলো শ টাকার মতো হবে। আমার মেয়ের পালা শখের হাঁসটি ফেরত চাই।’
উপজেলা এনজিও সমন্বয় পরিষদের সভাপতি কাজল দাসগুপ্ত বলেন, কিস্তির টাকার পরিবর্তে ঋণগ্রহীতার বাড়ি থেকে কোনো জিনিস আনার বৈধতা নেই। সদস্যের বাড়ি থেকে হাঁস আনার বিষয়টি অনাকাঙ্ক্ষিত। টিএমএসএস এনজিও আগৈলঝাড়া উপজেলা এনজিও সমন্বয় পরিষদের আওতাভুক্ত নয়।
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা তপন বিশ্বাস বলেন, ‘এই এনজিওটি আমার উপজেলার আওতাভুক্ত নয়। তারা কীভাবে এই উপজেলায় কাজ করে আমার জানা নেই। কিস্তির টাকার পরিবর্তে হাঁস আনার বিষয়টি অবৈধ।’
অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে টিএমএসএস এনজিওর মাঠকর্মী ফিরোজ খান হাফিজা খানমের বাড়ি থেকে হাঁস ধরে আনার কথা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, কিস্তির টাকার পরিবর্তে ৮০০ টাকা দাম ধরে হাঁস আনা হয়েছে।
এ ব্যাপারে টিএমএসএস এনজিওর ম্যানেজার মো. রাজেক ইসলাম বলেন, ‘ঋণগ্রহীতা হাফিজা খানম হাঁস বিক্রি করে পরে টাকা দেবে। আমার এনজিওর মাঠকর্মী দাম ধরে কিনে আনলে অপরাধের কিছু নয়।’

ইলিশের ভরা মৌসুম শেষের দিকে। কিন্তু এবার মোকামে নেই আগের মতো ইলিশের দেখা; দামও অস্বাভাবিক। এসবের মধ্যেই অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে মা ইলিশ রক্ষায় আবারও ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু হচ্ছে। এসব নিয়ে হতাশ জেলে, ব্যবসায়ী এবং ভোক্তাদের প্রশ্ন, ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ কি এ বছর আর মিলবে না।
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সহিদুল ইসলাম মাসুম আজকের পত্রিকাকে বলেন, গৃহকর্তার বাসা থেকে কিছু মালামাল চুরি করার পর সেখানে ধস্তাধস্তি হয়।
২৪ মিনিট আগে
দেশের রাজনীতিবিদদের মধ্যে গুণগত পরিবর্তন না এলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম নেতৃত্ব সংকটে পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি। তিনি বলেন, ‘রাজনীতিবিদদের গুণগত পরিবর্তন হয়নি, গুণগত পরিবর্তন করতে হবে। তা না হলে সমাজের মানুষ যাবে কোথায়? কে তাদের নেতা হবে? কে নেতৃত্ব দেবে?
২৪ মিনিট আগে
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, ‘২০২৩ সালে হাজিদের আনা-নেওয়ার জন্য বিমানভাড়া ছিল ১ লাখ ৯৪ হাজার ৮০০ টাকা। ২০২৪ সালে আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর বিমানভাড়া ২৭ হাজার টাকা কমানো হয়েছে। বর্তমানে ১ লাখ ৫৪ হাজার টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। এরপরও বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়কে আরও ১০০ ডলার কমান
২ ঘণ্টা আগেনাটোর প্রতিনিধি

ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, ‘২০২৩ সালে হাজিদের আনা-নেওয়ার জন্য বিমানভাড়া ছিল ১ লাখ ৯৪ হাজার ৮০০ টাকা। ২০২৪ সালে আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর বিমানভাড়া ২৭ হাজার টাকা কমানো হয়েছে। বর্তমানে ১ লাখ ৫৪ হাজার টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। এরপরও বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়কে আরও ১০০ ডলার কমানোর জন্য আবেদন জানানো হয়েছে। আসন্ন হজ মৌসুমে কোনো সিন্ডিকেটকে পাত্তা দেওয়া হবে না।’
আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে নাটোর জেলা মডেল মসজিদ এবং ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন শেষে এসব কথা বলেন খালিদ হোসেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘সৌদি সরকারের অনুরোধে গত বছরের তুলনায় এবার হজে গমন-ইচ্ছুকদের ব্যাপারে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। যারা ১০-১২টি রোগে আক্রান্ত তাঁদের হজে পাঠানো হবে না। আমরা চাচ্ছি, স্বচ্ছ এবং ট্রান্সপারেন্ট ব্যক্তিদের হজে পাঠাতে।’
এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন নাটোরের জেলা প্রশাসক আসমা শাহীন, পুলিশ সুপার আব্দুল ওয়াহাব প্রমুখ।
পরে উপদেষ্টা নাটোর সদর উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন করেন। প্রতিটি মডেল মসজিদ নির্মাণে জেলা পর্যায়ে ১৮ কোটি এবং উপজেলা পর্যায়ে ১৪ কোটি টাকা খরচ করছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, ‘২০২৩ সালে হাজিদের আনা-নেওয়ার জন্য বিমানভাড়া ছিল ১ লাখ ৯৪ হাজার ৮০০ টাকা। ২০২৪ সালে আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর বিমানভাড়া ২৭ হাজার টাকা কমানো হয়েছে। বর্তমানে ১ লাখ ৫৪ হাজার টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। এরপরও বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়কে আরও ১০০ ডলার কমানোর জন্য আবেদন জানানো হয়েছে। আসন্ন হজ মৌসুমে কোনো সিন্ডিকেটকে পাত্তা দেওয়া হবে না।’
আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে নাটোর জেলা মডেল মসজিদ এবং ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন শেষে এসব কথা বলেন খালিদ হোসেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘সৌদি সরকারের অনুরোধে গত বছরের তুলনায় এবার হজে গমন-ইচ্ছুকদের ব্যাপারে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। যারা ১০-১২টি রোগে আক্রান্ত তাঁদের হজে পাঠানো হবে না। আমরা চাচ্ছি, স্বচ্ছ এবং ট্রান্সপারেন্ট ব্যক্তিদের হজে পাঠাতে।’
এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন নাটোরের জেলা প্রশাসক আসমা শাহীন, পুলিশ সুপার আব্দুল ওয়াহাব প্রমুখ।
পরে উপদেষ্টা নাটোর সদর উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন করেন। প্রতিটি মডেল মসজিদ নির্মাণে জেলা পর্যায়ে ১৮ কোটি এবং উপজেলা পর্যায়ে ১৪ কোটি টাকা খরচ করছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

ইলিশের ভরা মৌসুম শেষের দিকে। কিন্তু এবার মোকামে নেই আগের মতো ইলিশের দেখা; দামও অস্বাভাবিক। এসবের মধ্যেই অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে মা ইলিশ রক্ষায় আবারও ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু হচ্ছে। এসব নিয়ে হতাশ জেলে, ব্যবসায়ী এবং ভোক্তাদের প্রশ্ন, ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ কি এ বছর আর মিলবে না।
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সহিদুল ইসলাম মাসুম আজকের পত্রিকাকে বলেন, গৃহকর্তার বাসা থেকে কিছু মালামাল চুরি করার পর সেখানে ধস্তাধস্তি হয়।
২৪ মিনিট আগে
দেশের রাজনীতিবিদদের মধ্যে গুণগত পরিবর্তন না এলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম নেতৃত্ব সংকটে পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি। তিনি বলেন, ‘রাজনীতিবিদদের গুণগত পরিবর্তন হয়নি, গুণগত পরিবর্তন করতে হবে। তা না হলে সমাজের মানুষ যাবে কোথায়? কে তাদের নেতা হবে? কে নেতৃত্ব দেবে?
২৪ মিনিট আগে
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় কিস্তির টাকা না পেয়ে এক নারীর বাড়ি থেকে একটি চিনাহাঁস ধরে নিয়ে গেছেন এনজিও কর্মীরা। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে আগৈলঝাড়া উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের ফুল্লশ্রী গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। ওই নারী জানিয়েছেন, তাঁর স্কুলপড়ুয়া মেয়ে শখ করে হাঁসটি পালত।
১ ঘণ্টা আগে